Ajker Patrika

পূর্ব পরিকল্পিত গত বছরের দিল্লি দাঙ্গা: হাইকোর্ট

কলকাতা প্রতিনিধি
পূর্ব পরিকল্পিত গত বছরের দিল্লি দাঙ্গা: হাইকোর্ট

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া দাঙ্গা পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে করছেন দিল্লি আদালত। আজ মঙ্গলবার দাঙ্গায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিন আবেদন বাতিলের সময় দিল্লি হাইকোর্ট এ কথা জানান।

দিল্লি হাইকোর্ট জানান, সাময়িক উত্তেজনা থেকে মোটেও সংগঠিত হয়নি উত্তর পূর্ব দিল্লির সহিংসতা। সরকার ও জনগণকে বিপর্যস্ত করার লক্ষ্যেই এই গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

২০২০ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদকারী ও সমর্থকদের মধ্যে টানা তিন দিন ধরে চলে সহিংসতা। এ দাঙ্গায় নিহত হন হন অন্তত ৫০ জন এবং জখম হন আরও ২০০ জন।

দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও নিন্দার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়, নিহতেরা বেশির ভাগই মুসলিম। অভিযোগের আঙুল যায় বিজেপির দিকে। কারণ দিল্লির নিরাপত্তার দায়িত্ব ভারতের বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের।

গত বছরের দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মহম্মদ ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা। এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের আদালতে তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি ছিল।

পরে আদালত তাঁর জামিন দিতে অস্বীকার করেন। বিচারপতি প্রসাদ নজরদারি ক্যামেরার ছবি দেখে মন্তব্য করেন, দিল্লির দাঙ্গায় ইব্রাহিমকে তলোয়ার হাতে দেখা গেছে। সেই তলোয়ারে এক পুলিশ কর্মী খুন হন।

বিচারপতি বলেন, বিক্ষোভকারীদের ভিডিও দেখে বোঝা যায়, সরকার এবং জনগণের জীবন বিপর্যস্ত করতে ভাবনা-চিন্তা করেই হিংসা ছড়ানো হয়। গভীর ষড়যন্ত্র থেকেই পরিকল্পিত দাঙ্গা বাধানো হয় দিল্লিতে।

বিচারপতির সাফ কথা, পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সিসিটিভির ফুটেজ নিষ্ক্রিয় করা হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একে অন্যের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে যে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে তা একেবারেই ঠিক নয়।

দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে উচ্চ আদালতের কড়া মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ। তবে সবপক্ষই মেনে নিচ্ছেন গভীর ষড়যন্ত্র আর পরিকল্পনার কথা।

দিল্লির বিজেপি সামাজিক গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর আম আদমি পার্টি দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত। তাই দাঙ্গায় জড়িতদের বাঁচাতে সচেষ্ট ছিল কেজরিওয়ালের দল। তবে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলেরই ইঙ্গিত বিজেপি দিকে। মুসলিম বিদ্বেষ থেকেই নাকি সংগঠিত হয় দিল্লির দাঙ্গা। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমও মোদী সরকারকেই দাঙ্গার জন্য দায়ী করে।

কংগ্রেসের তরফে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। একই অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিন হাইকোর্টের রায়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সামনে আসতেই ফের রাজনৈতিক চর্চায় উঠে এল দিল্লির দাঙ্গা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্বে পুলিশ হেফাজতে দেবী কালী

কলকাতা প্রতিনিধি  
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ তুলেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। বিজেপি নেতা অমিতাভ মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালীকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে! লজ্জা, লজ্জা—এই কলঙ্ক লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’

বিজেপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন প্রথমে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে মন্দিরের গেটে তালা লাগায়। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা আবার খুলতে বাধ্য হয়।’

বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার না করে মা কালীর প্রতিমা পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! সাতজন হিন্দুরক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনাদের রাজ্য, আপনারা যা চান, তা-ই করতে পারেন!’

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য সরকার কট্টরপন্থীদের তোষণে ব্যস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতারা বারবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু মা কালীকে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি ভক্তের মাথা লজ্জায় নত করার মতো।’

এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে। দলের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেন, পুলিশ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু কিছু লোক একে বিকৃত রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কে এই বারগুতি, যাঁকে মুক্তি দেয়নি ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ০৬
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে তেল আবিবের একটি আদালতে হাজিরের পর মারওয়ান বারগুতিকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে তেল আবিবের একটি আদালতে হাজিরের পর মারওয়ান বারগুতিকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন না ফিলিস্তিনের সবচেয়ে আলোচিত বন্দী মারওয়ান বারগুতি। ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা এবং ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বারগুতি।

জনমত জরিপের তথ্য অনুসারে, বারগুতি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং মনে করা হয়, তিনি ফিলিস্তিনি সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। কিন্তু দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা কীভাবে তাঁদের গ্রামে হামলা চালিয়ে তাঁর প্রিয় কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে।

বারগুতি কৈশোরে যোগ দেন ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দলে। এই ফাতাহ সে সময় গোপনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করত। ১৮ বছর বয়সে ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম বারগুতিকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই তাঁর জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতনের অধ্যায়।

২০১৭ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, ইসরায়েলি কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এক ইসরায়েলি সেনা তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিল।

দখলদার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বারগুতি চার বছর ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি রামাল্লার নিকটবর্তী বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন।

১৯৮৭ সালে ইসরায়েল তাঁকে জর্ডানে নির্বাসিত করে। ওই বছরই শুরু হয় প্রথম ইন্তিফাদা, যা পাঁচ বছর স্থায়ী হয়। বারগুতি তখন প্রবাসে থেকে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কাজ চালান। পরে ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তাঁর দেশে ফেরার সুযোগ হয়।

দেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে তিনি ফাতাহর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অনেক ফিলিস্তিনিকে হতাশ করে তোলে। ১৯৯৫ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ সময় আরাফাতের প্রভাব কমতে থাকলেও বারগুতির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, লিকুদ নেতা অ্যারিয়েল শ্যারন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করলে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। এ থেকেই পরে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা। এতে বারগুতি হয়ে ওঠেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা।

বারগুতির সহকর্মী আহমাদ গ্লোনেইম বলেন, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা; টি-শার্ট ও প্যান্ট পরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতেন।

২০০২ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য একাধিক অভিযান চালায়। কয়েকবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অবশেষে গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচটি হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে তাঁকে পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ইসরায়েলের একটি আদালত। তবে বারগুতি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

লন্ডনের সাওয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিমের সুলতানি বলেন, ‘বারগুতির বিচার ছিল রাজনৈতিক। আসলে লক্ষ্য ছিল আরাফাত ও দ্বিতীয় ইন্তিফাদা আন্দোলনকেই অপরাধী প্রমাণ করা।’

২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল বারগুতিকে। কিন্তু তখন তিনি কারাগারে বন্দী। ২০০৬ সালে চ্যানেল-৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেছিলেন, ইসরায়েল দখলবিরোধী প্রত্যেক মানুষকেই সন্ত্রাসী মনে করে। কিন্তু সেটি সত্য নয়।

২০০২ সাল থেকে বারগুতি বিভিন্ন কারাগারে বন্দী। বেশির ভাগ সময় তাঁকে একা একা থাকতে হয়েছে। একাকী বন্দিত্বের পর তিনি কারাগারে শিক্ষাদান শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে নিয়ে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তখন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েল একটি দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা কার্যত বিচারিক বর্ণবাদের শামিল।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে কারাগারে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছে, খাবার-পানিতে কড়াকড়ি আনা হয়েছে, ওজন কমেছে প্রায় ১০ কেজি।

২০২৫ সালের আগস্টে ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে বারগুতিকে হুমকি দিতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক ঘটনায় বারগুতির অবস্থান স্পষ্ট জানা না গেলেও বারগুতি বরাবরই ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছেন।

তিনি হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী, যা তাঁকে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করেছে। ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মেইর শিত্রিত বলেন, ‘তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন, সত্যিকারের শান্তির।’

২০০৬ সালে চ্যানেল-৪-এ এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, নারী, শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। ফিলিস্তিন বা ইসরায়েল কোথাও নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া, তবে দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার আমাদের আছে।’

ফাতাহ ও হামাস—দুই সংগঠনই বারগুতির মুক্তির দাবিতে একমত। ২০১১ ও ২০২৫ সালের বন্দিবিনিময় আলোচনাতেও তাঁর নাম তোলা হয়েছিল, তবে ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানায়, সাম্প্রতিক বন্দিবিনিময় তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমনকি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফও এতে সম্মত হন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস তা বাদ দেয়।

ইসরায়েলি চ্যানেল-১৪ জানায়, বারগুতির মুক্তিকে ‘লাল রেখা’ (অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির। বারগুতিকে মুক্তি দিলে তিনি সরকারের জোট ভাঙার হুমকিও দেন। তবু ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানসহ অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বারগুতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনে নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হতে পারে।

বারগুতির মুক্তির কোনো তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গাজার শেষ জিম্মিদের মুক্তির পর ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর চাপও এখন দুর্বল। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জন্য রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থী মহল তাঁকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতীক হিসেবে দেখে, যা তাদের দখলনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

বারগুতির ছেলে আরব বারগুতি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৭৬ জন রাজনৈতিক বন্দীকে হারিয়েছি। এবার বাবার জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ জরুরি। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি পুরো ফিলিস্তিনের আস্থা অর্জন করেছেন। সে কারণেই বর্তমান ইসরায়েলি সরকার তাঁকে ভয় পায়।’

তথ্যসূত্র: দ্য মিডল ইস্ট আই

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩৫
লন্ডনের রিচমন্ড এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত। ছবি: বিবিসি
লন্ডনের রিচমন্ড এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত। ছবি: বিবিসি

লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।

বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর রিচমন্ড অঞ্চলে। কিউ এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত সকালে কাজে যাওয়ার পথে তাঁর কাপে বাকি থাকা সামান্য কফি রাস্তার পাশের ড্রেনে ঢেলে দেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, বাসে উঠতে গিয়ে ওই কফিটুকু শরীরে ছিটকে পড়তে পারে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ওই বাসটিকে তাড়া করে এসে থামান এবং ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন-এর ৩৩ নম্বর ধারায় বুরজু ইয়েসিলিউর্তকে জরিমানা করেন।

এই বিষয়ে পরে অপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইয়েসিলিউর্ত বলেন, ‘আমি ভাবলাম দায়িত্বশীল কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ তিন অফিসার এসে আমাকে ঘিরে ধরলেন—এটা সত্যিই ধাক্কার মতো ছিল।’

তিনি জানান, তাঁকে জানানো হয়, তরল বর্জ্যও ড্রেনে ফেলা আইনত নিষিদ্ধ এবং তা পরিবেশদূষণ হিসেবে গণ্য হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কফির অবশিষ্ট অংশটুকু নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলা উচিত ছিল।

ইয়েসিলিউর্ত অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কোথাও কোনো সতর্কবার্তা বা সাইনবোর্ড ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কোনো সাইন আছে কি? তারা কিছু বলল না।’ ঘটনাটি তাঁকে ভীত ও অস্থির করে তুললেও পরে তিনি তাঁর কাজে যান।

জরিমানার পরিমাণ ১৫০ পাউন্ড হলেও ১৪ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করলে ১০০ পাউন্ডে নামানো যাবে। ইয়েসিলিউর্ত অবশ্য এখনো অর্থ পরিশোধ করেননি। এর বদলে তিনি কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘আইনটি যদি এত কড়াকড়ি হয়, তবে সড়ক ও বাসস্টপে স্পষ্টভাবে সতর্কতামূলক সাইন থাকা উচিত।’

এদিকে এই বিষয়ে রিচমন্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, ইয়েসিলিউর্তকে বৈধভাবেই জরিমানা করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পেশাদার ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছেন। কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা রিচমন্ডের জলপথ ও সড়ক পরিষ্কার রাখতে বদ্ধপরিকর। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগ করা হয়। কেউ যদি মনে করেন তাঁর ওপর আরোপ করা জরিমানাটি অন্যায্য, তবে তিনি পর্যালোচনার আবেদন করতে পারেন।’

যুক্তরাজ্যের পরিবেশ সুরক্ষা আইনে বলা আছে, এমন কোনো বর্জ্য বা তরল ফেলা অপরাধ যা মাটি বা জল দূষণের কারণ হতে পারে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনে তরল ঢালাও এর অন্তর্ভুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

একজন প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রীও ধর্ষণ করেছিলেন—জিউফ্রের স্মৃতিকথায় চাঞ্চল্যকর দাবি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভার্জিনিয়া জিউফ্রে যে বয়সে জেফরি এপস্টেইনের যৌনদাসীতে পরিণত হয়েছিলেন। ছবি: দ্য টাইমস
ভার্জিনিয়া জিউফ্রে যে বয়সে জেফরি এপস্টেইনের যৌনদাসীতে পরিণত হয়েছিলেন। ছবি: দ্য টাইমস

জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।

ভার্জিনিয়ার আত্মহত্যার ছয় মাস পর গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘নোবডিজ গার্ল’ শিরোনামের বইটি। এতে তিনি তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, একসময় তিনি ভেবেছিলেন হয়তো যৌন দাসী হিসেবেই তাঁর মৃত্যু হবে। তবে ১৯ বছর বয়সেই তিনি এপস্টেইনের কবল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

বইটিতে ভার্জিনিয়া লিখেছেন, ‘তারা আমাকে অসংখ্য ধনী ও ক্ষমতাধর মানুষের হাতে তুলে দিত। আমাকে মাঝেমধ্যেই অপমান, মারধর ও রক্তাক্ত করা হতো।’

তিনি দাবি করেন, এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে অবস্থানকালে তাঁকে এমন একজন ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয় যিনি তাঁকে সবচেয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।

তিনি আরও লেখেন, ‘সেই মানুষটি আমাকে একাধিকবার শ্বাসরোধ করেছিল, আমার ভয় দেখে আনন্দ পেয়েছিল। আমাকে যখন আঘাত করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তখন ভয়ংকরভাবে হাসছিলেন।’

পরে কেঁদে কেঁদে তিনি এপস্টেইনকে অনুরোধ করেন যেন তাঁকে আর সেই ব্যক্তির কাছে না পাঠানো হয়। কিন্তু এপস্টেইন ঠান্ডা গলায় উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এ রকমটা মাঝে মাঝে হবেই।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বইটির যুক্তরাষ্ট্র সংস্করণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রী’ বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সংস্করণে ওই ব্যক্তিকে ‘সাবেক মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

এই আত্মজীবনী প্রকাশের ফলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ধনী ও ক্ষমতাধরদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক। বিশেষ করে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর নাম আবারও সামনে এসেছে। ভার্জিনিয়ার আগে অভিযোগ করেছিলেন, এপস্টেইন তাঁকে অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তিনবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথমবার যখন তিনি অ্যান্ড্রুর সঙ্গে মিলিত হন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর।

অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০২২ সালে তিনি ভার্জিনিয়ার সঙ্গে আদালতের বাইরে মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, সেই সময়টিতে অ্যান্ড্রুর দল অনলাইনে ‘ট্রল’ ভাড়া করে তাঁকে হয়রানির চেষ্টা করেছিল।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু ২০১১ সালে নিজের এক দেহরক্ষীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজে বের করতে। এই বিষয়ে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করছে।

এই স্মৃতিকথা প্রকাশের ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সুনাম আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যদিও ব্রিটিশ রাজপরিবার বহু বছর ধরেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছিল। সম্প্রতি এই কেলেঙ্কারির দায়ে রাজপরিবারের উপাধি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন অ্যান্ড্রু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত