Ajker Patrika

সুইস এয়ারের ফ্লাইটে দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ২৬
Thumbnail image
সুইস এয়ার। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকক থেকে জুরিখগামী সুইস এয়ারের একটি ফ্লাইটে এক দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। ওই ভিডিও ক্রু সদস্যদের মাধ্যমে ভাইরাল হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে সুইস এয়ার কর্তৃপক্ষ কঠোর তদন্তে নেমেছে। ভিডিও ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।

ভিডিওটি সুইস এয়ারের একটি যাত্রাবাহী বিমানের ককপিট-নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। এতে দেখা যায়, ওই দম্পতি বিমানের গ্যালিতে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত ছিলেন। ঘটনাটি গত নভেম্বর মাসে ব্যাংকক থেকে জুরিখগামী সুইস এয়ারের ১২ ঘণ্টার ফ্লাইট ১৮১-এর সময় ঘটে।

একজন ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভিডিওটির একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ব্যাংকক থেকে জুরিখগামী সুইস এয়ারের একটি ফ্লাইটে এক দম্পতি ফার্স্ট ক্লাস গ্যালিতে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হন, যা ককপিটে থাকা পাইলটেরা গোপনে ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও গ্রুপ চ্যাটে শেয়ার ও ভাইরাল হয়ে যায়।’

সুইস এয়ার এ ঘটনাকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে তদন্ত শুরু করেছে। এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দম্পতির অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারের সঙ্গে জড়িত ক্রু সদস্যদের শনাক্ত ও শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ডেইলি মেইলকে সুইস এয়ারের মিডিয়া মুখপাত্র মাইকে ফুলরট বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির স্পষ্ট সম্মতি ছাড়া তাদের ভিডিও ধারণ এবং তা শেয়ার করা আমাদের নীতিমালা ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। এটি প্রযোজ্য তথ্য সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছে।’

ফুলরট আরও বলেন, ‘ক্যামেরায় দম্পতিকে দেখার পর ক্রু সদস্যদের উচিত ছিল সরাসরি হস্তক্ষেপ করা, ভিডিও ধারণ করা নয়। আমাদের ক্রুরা তাদের পেশাদারত্বের জন্য পরিচিত। আমরা তাদের দক্ষতার প্রতি বিশ্বাস রাখি এবং তাদের সক্ষমতায় আস্থা রাখি।’

এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য যাত্রীদের প্রতি অসম্মানজনক।

ফুলরট আরও বলেন, ‘আমাদের যাত্রীদের আস্থা এবং সম্মানজনক আচরণ আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ঠিক কী ঘটেছে এবং কীভাবে এসব রেকর্ডিং ফাঁস হলো, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

উল্লেখ্য, ৯/১১-এর ঘটনার পর বিমানের ককপিটে অনুপ্রবেশ রোধে ক্রু নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এটি যাত্রীদের ওপর নজরদারি করার উদ্দেশ্যে নয় বরং ককপিটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত