আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সঙ্গে ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪২ জনই ভারতীয়। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৮ জন সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
পরিবারটির এক স্বজন জানান, তিন প্রজন্মের সদস্যদের হারানো এই পরিবারটি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। আগামী শনিবার তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল।
মোহাম্মদ আসিফ নামে ওই ব্যক্তি জানান, ‘আমার শ্যালিকা, দুলাভাই, তাঁদের ছেলে, তিন মেয়ে এবং সন্তানেরা ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন। আট দিন আগে রওনা দেন তাঁরা। ওমরাহ শেষে মদিনার দিকে ফিরছিলেন তাঁরা। রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে বাসটি পুড়ে যায়। আগামী শনিবার দেশে ফেরার কথা ছিল তাদের।’
আসিফ আরও বলেন, দুর্ঘটনার আগে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। একই পরিবারের ১৮ জন, ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯ জন শিশু মারা গেছেন। এটি আমাদের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয়।
আসিফ তাঁর নিহত আত্মীয়দের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছেন—নাসিরউদ্দিন (৭০), তাঁর স্ত্রী আখতার বেগম (৬২), ছেলে সালাউদ্দিন (৪২), তিন মেয়ে আমিনা (৪৪), রিজওয়ানা (৩৮) ও শাবানা (৪০) এবং তাঁদের সন্তানেরা।
হায়দরাবাদের রামনগরে থাকতেন নাসিরউদ্দিন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে চাবি এনে ঘরে ঢুকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশে থেকে যাওয়া অন্যান্যরা। নাসিরউদ্দিনের বোন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এই ঘর আমার ভাইয়ের। পুরো পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেল।’
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২ জনের বেশিরভাগই হায়দরাবাদের বাসিন্দা। মদিনা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে তাঁদের বহনকারী বাসটির সঙ্গে একটি ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়। গভীর রাতে হওয়া ওই দুর্ঘটনার সময় বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে তাঁরা সময়মতো বের হতে পারেননি।
এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘যেসব পরিবার আপনজন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। রিয়াদে ভারতীয় দূতাবাস ও জেদ্দায় কনস্যুলেট সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে। আমাদের কর্মকর্তারাও সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছেন।’
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকবে। তাঁরা যেন দৃঢ় থাকতে পারেন এই কামনা করি।’
ঘটনার পরপরই ভারতীয় কনস্যুলেট একটি কন্ট্রোল রুম ও হেল্পলাইন চালু করে। ভারতীয় কনস্যুলেট জানায়, সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভারতীয় ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী বাসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর জেদ্দায় ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলে ২৪ / ৭ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। হেল্পলাইনের যোগাযোগের ঠিকানা: টোল-ফ্রি নম্বর—৮০০২৪৪০০০৩।

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সঙ্গে ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪২ জনই ভারতীয়। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৮ জন সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
পরিবারটির এক স্বজন জানান, তিন প্রজন্মের সদস্যদের হারানো এই পরিবারটি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। আগামী শনিবার তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল।
মোহাম্মদ আসিফ নামে ওই ব্যক্তি জানান, ‘আমার শ্যালিকা, দুলাভাই, তাঁদের ছেলে, তিন মেয়ে এবং সন্তানেরা ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন। আট দিন আগে রওনা দেন তাঁরা। ওমরাহ শেষে মদিনার দিকে ফিরছিলেন তাঁরা। রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে বাসটি পুড়ে যায়। আগামী শনিবার দেশে ফেরার কথা ছিল তাদের।’
আসিফ আরও বলেন, দুর্ঘটনার আগে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। একই পরিবারের ১৮ জন, ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯ জন শিশু মারা গেছেন। এটি আমাদের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয়।
আসিফ তাঁর নিহত আত্মীয়দের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছেন—নাসিরউদ্দিন (৭০), তাঁর স্ত্রী আখতার বেগম (৬২), ছেলে সালাউদ্দিন (৪২), তিন মেয়ে আমিনা (৪৪), রিজওয়ানা (৩৮) ও শাবানা (৪০) এবং তাঁদের সন্তানেরা।
হায়দরাবাদের রামনগরে থাকতেন নাসিরউদ্দিন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে চাবি এনে ঘরে ঢুকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশে থেকে যাওয়া অন্যান্যরা। নাসিরউদ্দিনের বোন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এই ঘর আমার ভাইয়ের। পুরো পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেল।’
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২ জনের বেশিরভাগই হায়দরাবাদের বাসিন্দা। মদিনা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে তাঁদের বহনকারী বাসটির সঙ্গে একটি ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়। গভীর রাতে হওয়া ওই দুর্ঘটনার সময় বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে তাঁরা সময়মতো বের হতে পারেননি।
এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘যেসব পরিবার আপনজন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। রিয়াদে ভারতীয় দূতাবাস ও জেদ্দায় কনস্যুলেট সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে। আমাদের কর্মকর্তারাও সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছেন।’
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকবে। তাঁরা যেন দৃঢ় থাকতে পারেন এই কামনা করি।’
ঘটনার পরপরই ভারতীয় কনস্যুলেট একটি কন্ট্রোল রুম ও হেল্পলাইন চালু করে। ভারতীয় কনস্যুলেট জানায়, সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভারতীয় ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী বাসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর জেদ্দায় ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলে ২৪ / ৭ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। হেল্পলাইনের যোগাযোগের ঠিকানা: টোল-ফ্রি নম্বর—৮০০২৪৪০০০৩।

জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা কি ‘যত দিন চাইবেন’ ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি সরাসরি হ্যাঁ—না না বলে পরিস্থিতিনির্ভর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই এখন তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
৫ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এ আয়োজনে সৌদি আরব থেকে আলেমদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আয়োজনকে ঘিরে ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে বিরিয়ানি।
৬ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ‘সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’। তিনি যে পরিস্থিতির কারণে ভারতে এসেছেন, সেটি এ বিষয়ে প্রভাব ফেলছে। আজ শনিবার এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, তিনি (হাসিনা) একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ভারতে এসেছেন। সেই পরিস্থিতি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর তিনি ভারতে এসে আশ্রয় নেন। ওই সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হন। গত মাসে ৭৮ বছর বয়সী হাসিনাকে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাঁর সরকারের দমনপীড়ন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা কি ‘যত দিন চাইবেন’ ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি সরাসরি হ্যাঁ—না না বলে পরিস্থিতিনির্ভর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে এখন তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে। তবে আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে শেষ পর্যন্ত তাঁকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।’
আলাপচারিতায় জয়শঙ্কর দুই দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাঁরা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের পূর্ববর্তী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে নতুন করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভারত সব সময়ই গুরুত্ব দিয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, যদি সমস্যা নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে হয়, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের মঙ্গল চায় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা চাই, জনগণের ইচ্ছা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিফলিত হোক।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আর আমি নিশ্চিত, যে সরকারই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবে, তারা ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করবে।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ‘সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’। তিনি যে পরিস্থিতির কারণে ভারতে এসেছেন, সেটি এ বিষয়ে প্রভাব ফেলছে। আজ শনিবার এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, তিনি (হাসিনা) একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ভারতে এসেছেন। সেই পরিস্থিতি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর তিনি ভারতে এসে আশ্রয় নেন। ওই সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হন। গত মাসে ৭৮ বছর বয়সী হাসিনাকে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাঁর সরকারের দমনপীড়ন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা কি ‘যত দিন চাইবেন’ ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি সরাসরি হ্যাঁ—না না বলে পরিস্থিতিনির্ভর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে এখন তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে। তবে আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে শেষ পর্যন্ত তাঁকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।’
আলাপচারিতায় জয়শঙ্কর দুই দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাঁরা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের পূর্ববর্তী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে নতুন করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভারত সব সময়ই গুরুত্ব দিয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, যদি সমস্যা নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে হয়, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের মঙ্গল চায় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা চাই, জনগণের ইচ্ছা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিফলিত হোক।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আর আমি নিশ্চিত, যে সরকারই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবে, তারা ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করবে।’

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সঙ্গে ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪২ জনই ভারতীয়। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৮ জন সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
১৮ দিন আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
৫ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এ আয়োজনে সৌদি আরব থেকে আলেমদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আয়োজনকে ঘিরে ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে বিরিয়ানি।
৬ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় সত্ত্বেও ইন্ডিগো তাদের পুরো বিমানবহর গ্রাউন্ড করেনি বা প্রতিদিন পরিচালিত ২ হাজার ২০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিলও করেনি। ফলে বিলম্ব ও বিঘ্নের কারণে গতকাল শুক্রবার ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
বাতিলের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল দিল্লি থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো। কলকাতা-গুয়াহাটি, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুর রুট এবং যেসব রুট নন-মেট্রো শহরগুলোকে যুক্ত করে যেসব ফ্লাইট রুট রয়েছে, সেগুলো চলছে। তবে সেগুলোতে কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা, বেড়েছে বিলম্ব।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিন এত ফ্লাইট বাতিলের পরও তারা কেন এবং কীভাবে এত টিকিট বিক্রি করছে আর ভাড়াই বা এত বেশি কেন?
সাধারণত এয়ারলাইনসগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ফ্লাইট বাতিল করে না, যদি না পুরো সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই বিঘ্নগুলো দৈনন্দিন ভিত্তিতে সামলানো হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, কিন্তু তিন দিন বা এমনকি দুই দিন পরের ফ্লাইটগুলোর বুকিং খোলা আছে, এই আশায় যে ওই সময়ের মধ্যে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল করা ছিল এককালীন ‘সিস্টেম রিবুট’-এর অংশ, যাতে বিমান ও ক্রু পুনর্বিন্যস্ত করা যায় এবং নিয়মিত সময়সূচি পুনরায় চালু করা যায়। তারা আশা করছে, ধাপে ধাপে অপারেশন স্বাভাবিক হবে এবং ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যিক অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন বাজারের অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে ইন্ডিগো। কিছু হিসাবে ৬০ শতাংশের বেশি। তাই বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ফলে মুহূর্তেই সব এয়ারলাইনসের মোট আসনের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা একই রয়ে গেছে।
আর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এই আকস্মিক ও চরম বৈপরীত্যের কারণে টিকিটের মূল্যও উচ্চ হারে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-মুম্বাই ওয়ান-ওয়ে ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ছুঁয়েছে ৬০ হাজার। অন্যদিকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু টিকিটের দাম ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। বেঙ্গালুরু-মুম্বাই সর্বোচ্চ ভাড়া থাকে প্রায় ৭ হাজার টাকা, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়।
এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, এখন মনে হচ্ছে দিল্লি-লন্ডন টিকিটই যেন সস্তা!
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সংকট বা জরুরি অবস্থার সময়ে এয়ারলাইন ও সরকার কি এসব অ্যালগরিদম নিষ্ক্রিয় করবে না? যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করার বদলে যারা ইতিমধ্যে অর্থ প্রদান করেছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা কি জরুরি নয়?
বিঘ্নের সময়ে কোনো ফ্লাইটে ক্রু পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিমান ঘুরে আসার (aircraft rotation) প্রক্রিয়া ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনস সেই ফ্লাইটের সিট বিক্রি চালিয়ে যেতে পারে। শুধু এসব নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লাইটটিকে ‘বাতিল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফলস্বরূপ এয়ারলাইনের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি, যদি না পরিচালনা করা যাবে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলে। টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হবে কেবল তখনই, যদি ইন্ডিগো নিজে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সেবা স্থগিতের নির্দেশ দেয়। যার কোনোটিই এখনো ঘটেনি।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় সত্ত্বেও ইন্ডিগো তাদের পুরো বিমানবহর গ্রাউন্ড করেনি বা প্রতিদিন পরিচালিত ২ হাজার ২০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিলও করেনি। ফলে বিলম্ব ও বিঘ্নের কারণে গতকাল শুক্রবার ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
বাতিলের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল দিল্লি থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো। কলকাতা-গুয়াহাটি, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুর রুট এবং যেসব রুট নন-মেট্রো শহরগুলোকে যুক্ত করে যেসব ফ্লাইট রুট রয়েছে, সেগুলো চলছে। তবে সেগুলোতে কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা, বেড়েছে বিলম্ব।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিন এত ফ্লাইট বাতিলের পরও তারা কেন এবং কীভাবে এত টিকিট বিক্রি করছে আর ভাড়াই বা এত বেশি কেন?
সাধারণত এয়ারলাইনসগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ফ্লাইট বাতিল করে না, যদি না পুরো সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই বিঘ্নগুলো দৈনন্দিন ভিত্তিতে সামলানো হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, কিন্তু তিন দিন বা এমনকি দুই দিন পরের ফ্লাইটগুলোর বুকিং খোলা আছে, এই আশায় যে ওই সময়ের মধ্যে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল করা ছিল এককালীন ‘সিস্টেম রিবুট’-এর অংশ, যাতে বিমান ও ক্রু পুনর্বিন্যস্ত করা যায় এবং নিয়মিত সময়সূচি পুনরায় চালু করা যায়। তারা আশা করছে, ধাপে ধাপে অপারেশন স্বাভাবিক হবে এবং ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যিক অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন বাজারের অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে ইন্ডিগো। কিছু হিসাবে ৬০ শতাংশের বেশি। তাই বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ফলে মুহূর্তেই সব এয়ারলাইনসের মোট আসনের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা একই রয়ে গেছে।
আর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এই আকস্মিক ও চরম বৈপরীত্যের কারণে টিকিটের মূল্যও উচ্চ হারে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-মুম্বাই ওয়ান-ওয়ে ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ছুঁয়েছে ৬০ হাজার। অন্যদিকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু টিকিটের দাম ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। বেঙ্গালুরু-মুম্বাই সর্বোচ্চ ভাড়া থাকে প্রায় ৭ হাজার টাকা, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়।
এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, এখন মনে হচ্ছে দিল্লি-লন্ডন টিকিটই যেন সস্তা!
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সংকট বা জরুরি অবস্থার সময়ে এয়ারলাইন ও সরকার কি এসব অ্যালগরিদম নিষ্ক্রিয় করবে না? যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করার বদলে যারা ইতিমধ্যে অর্থ প্রদান করেছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা কি জরুরি নয়?
বিঘ্নের সময়ে কোনো ফ্লাইটে ক্রু পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিমান ঘুরে আসার (aircraft rotation) প্রক্রিয়া ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনস সেই ফ্লাইটের সিট বিক্রি চালিয়ে যেতে পারে। শুধু এসব নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লাইটটিকে ‘বাতিল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফলস্বরূপ এয়ারলাইনের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি, যদি না পরিচালনা করা যাবে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলে। টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হবে কেবল তখনই, যদি ইন্ডিগো নিজে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সেবা স্থগিতের নির্দেশ দেয়। যার কোনোটিই এখনো ঘটেনি।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সঙ্গে ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪২ জনই ভারতীয়। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৮ জন সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
১৮ দিন আগে
জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা কি ‘যত দিন চাইবেন’ ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি সরাসরি হ্যাঁ—না না বলে পরিস্থিতিনির্ভর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই এখন তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে।
১ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এ আয়োজনে সৌদি আরব থেকে আলেমদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আয়োজনকে ঘিরে ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে বিরিয়ানি।
৬ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এ আয়োজনে সৌদি আরব থেকে আলেমদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আয়োজনকে ঘিরে ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে বিরিয়ানি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ও বিজেপি ঘুরে তৃণমূলে আসেন মুর্শিদাবাদের প্রভাবশালী নেতা। গত বৃহস্পতিবার দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যেই তিনি এই মসজিদ নিয়ে উঠেপড়ে লেগে আছেন। বহিষ্কার নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বা প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে কোনোভাবেই বিচলিত নন এই নেতা।
হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, শনিবার মোরাদিঘির কাছে ২৫ বিঘা জায়গাজুড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ জড়ো হবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত হবে এখানে।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে করে সৌদি আরব থেকে দুজন আলেম আসবেন।
রাজ্যের একমাত্র উত্তর-দক্ষিণ মহাসড়ক এনএইচ-১২ লাগোয়া বিশাল এক এলাকায় চলছে এই আয়োজন। মুর্শিদাবাদের সাতটি কেটারিং প্রতিষ্ঠানকে শাহি বিরিয়ানি রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হুমায়ুন কবিরের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানান, অতিথিদের জন্য প্রায় ৪০ হাজার প্যাকেট এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আরও ২০ হাজার প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে। শুধু খাবারের ব্যয়ই ৩০ লাখ রুপির বেশি হয়ে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে আয়োজনের বাজেট ৬০-৭০ লাখ রুপিতে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের জন্য ধানখেতের ওপর ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া এক বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ মঞ্চে প্রায় ৪০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা থাকবে। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ রুপি।
আয়োজকেরা জানান, প্রায় ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ২ হাজার জন শুক্রবার ভোর থেকেই কাজ শুরু করেছেন। তাঁরা এই বড় জনস্রোত নিয়ন্ত্রণ, প্রবেশপথ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা ও এনএইচ-১২-তে যাতে জ্যাম না লেগে যায়, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
হুমায়ুন কবির জানান, সকাল ১০টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর দুপুর ১২টায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হবে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকতা দুই ঘণ্টা আগে থেকেই শুরু হবে। পুলিশি নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল ৪টার মধ্যে মাঠ খালি করা হবে।’
এদিকে এত বিশাল আয়োজন প্রশাসনের উদ্বেগও বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশনার পর জেলা পুলিশ হুমায়ুন কবিরের দলের সঙ্গে এক দফা আলোচনায় বসে। জনশৃঙ্খলা বজায় এবং এনএইচ-১২–তে যান চলাচল ঠিক রাখতে বৈঠক করে তারা।
একজন জ্যেষ্ঠ জেলা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বেলডাঙা ও রানীনগর থানার আওতাজুড়ে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে জাতীয় মহাসড়ক সচল রাখা। সদর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত ফোর্স এসে গেছে। একাধিক ডাইভারশন পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে।’
মুর্শিদাবাদের অন্যতম বড় মহাসড়ক এনএইচ-১২-তে এই বিশাল আয়োজনের কারণে যানজট ও জনজট তৈরি হতে পারে—এ আশঙ্কায় আছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বলা হচ্ছে, এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরে অস্বস্তি তৈরি করছে। হুমায়ুন কবিরের জন্য এই আয়োজন একদিকে যেমন জনসমাবেশ গঠনের পরীক্ষা, তেমনি একপ্রকার প্রতিরোধ প্রদর্শনও।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং নিরাপত্তাবলয়ের চিন্তা উড়িয়ে দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মানুষ আসবে, কারণ এটি এই এলাকার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এ আয়োজনে সৌদি আরব থেকে আলেমদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আয়োজনকে ঘিরে ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে বিরিয়ানি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ও বিজেপি ঘুরে তৃণমূলে আসেন মুর্শিদাবাদের প্রভাবশালী নেতা। গত বৃহস্পতিবার দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যেই তিনি এই মসজিদ নিয়ে উঠেপড়ে লেগে আছেন। বহিষ্কার নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বা প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে কোনোভাবেই বিচলিত নন এই নেতা।
হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, শনিবার মোরাদিঘির কাছে ২৫ বিঘা জায়গাজুড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ জড়ো হবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত হবে এখানে।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে করে সৌদি আরব থেকে দুজন আলেম আসবেন।
রাজ্যের একমাত্র উত্তর-দক্ষিণ মহাসড়ক এনএইচ-১২ লাগোয়া বিশাল এক এলাকায় চলছে এই আয়োজন। মুর্শিদাবাদের সাতটি কেটারিং প্রতিষ্ঠানকে শাহি বিরিয়ানি রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হুমায়ুন কবিরের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানান, অতিথিদের জন্য প্রায় ৪০ হাজার প্যাকেট এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আরও ২০ হাজার প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে। শুধু খাবারের ব্যয়ই ৩০ লাখ রুপির বেশি হয়ে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে আয়োজনের বাজেট ৬০-৭০ লাখ রুপিতে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের জন্য ধানখেতের ওপর ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া এক বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ মঞ্চে প্রায় ৪০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা থাকবে। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ রুপি।
আয়োজকেরা জানান, প্রায় ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ২ হাজার জন শুক্রবার ভোর থেকেই কাজ শুরু করেছেন। তাঁরা এই বড় জনস্রোত নিয়ন্ত্রণ, প্রবেশপথ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা ও এনএইচ-১২-তে যাতে জ্যাম না লেগে যায়, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
হুমায়ুন কবির জানান, সকাল ১০টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর দুপুর ১২টায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হবে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকতা দুই ঘণ্টা আগে থেকেই শুরু হবে। পুলিশি নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল ৪টার মধ্যে মাঠ খালি করা হবে।’
এদিকে এত বিশাল আয়োজন প্রশাসনের উদ্বেগও বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশনার পর জেলা পুলিশ হুমায়ুন কবিরের দলের সঙ্গে এক দফা আলোচনায় বসে। জনশৃঙ্খলা বজায় এবং এনএইচ-১২–তে যান চলাচল ঠিক রাখতে বৈঠক করে তারা।
একজন জ্যেষ্ঠ জেলা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বেলডাঙা ও রানীনগর থানার আওতাজুড়ে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে জাতীয় মহাসড়ক সচল রাখা। সদর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত ফোর্স এসে গেছে। একাধিক ডাইভারশন পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে।’
মুর্শিদাবাদের অন্যতম বড় মহাসড়ক এনএইচ-১২-তে এই বিশাল আয়োজনের কারণে যানজট ও জনজট তৈরি হতে পারে—এ আশঙ্কায় আছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বলা হচ্ছে, এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরে অস্বস্তি তৈরি করছে। হুমায়ুন কবিরের জন্য এই আয়োজন একদিকে যেমন জনসমাবেশ গঠনের পরীক্ষা, তেমনি একপ্রকার প্রতিরোধ প্রদর্শনও।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং নিরাপত্তাবলয়ের চিন্তা উড়িয়ে দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মানুষ আসবে, কারণ এটি এই এলাকার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সঙ্গে ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪২ জনই ভারতীয়। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৮ জন সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
১৮ দিন আগে
জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা কি ‘যত দিন চাইবেন’ ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি সরাসরি হ্যাঁ—না না বলে পরিস্থিতিনির্ভর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই এখন তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
৫ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
২ হাজার ৫৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তরেখা বরাবর অবস্থিত আফগানিস্তানের শহর স্পিন বোলদাক থেকে বাসিন্দারা সারা রাত ধরে পালিয়ে গেছেন। কান্দাহার শহরের একটি মেডিকেল সূত্র বিবিসি পশতুকে জানিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতাল চারজনের মরদেহ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের দিক থেকে তিনজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উভয় পক্ষই রাতভর চার ঘণ্টার এই সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করেছে। তবে কে প্রথমে গুলি চালায়, তা নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি তালেবানকে ‘বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ’-এর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাৎক্ষণিক, উপযুক্ত এবং তীব্র জবাব দিয়েছে। পাকিস্তান তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ সতর্ক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অন্যদিকে, তালেবানের এক মুখপাত্রের দাবি, পাকিস্তান ‘আবারও হামলা শুরু করেছে’ এবং তাঁরা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সংঘর্ষের পর প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক আফগান নাগরিক হেঁটে ও যানবাহনে করে স্পিন বোলদাক থেকে পালাচ্ছেন। আশপাশের শহরগুলোর বাসিন্দারাও নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
এই সংঘাত এমন এক সময়ে শুরু হলো, যখন দুই মাসেরও কম সময় আগে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি ছিল দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের সমাপ্তি, যদিও তারপর থেকে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে।
ইসলামাবাদ সরকার দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের শাসক তালেবানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। এই গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই পাকিস্তানে হামলা চালায়। তবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজস্ব ব্যর্থতার’ জন্য পাকিস্তান অন্যকে দোষারোপ করে বলে অভিযোগ করে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদল বৃহত্তর বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সৌদি আরবে চতুর্থ দফা আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। যদিও কোনো চুক্তি হয়নি, তবে সূত্র জানায়, উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। সেই ঐকমত্য সত্ত্বেও, এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত আঞ্চলিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলল।

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
২ হাজার ৫৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তরেখা বরাবর অবস্থিত আফগানিস্তানের শহর স্পিন বোলদাক থেকে বাসিন্দারা সারা রাত ধরে পালিয়ে গেছেন। কান্দাহার শহরের একটি মেডিকেল সূত্র বিবিসি পশতুকে জানিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতাল চারজনের মরদেহ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের দিক থেকে তিনজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উভয় পক্ষই রাতভর চার ঘণ্টার এই সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করেছে। তবে কে প্রথমে গুলি চালায়, তা নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি তালেবানকে ‘বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ’-এর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাৎক্ষণিক, উপযুক্ত এবং তীব্র জবাব দিয়েছে। পাকিস্তান তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ সতর্ক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অন্যদিকে, তালেবানের এক মুখপাত্রের দাবি, পাকিস্তান ‘আবারও হামলা শুরু করেছে’ এবং তাঁরা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সংঘর্ষের পর প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক আফগান নাগরিক হেঁটে ও যানবাহনে করে স্পিন বোলদাক থেকে পালাচ্ছেন। আশপাশের শহরগুলোর বাসিন্দারাও নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
এই সংঘাত এমন এক সময়ে শুরু হলো, যখন দুই মাসেরও কম সময় আগে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি ছিল দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের সমাপ্তি, যদিও তারপর থেকে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে।
ইসলামাবাদ সরকার দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের শাসক তালেবানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। এই গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই পাকিস্তানে হামলা চালায়। তবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজস্ব ব্যর্থতার’ জন্য পাকিস্তান অন্যকে দোষারোপ করে বলে অভিযোগ করে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদল বৃহত্তর বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সৌদি আরবে চতুর্থ দফা আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। যদিও কোনো চুক্তি হয়নি, তবে সূত্র জানায়, উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। সেই ঐকমত্য সত্ত্বেও, এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত আঞ্চলিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলল।

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সঙ্গে ডিজেল ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪২ জনই ভারতীয়। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৮ জন সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
১৮ দিন আগে
জয়শঙ্করের কাছে প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা কি ‘যত দিন চাইবেন’ ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি সরাসরি হ্যাঁ—না না বলে পরিস্থিতিনির্ভর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই এখন তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
৫ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন করে ‘বাবরি মসজিদ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এ আয়োজনে সৌদি আরব থেকে আলেমদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আয়োজনকে ঘিরে ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে বিরিয়ানি।
৬ ঘণ্টা আগে