
ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য জোটের সঙ্গীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব ও সমন্বয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মমতা বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট আমি গঠন করেছিলাম। এখন যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁদেরই এটি সামলাতে হবে। যদি তাঁরা সামলাতে না পারেন, আমি কী করতে পারি? আমি শুধু বলব, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’
জোট সেভাবে একজোট হতে পারছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জোট রাখতে পারছে না তো আমি কী করব? আমি এই ফ্রন্টকে নেতৃত্ব দিই না। যারা নেতা, তাদের এটা দেখা উচিত। তবে আমার সঙ্গে সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। আমি সেই সম্পর্ক বজায় রেখেছি।’
জোটের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিকমতো পছন্দ করেন না। তিনি বলেন, ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। অনেকেই আমাকে দেখতেই পারে না।’
কেন তিনি নিজে জোটের নেতৃত্ব গ্রহণ করেননি—এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পেলে এটুকু বলতে পারি... যদিও আমি তা চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি, শেষনিশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। কারণ, বাংলাকে আমি এতটাই ভালোবাসি। কিন্তু এটুকু আমি মনে করি, এখানে বসেও আমি এটা (ইন্ডিয়া জোট) চালিয়ে দিতে পারি।’
সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোট ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই জোটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। বিশেষ করে সংসদের অধিবেশনের সময় যেভাবে ইন্ডিয়া জোটকে এড়িয়ে আম আদমি পার্টি বা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখান থেকেই কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিল তাহলে কি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে! সর্বশেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হলো, জোট নেতৃত্বের আচরণ তিনি ভালোভাবে দেখছেন না।
মহারাষ্ট্র নির্বাচন নিয়েও মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘বিজেপির কাজই হলো দেশে বিভাজন তৈরি করা। ভোটে হারের জন্য ভুল অনেকের রয়েছে। ভোট কাটাকাটিও একটা বড় ঘটনা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মহারাষ্ট্রে সুতোর ওপরে ঝুলছে বিজেপি। দল ভেঙে যাঁদের নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের দুটো গ্রুপের সমর্থনে আপাতত সরকার চালাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব, এই সরকার কতদিন টিকবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’
তাঁর এই মন্তব্য নেতৃত্বে আগ্রহের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে বলে অনেকে মনে করলেও তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
কুণিল ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনো বলেননি যে তিনি নেতৃত্ব চান। তিনি বলেছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী জোট প্রয়োজন, তাই তিনি ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছিলেন। তাঁর অগ্রাধিকার পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লির কোনো পদে তাঁর আগ্রহ নেই। যদি ইন্ডিয়া জোট তাঁর নেতৃত্ব চায়, তবে তিনি কলকাতা থেকেই এটি করবেন।’
মমতার মন্তব্য নিয়ে জোটের অন্য নেতারাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সিপিআইয়ের (এম) নেতা ডি রাজা বলেন, ‘তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা আমি জানি না। এক্সিট পোলের পর ইন্ডিয়া জোটের মাত্র একটি বৈঠক হয়েছে। এটি সত্য। তবে ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্যটি বোঝা জরুরি—সেটি “দেশ বাঁচাও, বিজেপি হটাও।” তবে সব রাজ্যের পরিস্থিতি একরকম নয়।’
ইন্ডিয়া জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেস মমতার মন্তব্যে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা টি এস সিংহদেও বলেছেন, ‘তাঁর নিজস্ব মতামত ও উদ্দেশ্য রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া জোটের সদস্য। যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন, তা সবাই মিলে বসেই হবে।’
কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি বলেন, ‘নীতিশ কুমারও ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে এত বড় একটি জোটে নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া যায় না। এটি দলগুলোর মধ্যে আলোচনা ও ঐকমতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। জোটের নেতৃত্ব বা আহ্বায়ক কে হবেন, তা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটি কোনো ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়।’
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে তিনি আরও বলেন, ‘জোটের মধ্যে নেতৃত্বের প্রশ্নে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। এটি কোনো একক ব্যক্তির সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’
এই বিষয়ে কংগ্রেসের আরেক নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট বহু দলের সমন্বয়ে গঠিত। নেতৃত্ব নিয়ে সব সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে।’
কংগ্রেস সংসদ সদস্য তনুজ পুনিয়া বলেন, ‘এই বিষয়টি বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এটি গণমাধ্যমে আলোচনার বিষয় নয়। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো প্রস্তাব দেন, তবে তা জোটের সদস্যদের আলোচনায় উপস্থাপন করা উচিত।’
কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানালেও সমাজবাদী পার্টির নেতা উদয়বীর সিংহ তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অভিজ্ঞ নেতা। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরা তা সমর্থন করব।’
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী অবস্থান ইন্ডিয়া জোটে দলটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করে তৃণমূল তাঁদের শক্তি আরও দৃঢ় করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তিশালী বিজেপিবিরোধী নেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান আরও সুসংহত করেছেন। তবে জোটের অভ্যন্তরীণ মতভেদ ও সমন্বয়ের অভাব কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি সম্প্রতি কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, নিজেদের অহং ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
বিজেপির আধিপত্য মোকাবিলা করতে প্রায় দুই ডজন বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় ইন্ডিয়া জোট। তবে অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং নেতাদের মধ্যকার নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা জোটের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর প্রভাব হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলে পড়েছে।

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য জোটের সঙ্গীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব ও সমন্বয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মমতা বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট আমি গঠন করেছিলাম। এখন যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁদেরই এটি সামলাতে হবে। যদি তাঁরা সামলাতে না পারেন, আমি কী করতে পারি? আমি শুধু বলব, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’
জোট সেভাবে একজোট হতে পারছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জোট রাখতে পারছে না তো আমি কী করব? আমি এই ফ্রন্টকে নেতৃত্ব দিই না। যারা নেতা, তাদের এটা দেখা উচিত। তবে আমার সঙ্গে সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। আমি সেই সম্পর্ক বজায় রেখেছি।’
জোটের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিকমতো পছন্দ করেন না। তিনি বলেন, ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। অনেকেই আমাকে দেখতেই পারে না।’
কেন তিনি নিজে জোটের নেতৃত্ব গ্রহণ করেননি—এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পেলে এটুকু বলতে পারি... যদিও আমি তা চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি, শেষনিশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। কারণ, বাংলাকে আমি এতটাই ভালোবাসি। কিন্তু এটুকু আমি মনে করি, এখানে বসেও আমি এটা (ইন্ডিয়া জোট) চালিয়ে দিতে পারি।’
সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোট ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই জোটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। বিশেষ করে সংসদের অধিবেশনের সময় যেভাবে ইন্ডিয়া জোটকে এড়িয়ে আম আদমি পার্টি বা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখান থেকেই কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিল তাহলে কি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে! সর্বশেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হলো, জোট নেতৃত্বের আচরণ তিনি ভালোভাবে দেখছেন না।
মহারাষ্ট্র নির্বাচন নিয়েও মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘বিজেপির কাজই হলো দেশে বিভাজন তৈরি করা। ভোটে হারের জন্য ভুল অনেকের রয়েছে। ভোট কাটাকাটিও একটা বড় ঘটনা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মহারাষ্ট্রে সুতোর ওপরে ঝুলছে বিজেপি। দল ভেঙে যাঁদের নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের দুটো গ্রুপের সমর্থনে আপাতত সরকার চালাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব, এই সরকার কতদিন টিকবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’
তাঁর এই মন্তব্য নেতৃত্বে আগ্রহের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে বলে অনেকে মনে করলেও তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
কুণিল ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনো বলেননি যে তিনি নেতৃত্ব চান। তিনি বলেছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী জোট প্রয়োজন, তাই তিনি ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছিলেন। তাঁর অগ্রাধিকার পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লির কোনো পদে তাঁর আগ্রহ নেই। যদি ইন্ডিয়া জোট তাঁর নেতৃত্ব চায়, তবে তিনি কলকাতা থেকেই এটি করবেন।’
মমতার মন্তব্য নিয়ে জোটের অন্য নেতারাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সিপিআইয়ের (এম) নেতা ডি রাজা বলেন, ‘তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা আমি জানি না। এক্সিট পোলের পর ইন্ডিয়া জোটের মাত্র একটি বৈঠক হয়েছে। এটি সত্য। তবে ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্যটি বোঝা জরুরি—সেটি “দেশ বাঁচাও, বিজেপি হটাও।” তবে সব রাজ্যের পরিস্থিতি একরকম নয়।’
ইন্ডিয়া জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেস মমতার মন্তব্যে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা টি এস সিংহদেও বলেছেন, ‘তাঁর নিজস্ব মতামত ও উদ্দেশ্য রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া জোটের সদস্য। যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন, তা সবাই মিলে বসেই হবে।’
কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি বলেন, ‘নীতিশ কুমারও ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে এত বড় একটি জোটে নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া যায় না। এটি দলগুলোর মধ্যে আলোচনা ও ঐকমতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। জোটের নেতৃত্ব বা আহ্বায়ক কে হবেন, তা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটি কোনো ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়।’
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে তিনি আরও বলেন, ‘জোটের মধ্যে নেতৃত্বের প্রশ্নে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। এটি কোনো একক ব্যক্তির সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’
এই বিষয়ে কংগ্রেসের আরেক নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট বহু দলের সমন্বয়ে গঠিত। নেতৃত্ব নিয়ে সব সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে।’
কংগ্রেস সংসদ সদস্য তনুজ পুনিয়া বলেন, ‘এই বিষয়টি বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এটি গণমাধ্যমে আলোচনার বিষয় নয়। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো প্রস্তাব দেন, তবে তা জোটের সদস্যদের আলোচনায় উপস্থাপন করা উচিত।’
কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানালেও সমাজবাদী পার্টির নেতা উদয়বীর সিংহ তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অভিজ্ঞ নেতা। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরা তা সমর্থন করব।’
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী অবস্থান ইন্ডিয়া জোটে দলটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করে তৃণমূল তাঁদের শক্তি আরও দৃঢ় করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তিশালী বিজেপিবিরোধী নেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান আরও সুসংহত করেছেন। তবে জোটের অভ্যন্তরীণ মতভেদ ও সমন্বয়ের অভাব কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি সম্প্রতি কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, নিজেদের অহং ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
বিজেপির আধিপত্য মোকাবিলা করতে প্রায় দুই ডজন বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় ইন্ডিয়া জোট। তবে অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং নেতাদের মধ্যকার নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা জোটের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর প্রভাব হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলে পড়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমীড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ—যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমীড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমীড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ—যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমীড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য জোটের সঙ্গীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব ও সমন্বয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য জোটের সঙ্গীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব ও সমন্বয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের হাতে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আইনি জটিলতা নিয়ে তাঁর করা পোস্টগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তিনি ইলন মাস্ককে তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘দৃশ্যমানতা ফিল্টারিং’ (visibility filtering) নামে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জেমিমা বলেন, তাঁর ছেলেদের তাদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমরান খানকে ২২ মাস ধরে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই নেতা একজন মৌলিক মানবিক অধিকারহীন রাজনৈতিক বন্দী—এই কথা বিশ্বকে জানানোর জন্য এক্সই তাঁর কাছে একমাত্র জায়গা। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর পোস্টের ‘রিচ’ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আপনি বাক্স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা, কিন্তু কেউ শুনতে পাবে না, এমনটি নয়।’
A personal plea to @elonmusk
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) December 12, 2025
My two sons have not been allowed to see or speak to their father Imran Khan who has been held unlawfully (acc to the UN) for 22 months of solitary confinement.
X is the only place left where we can still tell the world he is a political prisoner...
এর আগেও জেমিমা অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তাঁর ছেলেদের বাবার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ইমরান খানের প্রতি হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তাঁর বোন আলিমা খানও গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আট মাস ধরে এখানে আসছি। প্রতি মঙ্গলবার আমরা এখানে এসে বসে থাকি। আমাদের ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা তাকে নির্যাতন করছে। তাকে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তাদের উচিত ইমরান খানের ওপর এই নির্যাতন বন্ধ করা।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খানকে ইচ্ছেমতো আটক রাখার কারণে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিল। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইমরান খানের কারাদণ্ড স্পষ্টতই তাঁকে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের হাতে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আইনি জটিলতা নিয়ে তাঁর করা পোস্টগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তিনি ইলন মাস্ককে তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘দৃশ্যমানতা ফিল্টারিং’ (visibility filtering) নামে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জেমিমা বলেন, তাঁর ছেলেদের তাদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমরান খানকে ২২ মাস ধরে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই নেতা একজন মৌলিক মানবিক অধিকারহীন রাজনৈতিক বন্দী—এই কথা বিশ্বকে জানানোর জন্য এক্সই তাঁর কাছে একমাত্র জায়গা। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর পোস্টের ‘রিচ’ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আপনি বাক্স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা, কিন্তু কেউ শুনতে পাবে না, এমনটি নয়।’
A personal plea to @elonmusk
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) December 12, 2025
My two sons have not been allowed to see or speak to their father Imran Khan who has been held unlawfully (acc to the UN) for 22 months of solitary confinement.
X is the only place left where we can still tell the world he is a political prisoner...
এর আগেও জেমিমা অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তাঁর ছেলেদের বাবার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ইমরান খানের প্রতি হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তাঁর বোন আলিমা খানও গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আট মাস ধরে এখানে আসছি। প্রতি মঙ্গলবার আমরা এখানে এসে বসে থাকি। আমাদের ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা তাকে নির্যাতন করছে। তাকে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তাদের উচিত ইমরান খানের ওপর এই নির্যাতন বন্ধ করা।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খানকে ইচ্ছেমতো আটক রাখার কারণে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিল। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইমরান খানের কারাদণ্ড স্পষ্টতই তাঁকে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য জোটের সঙ্গীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব ও সমন্বয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়। সেই এস্টেট থেকে হাউস ওভারসাইট কমিটি ৯৫ হাজার ছবি হাতে পেয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ১৯টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে কোনো ক্যাপশন বা প্রেক্ষাপট না থাকলেও এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাদা-কালো ছবিতে তাঁকে ছয়জন নারীর সঙ্গে দেখা গেছে। যদিও ট্রাম্প একসময় এপস্টাইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবে যৌন পাচারের অভিযোগ ওঠার অনেক আগেই তিনি এপস্টাইন থেকে দূরত্ব তৈরি করেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া ছবিগুলোতে স্টিভ ব্যানন, বিল গেটস, রিচার্ড ব্র্যানসন, হার্ভার্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ল্যারি সামারস এবং আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ-সহ আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দেখা গেছে। অন্য একটি ছবিতে ট্রাম্পের ক্যারিক্যাচার (ব্যঙ্গচিত্র) এবং ‘I’m HUUUUGE!’ লেখাসহ কনডমের একটি বাটি দেখা যায়, যার পাশে ‘$ 4.50’ মূল্যের একটি সাইনও রয়েছে।
এর আগে অবশ্য এপস্টাইনের ব্যক্তিগত জেটে ভ্রমণ করার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তবে তাঁর মুখপাত্রের মাধ্যমে তিনি জানান, এপস্টাইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। অন্যদিকে এপস্টাইনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর রাজকীয় উপাধি ও বিশেষাধিকার হারিয়েছেন; যদিও তিনি কোনো ভুল করার কথা অস্বীকার করেছেন।
ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছে, বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত মামলার নথিপত্রের বাইরে এই ছবিগুলো প্রকাশের ফলে এপস্টাইন তদন্তে নথি প্রকাশে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অনীহার বিপরীতে চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।
ওভারসাইট কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসের এই লুকোচুরির সমাপ্তি ঘটানোর এবং জেফরি এপস্টাইন ও তাঁর ক্ষমতাধর বন্ধুদের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সময় এসেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ছবিগুলো এপস্টাইন এবং বিশ্বের কিছু ক্ষমতাধর পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে। আমরা সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত থামব না। বিচার বিভাগকে অবিলম্বে সব নথি প্রকাশ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি ইতিমধ্যে এপস্টাইন এস্টেট থেকে পাওয়া হাজার হাজার নথি, ই-মেইল এবং কথোপকথন প্রকাশ করেছে। সেই ই-মেইলগুলোতে এপস্টাইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প এপস্টাইনের অন্যতম প্রধান অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া জিওফ্রির (প্রয়াত) সঙ্গে ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন’। ট্রাম্প ‘মেয়েদের সম্পর্কে জানতেন’। যদিও তরুণীদের প্রলুব্ধ করে বেআইনি কাজে ব্যবহার করার কারণে এপস্টাইনকে তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়। সেই এস্টেট থেকে হাউস ওভারসাইট কমিটি ৯৫ হাজার ছবি হাতে পেয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ১৯টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে কোনো ক্যাপশন বা প্রেক্ষাপট না থাকলেও এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাদা-কালো ছবিতে তাঁকে ছয়জন নারীর সঙ্গে দেখা গেছে। যদিও ট্রাম্প একসময় এপস্টাইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবে যৌন পাচারের অভিযোগ ওঠার অনেক আগেই তিনি এপস্টাইন থেকে দূরত্ব তৈরি করেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া ছবিগুলোতে স্টিভ ব্যানন, বিল গেটস, রিচার্ড ব্র্যানসন, হার্ভার্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ল্যারি সামারস এবং আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ-সহ আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দেখা গেছে। অন্য একটি ছবিতে ট্রাম্পের ক্যারিক্যাচার (ব্যঙ্গচিত্র) এবং ‘I’m HUUUUGE!’ লেখাসহ কনডমের একটি বাটি দেখা যায়, যার পাশে ‘$ 4.50’ মূল্যের একটি সাইনও রয়েছে।
এর আগে অবশ্য এপস্টাইনের ব্যক্তিগত জেটে ভ্রমণ করার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তবে তাঁর মুখপাত্রের মাধ্যমে তিনি জানান, এপস্টাইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। অন্যদিকে এপস্টাইনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর রাজকীয় উপাধি ও বিশেষাধিকার হারিয়েছেন; যদিও তিনি কোনো ভুল করার কথা অস্বীকার করেছেন।
ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছে, বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত মামলার নথিপত্রের বাইরে এই ছবিগুলো প্রকাশের ফলে এপস্টাইন তদন্তে নথি প্রকাশে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অনীহার বিপরীতে চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।
ওভারসাইট কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসের এই লুকোচুরির সমাপ্তি ঘটানোর এবং জেফরি এপস্টাইন ও তাঁর ক্ষমতাধর বন্ধুদের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সময় এসেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ছবিগুলো এপস্টাইন এবং বিশ্বের কিছু ক্ষমতাধর পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে। আমরা সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত থামব না। বিচার বিভাগকে অবিলম্বে সব নথি প্রকাশ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি ইতিমধ্যে এপস্টাইন এস্টেট থেকে পাওয়া হাজার হাজার নথি, ই-মেইল এবং কথোপকথন প্রকাশ করেছে। সেই ই-মেইলগুলোতে এপস্টাইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প এপস্টাইনের অন্যতম প্রধান অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া জিওফ্রির (প্রয়াত) সঙ্গে ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন’। ট্রাম্প ‘মেয়েদের সম্পর্কে জানতেন’। যদিও তরুণীদের প্রলুব্ধ করে বেআইনি কাজে ব্যবহার করার কারণে এপস্টাইনকে তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য জোটের সঙ্গীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব ও সমন্বয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে