
ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সমাধান বের করবেন।
তবে রাশিয়া ও চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের সরকারপ্রধান যোগ না দেওয়ার ঘোষণায় এ সম্মেলন অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতাদের তালিকা তুলে ধরেছে। এই সম্মেলনের সমান্তরালে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লিতে পৌঁছাবেন ৭ সেপ্টেম্বর। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দিনের সম্মেলনে বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন ও অন্য শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর রিপোর্ট করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে প্রথম ভারত সফর করছেন ঋষি সুনাক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ নিশ্চিত করেছেন তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। অ্যান্টনি এ সম্মেলন শেষে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সফর করবেন। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আলবেনিজ ভারতের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্থায়ী শান্তির ওপর জোর দিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেটওয়ার্ক (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করতে ইন্দোনেশিয়া যাবেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ নয়াদিল্লিতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। ভারত সফরের আগে জার্মান রেডিও স্টেশন ডয়চে ল্যান্ড ফাঙ্ককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শোলজ বলেন, রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশের সরকারপ্রধানদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনায় নেতৃত্ব দিতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইয়ো
ইউন সুক–ইয়ো দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান উসকানি এবং পারমাণবিক হুমকির কথা তুলে ধরতে পারেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ
ইমানুয়েল মাখোঁ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখে দিল্লি অবস্থান করবেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর মাখোঁ বাংলাদেশ সফর করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা
ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আশা প্রকাশ করে এতে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ভারত আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-এর স্থায়ী সদস্য করার ব্যাপারে কথা বলে আসছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারত সফরে আসছেন। সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ
আলবার্তো ফার্নান্দেজ জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বিদেশি বিনিয়োগের প্রচার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে নিয়ে তিনি কথা বলবেন।
যেসব বিশ্বনেতা এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পুতিন বিদেশ সফর করছেন না। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনেও সশরীরে উপস্থিত থাকেননি। তবে ব্রিকসের মতো জি-২০ সম্মেলনেও রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
পুতিনের পর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ব্রিকস সম্প্রসারণ ও নতুন মানচিত্রের ভারতের হিমাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো নিয়ে চীন–ভারত উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
তবে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
২০০৮ সালে থেকে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে তিনি অনলাইনে এ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
যে নেতারা তাঁদের উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত করেননি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এখনো জি-২০ সম্মেলনে তাঁদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর সম্ভবত এ বছর জি–২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি
জি-২০ সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উপস্থিতি অনিশ্চিত।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এখনো জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
মোহাম্মদ বিন সালমানের নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক এখনো নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ জানানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সমাধান বের করবেন।
তবে রাশিয়া ও চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের সরকারপ্রধান যোগ না দেওয়ার ঘোষণায় এ সম্মেলন অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতাদের তালিকা তুলে ধরেছে। এই সম্মেলনের সমান্তরালে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লিতে পৌঁছাবেন ৭ সেপ্টেম্বর। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দিনের সম্মেলনে বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন ও অন্য শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর রিপোর্ট করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে প্রথম ভারত সফর করছেন ঋষি সুনাক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ নিশ্চিত করেছেন তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। অ্যান্টনি এ সম্মেলন শেষে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সফর করবেন। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আলবেনিজ ভারতের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্থায়ী শান্তির ওপর জোর দিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেটওয়ার্ক (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করতে ইন্দোনেশিয়া যাবেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ নয়াদিল্লিতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। ভারত সফরের আগে জার্মান রেডিও স্টেশন ডয়চে ল্যান্ড ফাঙ্ককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শোলজ বলেন, রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশের সরকারপ্রধানদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনায় নেতৃত্ব দিতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইয়ো
ইউন সুক–ইয়ো দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান উসকানি এবং পারমাণবিক হুমকির কথা তুলে ধরতে পারেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ
ইমানুয়েল মাখোঁ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখে দিল্লি অবস্থান করবেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর মাখোঁ বাংলাদেশ সফর করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা
ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আশা প্রকাশ করে এতে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ভারত আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-এর স্থায়ী সদস্য করার ব্যাপারে কথা বলে আসছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারত সফরে আসছেন। সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ
আলবার্তো ফার্নান্দেজ জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বিদেশি বিনিয়োগের প্রচার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে নিয়ে তিনি কথা বলবেন।
যেসব বিশ্বনেতা এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পুতিন বিদেশ সফর করছেন না। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনেও সশরীরে উপস্থিত থাকেননি। তবে ব্রিকসের মতো জি-২০ সম্মেলনেও রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
পুতিনের পর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ব্রিকস সম্প্রসারণ ও নতুন মানচিত্রের ভারতের হিমাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো নিয়ে চীন–ভারত উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
তবে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
২০০৮ সালে থেকে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে তিনি অনলাইনে এ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
যে নেতারা তাঁদের উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত করেননি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এখনো জি-২০ সম্মেলনে তাঁদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর সম্ভবত এ বছর জি–২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি
জি-২০ সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উপস্থিতি অনিশ্চিত।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এখনো জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
মোহাম্মদ বিন সালমানের নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক এখনো নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ জানানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সমাধান বের করবেন।
তবে রাশিয়া ও চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের সরকারপ্রধান যোগ না দেওয়ার ঘোষণায় এ সম্মেলন অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতাদের তালিকা তুলে ধরেছে। এই সম্মেলনের সমান্তরালে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লিতে পৌঁছাবেন ৭ সেপ্টেম্বর। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দিনের সম্মেলনে বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন ও অন্য শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর রিপোর্ট করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে প্রথম ভারত সফর করছেন ঋষি সুনাক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ নিশ্চিত করেছেন তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। অ্যান্টনি এ সম্মেলন শেষে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সফর করবেন। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আলবেনিজ ভারতের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্থায়ী শান্তির ওপর জোর দিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেটওয়ার্ক (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করতে ইন্দোনেশিয়া যাবেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ নয়াদিল্লিতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। ভারত সফরের আগে জার্মান রেডিও স্টেশন ডয়চে ল্যান্ড ফাঙ্ককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শোলজ বলেন, রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশের সরকারপ্রধানদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনায় নেতৃত্ব দিতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইয়ো
ইউন সুক–ইয়ো দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান উসকানি এবং পারমাণবিক হুমকির কথা তুলে ধরতে পারেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ
ইমানুয়েল মাখোঁ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখে দিল্লি অবস্থান করবেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর মাখোঁ বাংলাদেশ সফর করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা
ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আশা প্রকাশ করে এতে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ভারত আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-এর স্থায়ী সদস্য করার ব্যাপারে কথা বলে আসছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারত সফরে আসছেন। সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ
আলবার্তো ফার্নান্দেজ জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বিদেশি বিনিয়োগের প্রচার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে নিয়ে তিনি কথা বলবেন।
যেসব বিশ্বনেতা এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পুতিন বিদেশ সফর করছেন না। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনেও সশরীরে উপস্থিত থাকেননি। তবে ব্রিকসের মতো জি-২০ সম্মেলনেও রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
পুতিনের পর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ব্রিকস সম্প্রসারণ ও নতুন মানচিত্রের ভারতের হিমাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো নিয়ে চীন–ভারত উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
তবে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
২০০৮ সালে থেকে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে তিনি অনলাইনে এ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
যে নেতারা তাঁদের উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত করেননি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এখনো জি-২০ সম্মেলনে তাঁদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর সম্ভবত এ বছর জি–২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি
জি-২০ সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উপস্থিতি অনিশ্চিত।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এখনো জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
মোহাম্মদ বিন সালমানের নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক এখনো নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ জানানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সমাধান বের করবেন।
তবে রাশিয়া ও চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের সরকারপ্রধান যোগ না দেওয়ার ঘোষণায় এ সম্মেলন অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতাদের তালিকা তুলে ধরেছে। এই সম্মেলনের সমান্তরালে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লিতে পৌঁছাবেন ৭ সেপ্টেম্বর। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দিনের সম্মেলনে বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন ও অন্য শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর রিপোর্ট করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে প্রথম ভারত সফর করছেন ঋষি সুনাক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ নিশ্চিত করেছেন তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। অ্যান্টনি এ সম্মেলন শেষে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সফর করবেন। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আলবেনিজ ভারতের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্থায়ী শান্তির ওপর জোর দিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেটওয়ার্ক (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করতে ইন্দোনেশিয়া যাবেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ নয়াদিল্লিতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। ভারত সফরের আগে জার্মান রেডিও স্টেশন ডয়চে ল্যান্ড ফাঙ্ককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শোলজ বলেন, রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশের সরকারপ্রধানদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনায় নেতৃত্ব দিতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইয়ো
ইউন সুক–ইয়ো দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান উসকানি এবং পারমাণবিক হুমকির কথা তুলে ধরতে পারেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ
ইমানুয়েল মাখোঁ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখে দিল্লি অবস্থান করবেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর মাখোঁ বাংলাদেশ সফর করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা
ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আশা প্রকাশ করে এতে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ভারত আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-এর স্থায়ী সদস্য করার ব্যাপারে কথা বলে আসছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারত সফরে আসছেন। সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ
আলবার্তো ফার্নান্দেজ জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বিদেশি বিনিয়োগের প্রচার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে নিয়ে তিনি কথা বলবেন।
যেসব বিশ্বনেতা এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পুতিন বিদেশ সফর করছেন না। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনেও সশরীরে উপস্থিত থাকেননি। তবে ব্রিকসের মতো জি-২০ সম্মেলনেও রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
পুতিনের পর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ব্রিকস সম্প্রসারণ ও নতুন মানচিত্রের ভারতের হিমাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো নিয়ে চীন–ভারত উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
তবে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
২০০৮ সালে থেকে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে তিনি অনলাইনে এ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
যে নেতারা তাঁদের উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত করেননি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এখনো জি-২০ সম্মেলনে তাঁদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর সম্ভবত এ বছর জি–২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি
জি-২০ সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উপস্থিতি অনিশ্চিত।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এখনো জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
মোহাম্মদ বিন সালমানের নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক এখনো নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ জানানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
২৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।
ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিকমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।
বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাঁরা ৪০ ডলার দিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য জমা দেন। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
সিবিপির এই পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের পূর্বের অনুরূপ কার্যক্রমের মতোই। সরকার ইতিমধ্যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১–বি ভিসা এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া সরকারের একটি নতুন ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে, যা অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যদিও ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশের ভ্রমণকারীরা সেই ফি থেকে ছাড় পাবেন।
ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। গত নভেম্বরে ২০ টিরও বেশি পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসার একটি জোট বিরোধিতা করে একটি চিঠি স্বাক্ষর করে। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এই ফি আরোপের ফলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোটি কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।
এক পর্যটন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন, সিবিপি এই পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পের অংশীজনদের কিছু জানায়নি। তিনি একে যাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। নোটিশে সিবিপি জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাবের ওপর ৬০ দিনের জন্য জনসাধারণের মন্তব্য গ্রহণ করবে।
যদি এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়, তবে সিবিপি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইমিগ্রেশন আইন সংস্থা ফ্রাগোমেন (Fragomen) . ফ্রাগোমেন-এর অংশীদার বো কুপার সরকারের সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনার নতুন এই পদ্ধতিকে ‘প্যারাডাইম শিফট বা ধারণার আমূল পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এর আগে সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট তথ্য, যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপ, যাচাইয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত।
কুপার বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন আলাপ-আলোচনা দেখা হবে এবং কী ধরনের কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনা ও নীতির ভিত্তিতে ভ্রমণ বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্যটন সংখ্যা কেমন থাকে, তা দেখতে বেশ আগ্রহ থাকবে।’
ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক মাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে এটা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ ভ্রমণকারী এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’
সিবিপি এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।
ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিকমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।
বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাঁরা ৪০ ডলার দিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য জমা দেন। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
সিবিপির এই পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের পূর্বের অনুরূপ কার্যক্রমের মতোই। সরকার ইতিমধ্যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১–বি ভিসা এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া সরকারের একটি নতুন ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে, যা অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যদিও ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশের ভ্রমণকারীরা সেই ফি থেকে ছাড় পাবেন।
ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। গত নভেম্বরে ২০ টিরও বেশি পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসার একটি জোট বিরোধিতা করে একটি চিঠি স্বাক্ষর করে। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এই ফি আরোপের ফলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোটি কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।
এক পর্যটন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন, সিবিপি এই পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পের অংশীজনদের কিছু জানায়নি। তিনি একে যাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। নোটিশে সিবিপি জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাবের ওপর ৬০ দিনের জন্য জনসাধারণের মন্তব্য গ্রহণ করবে।
যদি এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়, তবে সিবিপি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইমিগ্রেশন আইন সংস্থা ফ্রাগোমেন (Fragomen) . ফ্রাগোমেন-এর অংশীদার বো কুপার সরকারের সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনার নতুন এই পদ্ধতিকে ‘প্যারাডাইম শিফট বা ধারণার আমূল পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এর আগে সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট তথ্য, যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপ, যাচাইয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত।
কুপার বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন আলাপ-আলোচনা দেখা হবে এবং কী ধরনের কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনা ও নীতির ভিত্তিতে ভ্রমণ বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্যটন সংখ্যা কেমন থাকে, তা দেখতে বেশ আগ্রহ থাকবে।’
ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক মাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে এটা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ ভ্রমণকারী এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’
সিবিপি এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।
এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’
এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’
লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।
এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’
এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’
লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
২৫ মিনিট আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’
বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’
এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’
বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’
এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
২৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তবে বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন আলোচকেরা ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে শান্তি প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার জন্য কয়েক দিন সময় দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে কিয়েভকে কিছু অনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড়দিনের আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন। খবরে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি মার্কিন দূতদের বলেছেন—কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য তাঁর সময়ের প্রয়োজন।
যদিও ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি দেখতে চান, পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তাঁর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে এক শান্তি পরিকল্পনা উত্থাপন করেন, যাতে ইউক্রেনকে দনবাসের সেই অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছিল, যা বর্তমানে দেশটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির জন্য মস্কোর অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল।
সোমবার লন্ডন সফরকালে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘একটি বড় ধরনের বাধার’ মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তবে তিনি যোগ করেছেন যে—ভূখণ্ড নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইউক্রেন লড়াই না করে কোনো জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়।
রাশিয়ার সৈন্যরা ফ্রন্ট লাইনের বিভিন্ন অংশে দৃঢ়ভাবে অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে, আর ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা বলছেন—তাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই এবং নতুন সৈন্যদের দিয়ে যুদ্ধের ক্ষতি পূরণ করতে তারা সংগ্রাম করছেন। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রাসনোয়ার্মেইস্ক (পোকরোভস্ক) শহর মুক্তির ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দনবাসের এই শহরটিকে পরবর্তী আক্রমণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তবে বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন আলোচকেরা ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে শান্তি প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার জন্য কয়েক দিন সময় দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে কিয়েভকে কিছু অনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড়দিনের আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন। খবরে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি মার্কিন দূতদের বলেছেন—কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য তাঁর সময়ের প্রয়োজন।
যদিও ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি দেখতে চান, পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তাঁর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে এক শান্তি পরিকল্পনা উত্থাপন করেন, যাতে ইউক্রেনকে দনবাসের সেই অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছিল, যা বর্তমানে দেশটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির জন্য মস্কোর অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল।
সোমবার লন্ডন সফরকালে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘একটি বড় ধরনের বাধার’ মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তবে তিনি যোগ করেছেন যে—ভূখণ্ড নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইউক্রেন লড়াই না করে কোনো জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়।
রাশিয়ার সৈন্যরা ফ্রন্ট লাইনের বিভিন্ন অংশে দৃঢ়ভাবে অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে, আর ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা বলছেন—তাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই এবং নতুন সৈন্যদের দিয়ে যুদ্ধের ক্ষতি পূরণ করতে তারা সংগ্রাম করছেন। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রাসনোয়ার্মেইস্ক (পোকরোভস্ক) শহর মুক্তির ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দনবাসের এই শহরটিকে পরবর্তী আক্রমণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। মূল সম্মেলন হবে ৯–১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ২০টি দেশের নেতারা এ সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
২৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৩ ঘণ্টা আগে