Ajker Patrika

গরুর গুঁতোয় সন্ত্রস্ত মানুষ, উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে গোরক্ষাই বিজেপির মাথাব্যথা

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ২২: ২২
গরুর গুঁতোয় সন্ত্রস্ত মানুষ, উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে গোরক্ষাই বিজেপির মাথাব্যথা

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানে বিধানসভার ভোট। প্রচার এখন তুঙ্গে। এই শীতের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তবে বিজেপির গোরক্ষা রাজনীতিই সেখানে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিত্যনাথের সামনে। 

মালিকবিহীন মুক্ত গরুর পাল নিয়ে উত্তর প্রদেশের মানুষ কতটা সন্ত্রস্ত, বিরক্ত সেটি কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করলেই বোঝা যাবে। 

গত বছরের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় বাড়ির দাওয়ায় বসে চা পান করছিলেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা রাম রাজ (৫৫)। হঠাৎ এক পাগলা গরু তাঁকে আক্রমণ করে। নাতি-নাতনিরা সামান্য দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান এই কৃষক। 

পুত্রবধূ অনিতা কুমারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটা মৃত্যু সেটি। আমার শাশুড়ি সেই দিন থেকে আর ঠিকমতো খাবারও খান না।’ 

উত্তর প্রদেশে এ ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করে। কিন্তু বিজেপির নতুন আইন করার আগে পর্যন্ত কৃষকেরা তাঁদের বৃদ্ধ অনুৎপাদনশীল গরু কসাইখানায় বিক্রি করতেন। শিব পূজন নামে এক কৃষক বলেন, ‘দুধ দেওয়া বন্ধ করলে বা হালচাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে আমরা সেই গরু বেচে দিতাম। কঠিন সময়ের জন্য আমাদের একটা ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল এটি।’ 

কিন্তু নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা হিসেবে গোহত্যা কঠোরভাবে দমন করেছে। উত্তর প্রদেশসহ ১৮টি রাজ্যে এখন গোহত্যা অবৈধ। 

কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি কথিত অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও উত্তর প্রদেশে মাংসের বিশাল ব্যবসা। মহিষের মাংসের প্রধান রপ্তানিকারক রাজ্য এটি। 

গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের অনেকেই মুসলিম বা দলিত। গত কয়েক বছরে তাঁরাই বহুবার প্রায়ই বিজেপি বা স্থানীয় ডানপন্থী উগ্র গোষ্ঠীর গোরক্ষা বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। ভয়ে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষকেরা এখন বুড়ো অনুৎপাদনশীল গরু মাঠে ঘাটে বা জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে। 

এমনি এক কৃষক পূজন। তিনি তাঁর বুড়ো গরু পাশের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। পূজন বলেন, ‘এখন কোনো ক্রেতা নেই, কেউই গরু বিক্রি করতে পারবে না।’ অন্যরাও তাঁর মতোই বুড়ো গরু জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি। 

এই ছুটা গবাদিপশুদের প্রায়ই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কৃষক ও স্থানীয়রা বলছেন, এই গরুগুলো সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে। এ কারণে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এমনই একটি গরু কৃষক রাম রাজের বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে। 

গরুর পাল থেকে ফসল রক্ষার জন্য উত্তর প্রদেশের কৃষকদের খেত পাহারা দিতে হয়পূজন নিজেই সম্প্রতি ছুটা গরুর পালের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। ফসলের খেত থেকে তাড়াতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে পালাতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছেন পূজন। সেই ব্যান্ডেজ করা হাত দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘পালের দুটি গরু আমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি জীবন হাতে দিয়ে দৌড় দিয়েছিলাম।’ 

পূজন নিজেও একজন হিন্দু ভক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন গরু পবিত্র। কিন্তু মনে করেন, সব গরু রক্ষা করতে হবে সরকারের এমন আদেশ হতাশাজনক। তাঁর মতো কৃষকেরা বলেন, ছুটা গরুর পাল ফসল নষ্ট করে, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটায় এবং কখনো কখনো মানুষ হত্যা করে। 

এমন এক বিধবা পুনম দুবে। বলেন, ‘ছুটা গরুর কারণে আমার ছেলে এখন এতিম। কে দেখবে আমাদের?’ ভূপেন্দ্র দুবে (৩৬) ২০২০ সালে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের সময় চাকরি হারান। গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। একদিন স্থানীয় বাজারে ছেলের জন্য মিঠাই কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গরুর আক্রমণে প্রাণ হারান। 

গরুর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে ২০১৯ সাল থেকে কোমায় ছিলেন ৮০ বছর বয়সী রাম কালী। তাঁর পরিবার বলছে, রাম কালী এখনো জানেন না গত বছর মহামারির শুরুর দিকে তাঁর একমাত্র ছেলে কোভিডে মারা গেছেন। 

বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি জোরেশোরেই সামনে আনছে। যেখানে উত্তর প্রদেশ মূলত গ্রামভিত্তিক একটি রাজ্য। সেখানে কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক। 

এ ব্যাপারে শাসক বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র সমীর সিংয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। তিনি বলেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকার ‘নতুন কৌশল তৈরি করছে’। সমীর বলেন, ‘এগুলোকে ছুটা গরু বলা উচিত নয়। কারণ, গরু হিন্দু সংস্কৃতিরই অংশ। আমরা কখনোই কিন্তু আমাদের মুরব্বিদের বৃদ্ধ হওয়ার পর মরার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দিই না। সেখানে আমরা কীভাবে গরুগুলোকে মরার জন্য রাস্তায় ছেড়ে দেব?’ 

খেত থেকে গরুর পাল খেদাতে গিয়ে আক্রান্ত হন শিব পূজনসমীর সিং মূলত অনুৎপাদনশীল গরুগুলোকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার কথাই বোঝাচ্ছেন। আদিত্যনাথের সরকার আরও গো-আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার পরিচালিত হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বিশেষ অ্যালকোহল ট্যাক্সও আরোপ করা হয়েছে। 

কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি অযোধ্যা জেলায় বিবিসি হিন্দি একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে। দেখা যায়, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি গরু রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক শত্রুঘ্ন তিওয়ারি বলেন, ‘এখানে ২০০টি গরু আছে। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা। ৭০০-১০০০ গরু এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ 

এদিকে প্রতিনিয়ত খেতখামারে ঢুকে পড়ছে ছুটা গরুর পাল। ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা পালা করে খেত পাহারা দিচ্ছেন। প্রচণ্ড শীত আর সাপের ভয় উপেক্ষা করে দল গঠন করে রাতভর পালা করে মাঠ টহল দেন তাঁরা। 

কৃষক বিমলা কুমারী (৬৪) বলেন, ‘আমাদের গ্রামজুড়ে কয়েকটি দল আছে, তারা পালা করে পাহারা দিচ্ছে। আমরা রাতে পাহারা দিই, সকালে একটি নতুন দল এলে আমরা বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিই।’ 

দীনা নাথের মতো স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গরু নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানে তাঁরা বিরক্ত। এবার নির্বাচন বর্জনের কথাও ভাবছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দিয়ে কী লাভ!’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদে মানুষ যায়নি, কিম কারদাশিয়ানের এমন দাবির জবাব দিল নাসা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: এক্স
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: এক্স

চন্দ্রাভিযান নিয়ে কিম কারদাশিয়ানের একটি মন্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে নাসা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমেরিকান রিয়্যালিটি শো ‘দ্য কারদাশিয়ানস’-এ কিম কারদাশিয়ান ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘১৯৬৯ সালের চন্দ্রাভিযান আসলেই হয়েছিল কি না।’

পর্বটি সম্প্রচারের কয়েক ঘণ্টা পর নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি এক্সে কিমকে ট্যাগ করে একটি ভিডিওচিত্র শেয়ার করেন। সেখানে কিমের সন্দেহ প্রকাশের অংশটি ছিল। ডাফি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আগে চাঁদে গিয়েছিলাম...একবার নয় ছয়বার! খুশির খবর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আবারও আমরা চাঁদে যাচ্ছি। শেষবার আমরাই মহাকাশ রেসে জিতেছিলাম এবং এবারও আমরা জিতব।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল ‘দ্য কারদাশিয়ানস’ অনুষ্ঠানটিতে অভিনেত্রী সারা পলসনের সঙ্গে কিম তাঁর আসন্ন টিভি সিরিজ ‘অলস ফেয়ার’ নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কিম পলসনকে বলেন, ‘আমি তোমাকে বাজ অলড্রিন ও অন্য একজনের মহাকাশ মিশন নিয়ে কিছু আর্টিকেল পাঠাচ্ছি।’ এরপর তিনি বাজ অলড্রিনকে নিয়ে লেখা একটি আর্টিকেল পড়েন।

কিম বলেন, সেই আর্টিকেলে চাঁদে ভ্রমণের সময় ভয়ংকর কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অলড্রিন বলেছিলেন, ‘কোনো ভয়ংকর মুহূর্তই ছিল না, কারণ এটি ঘটেইনি! এটি ভয়ংকর হতে পারত, কিন্তু তা ছিল না। কারণ, এটি ঘটেনি।’

কিমের দাবি, অলড্রিনের এই মন্তব্যের কারণেই তিনি এখন বিশ্বাস করেন, চাঁদে অবতরণ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর কিছুক্ষণ পরে এক সাক্ষাৎকারে কিম বলেন, ‘আমি সব সময় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আগ্রহী। আমি মনে করি, চাঁদে অবতরণের ঘটনাটি বানানো ছিল। আমি বাজ অলড্রিনের কিছু ভিডিও দেখেছি, যেখানে তিনি বলছেন, এটি ঘটেনি। তিনি এখন প্রায়ই সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন। আমাদের বাজ অলড্রিনকে খুঁজে বের করা উচিত।’

শন ডাফির জবাবের প্রতিক্রিয়ায় কিম কারদাশিয়ান এক্সে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ওয়েট....৩আই/অ্যাটলাসের খবর কী?!?!!!!!!!????’

ডাফি সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নাসার বর্তমান তথ্য দেখায়, এটি আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে যাওয়া তৃতীয় আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু। এটির প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এলিয়েন বলে কিছু নেই। পৃথিবীতে মানুষের জীবনের জন্যও কোনো হুমকি নেই।’

ডাফি আরও জানান, আর্টেমিস মিশনে কিমের চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছে আছে জেনে তিনি খুশি হয়েছেন। তিনি কিমকে কেনেডি স্পেস সেন্টারে আসন্ন আর্টেমিস উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তবে কিম সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, চাঁদে অবতরণ মঞ্চস্থ করা হয়েছিল বা এটি মিথ্যা ছিল—এ ধরনের তত্ত্ব দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয়। তবে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের তথ্য অনুসারে, নাসা চন্দ্রাভিযানকে মিথ্যা দাবি করার প্রতিটি যুক্তিই ভুল প্রমাণিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়িতে বসে খাওয়ার দিন শেষ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজপরিবারে এক ঐতিহাসিক ও নাটকীয় সিদ্ধান্তে রাজা চার্লস তাঁর ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে রাজপরিবার থেকে কার্যত বহিষ্কার করেছেন। এর ফলে শুধু রাজকীয় মর্যাদাই নয়, হারাতে হচ্ছে তাঁর ৩০ কক্ষবিশিষ্ট রাজপ্রাসাদও। উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত সেই রয়্যাল লজে গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছিলেন অ্যান্ড্রু। এখন তাঁকে রাজকীয় আড়ম্বর থেকে বহু দূরে গ্রামীণ এলাকায় নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে।

৬৫ বছর বয়সী অ্যান্ড্রুর জন্য এটি এক চূড়ান্ত অপমান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিতর্কিত অতীত—বিশেষ করে মার্কিন যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভার্জিনিয়া জিউফ্রের সাম্প্রতিক স্মৃতিকথায় তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশের ঘটনায় জনরোষে ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার। অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও জনমনের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহ আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় উপাধি ও সম্মান ত্যাগ করেছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। সে সময় তিনি দাবি করেন, পরিবার ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই পদক্ষেপেও জনমত শান্ত হয়নি।

অবশেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেস থেকে ঘোষণা এসেছে—অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন; এখন তিনি কেবল অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর, এক সাধারণ নাগরিক।

রাজা নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে অ্যান্ড্রুর কোনো মতামত নেওয়া হয়নি—যদিও তিনি কোনো আপত্তিও করেননি। বিবৃতিতে যৌন নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতির বার্তাও ছিল।

রাজা চার্লসের এই পদক্ষেপ ১৯৩৬ সালের সংকটের (রাজা অষ্টম হেনরির সিংহাসন ত্যাগ) পর রাজপরিবারে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের জটিলতা সত্ত্বেও চার্লসের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অনিবার্য ছিল। কারণ অ্যান্ড্রুর বিতর্ক বছরের পর বছর রাজপরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত
উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাসবিদ কেট উইলিয়ামস এই সিদ্ধান্তকে ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগের পরও জনমত শান্ত হয়নি। ফলে রাজা বাধ্য হয়েছেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে। তিনি এই ঘটনার তুলনা টেনেছেন অতীতে অষ্টম হেনরি কিংবা রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি চার্লস এডওয়ার্ডের সঙ্গে—তাঁদেরও উপাধি একসময় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনক বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ কঠিন হলেও পরিবারের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজার সঠিক সিদ্ধান্ত।’

তবে সমালোচকদের একাংশ মনে করেন, শুধু উপাধি হারানো যথেষ্ট নয়। রিপাবলিক আন্দোলনের নেতা গ্রাহাম স্মিথ বলেন, ‘গুরুতর যৌন অপরাধের অভিযোগে শুধু উপাধি খোয়ানোই যথেষ্ট নয়; আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’

এদিকে সবকিছুর পরও অ্যান্ড্রু সিংহাসনের উত্তরাধিকারের অষ্টম স্থানে রয়েছেন। জানা গেছে, তাঁকে স্যান্ড্রিংহামে রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত এস্টেটে একটি বাড়ি দেওয়া হবে এবং রাজা নিজে কিছু আর্থিক সহায়তাও করবেন।

অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের দুই মেয়ে প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজিনির রাজ উপাধি বহালই থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুখ্যাত হিমলারের নাতি হিসেবে নিজের পরিচয় জেনে স্তম্ভিত জার্মান যাজক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৭
ছবি: দ্য টাইমস
ছবি: দ্য টাইমস

জার্মান যাজক হেনরিক লেনকাইট এক চমকপ্রদ সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন। জানতে পেরেছেন—নাজি জার্মানির কুখ্যাত এসএস প্রধান ও হলোকাস্টের জনক হেইনরিখ হিমলারের নাতি তিনি।

৪৯ বছর বয়সী লেনকাইট বর্তমানে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। একদিন ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি উইকিপিডিয়ায় তাঁর শৈশবে দেখা নানি হেডভিগ পটহাস্টের একটি ছবি দেখতে পান। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, হেডভিগ ছিলেন হিমলারের উপপত্নী!

শৈশবে যে নানি চকলেট খাইয়ে আদর করতেন, তিনিই নাকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিমলারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং এ সম্পর্কের ফলেই নিজের মায়ের জন্ম হয়েছিল জানতে পেরে বেশ অবাক হন লেনকাইট। তিনি জানান, তাঁর মা ২০১৯ সালে মারা যান এবং কখনো নানির এ সম্পর্কের কথা বলে যাননি।

লেনকাইট সারা জীবন ভেবে এসেছেন, হেডভিগের স্বামী হান্স স্টেক ছিলেন তাঁর প্রকৃত নানা। কিন্তু একটি ডকুমেন্টারি দেখে কৌতূহলবশত হিমলার সম্পর্কে পড়তে গিয়ে তিনি হঠাৎ আবিষ্কার করেন নিজের মাতৃকুলের এ ভয়ংকর ইতিহাস।

লেনকাইট বলেন, ‘উইকিপিডিয়ায় তাকিয়ে দেখি, আমার নানির মুখ! তখন স্ত্রীর দিকে ফিরে বলেছিলাম—আমি কি সত্যিই তাঁর নাতি?’

লেনকাইট আরও বলেন, ‘আমার পুরো জীবনটাই যেন এক মিথ্যা ছিল। ৪৭ বছর ধরে আমি সত্য না জেনে বেঁচে ছিলাম।’

হেডভিগ পটহাস্ট ও হিমলারের সম্পর্ক নিয়ে ঐতিহাসিক সূত্রে নানা তথ্য পাওয়া যায়। বলা হয়, ১৯৩৮ সালের বড়দিনে তাঁরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। তাঁদের চিঠিতে হিমলার তাঁর প্রেয়সীকে ‘বান্নি’ এবং হেডভিড তাঁকে ‘কিং হেইনরিখ’ বলে ডাকতেন। ১৯৪২ সালে তাঁদের পুত্র হেলগে ও ১৯৪৪ সালে কন্যা নানেট-ডোরোথিয়া (লেনকাইটের মা) জন্ম নেন।

যুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালে হিমলার ব্রিটিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। পরে হেডভিগ ১৯৫৫ সালে হান্স স্টেককে বিয়ে করেন।

জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেনকাইট জানান, সত্যটি জানতে তাঁর এক বছর লেগেছে এবং বিষয়টি সন্তানদেরও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে আমার নানি এমন এক দানবকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন। তবু আমি বিশ্বাস করি, আমার বাবা-মা কেউই নাৎসি মতবাদে বিশ্বাস করতেন না।’

আরও একটি বিষয় হলো—১৯৯৪ সালে নানির শেষকৃত্যে লোকজনের অনুপস্থিতি দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন লেনকাইট। কিন্তু আজ তিনি বুঝতে পারছেন, সেই নীরবতার পেছনে লুকিয়ে ছিল এক ভয়াবহ অতীত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে ১ হাজারের বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন চুরি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৬
ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া একটি নাকফুল। ছবি: এপির সৌজন্যে
ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া একটি নাকফুল। ছবি: এপির সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে ১ হাজারের বেশি নিদর্শন চুরি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ধাতব গয়না, নেটিভ আমেরিকানদের হাতে তৈরি ঝুড়ি ও সাধারণ কিছু সামগ্রী। কিছু ট্রফিও ছিল; যা ‘গোল্ডেন স্টেট’ নামে পরিচিত এই রাজ্যের ইতিহাসের প্রতীক।

ওকল্যান্ড পুলিশ গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ অক্টোবর ভোরের দিকে। ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কিছু দূরে একটি ভবনে এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রাখা ছিল। সেখান থেকেই এগুলো চুরি হয়।

জাদুঘরের পরিচালক লরি ফোগার্টি স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বলেন, এই জিনিসগুলো চোর বাজার, অ্যান্টিক স্টোর বা গয়না বন্ধক রাখা হয় এমন দোকানে পাওয়া যেতে পারে। তাই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চুরি শুধু জাদুঘরের ক্ষতি নয়, এগুলো জনগণের, আমাদের কমিউনিটিরও ক্ষতি। আমরা আশা করছি, আমাদের কমিউনিটি এগুলোকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।’

ফোগার্টি মনে করেন, এটি সুযোগ বুঝে করা একটি অপরাধ। কোনো সুনির্দিষ্ট শিল্পকর্ম চুরির ঘটনা নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, চোরেরা ভবনে ঢোকার একটি উপায় খুঁজে বের করেছে এবং তারা সহজে যা পেয়েছে, তা নিয়েই ভবন থেকে বেরিয়ে গেছে।’

চুরি হওয়া জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রয়াত শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও মেটালস্মিথ (ধাতুশিল্পী) ফ্লোরেন্স রেজনিকফের তৈরি নাকফুল, এক জোড়া খোদাই করা হাতির দাঁত এবং নেটিভ আমেরিকানদের তৈরি ঝুড়ি। ফোগার্টি জানান, চুরির বেশির ভাগ জিনিসই ছিল গত শতাব্দীর গোড়ার দিকের ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন; যেমন; ক্যাম্পেইন পিন ও কিছু ট্রফি।

ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়ার লক্ষ্য হলো—ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্প, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশের তথ্য সংরক্ষণ করা। এর সংগ্রহে ১৮ শতকের শেষ ভাগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্পীদের কাজ, সে সঙ্গে প্রত্নবস্তু, ছবি, প্রাকৃতিক নমুনা ও কিছু রেকর্ডিং রয়েছে। জাদুঘরটি ব্ল্যাক পাওয়ার মুভমেন্ট ও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের আন্দোলন নিয়েও নানা প্রদর্শনী করেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জন রোমেরো লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে বলেন, চুরির ঘটনাটি দুই সপ্তাহ আগে ঘটায় জিনিসগুলো হয়তো ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি মনে করেন, পুরোনো বা অ্যান্টিক জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়, এমন প্ল্যাটফর্মগুলোতে গোয়েন্দারা নজর রাখতে পারেন। তিনি বলেন, এই চোরেরা টাকা পেতে চাইবে। এই জিনিসগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য কী, সেটা তারা যাচাই করবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব তারা এগুলো বিক্রি করে দেবে।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ওকল্যান্ডের এক ব্যক্তি জাদুঘরের ভেতরে ঢুকে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গোল্ড রাশ’ যুগের (স্বর্ণ আবিষ্কারের সময়) একটি গয়নার বাক্স নিয়ে গিয়েছিল। ফোগার্টি বলেন, সে সময় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় জিনিসটি একটি অ্যান্টিক শপে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আশা করেন, এবারও কমিউনিটি সাহায্য করবে।

ওকল্যান্ড পুলিশ বিভাগ বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, পুলিশ ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার এই চুরির ঘটনার ঠিক চার দিন পর প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে দিনের আলোতে মূল্যবান কিছু গয়না চুরি হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও গয়নাগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত