
ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভারতে সাধারণত আগস্টে তাপমাত্রা কম থাকে। তাই এ সময় ভারতে বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলক কমই থাকে। আর মে মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ, বাইরের অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ ইনডোরে বেশি এসি ব্যবহার করে। আর অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট কোনো সমস্যা না থাকায় শিল্প কারখানাগুলোও নির্বিঘ্নে চলতে থাকে।
সরকারি গ্রিড অপারেটর গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, শতাব্দীর সবচেয়ে শুষ্ক আগস্টের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৭০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা (ইউনিট) হয়েছে।
সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, আগস্টে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে কয়লা থেকেই আসছে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মোট উৎপাদনে জলবিদ্যুতের অনুপাত ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।
ভারতের সরকার বারবার বলে আসছে, ধনী দেশগুলোর তুলনায় এ দেশে মাথাপিছু কয়লার ব্যবহার অনেক কম। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে। এই যুক্তিতে দেশটি কয়লা ব্যবহার সমর্থন করে যাচ্ছে।
কয়লার উচ্চ চাহিদার পরও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগামী মার্চে শেষ হতে চলা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২৪ শতাংশ কমিয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে। সরকারের তথ্যমতে, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কয়লা খনি সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমেছে।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশ ভারত। সম্প্রতি কয়েক মাসে ভারত আমদানির পরিমাণ কম রাখায় বৈশ্বিক জ্বালানি কয়লার দাম কমেছে।
বিশ্লেষক ও শিল্পকারখানার কর্মকর্তাদের মতে, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, নবায়নযোগ্য শক্তির ধারাবাহিক সরবরাহের অভাবের কারণে কৃষকেরা সেচের কাজে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের ব্যবহার করছেন। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শীতলকারক যন্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে।
ভারতের সর্বোচ্চ চাহিদা অনুসারে, ৩১ আগস্টে দিনের যেকোনো সময় ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ—২৪৩ দশমিক ৯ গিগাওয়াট। যেখানে গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা ৭ দশমিক ৩ গিগাওয়াট।
চলতি বছরের আগস্টে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৭৮ কোটি ইউনিট। এ ঘাটতি ২০২২ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। তখন ভারত সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত হবে। পূর্বাভাস সত্যি হলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এই সংবাদ স্বস্তি দেবে।
গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, গত আট মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। জলবিদ্যুতের অনুপাত কমে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে।
চলতি বছর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ইউনিট হয়েছে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি ইউনিট।
ভারত ২০২২ সাল নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটি তখন ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর ও বায়ু, পারমাণবিক ও জলশক্তি এবং বায়ো পাওয়ারের মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে প্রতিবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩ গিগাওয়াট করে বাড়াতে হবে। যা দুই বছর ধরে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে তার প্রায় তিন গুণ।

ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভারতে সাধারণত আগস্টে তাপমাত্রা কম থাকে। তাই এ সময় ভারতে বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলক কমই থাকে। আর মে মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ, বাইরের অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ ইনডোরে বেশি এসি ব্যবহার করে। আর অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট কোনো সমস্যা না থাকায় শিল্প কারখানাগুলোও নির্বিঘ্নে চলতে থাকে।
সরকারি গ্রিড অপারেটর গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, শতাব্দীর সবচেয়ে শুষ্ক আগস্টের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৭০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা (ইউনিট) হয়েছে।
সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, আগস্টে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে কয়লা থেকেই আসছে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মোট উৎপাদনে জলবিদ্যুতের অনুপাত ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।
ভারতের সরকার বারবার বলে আসছে, ধনী দেশগুলোর তুলনায় এ দেশে মাথাপিছু কয়লার ব্যবহার অনেক কম। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে। এই যুক্তিতে দেশটি কয়লা ব্যবহার সমর্থন করে যাচ্ছে।
কয়লার উচ্চ চাহিদার পরও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগামী মার্চে শেষ হতে চলা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২৪ শতাংশ কমিয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে। সরকারের তথ্যমতে, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কয়লা খনি সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমেছে।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশ ভারত। সম্প্রতি কয়েক মাসে ভারত আমদানির পরিমাণ কম রাখায় বৈশ্বিক জ্বালানি কয়লার দাম কমেছে।
বিশ্লেষক ও শিল্পকারখানার কর্মকর্তাদের মতে, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, নবায়নযোগ্য শক্তির ধারাবাহিক সরবরাহের অভাবের কারণে কৃষকেরা সেচের কাজে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের ব্যবহার করছেন। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শীতলকারক যন্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে।
ভারতের সর্বোচ্চ চাহিদা অনুসারে, ৩১ আগস্টে দিনের যেকোনো সময় ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ—২৪৩ দশমিক ৯ গিগাওয়াট। যেখানে গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা ৭ দশমিক ৩ গিগাওয়াট।
চলতি বছরের আগস্টে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৭৮ কোটি ইউনিট। এ ঘাটতি ২০২২ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। তখন ভারত সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত হবে। পূর্বাভাস সত্যি হলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এই সংবাদ স্বস্তি দেবে।
গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, গত আট মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। জলবিদ্যুতের অনুপাত কমে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে।
চলতি বছর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ইউনিট হয়েছে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি ইউনিট।
ভারত ২০২২ সাল নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটি তখন ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর ও বায়ু, পারমাণবিক ও জলশক্তি এবং বায়ো পাওয়ারের মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে প্রতিবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩ গিগাওয়াট করে বাড়াতে হবে। যা দুই বছর ধরে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে তার প্রায় তিন গুণ।

ম্যাসাচুসেটস জেনারেল ব্রিগহ্যাম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অ্যান্ড্রুজের শরীর থেকে শূকরের কিডনিটি সরিয়ে দেন। কারণ ওই কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। কিডনি অপসারণের পর এখন আবার ডায়ালাইসিসে ফিরছেন অ্যান্ড্রুজ।
৭ ঘণ্টা আগে
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে এবার এক ভিন্নমুখী অবস্থান নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও দাতব্যকর্মী বিল গেটস। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন—মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন সময় এসেছে সম্পদের...
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত পাইলটকে প্রলুব্ধ করার এক রুদ্ধশ্বাস গুপ্ত অভিযানের খবর ফাঁস হয়েছে। এই অভিযানকে কোনো শীতল যুদ্ধের একটি থ্রিলার গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি অন ইউক্রেন’।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা টিম অ্যান্ড্রুজ। জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শূকরের কিডনি নিয়ে তিনি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ (রেকর্ড) ২৭১ দিন বেঁচে ছিলেন। অবশেষে সেই কিডনি অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, ম্যাসাচুসেটস জেনারেল ব্রিগহ্যাম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অ্যান্ড্রুজের শরীর থেকে শূকরের কিডনিটি সরিয়ে দেন। কারণ ওই কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। কিডনি অপসারণের পর এখন আবার ডায়ালাইসিসে ফিরছেন অ্যান্ড্রুজ।
৬৭ বছর বয়সী টিম অ্যান্ড্রুজ যুক্তরাষ্ট্রে এমন চতুর্থ জীবিত ব্যক্তি, যার শরীরে শূকরের জিন-সম্পাদিত কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই বিশেষ ধরনের জেনেটিক পরিবর্তন করা হয় যেন মানবদেহ সেই অঙ্গকে প্রত্যাখ্যান না করে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ডায়াবেটিসে ভোগা অ্যান্ড্রুজ তিন বছর আগে জানতে পারেন তাঁর কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ডায়ালাইসিস তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে তিন দিনের প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ধরে মেশিনে সংযুক্ত থাকার ক্লান্তিকর প্রক্রিয়ায় তাঁর জীবন একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল।
ঝুঁকি জেনেও তিনি ‘জেনোট্রান্সপ্লান্ট’ অর্থাৎ প্রাণীর অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনের পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁর কথায়, ‘যদি এতে আমার জীবন বদলায় এবং অন্যদেরও উপকার হয়, তবে ঝুঁকি নেওয়াটা সার্থক।’
সিএনএনের ‘অ্যানিমেল ফার্মা’ ডকুমেন্টারিতে তিনি জানান, শূকরের কিডনি তাঁকে নতুন করে প্রাণশক্তি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আবার বেঁচে উঠেছিলাম। দীর্ঘদিন পর মনে হয়েছিল আমি সত্যিই জীবিত।’
কিডনি প্রতিস্থাপনের পর তিনি আবার রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা, এমনকি কুকুর কাপকেককে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়াও শুরু করেছিলেন। গত জুনে তিনি ফেনওয়ে পার্কে প্রিয় বোস্টন রেড সক্স দলের খেলা দেখা শুরু করার আগে প্রথম বল ছোড়ার সম্মান পান।
শরীরে শূকরের কিডনির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অ্যান্ড্রুজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই যাত্রা ছিল কষ্টে ভরা, অজানা সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে।’ তবে তিনি গর্বের সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই ৯ মাসে আমরা অনেক কিছু শিখেছি ও আবিষ্কার করেছি।’ তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই শূকরটির প্রতিও, যার নাম ছিল ‘উইলমা’। তিনি লিখেছেন—‘সে (উইলমা) আমার নায়িকা, আমার জীবনের অংশ হয়ে থাকবে চিরকাল।’
বর্তমানে অ্যান্ড্রুজ আবার ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এবং মানব কিডনির অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা টিম অ্যান্ড্রুজ। জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শূকরের কিডনি নিয়ে তিনি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ (রেকর্ড) ২৭১ দিন বেঁচে ছিলেন। অবশেষে সেই কিডনি অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, ম্যাসাচুসেটস জেনারেল ব্রিগহ্যাম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অ্যান্ড্রুজের শরীর থেকে শূকরের কিডনিটি সরিয়ে দেন। কারণ ওই কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। কিডনি অপসারণের পর এখন আবার ডায়ালাইসিসে ফিরছেন অ্যান্ড্রুজ।
৬৭ বছর বয়সী টিম অ্যান্ড্রুজ যুক্তরাষ্ট্রে এমন চতুর্থ জীবিত ব্যক্তি, যার শরীরে শূকরের জিন-সম্পাদিত কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই বিশেষ ধরনের জেনেটিক পরিবর্তন করা হয় যেন মানবদেহ সেই অঙ্গকে প্রত্যাখ্যান না করে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ডায়াবেটিসে ভোগা অ্যান্ড্রুজ তিন বছর আগে জানতে পারেন তাঁর কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ডায়ালাইসিস তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে তিন দিনের প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ধরে মেশিনে সংযুক্ত থাকার ক্লান্তিকর প্রক্রিয়ায় তাঁর জীবন একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল।
ঝুঁকি জেনেও তিনি ‘জেনোট্রান্সপ্লান্ট’ অর্থাৎ প্রাণীর অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনের পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁর কথায়, ‘যদি এতে আমার জীবন বদলায় এবং অন্যদেরও উপকার হয়, তবে ঝুঁকি নেওয়াটা সার্থক।’
সিএনএনের ‘অ্যানিমেল ফার্মা’ ডকুমেন্টারিতে তিনি জানান, শূকরের কিডনি তাঁকে নতুন করে প্রাণশক্তি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আবার বেঁচে উঠেছিলাম। দীর্ঘদিন পর মনে হয়েছিল আমি সত্যিই জীবিত।’
কিডনি প্রতিস্থাপনের পর তিনি আবার রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা, এমনকি কুকুর কাপকেককে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়াও শুরু করেছিলেন। গত জুনে তিনি ফেনওয়ে পার্কে প্রিয় বোস্টন রেড সক্স দলের খেলা দেখা শুরু করার আগে প্রথম বল ছোড়ার সম্মান পান।
শরীরে শূকরের কিডনির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অ্যান্ড্রুজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই যাত্রা ছিল কষ্টে ভরা, অজানা সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে।’ তবে তিনি গর্বের সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই ৯ মাসে আমরা অনেক কিছু শিখেছি ও আবিষ্কার করেছি।’ তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই শূকরটির প্রতিও, যার নাম ছিল ‘উইলমা’। তিনি লিখেছেন—‘সে (উইলমা) আমার নায়িকা, আমার জীবনের অংশ হয়ে থাকবে চিরকাল।’
বর্তমানে অ্যান্ড্রুজ আবার ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এবং মানব কিডনির অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন।

ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে এবার এক ভিন্নমুখী অবস্থান নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও দাতব্যকর্মী বিল গেটস। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন—মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন সময় এসেছে সম্পদের...
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত পাইলটকে প্রলুব্ধ করার এক রুদ্ধশ্বাস গুপ্ত অভিযানের খবর ফাঁস হয়েছে। এই অভিযানকে কোনো শীতল যুদ্ধের একটি থ্রিলার গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি অন ইউক্রেন’।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে এবার এক ভিন্নমুখী অবস্থান নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও দাতব্যকর্মী বিল গেটস। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন—মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন সময় এসেছে সম্পদের বড় অংশ রোগ ও ক্ষুধা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করার।
গেটস যুক্তি দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানব সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে—এ ধারণা অতিরঞ্জিত। বরং অতীতের বহু প্রচেষ্টা কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাস্তব অগ্রগতি এনে দিয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, জলবায়ু ইস্যুতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে কিছু ব্যয়সাপেক্ষ ও সন্দেহজনক প্রকল্পে, যার ফলাফল খুব কমই দেখা গেছে।
তাঁর মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকলেও এখন সবচেয়ে জরুরি হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও প্রতিরোধযোগ্য রোগের মোকাবিলা করা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএইড-এর বাজেট কমিয়ে দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য ও রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বড় ধাক্কা লেগেছে।
গেটস লিখেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, রোগ ও দারিদ্র্য—সবই বড় সমস্যা। কিন্তু এগুলোর মোকাবিলা আমাদের করা উচিত তাদের প্রকৃত কষ্টের অনুপাতে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুরুতর হবে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য। তারপরও এটি মানবতার বিলুপ্তি ঘটাবে না। এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং কষ্ট লাঘব করা।’
গেটসের এই বক্তব্য এমন এক সময় এসেছে, যখন আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ-৩০।
গেটস অবশ্য দাবি করেছেন, এটি তাঁর আগের অবস্থানের পরিবর্তন নয়। তিনি শূন্য-কার্বন নিঃসরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জলবায়ু খাতে বিনিয়োগ কমানো বিরাট হতাশার হলেও এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
তবে অনেক সমালোচক গেটসের এই অবস্থানকে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি বলে আখ্যা দিয়েছেন। মার্কিন বিজ্ঞানী মাইকেল ম্যান মন্তব্য করেছেন, ‘বিল গেটস বিষয়টি উল্টোভাবে দেখছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু সংকটই এখন সবচেয়ে বড় হুমকি।’

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে এবার এক ভিন্নমুখী অবস্থান নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও দাতব্যকর্মী বিল গেটস। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন—মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন সময় এসেছে সম্পদের বড় অংশ রোগ ও ক্ষুধা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করার।
গেটস যুক্তি দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানব সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে—এ ধারণা অতিরঞ্জিত। বরং অতীতের বহু প্রচেষ্টা কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাস্তব অগ্রগতি এনে দিয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, জলবায়ু ইস্যুতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে কিছু ব্যয়সাপেক্ষ ও সন্দেহজনক প্রকল্পে, যার ফলাফল খুব কমই দেখা গেছে।
তাঁর মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকলেও এখন সবচেয়ে জরুরি হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও প্রতিরোধযোগ্য রোগের মোকাবিলা করা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএইড-এর বাজেট কমিয়ে দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য ও রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বড় ধাক্কা লেগেছে।
গেটস লিখেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, রোগ ও দারিদ্র্য—সবই বড় সমস্যা। কিন্তু এগুলোর মোকাবিলা আমাদের করা উচিত তাদের প্রকৃত কষ্টের অনুপাতে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুরুতর হবে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য। তারপরও এটি মানবতার বিলুপ্তি ঘটাবে না। এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং কষ্ট লাঘব করা।’
গেটসের এই বক্তব্য এমন এক সময় এসেছে, যখন আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ-৩০।
গেটস অবশ্য দাবি করেছেন, এটি তাঁর আগের অবস্থানের পরিবর্তন নয়। তিনি শূন্য-কার্বন নিঃসরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জলবায়ু খাতে বিনিয়োগ কমানো বিরাট হতাশার হলেও এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
তবে অনেক সমালোচক গেটসের এই অবস্থানকে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি বলে আখ্যা দিয়েছেন। মার্কিন বিজ্ঞানী মাইকেল ম্যান মন্তব্য করেছেন, ‘বিল গেটস বিষয়টি উল্টোভাবে দেখছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু সংকটই এখন সবচেয়ে বড় হুমকি।’

ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল ব্রিগহ্যাম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অ্যান্ড্রুজের শরীর থেকে শূকরের কিডনিটি সরিয়ে দেন। কারণ ওই কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। কিডনি অপসারণের পর এখন আবার ডায়ালাইসিসে ফিরছেন অ্যান্ড্রুজ।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত পাইলটকে প্রলুব্ধ করার এক রুদ্ধশ্বাস গুপ্ত অভিযানের খবর ফাঁস হয়েছে। এই অভিযানকে কোনো শীতল যুদ্ধের একটি থ্রিলার গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি অন ইউক্রেন’।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত পাইলটকে প্রলুব্ধ করার এক রুদ্ধশ্বাস গুপ্ত অভিযানের খবর ফাঁস হয়েছে। এই অভিযানকে কোনো শীতল যুদ্ধের একটি থ্রিলার গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট। অভিযানটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মার্কিন ফেডারেল এজেন্ট এডউইন লোপেজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস (এইচএসআই) এর কর্মকর্তা ছিলেন।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মাসেই ডোমিনিকান রিপাবলিকের মার্কিন দূতাবাসে এক তথ্যদাতা হাজির হন। তিনি দাবি করেন, মাদুরোর ব্যবহৃত দুটি বিলাসবহুল জেট বিমান মেরামতের কাজ চলছে সান্তো ডোমিংগোর লা ইসাবেলা বিমানবন্দরে।
ওই দূতাবাসেই তখন কর্মরত ছিলেন ৫০ বছর বয়সী লোপেজ—একজন অভিজ্ঞ প্রাক্তন মার্কিন সেনা রেঞ্জার, যিনি বহু বছর ধরে মাদক ও অর্থ পাচার চক্র ধ্বংসে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। আগন্তুকের দেওয়া তথ্য লোপেজের কৌতূহল জাগিয়েছিল। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভেনেজুয়েলার এসব বিমানের যন্ত্রাংশ কেনা বা মেরামত করাই বেআইনি।
বিমান দুটি শনাক্ত করতে সময় লাগেনি। এর একটি ‘দাসো ফ্যালকন ২০০০ ইএক্স’ এবং অন্যটি ‘ফ্যালকন ৯০০ ইএক্স’। পরে জানা যায়, মাদুরো পাঁচজন পাইলটকে পাঠিয়েছেন বিমানগুলো ফেরত নিতে। এখানেই লোপেজের মাথায় আসে এক সাহসী চিন্তা। তিনি মাদুরোর প্রধান পাইলটকে রাজি করানোর কথা ভাবলেন, যাতে ওই পাইলট প্রেসিডেন্টকে বহন করার সময় কোনো বিমানকে এমন কোনো জায়গায় অবতরণ করান, যেখানে মার্কিন বাহিনী মাদুরোকে গ্রেপ্তার করতে পারে?
এই ভাবনা থেকেই শুরু হয় এক গুপ্তচর নাটক। ডোমিনিকান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে লোপেজ ও তাঁর দল পাইলটদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাঁদের মূল টার্গেটে ছিলেন ভেনেজুয়েলার বিমানবাহিনীর কর্নেল ও মাদুরোর ব্যক্তিগত পাইলট—বিটনার ভিলেগাস। ভিলেগাস ছিলেন প্রেসিডেনশিয়াল অনার গার্ডের সদস্য, শান্ত স্বভাবের কিন্তু মাদুরোর আস্থাভাজন।
ভিলেগাসকে লোপেজ ডেকে নেন একান্ত সাক্ষাতে। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি সরাসরি প্রস্তাব দেন—‘যদি আপনি গোপনে মাদুরোকে এমন কোথাও নিয়ে যান, যেখানে আমরা তাঁকে আটকাতে পারি, তাহলে আপনি হবেন ধনী ও জাতির নায়ক।’
ভিলেগাস অবশ্য এই প্রস্তাবের বিপরীতে কিছু বলেননি। তবে বিদায়ের আগে নিজের মোবাইল নম্বর দেন, যা লোপেজের মনে আশা জাগিয়েছিল।
এরপর ১৬ মাস ধরে লোপেজ গোপনে ভিলেগাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁরা এনক্রিপটেড অ্যাপে কথা বলেন, বার্তা পাঠান, এমনকি অবসরে যাওয়ার পরও লোপেজ তাঁর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু ওই পাইলটের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র একে একে মাদুরোর দুটি বিমান জব্দ করে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমটি এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়টি বাজেয়াপ্ত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ডোমিনিকান রিপাবলিক সফরে গিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, ‘এই বিমানে ভেনেজুয়েলার সামরিক গোপন তথ্যের ভান্ডার রয়েছে।’ এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় মাদুরোর সরকার এবং ‘নির্লজ্জ চুরির’ অভিযোগ করে।
লোপেজ তখনো থামেননি। তিনি ভিলেগাসকে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। গত আগস্টে তিনি ওই পাইলটকে বার্তা পাঠান—‘তোমার উত্তর এখনো পাইনি।’ এই বার্তার সঙ্গে তিনি একটি সরকারি বিবৃতিও জুড়ে দেন, যেখানে মাদুরোকে ধরিয়ে দিলে ৫ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়। লোপেজ লেখেন, ‘এখনো সময় আছে নায়ক হওয়ার।’
কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে গত মাসের (সেপ্টেম্বর) মাঝামাঝিতে তিনি তাঁর শেষ চেষ্টা করেন। সে সময় একদিন সংবাদে মাদুরোর বিমানকে আকাশে অদ্ভুত এক ঘুরপথে উড়তে দেখে লোপেজ ওই পাইলটকে বার্তা পাঠান—‘কোথায় যাচ্ছ?’ উত্তরে ভিলেগাস জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কে?’ লোপেজ পরিচয় দিলে পাইলট ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমরা ভেনেজুয়েলীয়রা বিশ্বাসঘাতক নই।’
তখন লোপেজ তাঁকে তাঁদের আগের সাক্ষাতের একটি ছবি পাঠান। ভিলেগাস বিস্মিত হয়ে লেখেন, ‘তুমি পাগল নাকি?’
লোপেজ জবাব দেন—‘হয়তো একটু।’ এরপর তিনি শেষবারের মতো লেখেন—‘তোমার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নাও। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ ভিলেগাস অবশ্য এরপরই লোপেজের নম্বরটি ব্লক করে দেন।
পাইলটকে রাজি করাতে না পেরে মার্কিন এজেন্ট ও মাদুরো-বিরোধী গোষ্ঠী অন্য কৌশল নেয়। প্রেসিডেন্ট মাদুরোকেই বিভ্রান্ত করতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে ভিলেগাসের জন্মদিনে সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মার্শাল বিলিংসলি টুইটারে ব্যঙ্গাত্মক শুভেচ্ছা জানান এবং ভিলেগাসের দুটি ছবি পোস্ট করেন। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়—লোপেজের সঙ্গে ভিলেগাসের পুরোনো সাক্ষাতের মুহূর্ত।
এই টুইট বার্তাটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভেনেজুয়েলায় গুজব ছড়ায়—পাইলটকে নাকি জেরা করা হচ্ছে কিংবা আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ভেনেজুয়েলার টেলিভিশনে হাজির হন ভিলেগাস। তাঁর পাশে ছিলেন তখন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলো। কাবেলো হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমাদের সৈনিকেরা বিক্রি হয় না।’ পাইলট ভিলেগাস চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন, মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করে মাদুরোর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
লোপেজের দুঃসাহসী এই পরিকল্পনা রয়ে গেছে ইতিহাসের আড়ালে এক অসম্পূর্ণ অধ্যায় হিসেবে।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত পাইলটকে প্রলুব্ধ করার এক রুদ্ধশ্বাস গুপ্ত অভিযানের খবর ফাঁস হয়েছে। এই অভিযানকে কোনো শীতল যুদ্ধের একটি থ্রিলার গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট। অভিযানটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মার্কিন ফেডারেল এজেন্ট এডউইন লোপেজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস (এইচএসআই) এর কর্মকর্তা ছিলেন।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মাসেই ডোমিনিকান রিপাবলিকের মার্কিন দূতাবাসে এক তথ্যদাতা হাজির হন। তিনি দাবি করেন, মাদুরোর ব্যবহৃত দুটি বিলাসবহুল জেট বিমান মেরামতের কাজ চলছে সান্তো ডোমিংগোর লা ইসাবেলা বিমানবন্দরে।
ওই দূতাবাসেই তখন কর্মরত ছিলেন ৫০ বছর বয়সী লোপেজ—একজন অভিজ্ঞ প্রাক্তন মার্কিন সেনা রেঞ্জার, যিনি বহু বছর ধরে মাদক ও অর্থ পাচার চক্র ধ্বংসে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। আগন্তুকের দেওয়া তথ্য লোপেজের কৌতূহল জাগিয়েছিল। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভেনেজুয়েলার এসব বিমানের যন্ত্রাংশ কেনা বা মেরামত করাই বেআইনি।
বিমান দুটি শনাক্ত করতে সময় লাগেনি। এর একটি ‘দাসো ফ্যালকন ২০০০ ইএক্স’ এবং অন্যটি ‘ফ্যালকন ৯০০ ইএক্স’। পরে জানা যায়, মাদুরো পাঁচজন পাইলটকে পাঠিয়েছেন বিমানগুলো ফেরত নিতে। এখানেই লোপেজের মাথায় আসে এক সাহসী চিন্তা। তিনি মাদুরোর প্রধান পাইলটকে রাজি করানোর কথা ভাবলেন, যাতে ওই পাইলট প্রেসিডেন্টকে বহন করার সময় কোনো বিমানকে এমন কোনো জায়গায় অবতরণ করান, যেখানে মার্কিন বাহিনী মাদুরোকে গ্রেপ্তার করতে পারে?
এই ভাবনা থেকেই শুরু হয় এক গুপ্তচর নাটক। ডোমিনিকান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে লোপেজ ও তাঁর দল পাইলটদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাঁদের মূল টার্গেটে ছিলেন ভেনেজুয়েলার বিমানবাহিনীর কর্নেল ও মাদুরোর ব্যক্তিগত পাইলট—বিটনার ভিলেগাস। ভিলেগাস ছিলেন প্রেসিডেনশিয়াল অনার গার্ডের সদস্য, শান্ত স্বভাবের কিন্তু মাদুরোর আস্থাভাজন।
ভিলেগাসকে লোপেজ ডেকে নেন একান্ত সাক্ষাতে। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি সরাসরি প্রস্তাব দেন—‘যদি আপনি গোপনে মাদুরোকে এমন কোথাও নিয়ে যান, যেখানে আমরা তাঁকে আটকাতে পারি, তাহলে আপনি হবেন ধনী ও জাতির নায়ক।’
ভিলেগাস অবশ্য এই প্রস্তাবের বিপরীতে কিছু বলেননি। তবে বিদায়ের আগে নিজের মোবাইল নম্বর দেন, যা লোপেজের মনে আশা জাগিয়েছিল।
এরপর ১৬ মাস ধরে লোপেজ গোপনে ভিলেগাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁরা এনক্রিপটেড অ্যাপে কথা বলেন, বার্তা পাঠান, এমনকি অবসরে যাওয়ার পরও লোপেজ তাঁর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু ওই পাইলটের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র একে একে মাদুরোর দুটি বিমান জব্দ করে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমটি এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়টি বাজেয়াপ্ত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ডোমিনিকান রিপাবলিক সফরে গিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, ‘এই বিমানে ভেনেজুয়েলার সামরিক গোপন তথ্যের ভান্ডার রয়েছে।’ এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় মাদুরোর সরকার এবং ‘নির্লজ্জ চুরির’ অভিযোগ করে।
লোপেজ তখনো থামেননি। তিনি ভিলেগাসকে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। গত আগস্টে তিনি ওই পাইলটকে বার্তা পাঠান—‘তোমার উত্তর এখনো পাইনি।’ এই বার্তার সঙ্গে তিনি একটি সরকারি বিবৃতিও জুড়ে দেন, যেখানে মাদুরোকে ধরিয়ে দিলে ৫ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়। লোপেজ লেখেন, ‘এখনো সময় আছে নায়ক হওয়ার।’
কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে গত মাসের (সেপ্টেম্বর) মাঝামাঝিতে তিনি তাঁর শেষ চেষ্টা করেন। সে সময় একদিন সংবাদে মাদুরোর বিমানকে আকাশে অদ্ভুত এক ঘুরপথে উড়তে দেখে লোপেজ ওই পাইলটকে বার্তা পাঠান—‘কোথায় যাচ্ছ?’ উত্তরে ভিলেগাস জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কে?’ লোপেজ পরিচয় দিলে পাইলট ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমরা ভেনেজুয়েলীয়রা বিশ্বাসঘাতক নই।’
তখন লোপেজ তাঁকে তাঁদের আগের সাক্ষাতের একটি ছবি পাঠান। ভিলেগাস বিস্মিত হয়ে লেখেন, ‘তুমি পাগল নাকি?’
লোপেজ জবাব দেন—‘হয়তো একটু।’ এরপর তিনি শেষবারের মতো লেখেন—‘তোমার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নাও। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ ভিলেগাস অবশ্য এরপরই লোপেজের নম্বরটি ব্লক করে দেন।
পাইলটকে রাজি করাতে না পেরে মার্কিন এজেন্ট ও মাদুরো-বিরোধী গোষ্ঠী অন্য কৌশল নেয়। প্রেসিডেন্ট মাদুরোকেই বিভ্রান্ত করতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে ভিলেগাসের জন্মদিনে সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মার্শাল বিলিংসলি টুইটারে ব্যঙ্গাত্মক শুভেচ্ছা জানান এবং ভিলেগাসের দুটি ছবি পোস্ট করেন। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়—লোপেজের সঙ্গে ভিলেগাসের পুরোনো সাক্ষাতের মুহূর্ত।
এই টুইট বার্তাটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভেনেজুয়েলায় গুজব ছড়ায়—পাইলটকে নাকি জেরা করা হচ্ছে কিংবা আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ভেনেজুয়েলার টেলিভিশনে হাজির হন ভিলেগাস। তাঁর পাশে ছিলেন তখন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলো। কাবেলো হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমাদের সৈনিকেরা বিক্রি হয় না।’ পাইলট ভিলেগাস চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন, মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করে মাদুরোর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
লোপেজের দুঃসাহসী এই পরিকল্পনা রয়ে গেছে ইতিহাসের আড়ালে এক অসম্পূর্ণ অধ্যায় হিসেবে।

ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল ব্রিগহ্যাম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অ্যান্ড্রুজের শরীর থেকে শূকরের কিডনিটি সরিয়ে দেন। কারণ ওই কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। কিডনি অপসারণের পর এখন আবার ডায়ালাইসিসে ফিরছেন অ্যান্ড্রুজ।
৭ ঘণ্টা আগে
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে এবার এক ভিন্নমুখী অবস্থান নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও দাতব্যকর্মী বিল গেটস। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন—মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন সময় এসেছে সম্পদের...
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি অন ইউক্রেন’।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি অন ইউক্রেন’। সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক মানুষ ও তাদের অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জাতিসংঘের সংস্থাটি খেরসন, মাইকোলাইভ ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করেছে। এই এলাকাগুলো সম্মুখ সমরের কাছাকাছি হওয়ায় গত এক বছরে সেখানে ড্রোন হামলার তীব্রতা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—রুশ ড্রোনগুলো ধারাবাহিকভাবে ঘরবাড়ি, মানবিক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। একই স্থানে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের কম দামি ও ছোট আকারের, ক্যামেরা ও গাইডেন্স সিস্টেমযুক্ত ড্রোন ব্যবহার করেছে। এগুলোর কিছু আঘাতের সময় বিস্ফোরিত হয়, আবার কিছু ওপর থেকে বিস্ফোরক ফেলতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এই ধরনের হামলায় গত এক বছরে অন্তত ২০০ বেসামরিক মানুষ নিহত এবং প্রায় ২ হাজার জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ কমিশন দাবি করেছে, এসব হামলা শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিকদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার নীতির অংশ হিসেবেও এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
প্রতিবেদনটিতে খেরসনের একাধিক বাসিন্দার বর্ণনা উদ্ধৃত করা হয়েছে। একজন বলেছেন, ‘আমি ড্রোনের শব্দ শুনেছিলাম। ভেবেছিলাম, এটি একটি বাসকে অনুসরণ করবে। কিন্তু যখন বাস চলে গেল, তখনো সেটা আকাশে ঘুরছিল। বুঝলাম, পালানোর কোনো পথ নেই।’ পরে ড্রোন থেকে ওই ব্যক্তির মুখে শার্পনেলের আঘাত লেগেছিল।
আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এটা এক ধরনের লটারির মতো, আজ রাতটা বেঁচে থাকব কি না, কেউ জানে না।’
এদিকে রাশিয়া বরাবরই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে গত চার বছরে ইউক্রেনজুড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অসংখ্য বেসামরিক এলাকা ধ্বংস হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘ কমিশনের তদন্তেও কোনো সহযোগিতা করেনি, এমনকি ৩৫টি লিখিত অনুরোধেরও জবাব দেয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি অন ইউক্রেন’। সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক মানুষ ও তাদের অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জাতিসংঘের সংস্থাটি খেরসন, মাইকোলাইভ ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করেছে। এই এলাকাগুলো সম্মুখ সমরের কাছাকাছি হওয়ায় গত এক বছরে সেখানে ড্রোন হামলার তীব্রতা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—রুশ ড্রোনগুলো ধারাবাহিকভাবে ঘরবাড়ি, মানবিক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। একই স্থানে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের কম দামি ও ছোট আকারের, ক্যামেরা ও গাইডেন্স সিস্টেমযুক্ত ড্রোন ব্যবহার করেছে। এগুলোর কিছু আঘাতের সময় বিস্ফোরিত হয়, আবার কিছু ওপর থেকে বিস্ফোরক ফেলতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এই ধরনের হামলায় গত এক বছরে অন্তত ২০০ বেসামরিক মানুষ নিহত এবং প্রায় ২ হাজার জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ কমিশন দাবি করেছে, এসব হামলা শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিকদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার নীতির অংশ হিসেবেও এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
প্রতিবেদনটিতে খেরসনের একাধিক বাসিন্দার বর্ণনা উদ্ধৃত করা হয়েছে। একজন বলেছেন, ‘আমি ড্রোনের শব্দ শুনেছিলাম। ভেবেছিলাম, এটি একটি বাসকে অনুসরণ করবে। কিন্তু যখন বাস চলে গেল, তখনো সেটা আকাশে ঘুরছিল। বুঝলাম, পালানোর কোনো পথ নেই।’ পরে ড্রোন থেকে ওই ব্যক্তির মুখে শার্পনেলের আঘাত লেগেছিল।
আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এটা এক ধরনের লটারির মতো, আজ রাতটা বেঁচে থাকব কি না, কেউ জানে না।’
এদিকে রাশিয়া বরাবরই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে গত চার বছরে ইউক্রেনজুড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অসংখ্য বেসামরিক এলাকা ধ্বংস হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘ কমিশনের তদন্তেও কোনো সহযোগিতা করেনি, এমনকি ৩৫টি লিখিত অনুরোধেরও জবাব দেয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল ব্রিগহ্যাম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অ্যান্ড্রুজের শরীর থেকে শূকরের কিডনিটি সরিয়ে দেন। কারণ ওই কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। কিডনি অপসারণের পর এখন আবার ডায়ালাইসিসে ফিরছেন অ্যান্ড্রুজ।
৭ ঘণ্টা আগে
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে এবার এক ভিন্নমুখী অবস্থান নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও দাতব্যকর্মী বিল গেটস। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন—মানবতার ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন সময় এসেছে সম্পদের...
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত পাইলটকে প্রলুব্ধ করার এক রুদ্ধশ্বাস গুপ্ত অভিযানের খবর ফাঁস হয়েছে। এই অভিযানকে কোনো শীতল যুদ্ধের একটি থ্রিলার গল্পের সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
৮ ঘণ্টা আগে