Ajker Patrika

ইউক্রেনে রাশিয়ার সব সামরিক যানে ‘Z’ চিহ্ন, এর অর্থ কী

আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২২, ১৫: ১৯
ইউক্রেনে রাশিয়ার সব সামরিক যানে ‘Z’ চিহ্ন, এর অর্থ কী

ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক যানের উপস্থিতি নিয়মিত হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে নিয়মিত হয়ে উঠেছে রুশ সামরিক যানগুলোতে লেখা ‘জেড (Z) চিহ্নও। ১৩ দিন আগে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই যানবাহনগুলো কিয়েভ ও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরগুলোর আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব যানবাহনের প্রত্যেকটিতেই আঁকা রয়েছে পুরু সাদা রঙে একটি ‘Z’ চিহ্ন।

কেবল তাই নয় ইউক্রেনে রুশ সমর্থনকারীদের টি-শার্টেও আঁকা রয়েছে এই ‘Z’। 

ইউক্রেনে রুশ সমর্থনকারীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ‘Z’ প্রতীক এঁকে সমর্থন জানাচ্ছেন।‘Z’-এর অর্থ কি? 

রুশ থিংকট্যাংক গ্যালিনা স্টারভয়েটোভার ফেলো কামিল গালিভ এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘Z’ হলো এমন একটি বর্ণ যেটিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করা যানবাহনের গায়ে লিখে দিচ্ছে। কেউ কেউ এই ‘Z’ চিহ্নকে ‘Za pobedy বা জয়ের জন্য’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। আবার অনেকেই এই ‘Z’ কে-‘Zapad বা পশ্চিম’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। 

কামিল গালিভ তাঁর টুইটে আরও বলেছেন, ‘মাত্র কয়েক দিন আগেই উদ্ভাবিত নতুন এই প্রতীকটি রাশিয়ার নতুন আদর্শ ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ সামরিক যানের বাইরেও অনেক রুশ নাগরিক, ব্যবসায়ী এবং রাশিয়ার বাইরে থাকা রুশ সমর্থকেরা স্বেচ্ছায় এই প্রতীক ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ নিজেদের টি-শার্ট, কেউ জ্যাকেটে এমনকি গাড়িতেও ব্যবহার করছেন। 

তবে অন্যান্য পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই চিহ্নটি রুশ সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে নিজদের যানবাহন শনাক্ত করতে ও ‘ভুলবশত নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে’ সংকেত হিসেবে ব্যবহার করছে। 

যুক্তা রাজ্যভিত্তিক সুপ্রাচীন প্রতিরক্ষা থিংকট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মাইকেল ক্লার্ক স্কাই নিউজকে গত মাসে জানিয়েছিলেন, এই প্রতীকটি সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট বা যানবাহনের বহরের অবস্থানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। 

 ইউক্রেনে রুশ সমর্থনকারীদের টি-শার্টেও আঁকা রয়েছে এই ‘Z’। প্রতীকটি প্রথম যেদিন দেখা যায় 

" ‘Z’ চিহ্নটি প্রথম দেখা গিয়েছিল চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি যেদিন রুশ সেনাবাহিনীর সামরিক যানগুলো দনেৎস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে। কিছু টুইটে প্রতীকটিকে রুশ সেনাবাহিনীর পদাতিকদের চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা ইন্ডিপেনডেন্টের মতে, ‘Z’ প্রতীকটি ২০১৪ সালে যখন রুশ সেনাবাহিনী ক্রিমিয়ায় প্রবেশ করে তখনো তাঁদের যানবাহনে উপস্থিত ছিল। 

 চলমান অন্যান্য যানবাহনের প্রত্যেকটিতেই আঁকা রয়েছে পুরু সাদা রঙের ‘Z’ চিহ্ন।ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর আরও প্রতীক

 ‘Z’ চিহ্নটি ছাড়াও রাশিয়ান সামরিক যানগুলোতে আঁকা অন্যান্য প্রতীকগুলি হলো—একটি ত্রিভুজের উভয় পাশে দুটি সমান্তরাল দাগ টানা, একটি বৃত্তের ভেতরে তিনটি বিন্দু ও ছোট একটি ত্রিভুজ। 

তবে, রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এসব প্রতীক সম্পর্কে কিছু বলেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুর জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আটক

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

ডিউটিতে ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারকে অপসারণের আলটিমেটাম

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তির’ খুব ‘কাছাকাছি’ আমরা, ভারতকে আশা দিলেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। এ ছাড়া, তিনি জানিয়েছেন—খুব শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হতে চলেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি রপ্তানি বাড়বে এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য চুক্তির দিকে এগোচ্ছি, এটি কেবল একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করছি, যা আগেরগুলোর চেয়ে অনেক ভিন্ন।’ ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’

এর আগে, গত আগস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশে দাঁড়ায়। যা চীনের চেয়ে ২০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি।

সে সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, ভারত সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রুশ ফেডারেশন থেকে তেল আমদানি করছে... আমার বিচার অনুযায়ী, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ‘‘অ্যাড ভ্যালোরেম ডিউটি’’ আরোপ করা প্রয়োজন।’ প্রসঙ্গত, অ্যাড ভ্যালোরেম ডিউটি বা শুল্ক বলতে এমন এক ধরনের আমদানি শুল্ক বা কর বোঝায়, যা আমদানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ওপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়। এটি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুর জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আটক

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

ডিউটিতে ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারকে অপসারণের আলটিমেটাম

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিল্লিতে বিস্ফোরণ: আটক ২, তিন ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে ছিল গাড়িটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ২৩
দিল্লিতে বিস্ফোরণ: আটক ২, তিন ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে ছিল গাড়িটি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি অন্তত তিন ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।

দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের নাম সালমান ও দেবেন্দর। দুজনই অতীতে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্দাই আই-২০ গাড়িটির মালিক ছিলেন। গাড়িটির বিক্রির পুরো ইতিহাস এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত করেননি, এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল কি না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘সব দিক থেকেই তদন্ত চলছে।’

গাড়ির মালিকানা নিয়ে তদন্ত

হরিয়ানার গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার বলেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দা সালমানের নামে নিবন্ধিত ছিল। এটি ২০১৩ সালের সাদা রঙের গাড়ি।

তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে সালমান গাড়িটি দিল্লির ওখলা এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দরের কাছে বিক্রি করেন। আমরা সালমানকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দেবেন্দরকেও আটক করা হয়েছে। উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরবর্তী বিক্রির ধাপগুলো জানতে এবং পুরো মালিকানা-শৃঙ্খল স্পষ্ট করতে।

গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, গাড়িটি পরে অম্বালার কারও কাছেও বিক্রি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। তবে বিস্তারিত এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সালমানের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁদের পরিবার গাড়িটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। সালমান গুরগাঁওয়ের শান্তিনগরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন।

বিস্ফোরণটি ঘটে রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সুবাস মার্গের ট্রাফিক সিগন্যালে। ঘটনাস্থলে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়, আশপাশে থাকা গাড়িগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। মৃতদেহ ও ধ্বংসাবশেষে ভরে যায় রাস্তাটি। আহত ব্যক্তিদের লোডলি নিয়াজি জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুন্দাই আই-২০ মডেলের গাড়িটিই বিস্ফোরিত হয়েছে। আমরা সব সম্ভাবনাই বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি। ফলাফল জনগণের সামনে আনা হবে।’

এদিকে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা রঙের ওই হুন্দাই আই-২০ গাড়িটি বেলা ৩টা ১৯ মিনিটে লালকেল্লার পার্কিং লটে প্রবেশ করে এবং প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বেরিয়ে যায়। গাড়িটির নম্বর ছিল এইচআর ২৬সিই ৭৬৭৪।

একটি ছবিতে দেখা যায়, চালকের হাত জানালার বাইরে রাখা অবস্থায় গাড়িটি পার্কিং লটে ঢুকছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, গাড়িটি রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায় চলাচল করছে।

ফরেনসিক প্রমাণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ (Unlawful Activities Prevention Act) অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।

বিস্ফোরণের পর দিল্লি ও আশপাশের রাজ্যগুলো—মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় ও শেষ দফার ভোট গ্রহণ চলা বিহারেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

একই দিনে রাজধানী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফারিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়, যা পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুর জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আটক

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

ডিউটিতে ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারকে অপসারণের আলটিমেটাম

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের আবেদন খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০১৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে এলজিবিটিকিউ সমর্থকেরা তাঁদের পতাকা উড়িয়েছিলেন। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০১৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে এলজিবিটিকিউ সমর্থকেরা তাঁদের পতাকা উড়িয়েছিলেন। ছবি: এপির সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।

‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’

২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।

ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুর জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আটক

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

ডিউটিতে ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারকে অপসারণের আলটিমেটাম

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাল কেল্লায় তৃতীয়, ১৯৯৭ সালের পর দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলার ফিরিস্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লা। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লা। ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।

এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।

নিচে দিল্লিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে ঘটে যাওয়া বড় বড় বিস্ফোরণের ঘটনার একটি সময়রেখা তুলে ধরা হলো—

৯ জানুয়ারি ১৯৯৭: দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের বিপরীতে আইটিও এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জন আহত হয়।

১ অক্টোবর ১৯৯৭: সদর বাজার এলাকায় একটি শোভাযাত্রার কাছে দুটি বিস্ফোরণে ৩০ জন আহত হয়।

১০ অক্টোবর ১৯৯৭: শান্তিবন, কৌরিয়া পুল ও কিংসওয়ে ক্যাম্প এলাকায় তিন দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়।

১৮ অক্টোবর ১৯৯৭: রানীবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়।

২৬ অক্টোবর ১৯৯৭: করোলবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়।

৩০ নভেম্বর ১৯৯৭: লাল কেল্লা এলাকার দুই দফা বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।

৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭: পাঞ্জাবিবাগ এলাকায় একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।

২৬ জুলাই ১৯৯৮: কাশ্মীরি গেট আইএসবিটিতে (ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাল) পার্ক করা বাসে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।

১৮ জুন ২০০০: লাল কেল্লার কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ২ জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি আহত হয়।

২২ মে ২০০৫: দিল্লির দুটি সিনেমা হলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়।

২৯ অক্টোবর ২০০৫: দিল্লির সরোজিনী নগর, পাহারগঞ্জ বাজার এবং গোবিন্দপুরীর একটি বাসে তিন দফা বিস্ফোরণে ৫৯ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন।

১৪ এপ্রিল ২০০৬: পুরান দিল্লির জামা মসজিদ প্রাঙ্গণে দুটি বিস্ফোরণে ১৪ জন আহত হয়।

১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮: রাজধানীর কনট প্লেস, করোলবাগের ঘাফফার মার্কেট এবং গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে পাঁচ দফা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়।

২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮: মেহরাউলি ফুল মার্কেটে কম তীব্রতার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়।

২৫ মে ২০১১: দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে গাড়ি পার্কিং এলাকায় ছোট আকারের একটি বিস্ফোরণ ঘটে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুর জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আটক

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

ডিউটিতে ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারকে অপসারণের আলটিমেটাম

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত