Ajker Patrika

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মোদির তোপ, লক্ষ্য ঝাড়খন্ড সরকার

অনলাইন ডেস্ক   
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ৩২
Thumbnail image
ঝাড়খণ্ডে গড়ওয়াড়ার জনসভায় মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে কয়েক দিন ধরেই নতুন করে আলোচনায় ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা’। মূলত ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার অভিযোগ করছেন, দেশটির ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আছে। এবার সেই আলোচনার অংশ হিসেবে আবারও মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর লক্ষ্য ঝাড়খন্ডের সরকার। মোদি ঝাড়খন্ড সরকারকে অনুপ্রবেশকারীদের দোসর ও মাফিয়ার দাস বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ঝাড়খন্ডের গড়ওয়াড়ায় এক জনসভায় মোদি ঝাড়খন্ডে ক্ষমতাসীন ঝাড়খন্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ‘ঘুসপাতিয়া বান্ধান’ বা অনুপ্রবেশকারীদের দোসর বলেছেন। একই সঙ্গে, তাদের ‘মাফিয়া কা গোলাম’ বা মাফিয়ার দাস বলে আখ্যা দিয়েছেন। মূলত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে ঝাড়খন্ড সরকারের যোগসাজশ আছে—এই ইঙ্গিত দিয়ে মোদি এ কথা বলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঝাড়খন্ডে ক্ষমতাসীন জোটের নেতাদের কেলেঙ্কারি এখন এক শিল্পে পরিণত হয়েছে এবং দুর্নীতি ঝাড়খন্ডকে উইপোকার মতো গ্রাস করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঝাড়খন্ডে তোষণের রাজনীতি চরমে পৌঁছেছে, যেখানে জনমুক্তি মোর্চার জোট বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন দেওয়ায় ব্যস্ত। এভাবে চলতে থাকলে ঝাড়খন্ডের আদিবাসী জনসংখ্যা কমে যাবে। এটি আদিবাসী সমাজ ও দেশের জন্য হুমকি।’

ঝাড়খন্ডে ২৩ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে জিততে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই মোদি-অমিত শাহের বিজেপি ঝাড়খন্ডে তথাকথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। সম্প্রতি অমিত শাহও বলেছেন, বাংলাদেশিরা ব্যাপক হারে ঝাড়খন্ডে অনুপ্রবেশ করছে এবং বিজেপি রাজ্য ক্ষমতায় এলে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে।

মোদি বলেন, ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্যই ঝাড়খন্ডে জনমুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করছে। তাদের এখানে বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে যা সামাজিক কাঠামোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি গুরুতর করে তুলছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি স্কুলে সরস্বতী বন্দনা করা বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে বুঝতে হবে হুমকির মাত্রা কতটা ভয়াবহ। উৎসবের সময় কারফিউ জারি হয়...দুর্গাপূজা ও অন্য প্রধান উৎসবগুলোও প্রভাবিত হচ্ছে।’ মোদি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য পাঠানো হাজার হাজার কোটি টাকা ঝাড়খন্ডের জোট সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা গিলে খাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত