অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে রাশিয়ার চালানো ‘ভয়াবহ’ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সরকারি সূত্র।
সিএনএন জানিয়েছে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ইউক্রেনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তথ্যমতে, সর্বশেষ হামলায় রাশিয়া ৩৫২টি ড্রোন, ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পাঁচটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এদের অধিকাংশই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত বা বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেন, আরেকটি বিশাল আক্রমণ রাজধানীর ওপর। একাধিক ধাপে শত্রুপক্ষের ড্রোন আক্রমণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রুশ বাহিনী মানুষের বসবাসযোগ্য এলাকাগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করছে। বসতবাড়ি, পথ, হাসপাতাল, খেলার মাঠ এমনকি মেট্রোস্টেশনের প্রবেশপথও বোমা থেকে রেহাই পায়নি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লিমেঙ্কো জানিয়েছেন, কিয়েভের ১০টি জেলার মধ্যে ছয়টি জেলাই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেভচেনকিভস্কি জেলায় একটি আবাসিক ভবনের পুরো একটি প্রবেশপথ ধসে পড়েছে এবং এখনো অনেকে এই ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে রয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে কিয়েভের কিছুটা উত্তরে অবস্থিত চেরনিহিভ অঞ্চলে একটি স্বল্পপাল্লার ড্রোন হামলায় দুজন নিহত, তিন শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। একই রাতে কিয়েভ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিলা সার্কভা শহরে আরও একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, কিয়েভে হামলায় রুশ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানকে ‘হত্যাকারীদের জোট’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, এই জোট অটুট থাকলে সন্ত্রাস আরও ছড়িয়ে পড়বে।
এদিকে মস্কো দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল কিয়েভ অঞ্চলের সামরিকশিল্প কমপ্লেক্স। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে আসছে, তবে বাস্তবে হাজার হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
গত সপ্তাহেই রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলায় কিয়েভে ২৮ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এবার রাশিয়ার সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, শুধু প্রতিরক্ষায় বসে থাকলে মানুষ ও অঞ্চল হারানোর ঝুঁকি থাকে। তাই হামলার মাত্রা ও গভীরতা বাড়ানো হবে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, রাশিয়া শান্তিচুক্তির প্রক্রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করছে এবং সংঘাত দীর্ঘায়িত করে আরও এলাকা দখল করতে চায়।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে রাশিয়ার চালানো ‘ভয়াবহ’ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সরকারি সূত্র।
সিএনএন জানিয়েছে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ইউক্রেনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তথ্যমতে, সর্বশেষ হামলায় রাশিয়া ৩৫২টি ড্রোন, ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পাঁচটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এদের অধিকাংশই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত বা বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেন, আরেকটি বিশাল আক্রমণ রাজধানীর ওপর। একাধিক ধাপে শত্রুপক্ষের ড্রোন আক্রমণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রুশ বাহিনী মানুষের বসবাসযোগ্য এলাকাগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করছে। বসতবাড়ি, পথ, হাসপাতাল, খেলার মাঠ এমনকি মেট্রোস্টেশনের প্রবেশপথও বোমা থেকে রেহাই পায়নি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লিমেঙ্কো জানিয়েছেন, কিয়েভের ১০টি জেলার মধ্যে ছয়টি জেলাই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেভচেনকিভস্কি জেলায় একটি আবাসিক ভবনের পুরো একটি প্রবেশপথ ধসে পড়েছে এবং এখনো অনেকে এই ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে রয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে কিয়েভের কিছুটা উত্তরে অবস্থিত চেরনিহিভ অঞ্চলে একটি স্বল্পপাল্লার ড্রোন হামলায় দুজন নিহত, তিন শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। একই রাতে কিয়েভ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিলা সার্কভা শহরে আরও একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, কিয়েভে হামলায় রুশ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানকে ‘হত্যাকারীদের জোট’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, এই জোট অটুট থাকলে সন্ত্রাস আরও ছড়িয়ে পড়বে।
এদিকে মস্কো দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল কিয়েভ অঞ্চলের সামরিকশিল্প কমপ্লেক্স। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে আসছে, তবে বাস্তবে হাজার হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
গত সপ্তাহেই রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলায় কিয়েভে ২৮ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এবার রাশিয়ার সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, শুধু প্রতিরক্ষায় বসে থাকলে মানুষ ও অঞ্চল হারানোর ঝুঁকি থাকে। তাই হামলার মাত্রা ও গভীরতা বাড়ানো হবে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, রাশিয়া শান্তিচুক্তির প্রক্রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করছে এবং সংঘাত দীর্ঘায়িত করে আরও এলাকা দখল করতে চায়।
কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের পাল্টা হামলার ঘটনায় সৌদি আরব তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা এই হামলাকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই।’
৩৫ মিনিট আগেদোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহান্নাদ সেলুম মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের সর্বশেষ হামলাটি মূলত প্রতীকী এবং এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার একটি নতুন স্তর। তিনি বলেন, ইরান অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরাকের ভেতরে হামলা চালিয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কুয়েত সাময়িকভাবে নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে কাতার ও বাহরাইন একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। কুয়েতের এই সিদ্ধান্ত এসেছে ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত ঘনীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে।
৪৩ মিনিট আগেকাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আগে দোহাকে আগাম জানিয়ে দেয় ইরান। ঘটনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, এই সমন্বয়ের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং উত্তেজনার মধ্যে ‘কূটনৈতিক...
১ ঘণ্টা আগে