অনলাইন ডেস্ক
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তুরস্কজুড়ে। গত আট দিনে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে এরদোয়ানের প্রশাসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিক্ষোভ দমন করতে এখন পর্যন্ত ৭ সাংবাদিকসহ প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কি পুলিশ।
সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হলেও পরে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু দেশের চারটি বিরোধী মতাদর্শের টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এরদোয়ানের প্রশাসন। একটির সম্প্রচার ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে, আবার সম্প্রচারের চেষ্টা করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এ ছাড়া বিবিসির এক প্রতিনিধিকে তুরস্ক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গত রোববার দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার হন ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের আগপর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁর গ্রেপ্তারের পরই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। গত এক দশকের মধ্যে এত বড় বিক্ষোভ দেখেনি দেশটি।
ইমামোগলুর হঠাৎ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন করেছেন, এ ধরনের ঘটনা বিরোধীদের দমন, নাকি আইনগত পদক্ষেপ?
বিষয়টিকে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তবে এরদোয়ান ও তাঁর দল একে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ বলে দাবি করেছে। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ বলেছেন, এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলা ‘ভুল ও বিপজ্জনক’। কারণ, দেশে আইনের শাসন বজায় রয়েছে।
ইমামোগলুর দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বিষয়টিকে ‘২০২৮ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে। দলটি ইস্তাম্বুল ও অন্যান্য শহরে আরও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
এদিকে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঠিক এক দিন আগে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ডিগ্রি বাতিল করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইমামোগলুর ডিগ্রি বাতিল করে তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, তুর্কি সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।
বিচারপতি ইলমাজ তুনচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করতে চাই না। কিন্তু যখন অপরাধের প্রমাণ থাকে, তখন তা অনিবার্য।’ তিনি আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘যৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা এটিকে তুরস্কে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ হিসেবে দেখছে। তবে তুরস্ক সরকার এসব সমালোচনাকে ‘অযৌক্তিক ও পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর থেকে তুরস্কে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। তুর্কি লিরার মান কমেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিজার্ভ ব্যবহার করতে হচ্ছে। সরকার বলেছে, এই অস্থিরতার প্রভাব সীমিত ও সাময়িক।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ জনকে বিচারের আগেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে, ৪৮৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ৬৬২ জনের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। বিক্ষোভ দমনে ১৫০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তুরস্কজুড়ে। গত আট দিনে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে এরদোয়ানের প্রশাসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিক্ষোভ দমন করতে এখন পর্যন্ত ৭ সাংবাদিকসহ প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কি পুলিশ।
সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হলেও পরে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু দেশের চারটি বিরোধী মতাদর্শের টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এরদোয়ানের প্রশাসন। একটির সম্প্রচার ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে, আবার সম্প্রচারের চেষ্টা করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এ ছাড়া বিবিসির এক প্রতিনিধিকে তুরস্ক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গত রোববার দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার হন ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের আগপর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁর গ্রেপ্তারের পরই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। গত এক দশকের মধ্যে এত বড় বিক্ষোভ দেখেনি দেশটি।
ইমামোগলুর হঠাৎ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন করেছেন, এ ধরনের ঘটনা বিরোধীদের দমন, নাকি আইনগত পদক্ষেপ?
বিষয়টিকে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তবে এরদোয়ান ও তাঁর দল একে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ বলে দাবি করেছে। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ বলেছেন, এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলা ‘ভুল ও বিপজ্জনক’। কারণ, দেশে আইনের শাসন বজায় রয়েছে।
ইমামোগলুর দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বিষয়টিকে ‘২০২৮ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে। দলটি ইস্তাম্বুল ও অন্যান্য শহরে আরও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
এদিকে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঠিক এক দিন আগে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ডিগ্রি বাতিল করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইমামোগলুর ডিগ্রি বাতিল করে তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, তুর্কি সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।
বিচারপতি ইলমাজ তুনচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করতে চাই না। কিন্তু যখন অপরাধের প্রমাণ থাকে, তখন তা অনিবার্য।’ তিনি আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘যৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা এটিকে তুরস্কে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ হিসেবে দেখছে। তবে তুরস্ক সরকার এসব সমালোচনাকে ‘অযৌক্তিক ও পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর থেকে তুরস্কে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। তুর্কি লিরার মান কমেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিজার্ভ ব্যবহার করতে হচ্ছে। সরকার বলেছে, এই অস্থিরতার প্রভাব সীমিত ও সাময়িক।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ জনকে বিচারের আগেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে, ৪৮৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ৬৬২ জনের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। বিক্ষোভ দমনে ১৫০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হ্যাভারিং-অ্যাট-বাওয়ার গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাজপাখির ত্রাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যে স্কুলটির মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।
৯ ঘণ্টা আগেনেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে একটি বিরল উনিশ শতকের কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।
১০ ঘণ্টা আগেক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে আবারও সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) জানিয়েছে, কয়েক মাসের গোপন পরিকল্পনার পর এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে পানির নিচে স্থাপন করা বিস্ফোরক দিয়ে সেতুটির কাঠামোগত স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে