Ajker Patrika

নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটার হয়েছেন সোনিয়া, বিজেপির নতুন অভিযোগ

কলকাতা প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজনীতিতে আবারও সামনে এল সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক। বিহারে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে যখন রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে, ঠিক তখন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার মূল অভিযোগ হলো, দেশের নাগরিক হওয়ার আগেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

বিকাশ ত্রিপাঠী নামের এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করেছেন, সোনিয়া গান্ধী ১৯৮৩ সালে ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন। অথচ এরও আগে ১৯৮০ সালে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় উঠেছিল। যদিও ১৯৮২ সালে সে নাম বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু ১৯৮৩ সালে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর আবার তাঁর নাম যোগ করা হয়। আবেদনকারী প্রশ্ন তুলেছেন, নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছিল এবং কোন নথির ভিত্তিতে এ ঘটনা ঘটেছিল?

বিজেপি এ মামলাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের ওপর নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। তাদের দাবি, এ ঘটনা প্রমাণ করে, কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম ও গরমিল দীর্ঘদিনের। কংগ্রেস অবশ্য এর পাল্টা জবাব দিয়েছে, এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সংকট ও কৃষি সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষের মনোযোগ সরাতে বিজেপি পুরোনো ইস্যুকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে এর আগেও বহুবার রাজনীতির ময়দানে বিতর্ক হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা কখনোই কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি। তবে নির্বাচনের ঠিক আগে এ মামলা সামনে আসায় বিজেপি কংগ্রেসকে নতুন করে চাপে ফেলতে চাচ্ছে। ভারতের বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন নেত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার এ কৌশল রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি দিককে আরও স্পষ্ট করছে, যেখানে ব্যক্তির জন্ম, নথি ও জীবনই রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত