Ajker Patrika

ভারতে ২৪ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির গণ-আত্মহত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যা জানা গেল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফ্লোর ক্লিনার পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা। ছবি: স্ক্রিনশট
ফ্লোর ক্লিনার পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা। ছবি: স্ক্রিনশট

গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও একজনের ওপর যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের নন্দলালপুরা এলাকায় প্রায় ২৪ জন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি একযোগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ফিনাইল বা ফ্লোর ক্লিনার পান করার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইন্দোরের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিআর) আনন্দ কালাগদির বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন্দলালপুরা এলাকার একটি বাড়িতে হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ জানতে পারে, সেখানে বসবাসকারী ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যে কয়েকজন বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ডিসিআর কালাগদি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ২৪ জনকে মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।’

প্রাথমিকভাবে পুলিশ এই গণ-আত্মহত্যার চেষ্টার প্রধান কারণ হিসেবে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ও রেষারেষিকে দায়ী করেছে। ডিসিআর কালাগদি জানান, একটি গোষ্ঠীর নেতার বিরুদ্ধে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের জবানবন্দি নথিভুক্ত করার পর পুলিশ এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে।

যদিও পুলিশ প্রাথমিকভাবে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বকে আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে, তবে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি ভিন্ন ও গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে।

নন্দলালপুরা এলাকায় ট্রান্সজেন্ডারদের ডেরা-র সঙ্গে যুক্ত নেহা কুনওয়ার সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি সাংবাদিক পরিচয়ে আসা দুই ব্যক্তি একজন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেল ও হুমকি দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী গত মঙ্গলবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন এবং একটি এফআইআর নথিভুক্ত হয়।

কুনওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি তিন মাস আগে ঘটেছিল। আমরা কি মানুষ নই? অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে দেড় লাখ রুপি লুটও করেছে।

যৌন নির্যাতন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিসিআর (ক্রাইম) রাজেশ দান্ডোতিয়া নিশ্চিত করেছেন, অভিযুক্তদের নাম অক্ষয় এবং পঙ্কজ। তাঁরা গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেল এবং নির্যাতন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে, গণ-আত্মহত্যার চেষ্টার সঙ্গে এই যৌন হেনস্তার অভিযোগের সরাসরি সংযোগের বিষয়ে পুলিশ এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুটি ঘটনাকে তারা ‘ভিন্ন বিষয়’ হিসেবে দেখছে এবং উভয় ঘটনারই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত