কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক (জাতীয়) নেত্রী পূজা শকুন পাণ্ডে। দীর্ঘ ১৫ দিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার রাতে রাজস্থানের ভরতপুর জেলার লোধা বাইপাস এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আলিগড় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত এবং চুক্তিভিত্তিক। মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও তিনজন—পূজার স্বামী আশোক পাণ্ডে ও দুই ভাড়াটে বন্দুকধারী মোহাম্মদ ফজল ও আসিফ। এই চারজনই এখন আলিগড় পুলিশি হেফাজতে আছেন।
হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে, আলিগড় শহরের উপকণ্ঠে খেরেশ্বর মন্দির মোড়ে। অভিষেক গুপ্তা নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ও এক আত্মীয়। এ সময় হঠাৎ দুজন বাইক নিয়ে এগিয়ে আসে এবং অভিষেককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি তাঁর মাথায় লাগে। আশপাশের লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে বুঝতে পারে এটি সাধারণ ডাকাতি বা দুর্ঘটনা নয়। অভিষেক গুপ্তা ছিলেন একটি ছোট মোটরবাইক শোরুমের মালিক। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলেও বেশ পরিচিত ছিলেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, পূজা শকুন পাণ্ডে ও তাঁর স্বামী আশোক পাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে অভিষেককে নানা অজুহাতে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন। অর্থনৈতিক লেনদেন, ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতার কারণে তাঁদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। সেই বিরোধই শেষ পর্যন্ত হত্যার কারণ হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
পুলিশ এ ঘটনার তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সংগ্রহ করে। সেই সূত্রে উঠে আসে মোহাম্মদ ফজল ও আসিফ নামের দুই তরুণের নাম, যাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কয়েক দিনের মধ্যে পুলিশ ফজল ও আসিফকে গ্রেপ্তার করে এবং জেরা শুরু করে। তাঁরা জেরায় স্বীকার করেন, পূজা পাণ্ডে ও আশোক পাণ্ডের নির্দেশেই তাঁরা অভিষেককে হত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এটি ছিল একটি চুক্তিভিত্তিক হত্যাকাণ্ড। হিন্দু মহাসভার নেত্রী পূজা ও তাঁর স্বামী আশোক তিন লাখ টাকায় দুজনকে ভাড়া করেন।
পুলিশের হাতে পাওয়া কল রেকর্ড, আর্থিক লেনদেন ও সাক্ষ্যপ্রমাণে স্পষ্ট হয়, অভিষেক গুপ্তার সঙ্গে পূজা পাণ্ডের পূর্বে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর পর থেকেই তাঁকে নানা অজুহাতে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল এবং ব্যবসায় ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। অভিষেক তাঁর পরিবারকে বলেছিলেন, ‘ওরা আমাকে মারতেও পারে।’ তাঁর সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পূজা পাণ্ডে পলাতক ছিলেন। আলিগড় পুলিশ তাঁকে ধরতে ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। রাজস্থানের ভরতপুর পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে তাঁকে লোধা বাইপাস থেকে আটক করে। পরে তাঁকে আলিগড়ে এনে আদালতে তোলা হয় এবং বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার নীরজ কুমার জানিয়েছেন, ‘প্রধান অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি সুপরিকল্পিত খুন। অভিযুক্তদের মধ্যে আর্থিক ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা কাজ করেছে।’
এই মামলাটি ঘিরে সামাজিক প্রতিক্রিয়াও তীব্র। পূজা শকুন পাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু মহাসভার সঙ্গে যুক্ত। তিনি ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে গুলি করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই সময়ও তাঁকে কিছুদিনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার আবার এক হত্যাকাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোয় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—ধর্মীয় সংগঠনের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনকে কি উপেক্ষা করতে পারেন?
আলিগড়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, এ ঘটনার ন্যায়বিচার জরুরি। অভিষেক গুপ্তার পরিবারের দাবি, ‘আমরা শুধু ন্যায় চাই। আমাদের ছেলেকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’
ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক (জাতীয়) নেত্রী পূজা শকুন পাণ্ডে। দীর্ঘ ১৫ দিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার রাতে রাজস্থানের ভরতপুর জেলার লোধা বাইপাস এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আলিগড় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত এবং চুক্তিভিত্তিক। মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও তিনজন—পূজার স্বামী আশোক পাণ্ডে ও দুই ভাড়াটে বন্দুকধারী মোহাম্মদ ফজল ও আসিফ। এই চারজনই এখন আলিগড় পুলিশি হেফাজতে আছেন।
হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে, আলিগড় শহরের উপকণ্ঠে খেরেশ্বর মন্দির মোড়ে। অভিষেক গুপ্তা নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ও এক আত্মীয়। এ সময় হঠাৎ দুজন বাইক নিয়ে এগিয়ে আসে এবং অভিষেককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি তাঁর মাথায় লাগে। আশপাশের লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে বুঝতে পারে এটি সাধারণ ডাকাতি বা দুর্ঘটনা নয়। অভিষেক গুপ্তা ছিলেন একটি ছোট মোটরবাইক শোরুমের মালিক। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলেও বেশ পরিচিত ছিলেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, পূজা শকুন পাণ্ডে ও তাঁর স্বামী আশোক পাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে অভিষেককে নানা অজুহাতে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন। অর্থনৈতিক লেনদেন, ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতার কারণে তাঁদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। সেই বিরোধই শেষ পর্যন্ত হত্যার কারণ হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
পুলিশ এ ঘটনার তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সংগ্রহ করে। সেই সূত্রে উঠে আসে মোহাম্মদ ফজল ও আসিফ নামের দুই তরুণের নাম, যাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কয়েক দিনের মধ্যে পুলিশ ফজল ও আসিফকে গ্রেপ্তার করে এবং জেরা শুরু করে। তাঁরা জেরায় স্বীকার করেন, পূজা পাণ্ডে ও আশোক পাণ্ডের নির্দেশেই তাঁরা অভিষেককে হত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এটি ছিল একটি চুক্তিভিত্তিক হত্যাকাণ্ড। হিন্দু মহাসভার নেত্রী পূজা ও তাঁর স্বামী আশোক তিন লাখ টাকায় দুজনকে ভাড়া করেন।
পুলিশের হাতে পাওয়া কল রেকর্ড, আর্থিক লেনদেন ও সাক্ষ্যপ্রমাণে স্পষ্ট হয়, অভিষেক গুপ্তার সঙ্গে পূজা পাণ্ডের পূর্বে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর পর থেকেই তাঁকে নানা অজুহাতে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল এবং ব্যবসায় ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। অভিষেক তাঁর পরিবারকে বলেছিলেন, ‘ওরা আমাকে মারতেও পারে।’ তাঁর সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পূজা পাণ্ডে পলাতক ছিলেন। আলিগড় পুলিশ তাঁকে ধরতে ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। রাজস্থানের ভরতপুর পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে তাঁকে লোধা বাইপাস থেকে আটক করে। পরে তাঁকে আলিগড়ে এনে আদালতে তোলা হয় এবং বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার নীরজ কুমার জানিয়েছেন, ‘প্রধান অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি সুপরিকল্পিত খুন। অভিযুক্তদের মধ্যে আর্থিক ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা কাজ করেছে।’
এই মামলাটি ঘিরে সামাজিক প্রতিক্রিয়াও তীব্র। পূজা শকুন পাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু মহাসভার সঙ্গে যুক্ত। তিনি ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে গুলি করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই সময়ও তাঁকে কিছুদিনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার আবার এক হত্যাকাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোয় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—ধর্মীয় সংগঠনের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনকে কি উপেক্ষা করতে পারেন?
আলিগড়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, এ ঘটনার ন্যায়বিচার জরুরি। অভিষেক গুপ্তার পরিবারের দাবি, ‘আমরা শুধু ন্যায় চাই। আমাদের ছেলেকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’
সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। কিন্তু এই ছবি পছন্দ না হওয়ায় ম্যাগাজিনটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন—ছবিতে তাঁর চুল ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
৭ ঘণ্টা আগে