অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাতে সাইপ্রাসে অবস্থিত ব্রিটিশ ঘাঁটি ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সাইপ্রাস।
প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোদোলাইদসের বিরুদ্ধে মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, দ্বীপরাষ্ট্রটির কৌশলগত স্থাপনাগুলো সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা অব্যাহত থাকলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে পূর্বের দেশটি যে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, ওই বিষয় দেখেও না দেখার ভান করছেন প্রেসিডেন্ট।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে প্রথম দফা বিমান হামলার আগে ইয়েমেনে আসন্ন সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
গ্রিক বংশোদ্ভূত সাইপ্রিয়ট শান্তিরক্ষীকর্মী তাসোস কস্তিয়াস গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই আরও বেশি যুদ্ধবিমান আকাশে উড়ছে। সাইপ্রাস লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠার ঝুঁকি স্পষ্ট।’
কয়েক দশকের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৬০ সালে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে। এর পরও ব্রিটিশরা সেখানে দুটি সামরিক স্থাপনা দখলে রাখে, যা প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উভয়ই ৯৮ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত, যা সাইপ্রাসের স্থলভাগের ৩ শতাংশ।
এ তথ্য কখনো নিশ্চিত করা না হলেও রাজধানী নিকোশিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরা বলেন, সামরিক ঘাঁটিগুলোতে এখন মার্কিন বাহিনী উপস্থিত রয়েছে। একজন কূটনীতিক বলেন, ‘আপনি যদি আক্রোতিরির বেড়ার ওপারে তাকান তবে মার্কিন সামরিক নজরদারি এবং অন্যান্য উড়োজাহাজ দেখতে পাবেন।’
গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সাইপ্রাস সরকারের মুখপাত্র কনস্তান্তিনোস লেতিম্বায়োতিস বলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপটি কোনো সামরিক অভিযানে জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, ঘাঁটি স্থাপন চুক্তির অধীনে যুক্তরাজ্য সাইপ্রিয়ট কর্তৃপক্ষকে স্থাপনাগুলোতে কী কী হচ্ছে সে সম্পর্কে জানাতে বাধ্য নয়।
ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাতে সাইপ্রাসের রয়্যাল এয়ারফোর্স (আরএএফ) আক্রোতিরির ঘাঁটি ব্যবহার করার পর থেকেই সাইপ্রাসে বিক্ষোভের শুরু হয়। লোহিত সাগরে যাতায়াতকারী বাণিজ্য জাহাজে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য ইয়েমেনে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি দেশগুলোর। ফিলিস্তিনপন্থী এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি, তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলের সহিংসতার জবাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি হুতিদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র গ্রিসের বাণিজ্য জাহাজে আঘাত হেনেছে।
সাইপ্রাসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস গতকাল শুক্রবার সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। তিনি বলেন, ‘আমরা সাইপ্রাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব করতে চাই। আমরা জানি আপনারা বিপজ্জনক অবস্থানে আছেন এবং আমরাও পরিস্থিতি সহজ করে তোলার জন্য সম্ভাব্য সব করতে চাই।’ তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে হুতিদের পক্ষ থেকে সাইপ্রাসের জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই।
সাইপ্রাসের শান্তিরক্ষী কর্মীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে সামরিক সাহায্য পাঠাতে ব্রিটিশ ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করতে পারে। তবে কোনো দেশই এ দাবি নিশ্চিত করেনি।
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের দিকে টেনে নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এদিকে প্রয়োজনে বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে ওয়াশিংটন ও লন্ডন।
গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিক্ষোভকারীরা আরএএফ আক্রোতিরির প্রবেশমুখে সমবেত হয় এবং ‘মৃত্যুঘাঁটি থেকে বের হও’ বলে স্লোগান দেয়।
সাইপ্রাস শান্তি পরিষদের সভাপতি তাসোস কস্তিয়াস বলেন, ‘সহজ কথা, আমরা চাই না আমাদের দেশ এমন এক যুদ্ধে ব্যবহৃত হোক, যেখানে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার বেশির ভাগই হলো নারী ও শিশু। আমরা জানি সংঘাত মানে কি। ৫০ বছর আগে যুদ্ধে সাইপ্রাসও বিভক্ত হয়েছে।’
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাতে সাইপ্রাসে অবস্থিত ব্রিটিশ ঘাঁটি ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সাইপ্রাস।
প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোদোলাইদসের বিরুদ্ধে মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, দ্বীপরাষ্ট্রটির কৌশলগত স্থাপনাগুলো সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা অব্যাহত থাকলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে পূর্বের দেশটি যে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, ওই বিষয় দেখেও না দেখার ভান করছেন প্রেসিডেন্ট।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে প্রথম দফা বিমান হামলার আগে ইয়েমেনে আসন্ন সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
গ্রিক বংশোদ্ভূত সাইপ্রিয়ট শান্তিরক্ষীকর্মী তাসোস কস্তিয়াস গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই আরও বেশি যুদ্ধবিমান আকাশে উড়ছে। সাইপ্রাস লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠার ঝুঁকি স্পষ্ট।’
কয়েক দশকের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৬০ সালে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে। এর পরও ব্রিটিশরা সেখানে দুটি সামরিক স্থাপনা দখলে রাখে, যা প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উভয়ই ৯৮ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত, যা সাইপ্রাসের স্থলভাগের ৩ শতাংশ।
এ তথ্য কখনো নিশ্চিত করা না হলেও রাজধানী নিকোশিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরা বলেন, সামরিক ঘাঁটিগুলোতে এখন মার্কিন বাহিনী উপস্থিত রয়েছে। একজন কূটনীতিক বলেন, ‘আপনি যদি আক্রোতিরির বেড়ার ওপারে তাকান তবে মার্কিন সামরিক নজরদারি এবং অন্যান্য উড়োজাহাজ দেখতে পাবেন।’
গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সাইপ্রাস সরকারের মুখপাত্র কনস্তান্তিনোস লেতিম্বায়োতিস বলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপটি কোনো সামরিক অভিযানে জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, ঘাঁটি স্থাপন চুক্তির অধীনে যুক্তরাজ্য সাইপ্রিয়ট কর্তৃপক্ষকে স্থাপনাগুলোতে কী কী হচ্ছে সে সম্পর্কে জানাতে বাধ্য নয়।
ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাতে সাইপ্রাসের রয়্যাল এয়ারফোর্স (আরএএফ) আক্রোতিরির ঘাঁটি ব্যবহার করার পর থেকেই সাইপ্রাসে বিক্ষোভের শুরু হয়। লোহিত সাগরে যাতায়াতকারী বাণিজ্য জাহাজে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য ইয়েমেনে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি দেশগুলোর। ফিলিস্তিনপন্থী এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি, তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলের সহিংসতার জবাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি হুতিদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র গ্রিসের বাণিজ্য জাহাজে আঘাত হেনেছে।
সাইপ্রাসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস গতকাল শুক্রবার সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। তিনি বলেন, ‘আমরা সাইপ্রাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব করতে চাই। আমরা জানি আপনারা বিপজ্জনক অবস্থানে আছেন এবং আমরাও পরিস্থিতি সহজ করে তোলার জন্য সম্ভাব্য সব করতে চাই।’ তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে হুতিদের পক্ষ থেকে সাইপ্রাসের জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই।
সাইপ্রাসের শান্তিরক্ষী কর্মীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে সামরিক সাহায্য পাঠাতে ব্রিটিশ ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করতে পারে। তবে কোনো দেশই এ দাবি নিশ্চিত করেনি।
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের দিকে টেনে নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এদিকে প্রয়োজনে বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে ওয়াশিংটন ও লন্ডন।
গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিক্ষোভকারীরা আরএএফ আক্রোতিরির প্রবেশমুখে সমবেত হয় এবং ‘মৃত্যুঘাঁটি থেকে বের হও’ বলে স্লোগান দেয়।
সাইপ্রাস শান্তি পরিষদের সভাপতি তাসোস কস্তিয়াস বলেন, ‘সহজ কথা, আমরা চাই না আমাদের দেশ এমন এক যুদ্ধে ব্যবহৃত হোক, যেখানে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার বেশির ভাগই হলো নারী ও শিশু। আমরা জানি সংঘাত মানে কি। ৫০ বছর আগে যুদ্ধে সাইপ্রাসও বিভক্ত হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় এবার একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ার এক আবাসিক এলাকায় টুইন-ইঞ্জিন মেডেভাক বা রোগী বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত...
২ মিনিট আগেমিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল শুক্রবার রাজধানী নেপিডোতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়
১৬ মিনিট আগেসীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের পাট বা ভুট্টা জাতীয় উঁচু ফসল চাষ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। বিএসএফের
৯ ঘণ্টা আগে২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন হাজারো বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের মধ্যে একজন মাহা জানুদ। যিনি সিরিয়ার প্রথম নারী ফুটবল কোচ
৯ ঘণ্টা আগে