অনলাইন ডেস্ক
গত আগস্টে ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থির অবস্থায় রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সব কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া। এর প্রভাবে ভারতের চিকিৎসা পর্যটন খাতে নেমেছে ধস।
দেশটির চিকিৎসা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে চিকিৎসার জন্য আসা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। বাংলাদেশিদের আসা কমে যাওয়ায় তারা যেসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন, সেখানে রোগীর সংখ্যা ২৫-৪০ শতাংশ কমে গেছে। যা তাদের আয়েও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
ভারতীয় রেটিং এজেন্সি কেয়ারএজ রেটিংসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের মোট চিকিৎসা পর্যটনে বাংলাদেশের অবদান ৫০-৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশিরা চিকিৎসা নিতে যান—এমন হাসপাতালগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ (এএইচইএল)। হাসপাতালটি জানায়, বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশি রোগীদের থেকে আয় ২৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক রোগী থেকে আয়ের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।
এএইচইএলের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মধু শশীধর বলেন, বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে ভারতে রোগী আসার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। সেখান থেকে আসা বেশির ভাগ রোগীই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা রুটিন চেকআপের জন্য আসতেন। অন্যদেরও তেমন জটিল রোগ দেখা যেত না। এখন রোগী আসা শুরু হলেও গত বছর এ সময় বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ রোগী আসতেন, সে অবস্থায় এখনো ফেরা সম্ভব হয়নি।
ভারত সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের এখন শুধু জরুরি ভিসা দিচ্ছে। এ অবস্থায় এ দেশ থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ হাসপাতালের চিত্র বর্তমানে এ রকম।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল মনিপাল হাসপাতালের মোট আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক রোগীদের কাছ থেকে। এই হাসপাতালের দুটি শাখা রয়েছে কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে। দুই শাখা মিলিয়ে মোট আন্তর্জাতিক রোগীর প্রায় ৪০-৪৫ শতাংশ বাংলাদেশি।
মনিপাল হাসপাতালের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (চিফ অপারেটিং অফিসার) কার্তিক রাজাগোপাল বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে প্রচুর বাংলাদেশি রোগী আসেন। গত জুলাইয়ের পর থেকে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা কমে শতকরা ৫০-৬০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমাদের আন্তর্জাতিক রোগীর মধ্যে ৬০ শতাংশ বাংলাদেশি।’
এ ছাড়া ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মোট আয়ের ৯ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক ব্যবসা থেকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ১৮ শতাংশ বাড়লেও বাংলাদেশের বাজার থেকে তাদের আয় বেশ কমে গিয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে বাংলাদেশে তাদের একটি কার্যালয় রয়েছে।
হাসপাতালটির সিনিয়র ডিরেক্টর ও চিফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার আনাস আব্দুল ওয়াজিদ বলেন, ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মোট আন্তর্জাতিক আয়ে বাংলাদেশিদের অবদান প্রায় ৫ শতাংশ। তবে দেশটিতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটের কারণে এই আয় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
গত মাসে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছিলেন, বর্তমানে শুধু জরুরি ভিত্তিতে ভিসা দেওয়া হচ্ছে, কারণ মানবসম্পদ সংকট রয়েছে। তবে দেশটির হাসপাতাল খাতে এর তেমন বড় প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এ খাতে চিকিৎসা পর্যটনের অবদান ৩ থেকে ৫ শতাংশ।
ভারতের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে চিকিৎসা নিতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার পর্যটক গিয়েছিলেন। এর মধ্যে, প্রায় ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ছিলেন বাংলাদেশিই।
গত আগস্টে ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থির অবস্থায় রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সব কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া। এর প্রভাবে ভারতের চিকিৎসা পর্যটন খাতে নেমেছে ধস।
দেশটির চিকিৎসা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে চিকিৎসার জন্য আসা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। বাংলাদেশিদের আসা কমে যাওয়ায় তারা যেসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন, সেখানে রোগীর সংখ্যা ২৫-৪০ শতাংশ কমে গেছে। যা তাদের আয়েও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
ভারতীয় রেটিং এজেন্সি কেয়ারএজ রেটিংসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের মোট চিকিৎসা পর্যটনে বাংলাদেশের অবদান ৫০-৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশিরা চিকিৎসা নিতে যান—এমন হাসপাতালগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ (এএইচইএল)। হাসপাতালটি জানায়, বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশি রোগীদের থেকে আয় ২৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক রোগী থেকে আয়ের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।
এএইচইএলের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মধু শশীধর বলেন, বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে ভারতে রোগী আসার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। সেখান থেকে আসা বেশির ভাগ রোগীই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা রুটিন চেকআপের জন্য আসতেন। অন্যদেরও তেমন জটিল রোগ দেখা যেত না। এখন রোগী আসা শুরু হলেও গত বছর এ সময় বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ রোগী আসতেন, সে অবস্থায় এখনো ফেরা সম্ভব হয়নি।
ভারত সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের এখন শুধু জরুরি ভিসা দিচ্ছে। এ অবস্থায় এ দেশ থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ হাসপাতালের চিত্র বর্তমানে এ রকম।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল মনিপাল হাসপাতালের মোট আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক রোগীদের কাছ থেকে। এই হাসপাতালের দুটি শাখা রয়েছে কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে। দুই শাখা মিলিয়ে মোট আন্তর্জাতিক রোগীর প্রায় ৪০-৪৫ শতাংশ বাংলাদেশি।
মনিপাল হাসপাতালের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (চিফ অপারেটিং অফিসার) কার্তিক রাজাগোপাল বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে প্রচুর বাংলাদেশি রোগী আসেন। গত জুলাইয়ের পর থেকে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা কমে শতকরা ৫০-৬০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমাদের আন্তর্জাতিক রোগীর মধ্যে ৬০ শতাংশ বাংলাদেশি।’
এ ছাড়া ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মোট আয়ের ৯ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক ব্যবসা থেকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ১৮ শতাংশ বাড়লেও বাংলাদেশের বাজার থেকে তাদের আয় বেশ কমে গিয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে বাংলাদেশে তাদের একটি কার্যালয় রয়েছে।
হাসপাতালটির সিনিয়র ডিরেক্টর ও চিফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার আনাস আব্দুল ওয়াজিদ বলেন, ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মোট আন্তর্জাতিক আয়ে বাংলাদেশিদের অবদান প্রায় ৫ শতাংশ। তবে দেশটিতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটের কারণে এই আয় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
গত মাসে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছিলেন, বর্তমানে শুধু জরুরি ভিত্তিতে ভিসা দেওয়া হচ্ছে, কারণ মানবসম্পদ সংকট রয়েছে। তবে দেশটির হাসপাতাল খাতে এর তেমন বড় প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এ খাতে চিকিৎসা পর্যটনের অবদান ৩ থেকে ৫ শতাংশ।
ভারতের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে চিকিৎসা নিতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার পর্যটক গিয়েছিলেন। এর মধ্যে, প্রায় ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ছিলেন বাংলাদেশিই।
সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের পাট বা ভুট্টা জাতীয় উঁচু ফসল চাষ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। বিএসএফের
৪ ঘণ্টা আগে২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন হাজারো বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের মধ্যে একজন মাহা জানুদ। যিনি সিরিয়ার প্রথম নারী ফুটবল কোচ
৪ ঘণ্টা আগেসামনে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেশটির এ অবস্থান তুলে ধরেন। ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ তম বিজিবি–বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রথম ট্রান্সজেন্ডার অভিনেত্রী হিসেবে এবার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন কার্লা সোফিয়া গাসকন। এরপরই তাঁর পুরোনো ও বিতর্কিত কয়েকটি টুইট নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। ওই টুইটগুলোতে তিনি ধর্ম, ইসলাম, জর্জ ফ্লয়েড, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং অস্কারের বৈচিত্র্য নীতি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে