আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়ের দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) অভিযোগ করেছে, তাদের র্যালিতে পদদলনের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। গতকাল শনিবার তামিলনাড়ুর কারুর জেলার এ ঘটনায় ৪০ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। টিভিকের আইনজীবী আরিবালাগাম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, তাঁর দল মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে। এই আবেদনে আদালতকে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) গঠন ও এই মামলা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরিবালাগাম এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করব। কারুরের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। তাই আমরা সম্মানিত হাইকোর্টের কাছে অনুরোধ করেছি, যাতে কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা নয়, বরং স্বাধীনভাবে এ ঘটনার তদন্ত করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, আদালতের উচিত একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করা, অথবা মামলাটি তামিলনাড়ু পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা।
টিভিকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর বিশ্বাস করে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আরিবালাগাম বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছি এবং আমাদের কাছে কিছু সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। এগুলো যাচাই করলেই বোঝা যাবে, ক্ষমতাসীন দল আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এদিকে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগম (এআইএডিএমকে) দলের প্রধান এডাপ্পাডি কে পলানিস্বামীও (ইপিএস) অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের র্যালিতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ রোববার এ ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের দেখতে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সন্দেহ প্রকাশ করেন।
পলানিস্বামী বলেন, কিছু সংবাদমাধ্যমে এমন রিপোর্টও হয়েছে যে, পদদলনের ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনাস্থলে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসতে দেখা গিয়েছিল। আবার র্যালিতে বিজয় তাঁর বক্তব্য শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্যাপারগুলো বেশ অস্বাভাবিক। তাই এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এডাপ্পাডি কে পলানিস্বামী এমন সময়ে এই বক্তব্য দিলেন, যখন বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ‘বিজয় যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডিএমকে সরকারের সমালোচনা করছিলেন, ঠিক সেই সময়েই তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখেন।’ তখন তিনি সন্দেহ পোষণ করে জিজ্ঞেস করেন, ‘এগুলো কী, অ্যাম্বুলেন্সের ওপরে আমাদের পতাকা কেন?’ তবে কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করেনি, অ্যাম্বুলেন্সগুলো পদদলনের আগে না পরে এসেছিল।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকের এক প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, কারুরের ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সচালকদের ওপর স্থানীয় জনতা হামলা করেছিল এবং তাঁদের চাবি ছিনিয়ে নেয়। ওয়ান ইন্ডিয়া তামিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ঘটনায় তিনজন চালক আহত হয়েছেন এবং তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক জানান, তাঁরা লোকজনকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন, কিন্তু জনতা তাঁদের থামিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মানুষ এখানে জীবন বাঁচাতে লড়াই করছে, কিন্তু তারা যদি আমাদের থামিয়ে দেয় এবং মারধর করে, তাহলে আমরা কী করব? পুলিশ এসে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা পুলিশের কথাও শোনেনি। তারা সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ছিনিয়ে নেয়।’
রাজ্য সরকারের সূত্র থেকে জানা গেছে, র্যালির স্থানে ধারণক্ষমতা ১০ হাজার হলেও প্রায় ২৭ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও দাবি করে, র্যালিতে ভিড় বাড়ানোর জন্য বিজয় ইচ্ছে করেই দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা দেরি করে এসেছিলেন।
তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে টিভিকের আইনজীবী আরিবালাগাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে দেরি হয়নি। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। সে কারণেই আমরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারিনি।’
অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়ের দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) অভিযোগ করেছে, তাদের র্যালিতে পদদলনের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। গতকাল শনিবার তামিলনাড়ুর কারুর জেলার এ ঘটনায় ৪০ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। টিভিকের আইনজীবী আরিবালাগাম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, তাঁর দল মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে। এই আবেদনে আদালতকে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) গঠন ও এই মামলা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরিবালাগাম এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করব। কারুরের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। তাই আমরা সম্মানিত হাইকোর্টের কাছে অনুরোধ করেছি, যাতে কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা নয়, বরং স্বাধীনভাবে এ ঘটনার তদন্ত করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, আদালতের উচিত একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করা, অথবা মামলাটি তামিলনাড়ু পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা।
টিভিকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর বিশ্বাস করে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আরিবালাগাম বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছি এবং আমাদের কাছে কিছু সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। এগুলো যাচাই করলেই বোঝা যাবে, ক্ষমতাসীন দল আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এদিকে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগম (এআইএডিএমকে) দলের প্রধান এডাপ্পাডি কে পলানিস্বামীও (ইপিএস) অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের র্যালিতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ রোববার এ ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের দেখতে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সন্দেহ প্রকাশ করেন।
পলানিস্বামী বলেন, কিছু সংবাদমাধ্যমে এমন রিপোর্টও হয়েছে যে, পদদলনের ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনাস্থলে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসতে দেখা গিয়েছিল। আবার র্যালিতে বিজয় তাঁর বক্তব্য শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্যাপারগুলো বেশ অস্বাভাবিক। তাই এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এডাপ্পাডি কে পলানিস্বামী এমন সময়ে এই বক্তব্য দিলেন, যখন বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ‘বিজয় যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডিএমকে সরকারের সমালোচনা করছিলেন, ঠিক সেই সময়েই তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখেন।’ তখন তিনি সন্দেহ পোষণ করে জিজ্ঞেস করেন, ‘এগুলো কী, অ্যাম্বুলেন্সের ওপরে আমাদের পতাকা কেন?’ তবে কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করেনি, অ্যাম্বুলেন্সগুলো পদদলনের আগে না পরে এসেছিল।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকের এক প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, কারুরের ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সচালকদের ওপর স্থানীয় জনতা হামলা করেছিল এবং তাঁদের চাবি ছিনিয়ে নেয়। ওয়ান ইন্ডিয়া তামিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ঘটনায় তিনজন চালক আহত হয়েছেন এবং তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক জানান, তাঁরা লোকজনকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন, কিন্তু জনতা তাঁদের থামিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মানুষ এখানে জীবন বাঁচাতে লড়াই করছে, কিন্তু তারা যদি আমাদের থামিয়ে দেয় এবং মারধর করে, তাহলে আমরা কী করব? পুলিশ এসে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা পুলিশের কথাও শোনেনি। তারা সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ছিনিয়ে নেয়।’
রাজ্য সরকারের সূত্র থেকে জানা গেছে, র্যালির স্থানে ধারণক্ষমতা ১০ হাজার হলেও প্রায় ২৭ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও দাবি করে, র্যালিতে ভিড় বাড়ানোর জন্য বিজয় ইচ্ছে করেই দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা দেরি করে এসেছিলেন।
তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে টিভিকের আইনজীবী আরিবালাগাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে দেরি হয়নি। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। সে কারণেই আমরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারিনি।’
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৩ মিনিট আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় চার দিনের সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। আজ বুধবার পাকিস্তান সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
১ ঘণ্টা আগেবিজেপির টিকিটে আলিনগর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোদিভক্ত জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি আজ বুধবার তাদের প্রার্থীদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে মৈথিলী ঠাকুরের নামও রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে