Ajker Patrika

বিড়াল হত্যাকারীকে সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ায় উত্তাল তুরস্ক 

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২: ২১
বিড়াল হত্যাকারীকে সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ায় উত্তাল তুরস্ক 

চলতি বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তুরস্কের প্রাচীন নগরী ইস্তাম্বুলে বেওয়ারিশ এক বিড়ালকে হত্যা করেছিলেন ইব্রাহিম কে নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ভালো আচরণের কারণে তাঁকে আগেভাগেই মুক্তি দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে পুরো তুরস্ক। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম মুক্তি পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তুরস্ক। দেশটির জনগণের বড় একটি অংশই তাঁকে আবারও কারাগারে ঢোকানোর পক্ষে। এ নিয়ে এরই মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ একটি আবেদনে সই করেছেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও আগ্রহ দেখিয়েছেন। 

গত ১ জানুয়ারি, ইব্রাহিম ইস্তাম্বুলের একটি ভবনের লবিতে একটি বেওয়ারিশ বিড়ালকে লাথি দিয়ে হত্যা করেন। বিড়ালটিকে সেই ভবন ও আশপাশের ভবনের লোকেরা খাওয়াত। বিড়ালটিকে আদর করে সবাই এরোস বলে ডাকত। যাই হোক, এরোসকে হত্যার পুরো ভিডিও ধরা পড়ে সেই লবিতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায়। 

পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ইব্রাহিমকে আদালত ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেন। কিছুদিন আগে ভালো আচরণের জন্য তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি পছন্দ হয়নি প্রাণী নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন গোষ্ঠীর। তাদের আহ্বানে তুরস্কজুড়ে বিষয়টি আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। 

পরে ইব্রাহিমকে আবারও জেলে নিতে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ব্যক্তি একটি আবেদনে সই করেছেন। ইব্রাহিম কের মুক্তির পর জনতা ফুঁসে উঠলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেও বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির আইনমন্ত্রী। পরে গত বুধবার ইব্রাহিমকে আবারও আদালতে ওঠানো হয়। 
 
পরে আদালত ইব্রাহিমের সাজা আরও এক বছর বাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেননি। তবে প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীগুলোর দাবি, ইব্রাহিমকে অন্তত চার বছর কারাদণ্ড দেওয়ার কথা তুরস্কের আইন অনুসারে। আর তাই তারা ইব্রাহিমের সাজার ব্যাপারে আপিল করবে। 

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরোসের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এক্সে জাস্টিসফরএরোস নামে হ্যাশট্যাগ এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনকি তুরস্কের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোও বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। 

এ ছাড়া, আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার ও তুর্কি ফুটবল ক্লাব ইস্তাম্বুল জায়ান্টসের স্ট্রাইকার মাওরো ইকার্দিসহ অনেক তারকাই এরোস হত্যার বিচার দাবি করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত