
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রামমন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রামমন্দির নির্মাণকে প্রস্তাবিত মসজিদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা উচিত নয়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিমিত্রা পাল হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদের মতো একটি মসজিদ নির্মাণের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ করেছেন, হুমায়ুন কবির উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি এর আগেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘মসজিদের প্রতিক্রিয়ায় রামমন্দির নির্মাণ করা উচিত নয়। বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে এবং রামমন্দিরও নির্মাণ করা যেতে পারে...যিনি বলেছেন বাবরি মসজিদ নির্মাণ হবে, তিনিই একসময় বলেছিলেন যে, হিন্দুদের হত্যা করে ভাগীরথীতে ফেলে দেওয়া হবে। এর জন্য কোনো শোকজ নোটিশ বা শাস্তি দেওয়া হয়নি।’
অগ্নিমিত্রা পাল আরও অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যগুলোর পেছনে...তিনি তাঁর ভোটব্যাংকের জন্য আরেকটি বাংলাদেশ তৈরি করছেন। রামমন্দির নির্মিত হবে। আমরা অযোধ্যা রামমন্দিরের এক বছর পূর্তি উদ্যাপন করব এবং বেলঘরিয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’
এদিকে, বিজেপি নেতা শংকর ঘোষও হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদ নির্মাণসংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং রামমন্দির নির্মাণকে ‘স্বাভাবিক’ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন্দির নির্মাণ স্বাভাবিক; এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক। মসজিদ সেই সব লোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, যারা আমাদের আক্রমণ করেছিল। বাংলাদেশই আমাদের এই সম্প্রদায়ের মনোভাব বোঝায়।’
এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেন, বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি গভীর আবেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি আবেগময় বিষয় ছিল। এটি বাবরের হাতে নির্মিত হয়েছিল এবং আমরা সবাই জানি ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। ৩০ বছর হয়ে গেছে এবং এখনো বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ হয়নি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি সর্বসম্মত রায় দেয়, যেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।’
হুমায়ুন কবির পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত মসজিদ সম্পর্কিত অভিযোগগুলোও খণ্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, কেউ কেউ বলছেন একটি নতুন বাবরি মসজিদ নির্মিত হবে লোকজনকে উসকানি দেওয়ার জন্য। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে কোনো সমস্যা নেই। বাবরি মসজিদের জমি সম্পর্কিত বিষয়ে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, জমি কোথা থেকে কেনা হবে, তাহলে স্পষ্ট করে বলছি যে, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কোনো জমির জন্য আবেদন করিনি। না, আমরা কোনো সরকারি জমি বা অনুদান নেওয়ার ইচ্ছা রাখি না।’
হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, মসজিদের জন্য কোনো সরকারি জমি বা অনুদান ব্যবহার করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যারা স্থান নির্ধারণ করবে এবং ট্রাস্টের তহবিল দিয়ে জমি কিনবে। এই প্রক্রিয়া সব আইনগত নিয়ম মেনে হবে, যার মধ্যে কর প্রদান এবং রেজিস্ট্রেশন অন্তর্ভুক্ত। এটি বিশ্বাসের বিষয়, কাউকে বিপাকে ফেলার বিষয় নয়।’
বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির বলেন, ‘সীমান্তে সুরক্ষা বজায় রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে তবে কেন্দ্রীয় সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ তা সামাল দেওয়া। এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা তাদের ধরুক বা বহিষ্কার করুক—তা তাদের ব্যাপার। আমি এ ধরনের কোনো সমস্যা এখনো লক্ষ্য করিনি।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রামমন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রামমন্দির নির্মাণকে প্রস্তাবিত মসজিদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা উচিত নয়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিমিত্রা পাল হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদের মতো একটি মসজিদ নির্মাণের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ করেছেন, হুমায়ুন কবির উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি এর আগেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘মসজিদের প্রতিক্রিয়ায় রামমন্দির নির্মাণ করা উচিত নয়। বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে এবং রামমন্দিরও নির্মাণ করা যেতে পারে...যিনি বলেছেন বাবরি মসজিদ নির্মাণ হবে, তিনিই একসময় বলেছিলেন যে, হিন্দুদের হত্যা করে ভাগীরথীতে ফেলে দেওয়া হবে। এর জন্য কোনো শোকজ নোটিশ বা শাস্তি দেওয়া হয়নি।’
অগ্নিমিত্রা পাল আরও অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যগুলোর পেছনে...তিনি তাঁর ভোটব্যাংকের জন্য আরেকটি বাংলাদেশ তৈরি করছেন। রামমন্দির নির্মিত হবে। আমরা অযোধ্যা রামমন্দিরের এক বছর পূর্তি উদ্যাপন করব এবং বেলঘরিয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’
এদিকে, বিজেপি নেতা শংকর ঘোষও হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদ নির্মাণসংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং রামমন্দির নির্মাণকে ‘স্বাভাবিক’ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন্দির নির্মাণ স্বাভাবিক; এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক। মসজিদ সেই সব লোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, যারা আমাদের আক্রমণ করেছিল। বাংলাদেশই আমাদের এই সম্প্রদায়ের মনোভাব বোঝায়।’
এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেন, বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি গভীর আবেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি আবেগময় বিষয় ছিল। এটি বাবরের হাতে নির্মিত হয়েছিল এবং আমরা সবাই জানি ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। ৩০ বছর হয়ে গেছে এবং এখনো বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ হয়নি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি সর্বসম্মত রায় দেয়, যেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।’
হুমায়ুন কবির পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত মসজিদ সম্পর্কিত অভিযোগগুলোও খণ্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, কেউ কেউ বলছেন একটি নতুন বাবরি মসজিদ নির্মিত হবে লোকজনকে উসকানি দেওয়ার জন্য। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে কোনো সমস্যা নেই। বাবরি মসজিদের জমি সম্পর্কিত বিষয়ে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, জমি কোথা থেকে কেনা হবে, তাহলে স্পষ্ট করে বলছি যে, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কোনো জমির জন্য আবেদন করিনি। না, আমরা কোনো সরকারি জমি বা অনুদান নেওয়ার ইচ্ছা রাখি না।’
হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, মসজিদের জন্য কোনো সরকারি জমি বা অনুদান ব্যবহার করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যারা স্থান নির্ধারণ করবে এবং ট্রাস্টের তহবিল দিয়ে জমি কিনবে। এই প্রক্রিয়া সব আইনগত নিয়ম মেনে হবে, যার মধ্যে কর প্রদান এবং রেজিস্ট্রেশন অন্তর্ভুক্ত। এটি বিশ্বাসের বিষয়, কাউকে বিপাকে ফেলার বিষয় নয়।’
বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির বলেন, ‘সীমান্তে সুরক্ষা বজায় রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে তবে কেন্দ্রীয় সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ তা সামাল দেওয়া। এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা তাদের ধরুক বা বহিষ্কার করুক—তা তাদের ব্যাপার। আমি এ ধরনের কোনো সমস্যা এখনো লক্ষ্য করিনি।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রামমন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রামমন্দির নির্মাণকে প্রস্তাবিত মসজিদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা উচিত নয়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিমিত্রা পাল হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদের মতো একটি মসজিদ নির্মাণের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ করেছেন, হুমায়ুন কবির উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি এর আগেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘মসজিদের প্রতিক্রিয়ায় রামমন্দির নির্মাণ করা উচিত নয়। বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে এবং রামমন্দিরও নির্মাণ করা যেতে পারে...যিনি বলেছেন বাবরি মসজিদ নির্মাণ হবে, তিনিই একসময় বলেছিলেন যে, হিন্দুদের হত্যা করে ভাগীরথীতে ফেলে দেওয়া হবে। এর জন্য কোনো শোকজ নোটিশ বা শাস্তি দেওয়া হয়নি।’
অগ্নিমিত্রা পাল আরও অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যগুলোর পেছনে...তিনি তাঁর ভোটব্যাংকের জন্য আরেকটি বাংলাদেশ তৈরি করছেন। রামমন্দির নির্মিত হবে। আমরা অযোধ্যা রামমন্দিরের এক বছর পূর্তি উদ্যাপন করব এবং বেলঘরিয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’
এদিকে, বিজেপি নেতা শংকর ঘোষও হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদ নির্মাণসংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং রামমন্দির নির্মাণকে ‘স্বাভাবিক’ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন্দির নির্মাণ স্বাভাবিক; এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক। মসজিদ সেই সব লোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, যারা আমাদের আক্রমণ করেছিল। বাংলাদেশই আমাদের এই সম্প্রদায়ের মনোভাব বোঝায়।’
এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেন, বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি গভীর আবেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি আবেগময় বিষয় ছিল। এটি বাবরের হাতে নির্মিত হয়েছিল এবং আমরা সবাই জানি ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। ৩০ বছর হয়ে গেছে এবং এখনো বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ হয়নি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি সর্বসম্মত রায় দেয়, যেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।’
হুমায়ুন কবির পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত মসজিদ সম্পর্কিত অভিযোগগুলোও খণ্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, কেউ কেউ বলছেন একটি নতুন বাবরি মসজিদ নির্মিত হবে লোকজনকে উসকানি দেওয়ার জন্য। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে কোনো সমস্যা নেই। বাবরি মসজিদের জমি সম্পর্কিত বিষয়ে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, জমি কোথা থেকে কেনা হবে, তাহলে স্পষ্ট করে বলছি যে, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কোনো জমির জন্য আবেদন করিনি। না, আমরা কোনো সরকারি জমি বা অনুদান নেওয়ার ইচ্ছা রাখি না।’
হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, মসজিদের জন্য কোনো সরকারি জমি বা অনুদান ব্যবহার করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যারা স্থান নির্ধারণ করবে এবং ট্রাস্টের তহবিল দিয়ে জমি কিনবে। এই প্রক্রিয়া সব আইনগত নিয়ম মেনে হবে, যার মধ্যে কর প্রদান এবং রেজিস্ট্রেশন অন্তর্ভুক্ত। এটি বিশ্বাসের বিষয়, কাউকে বিপাকে ফেলার বিষয় নয়।’
বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির বলেন, ‘সীমান্তে সুরক্ষা বজায় রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে তবে কেন্দ্রীয় সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ তা সামাল দেওয়া। এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা তাদের ধরুক বা বহিষ্কার করুক—তা তাদের ব্যাপার। আমি এ ধরনের কোনো সমস্যা এখনো লক্ষ্য করিনি।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রামমন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রামমন্দির নির্মাণকে প্রস্তাবিত মসজিদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা উচিত নয়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিমিত্রা পাল হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদের মতো একটি মসজিদ নির্মাণের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ করেছেন, হুমায়ুন কবির উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি এর আগেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘মসজিদের প্রতিক্রিয়ায় রামমন্দির নির্মাণ করা উচিত নয়। বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে এবং রামমন্দিরও নির্মাণ করা যেতে পারে...যিনি বলেছেন বাবরি মসজিদ নির্মাণ হবে, তিনিই একসময় বলেছিলেন যে, হিন্দুদের হত্যা করে ভাগীরথীতে ফেলে দেওয়া হবে। এর জন্য কোনো শোকজ নোটিশ বা শাস্তি দেওয়া হয়নি।’
অগ্নিমিত্রা পাল আরও অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যগুলোর পেছনে...তিনি তাঁর ভোটব্যাংকের জন্য আরেকটি বাংলাদেশ তৈরি করছেন। রামমন্দির নির্মিত হবে। আমরা অযোধ্যা রামমন্দিরের এক বছর পূর্তি উদ্যাপন করব এবং বেলঘরিয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’
এদিকে, বিজেপি নেতা শংকর ঘোষও হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদ নির্মাণসংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং রামমন্দির নির্মাণকে ‘স্বাভাবিক’ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন্দির নির্মাণ স্বাভাবিক; এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক। মসজিদ সেই সব লোকের সঙ্গে সম্পর্কিত, যারা আমাদের আক্রমণ করেছিল। বাংলাদেশই আমাদের এই সম্প্রদায়ের মনোভাব বোঝায়।’
এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেন, বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি গভীর আবেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি আবেগময় বিষয় ছিল। এটি বাবরের হাতে নির্মিত হয়েছিল এবং আমরা সবাই জানি ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। ৩০ বছর হয়ে গেছে এবং এখনো বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ হয়নি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি সর্বসম্মত রায় দেয়, যেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।’
হুমায়ুন কবির পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত মসজিদ সম্পর্কিত অভিযোগগুলোও খণ্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, কেউ কেউ বলছেন একটি নতুন বাবরি মসজিদ নির্মিত হবে লোকজনকে উসকানি দেওয়ার জন্য। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে কোনো সমস্যা নেই। বাবরি মসজিদের জমি সম্পর্কিত বিষয়ে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, জমি কোথা থেকে কেনা হবে, তাহলে স্পষ্ট করে বলছি যে, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কোনো জমির জন্য আবেদন করিনি। না, আমরা কোনো সরকারি জমি বা অনুদান নেওয়ার ইচ্ছা রাখি না।’
হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, মসজিদের জন্য কোনো সরকারি জমি বা অনুদান ব্যবহার করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যারা স্থান নির্ধারণ করবে এবং ট্রাস্টের তহবিল দিয়ে জমি কিনবে। এই প্রক্রিয়া সব আইনগত নিয়ম মেনে হবে, যার মধ্যে কর প্রদান এবং রেজিস্ট্রেশন অন্তর্ভুক্ত। এটি বিশ্বাসের বিষয়, কাউকে বিপাকে ফেলার বিষয় নয়।’
বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির বলেন, ‘সীমান্তে সুরক্ষা বজায় রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে তবে কেন্দ্রীয় সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ তা সামাল দেওয়া। এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা তাদের ধরুক বা বহিষ্কার করুক—তা তাদের ব্যাপার। আমি এ ধরনের কোনো সমস্যা এখনো লক্ষ্য করিনি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১০ মিনিট আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’ বা সরাসরি ‘পাগলাটে’ আখ্যা দিয়েছে। সমালোচনার ঝড় ওঠার পর ওহ সুং-গিওল জানান, প্রশ্ন প্রণয়নের প্রক্রিয়া বহুবার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে গেলেও উপযুক্ত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, এবারের ইংরেজি অংশে দর্শন, গেমিং তত্ত্ব ও বিমূর্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে জটিল অনুচ্ছেদ থেকে বাক্য বসানোর মতো প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রশ্নে ইমানুয়েল কান্টের আইনদর্শন নিয়ে দীর্ঘ পাঠ্য বিশ্লেষণ করতে হয়, আরেকটিতে ভিডিও গেমের বাস্তবতার ধারণা ব্যাখ্যা করে অনুচ্ছেদের সঠিক স্থানে বাক্যটি বসাতে বলা হয়। মাত্র তিন নম্বরের সেই প্রশ্নটি অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে অতি-দুর্বোধ্য বলে মনে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশ্নের ভাষা এতটাই জটিল ছিল যে একে কার্যকর শিক্ষার উপযোগী বলা কঠিন।
ইংরেজি পরীক্ষায় ৪৫টি প্রশ্ন সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের ৭০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। গত বছর এই পরীক্ষায় যেখানে ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছিল, সেখানে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি। হানইয়ং হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ইম না-হিয়ে জানান, বহু প্রশ্ন বুঝতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এমনকি সম্ভাব্য উত্তরগুলো পরস্পরের সঙ্গে এত মিল ছিল যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দ্বিধায় ছিলেন।
প্রতি বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সুনুং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠান। প্রায় আট ঘণ্টার এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি, এমনকি সামাজিক অবস্থান পর্যন্ত নির্ধারণ করে। পরীক্ষার দিনে দেশজুড়ে নির্মাণকাজ স্থগিত থাকে, বিমান ওঠানামা সীমিত হয় এবং সামরিক প্রশিক্ষণও বন্ধ থাকে যেন পরীক্ষার পরিবেশ নিখুঁত হয়।
১৯৯৩ সালে এই পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ১২ জন সুনুং প্রধান কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র চারজন পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। তবে ওহ সুং-গিওলই প্রথম যিনি প্রশ্ন কঠিন করার জন্য সরে দাঁড়ালেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’ বা সরাসরি ‘পাগলাটে’ আখ্যা দিয়েছে। সমালোচনার ঝড় ওঠার পর ওহ সুং-গিওল জানান, প্রশ্ন প্রণয়নের প্রক্রিয়া বহুবার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে গেলেও উপযুক্ত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, এবারের ইংরেজি অংশে দর্শন, গেমিং তত্ত্ব ও বিমূর্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে জটিল অনুচ্ছেদ থেকে বাক্য বসানোর মতো প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রশ্নে ইমানুয়েল কান্টের আইনদর্শন নিয়ে দীর্ঘ পাঠ্য বিশ্লেষণ করতে হয়, আরেকটিতে ভিডিও গেমের বাস্তবতার ধারণা ব্যাখ্যা করে অনুচ্ছেদের সঠিক স্থানে বাক্যটি বসাতে বলা হয়। মাত্র তিন নম্বরের সেই প্রশ্নটি অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে অতি-দুর্বোধ্য বলে মনে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশ্নের ভাষা এতটাই জটিল ছিল যে একে কার্যকর শিক্ষার উপযোগী বলা কঠিন।
ইংরেজি পরীক্ষায় ৪৫টি প্রশ্ন সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের ৭০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। গত বছর এই পরীক্ষায় যেখানে ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছিল, সেখানে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি। হানইয়ং হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ইম না-হিয়ে জানান, বহু প্রশ্ন বুঝতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এমনকি সম্ভাব্য উত্তরগুলো পরস্পরের সঙ্গে এত মিল ছিল যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দ্বিধায় ছিলেন।
প্রতি বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সুনুং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠান। প্রায় আট ঘণ্টার এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি, এমনকি সামাজিক অবস্থান পর্যন্ত নির্ধারণ করে। পরীক্ষার দিনে দেশজুড়ে নির্মাণকাজ স্থগিত থাকে, বিমান ওঠানামা সীমিত হয় এবং সামরিক প্রশিক্ষণও বন্ধ থাকে যেন পরীক্ষার পরিবেশ নিখুঁত হয়।
১৯৯৩ সালে এই পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ১২ জন সুনুং প্রধান কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র চারজন পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। তবে ওহ সুং-গিওলই প্রথম যিনি প্রশ্ন কঠিন করার জন্য সরে দাঁড়ালেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণকে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ কয়েক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৯৯ সালে ন্যান্সি কারিপার শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তখন তিনি সবেমাত্র তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এ মাসে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে এক এইডস সচেতনতা অনুষ্ঠানে ৫০-এর কোঠার কারিপা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মনের ভেতর লোকলজ্জা আর অস্বীকার করার ভয় থাকলেও চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি।’
কারিপা ও তাঁর সন্তান দুজনেই সঠিক চিকিৎসা পান। সন্তানটি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক অঞ্চলের বাসিন্দা কারিপা নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেশটিতে খুব একটা দেখা যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে এই রোগ নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও লোকলজ্জা অত্যন্ত প্রকট। তবে এখন এ বিষয়ে মুখ খোলা আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছর পাপুয়া নিউগিনি এইচআইভিকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
দেশটিতে ২০১০ সালের পর নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে তাদের মাত্র ৫৯ শতাংশ জানেন, তারা এইচআইভি পজিটিভ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইউএনএইডস।
পাপুয়া নিউগিনিতে ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানোয়েলা মানোভা বলেন, মা থেকে সন্তানের মধ্যে (এইচআইভি) সংক্রমণের হার পাপুয়া নিউগিনিতে অত্যন্ত বেশি।
এইচআইভি প্রতিরোধ ও সহায়তা খাতে অর্থায়নে পরিবর্তন আসায় দেশটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে শত শত ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ইউএনএইডসের তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ফলে পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে এই খাতে আরও বেশি ভূমিকা রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মানোভা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা কমে গেছে এবং বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, ‘মানুষ মনে করছে এই মহামারির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তাঁর মতে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে—উভয় ক্ষেত্রেই এখন এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রায় এক কোটি মানুষের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও সচেতনতার অভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ইউএনএইডসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে আনুমানিক ১১ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার অর্ধেকই শিশু এবং ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ।
২০২৪ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা নিজেরা আক্রান্ত কি না—তা জানতেন না। ফলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)’ গ্রহণ করতে পারেননি, যা শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঠেকাতে পারত।
মানোভা বলেন, অনেকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা জানেন না। অথচ এই মহামারি মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হলো পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার আওতায় আসা।

দীর্ঘ কয়েক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৯৯ সালে ন্যান্সি কারিপার শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তখন তিনি সবেমাত্র তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এ মাসে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে এক এইডস সচেতনতা অনুষ্ঠানে ৫০-এর কোঠার কারিপা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মনের ভেতর লোকলজ্জা আর অস্বীকার করার ভয় থাকলেও চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি।’
কারিপা ও তাঁর সন্তান দুজনেই সঠিক চিকিৎসা পান। সন্তানটি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক অঞ্চলের বাসিন্দা কারিপা নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেশটিতে খুব একটা দেখা যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে এই রোগ নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও লোকলজ্জা অত্যন্ত প্রকট। তবে এখন এ বিষয়ে মুখ খোলা আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছর পাপুয়া নিউগিনি এইচআইভিকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
দেশটিতে ২০১০ সালের পর নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে তাদের মাত্র ৫৯ শতাংশ জানেন, তারা এইচআইভি পজিটিভ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইউএনএইডস।
পাপুয়া নিউগিনিতে ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানোয়েলা মানোভা বলেন, মা থেকে সন্তানের মধ্যে (এইচআইভি) সংক্রমণের হার পাপুয়া নিউগিনিতে অত্যন্ত বেশি।
এইচআইভি প্রতিরোধ ও সহায়তা খাতে অর্থায়নে পরিবর্তন আসায় দেশটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে শত শত ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ইউএনএইডসের তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ফলে পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে এই খাতে আরও বেশি ভূমিকা রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মানোভা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা কমে গেছে এবং বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, ‘মানুষ মনে করছে এই মহামারির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তাঁর মতে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে—উভয় ক্ষেত্রেই এখন এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রায় এক কোটি মানুষের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও সচেতনতার অভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ইউএনএইডসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে আনুমানিক ১১ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার অর্ধেকই শিশু এবং ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ।
২০২৪ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা নিজেরা আক্রান্ত কি না—তা জানতেন না। ফলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)’ গ্রহণ করতে পারেননি, যা শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঠেকাতে পারত।
মানোভা বলেন, অনেকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা জানেন না। অথচ এই মহামারি মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হলো পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার আওতায় আসা।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণকে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১০ মিনিট আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’
রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’
রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণকে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১০ মিনিট আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’
কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রর্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।
মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’
এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।
মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।
মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’
মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’
কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রর্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।
মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’
এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।
মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।
মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’
মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির রাজ্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরপরই বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে একটি রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণকে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১০ মিনিট আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে