আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টিতে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল। অন্যদিকে বিরোধী শিবির রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন মহাজোট (মহাগঠবন্ধন) মুখ থুবড়ে পড়ল, মাত্র ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে তারা বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে অন্যতম খারাপ ফল করল।
নির্বাচনে চরম বিপর্যয় সত্ত্বেও একটি বিষয়ে আনন্দ করার অবকাশ রয়েছে আরজেডির। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট, যা একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি। এই ভোটের হার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (২০.০৭ %) থেকে ২.৯২ শতাংশ এবং মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) (১৯.২৬ %) থেকে ৩.৭৫ শতাংশ বেশি।
তবে আরজেডির এবারের ভোটের হার গত নির্বাচনের (২০২০) চেয়ে সামান্য কমেছে (২০২০ সালে ছিল ২৩.১১ %)। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে আসনসংখ্যায়। গত নির্বাচনে আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল, যা কোনো একক দলের জন্য সর্বোচ্চ। এবার দলটি ১৪১টি আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ২৫টি। এটি ২০১০ সালের পর আরজেডির দ্বিতীয় বাজে পারফরম্যান্স, যেখানে তারা ২০১০ সালে ২২টি আসনে জিতেছিল।
মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব অবশ্য তাঁর পারিবারিক দুর্গ রাঘোপুর আসনে এনডিএ প্রার্থী সতীশ কুমারকে দীর্ঘ ও উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পর পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।
আরজেডির পাশাপাশি মহাজোটের শরিক দলগুলোর অবস্থাও ছিল শোচনীয়। কংগ্রেস এই বিপর্যয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। দলটি এবার ৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। এটি বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ফল (২০১০ সালে ৪টি আসনে জিতেছিল)। জোটের পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে এবার মোট ৬১টি আসন দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ২০২০ সালে তারা ৭০টির মধ্যে ১৯টিতে জিতেছিল। এই চরম অবনতি মহাজোটের সামগ্রিক পরাজয়ের কারণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ছাড়া সিপিআই (এমএল) দুটি, সিপিআই (এম) একটি এবং সিপিআই কোনো আসন পায়নি। সব মিলিয়ে মহাজোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩৫টিতে।
এনডিএ শিবিরের প্রাপ্ত ভোটের হারও এবার বেড়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখল এনডিএ। জোটের শরিক দলগুলোর আসনসংখ্যা এমন:
বিজেপি (বিজেপি) : ৮৯টি
জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) : ৮৫টি
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) (এলজেপি-আরভি) : ১৯টি
হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) : ৫টি
রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) : ৪টি
আসনসংখ্যা কমে গেলেও এনডিএর দুই প্রধান শরিক বিজেপি ও জেডিইউ উভয়েরই ভোটের হার বেড়েছে। বিজেপি এবার ১০১টি আসনে লড়েছে (গতবার ১১০) এবং ভোটের হার ১৯.৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.০৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে জেডিইউ এবার ১০১টি আসনে লড়ে (গতবার ১১৫) ভোটের হার ১৫.৩৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯.২৬ শতাংশে নিয়ে এসেছে।

মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবার বিহারে একটি আসনে জয়ী হয়েছে। রামগড় আসনে তাদের প্রার্থী সতীশ কুমার যাদব নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বিধায়ক অশোক কুমার সিংকে মাত্র ৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রামগড় আসনটি ২০০৫ সাল থেকে আরজেডি এবং বিজেপির মধ্যে পালাবদল করছিল। গত বছর উপনির্বাচনে এই আসনে বিজেপির অশোক কুমার সিং জিতেছিলেন।
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) কেউই আসনের খাতা খুলতে পারেনি।
বিহারে শোচনীয় হারের পর বিরোধী শিবিরের একাধিক শীর্ষ নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী পরাজয়ের পর এক্সে লেখেন, ‘বিহারের লাখ লাখ ভোটার মহাজোটের ওপর যে আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই আশ্চর্যজনক। যে নির্বাচন প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ ছিল না, তাতে আমরা জয় পেতে পারিনি।’ তিনি স্পষ্ট করে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ না তুললেও ইঙ্গিত দেন, এই বৃহত্তর লড়াইটি হলো ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিহারের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং সেই শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব, যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কাজে নিযুক্ত।’ দল বিস্তারিতভাবে ফলাফল পর্যালোচনা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সুনাম এখন সর্বনিম্ন স্তরে। দেশের নাগরিকদের এমন একটি শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রাপ্য, যার নির্বাচন পরিচালনায় বিজয়ী না হওয়া দলগুলোরও আস্থা থাকবে।’
বিহারে এবারের নির্বাচন দুই দফায়—৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এবং ৬৬ শতাংশের বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, এটি ১৯৫১ সালের পর রাজ্যে সর্বোচ্চ। পুরুষ ভোটারদের (৬২.৮ %) তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি (৭১.৬ %) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা গেছে।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টিতে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল। অন্যদিকে বিরোধী শিবির রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন মহাজোট (মহাগঠবন্ধন) মুখ থুবড়ে পড়ল, মাত্র ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে তারা বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে অন্যতম খারাপ ফল করল।
নির্বাচনে চরম বিপর্যয় সত্ত্বেও একটি বিষয়ে আনন্দ করার অবকাশ রয়েছে আরজেডির। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট, যা একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি। এই ভোটের হার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (২০.০৭ %) থেকে ২.৯২ শতাংশ এবং মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) (১৯.২৬ %) থেকে ৩.৭৫ শতাংশ বেশি।
তবে আরজেডির এবারের ভোটের হার গত নির্বাচনের (২০২০) চেয়ে সামান্য কমেছে (২০২০ সালে ছিল ২৩.১১ %)। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে আসনসংখ্যায়। গত নির্বাচনে আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল, যা কোনো একক দলের জন্য সর্বোচ্চ। এবার দলটি ১৪১টি আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ২৫টি। এটি ২০১০ সালের পর আরজেডির দ্বিতীয় বাজে পারফরম্যান্স, যেখানে তারা ২০১০ সালে ২২টি আসনে জিতেছিল।
মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব অবশ্য তাঁর পারিবারিক দুর্গ রাঘোপুর আসনে এনডিএ প্রার্থী সতীশ কুমারকে দীর্ঘ ও উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পর পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।
আরজেডির পাশাপাশি মহাজোটের শরিক দলগুলোর অবস্থাও ছিল শোচনীয়। কংগ্রেস এই বিপর্যয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। দলটি এবার ৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। এটি বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ফল (২০১০ সালে ৪টি আসনে জিতেছিল)। জোটের পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে এবার মোট ৬১টি আসন দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ২০২০ সালে তারা ৭০টির মধ্যে ১৯টিতে জিতেছিল। এই চরম অবনতি মহাজোটের সামগ্রিক পরাজয়ের কারণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ছাড়া সিপিআই (এমএল) দুটি, সিপিআই (এম) একটি এবং সিপিআই কোনো আসন পায়নি। সব মিলিয়ে মহাজোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩৫টিতে।
এনডিএ শিবিরের প্রাপ্ত ভোটের হারও এবার বেড়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখল এনডিএ। জোটের শরিক দলগুলোর আসনসংখ্যা এমন:
বিজেপি (বিজেপি) : ৮৯টি
জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) : ৮৫টি
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) (এলজেপি-আরভি) : ১৯টি
হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) : ৫টি
রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) : ৪টি
আসনসংখ্যা কমে গেলেও এনডিএর দুই প্রধান শরিক বিজেপি ও জেডিইউ উভয়েরই ভোটের হার বেড়েছে। বিজেপি এবার ১০১টি আসনে লড়েছে (গতবার ১১০) এবং ভোটের হার ১৯.৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.০৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে জেডিইউ এবার ১০১টি আসনে লড়ে (গতবার ১১৫) ভোটের হার ১৫.৩৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯.২৬ শতাংশে নিয়ে এসেছে।

মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবার বিহারে একটি আসনে জয়ী হয়েছে। রামগড় আসনে তাদের প্রার্থী সতীশ কুমার যাদব নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বিধায়ক অশোক কুমার সিংকে মাত্র ৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রামগড় আসনটি ২০০৫ সাল থেকে আরজেডি এবং বিজেপির মধ্যে পালাবদল করছিল। গত বছর উপনির্বাচনে এই আসনে বিজেপির অশোক কুমার সিং জিতেছিলেন।
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) কেউই আসনের খাতা খুলতে পারেনি।
বিহারে শোচনীয় হারের পর বিরোধী শিবিরের একাধিক শীর্ষ নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী পরাজয়ের পর এক্সে লেখেন, ‘বিহারের লাখ লাখ ভোটার মহাজোটের ওপর যে আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই আশ্চর্যজনক। যে নির্বাচন প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ ছিল না, তাতে আমরা জয় পেতে পারিনি।’ তিনি স্পষ্ট করে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ না তুললেও ইঙ্গিত দেন, এই বৃহত্তর লড়াইটি হলো ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিহারের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং সেই শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব, যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কাজে নিযুক্ত।’ দল বিস্তারিতভাবে ফলাফল পর্যালোচনা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সুনাম এখন সর্বনিম্ন স্তরে। দেশের নাগরিকদের এমন একটি শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রাপ্য, যার নির্বাচন পরিচালনায় বিজয়ী না হওয়া দলগুলোরও আস্থা থাকবে।’
বিহারে এবারের নির্বাচন দুই দফায়—৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এবং ৬৬ শতাংশের বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, এটি ১৯৫১ সালের পর রাজ্যে সর্বোচ্চ। পুরুষ ভোটারদের (৬২.৮ %) তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি (৭১.৬ %) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা গেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টিতে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল। অন্যদিকে বিরোধী শিবির রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন মহাজোট (মহাগঠবন্ধন) মুখ থুবড়ে পড়ল, মাত্র ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে তারা বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে অন্যতম খারাপ ফল করল।
নির্বাচনে চরম বিপর্যয় সত্ত্বেও একটি বিষয়ে আনন্দ করার অবকাশ রয়েছে আরজেডির। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট, যা একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি। এই ভোটের হার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (২০.০৭ %) থেকে ২.৯২ শতাংশ এবং মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) (১৯.২৬ %) থেকে ৩.৭৫ শতাংশ বেশি।
তবে আরজেডির এবারের ভোটের হার গত নির্বাচনের (২০২০) চেয়ে সামান্য কমেছে (২০২০ সালে ছিল ২৩.১১ %)। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে আসনসংখ্যায়। গত নির্বাচনে আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল, যা কোনো একক দলের জন্য সর্বোচ্চ। এবার দলটি ১৪১টি আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ২৫টি। এটি ২০১০ সালের পর আরজেডির দ্বিতীয় বাজে পারফরম্যান্স, যেখানে তারা ২০১০ সালে ২২টি আসনে জিতেছিল।
মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব অবশ্য তাঁর পারিবারিক দুর্গ রাঘোপুর আসনে এনডিএ প্রার্থী সতীশ কুমারকে দীর্ঘ ও উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পর পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।
আরজেডির পাশাপাশি মহাজোটের শরিক দলগুলোর অবস্থাও ছিল শোচনীয়। কংগ্রেস এই বিপর্যয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। দলটি এবার ৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। এটি বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ফল (২০১০ সালে ৪টি আসনে জিতেছিল)। জোটের পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে এবার মোট ৬১টি আসন দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ২০২০ সালে তারা ৭০টির মধ্যে ১৯টিতে জিতেছিল। এই চরম অবনতি মহাজোটের সামগ্রিক পরাজয়ের কারণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ছাড়া সিপিআই (এমএল) দুটি, সিপিআই (এম) একটি এবং সিপিআই কোনো আসন পায়নি। সব মিলিয়ে মহাজোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩৫টিতে।
এনডিএ শিবিরের প্রাপ্ত ভোটের হারও এবার বেড়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখল এনডিএ। জোটের শরিক দলগুলোর আসনসংখ্যা এমন:
বিজেপি (বিজেপি) : ৮৯টি
জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) : ৮৫টি
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) (এলজেপি-আরভি) : ১৯টি
হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) : ৫টি
রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) : ৪টি
আসনসংখ্যা কমে গেলেও এনডিএর দুই প্রধান শরিক বিজেপি ও জেডিইউ উভয়েরই ভোটের হার বেড়েছে। বিজেপি এবার ১০১টি আসনে লড়েছে (গতবার ১১০) এবং ভোটের হার ১৯.৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.০৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে জেডিইউ এবার ১০১টি আসনে লড়ে (গতবার ১১৫) ভোটের হার ১৫.৩৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯.২৬ শতাংশে নিয়ে এসেছে।

মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবার বিহারে একটি আসনে জয়ী হয়েছে। রামগড় আসনে তাদের প্রার্থী সতীশ কুমার যাদব নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বিধায়ক অশোক কুমার সিংকে মাত্র ৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রামগড় আসনটি ২০০৫ সাল থেকে আরজেডি এবং বিজেপির মধ্যে পালাবদল করছিল। গত বছর উপনির্বাচনে এই আসনে বিজেপির অশোক কুমার সিং জিতেছিলেন।
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) কেউই আসনের খাতা খুলতে পারেনি।
বিহারে শোচনীয় হারের পর বিরোধী শিবিরের একাধিক শীর্ষ নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী পরাজয়ের পর এক্সে লেখেন, ‘বিহারের লাখ লাখ ভোটার মহাজোটের ওপর যে আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই আশ্চর্যজনক। যে নির্বাচন প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ ছিল না, তাতে আমরা জয় পেতে পারিনি।’ তিনি স্পষ্ট করে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ না তুললেও ইঙ্গিত দেন, এই বৃহত্তর লড়াইটি হলো ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিহারের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং সেই শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব, যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কাজে নিযুক্ত।’ দল বিস্তারিতভাবে ফলাফল পর্যালোচনা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সুনাম এখন সর্বনিম্ন স্তরে। দেশের নাগরিকদের এমন একটি শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রাপ্য, যার নির্বাচন পরিচালনায় বিজয়ী না হওয়া দলগুলোরও আস্থা থাকবে।’
বিহারে এবারের নির্বাচন দুই দফায়—৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এবং ৬৬ শতাংশের বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, এটি ১৯৫১ সালের পর রাজ্যে সর্বোচ্চ। পুরুষ ভোটারদের (৬২.৮ %) তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি (৭১.৬ %) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা গেছে।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টিতে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল। অন্যদিকে বিরোধী শিবির রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন মহাজোট (মহাগঠবন্ধন) মুখ থুবড়ে পড়ল, মাত্র ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে তারা বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে অন্যতম খারাপ ফল করল।
নির্বাচনে চরম বিপর্যয় সত্ত্বেও একটি বিষয়ে আনন্দ করার অবকাশ রয়েছে আরজেডির। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট, যা একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি। এই ভোটের হার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (২০.০৭ %) থেকে ২.৯২ শতাংশ এবং মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) (১৯.২৬ %) থেকে ৩.৭৫ শতাংশ বেশি।
তবে আরজেডির এবারের ভোটের হার গত নির্বাচনের (২০২০) চেয়ে সামান্য কমেছে (২০২০ সালে ছিল ২৩.১১ %)। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে আসনসংখ্যায়। গত নির্বাচনে আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল, যা কোনো একক দলের জন্য সর্বোচ্চ। এবার দলটি ১৪১টি আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ২৫টি। এটি ২০১০ সালের পর আরজেডির দ্বিতীয় বাজে পারফরম্যান্স, যেখানে তারা ২০১০ সালে ২২টি আসনে জিতেছিল।
মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব অবশ্য তাঁর পারিবারিক দুর্গ রাঘোপুর আসনে এনডিএ প্রার্থী সতীশ কুমারকে দীর্ঘ ও উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পর পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।
আরজেডির পাশাপাশি মহাজোটের শরিক দলগুলোর অবস্থাও ছিল শোচনীয়। কংগ্রেস এই বিপর্যয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। দলটি এবার ৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। এটি বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ফল (২০১০ সালে ৪টি আসনে জিতেছিল)। জোটের পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে এবার মোট ৬১টি আসন দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ২০২০ সালে তারা ৭০টির মধ্যে ১৯টিতে জিতেছিল। এই চরম অবনতি মহাজোটের সামগ্রিক পরাজয়ের কারণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ছাড়া সিপিআই (এমএল) দুটি, সিপিআই (এম) একটি এবং সিপিআই কোনো আসন পায়নি। সব মিলিয়ে মহাজোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩৫টিতে।
এনডিএ শিবিরের প্রাপ্ত ভোটের হারও এবার বেড়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখল এনডিএ। জোটের শরিক দলগুলোর আসনসংখ্যা এমন:
বিজেপি (বিজেপি) : ৮৯টি
জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) : ৮৫টি
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) (এলজেপি-আরভি) : ১৯টি
হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) : ৫টি
রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) : ৪টি
আসনসংখ্যা কমে গেলেও এনডিএর দুই প্রধান শরিক বিজেপি ও জেডিইউ উভয়েরই ভোটের হার বেড়েছে। বিজেপি এবার ১০১টি আসনে লড়েছে (গতবার ১১০) এবং ভোটের হার ১৯.৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.০৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে জেডিইউ এবার ১০১টি আসনে লড়ে (গতবার ১১৫) ভোটের হার ১৫.৩৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯.২৬ শতাংশে নিয়ে এসেছে।

মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবার বিহারে একটি আসনে জয়ী হয়েছে। রামগড় আসনে তাদের প্রার্থী সতীশ কুমার যাদব নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বিধায়ক অশোক কুমার সিংকে মাত্র ৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রামগড় আসনটি ২০০৫ সাল থেকে আরজেডি এবং বিজেপির মধ্যে পালাবদল করছিল। গত বছর উপনির্বাচনে এই আসনে বিজেপির অশোক কুমার সিং জিতেছিলেন।
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) কেউই আসনের খাতা খুলতে পারেনি।
বিহারে শোচনীয় হারের পর বিরোধী শিবিরের একাধিক শীর্ষ নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী পরাজয়ের পর এক্সে লেখেন, ‘বিহারের লাখ লাখ ভোটার মহাজোটের ওপর যে আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই আশ্চর্যজনক। যে নির্বাচন প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ ছিল না, তাতে আমরা জয় পেতে পারিনি।’ তিনি স্পষ্ট করে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ না তুললেও ইঙ্গিত দেন, এই বৃহত্তর লড়াইটি হলো ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিহারের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং সেই শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব, যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কাজে নিযুক্ত।’ দল বিস্তারিতভাবে ফলাফল পর্যালোচনা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সুনাম এখন সর্বনিম্ন স্তরে। দেশের নাগরিকদের এমন একটি শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রাপ্য, যার নির্বাচন পরিচালনায় বিজয়ী না হওয়া দলগুলোরও আস্থা থাকবে।’
বিহারে এবারের নির্বাচন দুই দফায়—৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এবং ৬৬ শতাংশের বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, এটি ১৯৫১ সালের পর রাজ্যে সর্বোচ্চ। পুরুষ ভোটারদের (৬২.৮ %) তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি (৭১.৬ %) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা গেছে।

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবারের মিছিলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবীণ কর্মী ছাড়াও অংশ নেন মিচোয়াকান রাজ্যের নিহত মেয়র কার্লোস মানসোর সমর্থকেরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডে অব দ্য ডেড উৎসবের এক জনসমাগমে তাঁকে গুলিতে হত্যা করা হয়।
মেক্সিকো সিটিতে মুখোশধারী কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাতীয় প্রাসাদের চারপাশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ওই প্রাসাদেই থাকেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
মেক্সিকো সিটির জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাসকেস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটিতে ১০০ পুলিশ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আরও ২০ জন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছে বলে ভাসকেস স্থানীয় গণমাধ্যম মিলেনিওকে জানান। তিনি বলেন, ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক অপরাধের কারণে আটক দেখানো হয়েছে।
মেক্সিকোর দৈনিক এল ইউনিভার্সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রাসাদের সীমানায় ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে জোকালো প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর এলাকা খালি করে দেয় এবং শেষ দলটিকেও ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘জেনারেশন জেড মেক্সিকো’ নামে একটি গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তাদের ‘ঘোষণাপত্রে’ বলা হয়, তারা দলনিরপেক্ষ এবং সহিংসতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স এবং ধনকুবের রিকার্দো সালিনাস প্লিয়েগো বিক্ষোভের পক্ষে প্রকাশ্যে বার্তা দেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের অভিযোগ, ডানপন্থী দলগুলো জেন-জি আন্দোলনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বট ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
এই বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশেও জেন জেড প্রজন্ম বৈষম্য, গণতান্ত্রিক পশ্চাৎপসারণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেপ্টেম্বরে নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারেও একই মাসে বড় বিক্ষোভ হয়। পানির সংকট ও বিদ্যুতের স্থায়ী ঘাটতিতে ক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন সরকারের বৃহত্তর ব্যর্থতা ও দুর্নীতি উন্মোচন করে দেয়। সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতার পর সরকার ভেঙে যায়, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালান এবং নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে।

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবারের মিছিলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবীণ কর্মী ছাড়াও অংশ নেন মিচোয়াকান রাজ্যের নিহত মেয়র কার্লোস মানসোর সমর্থকেরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডে অব দ্য ডেড উৎসবের এক জনসমাগমে তাঁকে গুলিতে হত্যা করা হয়।
মেক্সিকো সিটিতে মুখোশধারী কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাতীয় প্রাসাদের চারপাশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ওই প্রাসাদেই থাকেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
মেক্সিকো সিটির জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাসকেস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটিতে ১০০ পুলিশ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আরও ২০ জন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছে বলে ভাসকেস স্থানীয় গণমাধ্যম মিলেনিওকে জানান। তিনি বলেন, ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক অপরাধের কারণে আটক দেখানো হয়েছে।
মেক্সিকোর দৈনিক এল ইউনিভার্সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রাসাদের সীমানায় ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে জোকালো প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর এলাকা খালি করে দেয় এবং শেষ দলটিকেও ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘জেনারেশন জেড মেক্সিকো’ নামে একটি গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তাদের ‘ঘোষণাপত্রে’ বলা হয়, তারা দলনিরপেক্ষ এবং সহিংসতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স এবং ধনকুবের রিকার্দো সালিনাস প্লিয়েগো বিক্ষোভের পক্ষে প্রকাশ্যে বার্তা দেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের অভিযোগ, ডানপন্থী দলগুলো জেন-জি আন্দোলনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বট ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
এই বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশেও জেন জেড প্রজন্ম বৈষম্য, গণতান্ত্রিক পশ্চাৎপসারণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেপ্টেম্বরে নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারেও একই মাসে বড় বিক্ষোভ হয়। পানির সংকট ও বিদ্যুতের স্থায়ী ঘাটতিতে ক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন সরকারের বৃহত্তর ব্যর্থতা ও দুর্নীতি উন্মোচন করে দেয়। সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতার পর সরকার ভেঙে যায়, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালান এবং নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টি আসনে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
বিস্ফোরণের পরপরই লতিফাবাদ সহকারী কমিশনার সাউদ লুন্দ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। চার-পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ পরে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও চারটি মরদেহ বের করেন। এতে মৃতের সংখ্যা প্রথমে ছয়ে পৌঁছায়। সর্বশেষ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করায় তা বেড়ে সাত হয়েছে।
হায়দরাবাদের মেয়র কাশিফ আলী শোরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে সাউদ লুন্দ জানান, ওই বাড়িতে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যে কক্ষে আতশবাজি বানানো হচ্ছিল, বিস্ফোরণে সেই ঘরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো ঘরটি এবং সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজন ভেতরে কাজ করছিল। আমাদের দল তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।’
বিস্ফোরণের পরই আগুন ধরে যায় এবং ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই সেই ঘরসহ পাশের অন্যান্য অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দল এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র। মুখ্যমন্ত্রী কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও অডিট করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ বলেছেন, বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবহেলা বরদাশত করা হবে না।
এ ধরনের আরেকটি বিস্ফোরণ এর আগে চলতি বছরের আগস্টে করাচির সাদ্দারে একটি আতশবাজির গুদামে হয়েছিল। ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হন, আরও কয়েকজন আহত হন। দোতলা ভবনটিতে আতশবাজির গুদামের পাশাপাশি চিকিৎসাসামগ্রীর দোকানও ছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ আতশবাজি এলোমেলোভাবে ও কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই মজুত করেছিলেন। তাদের অবহেলা ও বেপরোয়া আচরণের কারণেই মূল্যবান জীবনহানি, আহত হওয়ার ঘটনা এবং বড় ধরনের সম্পদহানি ঘটে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের একজন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। আরেকজন, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বিস্ফোরণের পর গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
বিস্ফোরণের পরপরই লতিফাবাদ সহকারী কমিশনার সাউদ লুন্দ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। চার-পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ পরে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও চারটি মরদেহ বের করেন। এতে মৃতের সংখ্যা প্রথমে ছয়ে পৌঁছায়। সর্বশেষ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করায় তা বেড়ে সাত হয়েছে।
হায়দরাবাদের মেয়র কাশিফ আলী শোরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে সাউদ লুন্দ জানান, ওই বাড়িতে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যে কক্ষে আতশবাজি বানানো হচ্ছিল, বিস্ফোরণে সেই ঘরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো ঘরটি এবং সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজন ভেতরে কাজ করছিল। আমাদের দল তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।’
বিস্ফোরণের পরই আগুন ধরে যায় এবং ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই সেই ঘরসহ পাশের অন্যান্য অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দল এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র। মুখ্যমন্ত্রী কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও অডিট করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ বলেছেন, বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবহেলা বরদাশত করা হবে না।
এ ধরনের আরেকটি বিস্ফোরণ এর আগে চলতি বছরের আগস্টে করাচির সাদ্দারে একটি আতশবাজির গুদামে হয়েছিল। ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হন, আরও কয়েকজন আহত হন। দোতলা ভবনটিতে আতশবাজির গুদামের পাশাপাশি চিকিৎসাসামগ্রীর দোকানও ছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ আতশবাজি এলোমেলোভাবে ও কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই মজুত করেছিলেন। তাদের অবহেলা ও বেপরোয়া আচরণের কারণেই মূল্যবান জীবনহানি, আহত হওয়ার ঘটনা এবং বড় ধরনের সম্পদহানি ঘটে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের একজন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। আরেকজন, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বিস্ফোরণের পর গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টি আসনে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল।
১ দিন আগে
মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নিতীশ কুমারের জোট জনগণের ভোট কিনতে ৪০ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দলের প্রথম নির্বাচনে একটিও আসন না পেয়ে পরদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জন সুরাজ পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি উদয় সিং। তিনি দাবি করেন, ওই অর্থ ‘ভোট কেনার উদ্দেশ্যে নানা অনুদান ও মুফতে ঢেলে দেওয়া হয়েছে।’
উদয় সিং বলেন, ‘জুন থেকে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি উড়িয়ে দিয়েছে নিতীশ সরকার। টাকার জোরে জনগণের ভোট কেনার এই খরচ ছিল নজিরহীন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ১৪ হাজার কোটি রুপি পর্যন্ত ভোট কেনার খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’র উদাহরণ তুলে ধরেন, যার আওতায় দুই ধাপের ভোট শুরুর আগে প্রতিটি নারীর ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার রুপি করে পাঠানো হয়। উদয় সিং-এর ভাষায়,
‘জীবনে এই প্রথম দেখলাম ভোটের এক দিন আগ পর্যন্ত টাকা ঢুকেছে, অথচ তখন আদর্শ আচরণবিধি চলছিল। দিন এনে দিন খাওয়া অসংখ্য নারীর ওপর এর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।’
তাঁর দাবি, জনসাধারণের টাকা এমনভাবে না উড়ালে বিজেপি–নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবার বিহারে টিকতেই পারত না। উদয় সিং আরও বলেন, ‘জন সুরাজ পার্টি দুই হাজার রুপি বার্ধক্য ভাতা ঘোষণা করার পরই সরকার তার ভাতাটা ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০০ করল। এর আগেও তো করেনি।’
তাঁর বক্তব্য, দলের অনেক সম্ভাব্য সমর্থক শেষ পর্যন্ত এনডিএকে ভোট দিয়েছেন আরজেডি ক্ষমতায় এলে ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে আসতে পারে—এই ভয়ে। তিনি বলেন,‘আমি বলছি না যে জঙ্গলরাজ ছিল। কিন্তু ভয়টা ছিল। অনেকেই আমাদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভয়ের কারণেই এনডিএকে ভোট দিলেন।’
দলের আরেক নেতা পবন ভার্মাও একই অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, টাকা এসেছে বিশ্বব্যাংকের ২১ হাজার কোটি রুপির একটি প্রকল্প থেকে। ভার্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিহারের সরকারি এখন ৪ লাখ ৬ হাজার কোটি রুপি। দৈনিক সুদের পরিমাণ ৬৩ কোটি। কোষাগার খালি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, ভুলও হতে পারে, নারীদের যে ১০ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছে, তা ওই ২১ হাজার কোটি থেকে এসেছে, যা অন্য প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ১৪ হাজার কোটি রুপি তুলে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘তথ্য ভুল হলে আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, প্রশ্ন দাঁড়ায়—এটা কতটা নৈতিক? আইনের দিক দিয়ে হয়তো কিছু করা যাবে না। সরকার চাইলে টাকা ঘুরিয়ে নিয়ে পরে ব্যাখ্যা দিতে পারে। ব্যাখ্যা আসবেই, তবে সেটা নির্বাচনের পরে।’
এনডিএ কিংবা বিহার সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নিতীশ কুমারের জোট জনগণের ভোট কিনতে ৪০ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দলের প্রথম নির্বাচনে একটিও আসন না পেয়ে পরদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জন সুরাজ পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি উদয় সিং। তিনি দাবি করেন, ওই অর্থ ‘ভোট কেনার উদ্দেশ্যে নানা অনুদান ও মুফতে ঢেলে দেওয়া হয়েছে।’
উদয় সিং বলেন, ‘জুন থেকে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি উড়িয়ে দিয়েছে নিতীশ সরকার। টাকার জোরে জনগণের ভোট কেনার এই খরচ ছিল নজিরহীন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ১৪ হাজার কোটি রুপি পর্যন্ত ভোট কেনার খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’র উদাহরণ তুলে ধরেন, যার আওতায় দুই ধাপের ভোট শুরুর আগে প্রতিটি নারীর ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার রুপি করে পাঠানো হয়। উদয় সিং-এর ভাষায়,
‘জীবনে এই প্রথম দেখলাম ভোটের এক দিন আগ পর্যন্ত টাকা ঢুকেছে, অথচ তখন আদর্শ আচরণবিধি চলছিল। দিন এনে দিন খাওয়া অসংখ্য নারীর ওপর এর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।’
তাঁর দাবি, জনসাধারণের টাকা এমনভাবে না উড়ালে বিজেপি–নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবার বিহারে টিকতেই পারত না। উদয় সিং আরও বলেন, ‘জন সুরাজ পার্টি দুই হাজার রুপি বার্ধক্য ভাতা ঘোষণা করার পরই সরকার তার ভাতাটা ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০০ করল। এর আগেও তো করেনি।’
তাঁর বক্তব্য, দলের অনেক সম্ভাব্য সমর্থক শেষ পর্যন্ত এনডিএকে ভোট দিয়েছেন আরজেডি ক্ষমতায় এলে ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে আসতে পারে—এই ভয়ে। তিনি বলেন,‘আমি বলছি না যে জঙ্গলরাজ ছিল। কিন্তু ভয়টা ছিল। অনেকেই আমাদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভয়ের কারণেই এনডিএকে ভোট দিলেন।’
দলের আরেক নেতা পবন ভার্মাও একই অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, টাকা এসেছে বিশ্বব্যাংকের ২১ হাজার কোটি রুপির একটি প্রকল্প থেকে। ভার্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিহারের সরকারি এখন ৪ লাখ ৬ হাজার কোটি রুপি। দৈনিক সুদের পরিমাণ ৬৩ কোটি। কোষাগার খালি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, ভুলও হতে পারে, নারীদের যে ১০ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছে, তা ওই ২১ হাজার কোটি থেকে এসেছে, যা অন্য প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ১৪ হাজার কোটি রুপি তুলে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘তথ্য ভুল হলে আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, প্রশ্ন দাঁড়ায়—এটা কতটা নৈতিক? আইনের দিক দিয়ে হয়তো কিছু করা যাবে না। সরকার চাইলে টাকা ঘুরিয়ে নিয়ে পরে ব্যাখ্যা দিতে পারে। ব্যাখ্যা আসবেই, তবে সেটা নির্বাচনের পরে।’
এনডিএ কিংবা বিহার সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টি আসনে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল।
১ দিন আগে
মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাসদস্যরা অ্যাসল্ট রাইফেল ও রকেটচালিত গ্রেনেড হাতে কাজকিল ও উম দাম হাজ আহমেদ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখলের পর উদযাপন করছে। উত্তর করদোফান রাজ্যের এসব এলাকাতেই সামনের সপ্তাহগুলোতে তীব্র লড়াই চলার আশঙ্কা রয়েছে।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে আরএসএফ–এর দখলে যাওয়া কাজকিল এলাকা এল–ওবেইদের দক্ষিণে অবস্থিত। রাজ্যের এই কৌশলগত রাজধানী দখলের চেষ্টা করছে আরএসএফ।
এই লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের উত্তরাঞ্চলজুড়ে। তৃতীয় বছরে গড়ানো এই নির্মম গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর অস্ত্রসহায়তাও আগুনে ঘি ঢালছে।
জাতিসংঘ বলছে, এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। নিহত–আহতের সংখ্যা কয়েক দশ হাজার ছুঁয়েছে। দেশটির বেশ কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরএসএফ গত সপ্তাহে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। এর আগে এল–ফাশারে আরএসএফ–এর নৃশংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দা আসে। এল–ফাশার পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী।
তবে বর্তমান যুদ্ধরেখার মধ্যে সেনাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দুই পক্ষই দেশের মধ্যাঞ্চলে নতুন করে সেনা ও অস্ত্র জড়ো করছে, যাতে আরও বড় সংঘর্ষে নামা যায়।
আরএসএফ গত মাসের শেষ দিকে এল–ফাশার দখলের পাশাপাশি কর্ডোফান অঞ্চলেও হামলা চালায়। তখনই তারা নর্থ কর্ডোফানের বারাহ শহর দখল করে, যা দারফুর ও মধ্য সুদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। মাত্র দুই মাস আগেই সেনাবাহিনী ওই শহর পুনর্দখল করেছিল।

সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাসদস্যরা অ্যাসল্ট রাইফেল ও রকেটচালিত গ্রেনেড হাতে কাজকিল ও উম দাম হাজ আহমেদ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখলের পর উদযাপন করছে। উত্তর করদোফান রাজ্যের এসব এলাকাতেই সামনের সপ্তাহগুলোতে তীব্র লড়াই চলার আশঙ্কা রয়েছে।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে আরএসএফ–এর দখলে যাওয়া কাজকিল এলাকা এল–ওবেইদের দক্ষিণে অবস্থিত। রাজ্যের এই কৌশলগত রাজধানী দখলের চেষ্টা করছে আরএসএফ।
এই লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের উত্তরাঞ্চলজুড়ে। তৃতীয় বছরে গড়ানো এই নির্মম গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর অস্ত্রসহায়তাও আগুনে ঘি ঢালছে।
জাতিসংঘ বলছে, এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। নিহত–আহতের সংখ্যা কয়েক দশ হাজার ছুঁয়েছে। দেশটির বেশ কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরএসএফ গত সপ্তাহে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। এর আগে এল–ফাশারে আরএসএফ–এর নৃশংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দা আসে। এল–ফাশার পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী।
তবে বর্তমান যুদ্ধরেখার মধ্যে সেনাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দুই পক্ষই দেশের মধ্যাঞ্চলে নতুন করে সেনা ও অস্ত্র জড়ো করছে, যাতে আরও বড় সংঘর্ষে নামা যায়।
আরএসএফ গত মাসের শেষ দিকে এল–ফাশার দখলের পাশাপাশি কর্ডোফান অঞ্চলেও হামলা চালায়। তখনই তারা নর্থ কর্ডোফানের বারাহ শহর দখল করে, যা দারফুর ও মধ্য সুদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। মাত্র দুই মাস আগেই সেনাবাহিনী ওই শহর পুনর্দখল করেছিল।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ২০২টি আসনে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখল।
১ দিন আগে
মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে