Ajker Patrika

ভারতে কাশির সিরাপে ২০ শিশুর মৃত্যু, সতর্কতা জারি করল ডব্লিউএইচও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতে তিনটি দূষিত কাশির ওষুধ শনাক্ত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে তিনটি দূষিত কাশির ওষুধ শনাক্ত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তিনটি কাশির ওষুধ ব্যবহারে ও বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল সোমবার এক স্বাস্থ্য সতর্কতায় ডব্লিউএইচও বলেছে, ভারতে তিনটি দূষিত কাশির ওষুধ শনাক্ত করা হয়েছে। গত এক মাসে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যুর জন্য এসব ওষুধ সেবনকে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। যদি এসব ওষুধ তাদের দেশে পাওয়া যায়, তাহলে তা দ্রুত ডব্লিউএইচওকে জানাতে বলা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে ওষুধগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে—

১. স্রেসান ফার্মাসিটিক্যালসের কোল্ডরিফ (Coldrif-Sresan Pharmaceutical)

২. রেডনেক্স ফার্মাসিটিক্যালসের রেসপিফ্রেশ (Respifresh TR-Rednex Pharmaceuticals)

৩. শেপ ফার্মার রিলাইফ (ReLife-Shape Pharma)

ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে বলেছে, এসব ওষুধে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি এবং জীবন-সংহারী অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এই উপাদান শিশুদের ক্ষেত্রে গুরুতর শারীরিক ক্ষতি বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওষুধগুলোতে বিষাক্ত ডাইইথিলিন গ্লাইকল (Diethylene Glycol) পাওয়া গেছে, যা অনুমোদিত সীমার প্রায় ৫০০ গুণ বেশি।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ভারতের রাজ্য কর্তৃপক্ষ তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদন সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের পণ্যের অনুমোদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। দূষিত পণ্যগুলো বাজার থেকে ফিরিয়ে নেওয়া (রিকল) হয়েছে এবং ভারত থেকে রপ্তানি করা হয়নি।

ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (সিডিএসসিও) ডব্লিউএইচওকে জানিয়েছে, এই কাশির ওষুধগুলো মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের দ্বারা সেবন করা হয়েছিল। যার ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

গত ৫ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলার সুপারিন্টেনডেন্ট অজাউ পাণ্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শুরুর দিকে শিশুদের কাশি ও সর্দি দেখা দিয়েছিল, এরপর কিডনির সমস্যা হয়ে মৃত্যু ঘটে।’

তিনি আরও জানান, পরে তদন্তে পাওয়া গেছে, মৃত্যুর কারণ ডাইথিলিন গ্লাইকোল (ডিইজি)-এর মাত্রা অনুমোদিত সীমার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

সিডিএসসিও দাবি করেছে, এসব দূষিত ওষুধ ভারত থেকে রপ্তানি করা হয়নি এবং অবৈধভাবে রপ্তানিরও কোনো প্রমাণ মেলেনি।

বিশ্বের বৃহত্তম জেনেরিক ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ ভারতের কিছু ওষুধ ২০২৩ সালে উজবেকিস্তান ও গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

ডব্লিউএইচও বলেছে, এটি প্রথম ঘটনা নয়, ভারতের তৈরি কাশির ওষুধে বিষাক্ত উপাদানের উপস্থিতি আগেও ধরা পড়েছে। এই ওষুধগুলোর কারণে গাম্বিয়ায় ৬০ টির বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২০ শিশুর মৃত্যু জন্যও এই কাশির সিরাপগুলোকে দায়ী করা হয়।

এদিকে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) নিশ্চিত করেছে, এ জাতীয় বিষাক্ত কাশির ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত