আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নরিমান জেলিয়ালকে রুশ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সাইবেরিয়ার এক তীব্র শীতল কারাগারে পাঠায়। সে সময় বন্দীদের খাবার বলতে ছিল শুধু রুটি আর পাতলা স্যুপ। চশমা পরা, দাড়িওয়ালা এই ক্রিমিয়ান তাতার নেতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। কিন্তু তাঁকে যে খাবার দেওয়া হতো, তার বেশির ভাগই ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি—যা ইসলামে হারাম।
জেলিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিস্ফোরক পাচার করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই মামলাকে রাশিয়ার সাজানো নাটক বলেই দাবি করেছে। জেলিয়াল খাবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কেবল রুটিই খেতাম, সেটাও ভালো মানের ছিল না, আর সঙ্গে থাকত চা।’ তিনি এখন ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জেলিয়াল শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পরে সাইবেরিয়ার শীতলতম এলাকা থেকে জোলিয়ালকে প্রায় জনশূন্য মাইনুসিনস্ক শহরের কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে অবশ্য তাঁর খাবারের মান কিঞ্চিৎ উন্নত হয়। সকালের খাবারে থাকত বিস্বাদ স্যুপ; রাতে মাছ। আর দুপুরের খাবারের তিনটি পদের একটি ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি।
তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
‘মুকুটধারী চোর’ বা ‘কৃষ্ণ গোত্রের অপরাধী’—নামে একদল দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগারে একধরনের গ্যাং-সংস্কৃতি কায়েম করেছে। কারাগারের ভেতরেই তারা জুয়ার আসর বসায়, মাদক চোরাচালান করে, নির্মম হিংস্রতার শাসন চালায়। এসব কারাগারকে বলা হয় ‘কালো কারাগার’। আর এসব কাজে অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলে কারারক্ষীরা।
আরেক ধরনের কারাগার আছে, যেখানে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে কারারক্ষীদের হাতে। সেগুলোকে বলা হয় ‘লাল কারাগার’। এসব কারাগারে বন্দীদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন—নির্জন কারাবাস, অপুষ্টি, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হতে হয় অনেককে।
কিন্তু গত দুই দশকে রাশিয়ার কারাগারের আরেকটি ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম বন্দীকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘উগ্রপন্থার’ অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশই মুসলিম। কিন্তু কারাগারে এই অনুপাত অনেক বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ মুফতি আলবির ক্রগানোভ জানান, রাশিয়ার ২ লাখ ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা ৩১ হাজার।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কারাবন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে কত মুসলিম বন্দী যুদ্ধের নামে কারাগার থেকে সরানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়ার কারাগারে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁকে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাঁর সাজাও বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক কারা বিশ্লেষক আন্না কারেতনিকোভা বলেন, ‘কোনো বন্দী যদি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান হয়ে গির্জায় গিয়ে ব্যাপ্টিজম নেয়, তবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁকে উগ্রপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, কারা প্রশাসনকে তিরস্কার করা হয়, আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।’

মধ্য এশিয়া থেকে আসা অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকেরাও এই নির্যাতনের শিকার হন। ভাষা, আইন এবং জীবনধারার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা তাদের ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মস্কোর নির্মাণশ্রমিক আব্দুল আজিজ বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ তাঁর ছোট ভাই আব্দুল মুমিনের কাছে ‘স্পাইস’ নামের কৃত্রিম মাদক রেখে দেয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক এবং প্লাস্টিক বোতল দিয়ে মারধর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, সে পার্কের বেঞ্চের নিচে মাদক রেখেছিল। পরে এক বিচারক তাকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ওখানে অনেক সবুজ (মুসলিম) বন্দী আছে। ওরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তাই অন্য বন্দীরা ওদের সঙ্গে ঝামেলা করে না...সমস্যা হলো, কারারক্ষীরা। তবে তাদেরও ঘুষ দিয়ে সামলানো যায়।’
রাশিয়ার কিছু কারাগার মুসলিম বন্দীদের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। অনেক কারাগারে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। ফলে ফজরের নামাজ পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। রমজানে রোজা রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।
তবে কিছু কারাগারে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো বলে জানান রুশ একটি কারাগারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আজাত গাউনুতদিনভ। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানে, যদি মুসলিম বন্দীদের মানসিকতা বোঝে, তাহলে অনেক সমস্যা কমে যায়।’ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুসলিম বন্দীদের অধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছেন।
মাইনুসিনস্কের কারাগারে জেলিয়াল এবং অন্যান্য মুসলিম বন্দীদের নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল। তাঁরা বিছানায় বসেই রোজার ইফতার করতে পারতেন। কারাগারের গ্রন্থাগার থেকে কোরআন এবং ইসলামবিষয়ক বই পাওয়া যেত। কিন্তু অন্যান্য কারাগারে মুসলিম বন্দীদের এতটুকু স্বাধীনতাও নেই। কোরআন পড়া তো দূরের কথা, আরবি ভাষা শেখাও নিষিদ্ধ।
২০০০ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় চেচনিয়া যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার কারাগারে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্লেষক কারেতনিকোভা বলেন, এত দিনেও রুশ প্রশাসন এই সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান বের করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘কেবল শাস্তি আর পুরস্কারের নীতি চলছে। কোনো বোঝাপড়া নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই।’

নরিমান জেলিয়ালকে রুশ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সাইবেরিয়ার এক তীব্র শীতল কারাগারে পাঠায়। সে সময় বন্দীদের খাবার বলতে ছিল শুধু রুটি আর পাতলা স্যুপ। চশমা পরা, দাড়িওয়ালা এই ক্রিমিয়ান তাতার নেতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। কিন্তু তাঁকে যে খাবার দেওয়া হতো, তার বেশির ভাগই ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি—যা ইসলামে হারাম।
জেলিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিস্ফোরক পাচার করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই মামলাকে রাশিয়ার সাজানো নাটক বলেই দাবি করেছে। জেলিয়াল খাবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কেবল রুটিই খেতাম, সেটাও ভালো মানের ছিল না, আর সঙ্গে থাকত চা।’ তিনি এখন ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জেলিয়াল শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পরে সাইবেরিয়ার শীতলতম এলাকা থেকে জোলিয়ালকে প্রায় জনশূন্য মাইনুসিনস্ক শহরের কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে অবশ্য তাঁর খাবারের মান কিঞ্চিৎ উন্নত হয়। সকালের খাবারে থাকত বিস্বাদ স্যুপ; রাতে মাছ। আর দুপুরের খাবারের তিনটি পদের একটি ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি।
তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
‘মুকুটধারী চোর’ বা ‘কৃষ্ণ গোত্রের অপরাধী’—নামে একদল দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগারে একধরনের গ্যাং-সংস্কৃতি কায়েম করেছে। কারাগারের ভেতরেই তারা জুয়ার আসর বসায়, মাদক চোরাচালান করে, নির্মম হিংস্রতার শাসন চালায়। এসব কারাগারকে বলা হয় ‘কালো কারাগার’। আর এসব কাজে অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলে কারারক্ষীরা।
আরেক ধরনের কারাগার আছে, যেখানে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে কারারক্ষীদের হাতে। সেগুলোকে বলা হয় ‘লাল কারাগার’। এসব কারাগারে বন্দীদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন—নির্জন কারাবাস, অপুষ্টি, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হতে হয় অনেককে।
কিন্তু গত দুই দশকে রাশিয়ার কারাগারের আরেকটি ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম বন্দীকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘উগ্রপন্থার’ অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশই মুসলিম। কিন্তু কারাগারে এই অনুপাত অনেক বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ মুফতি আলবির ক্রগানোভ জানান, রাশিয়ার ২ লাখ ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা ৩১ হাজার।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কারাবন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে কত মুসলিম বন্দী যুদ্ধের নামে কারাগার থেকে সরানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়ার কারাগারে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁকে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাঁর সাজাও বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক কারা বিশ্লেষক আন্না কারেতনিকোভা বলেন, ‘কোনো বন্দী যদি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান হয়ে গির্জায় গিয়ে ব্যাপ্টিজম নেয়, তবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁকে উগ্রপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, কারা প্রশাসনকে তিরস্কার করা হয়, আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।’

মধ্য এশিয়া থেকে আসা অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকেরাও এই নির্যাতনের শিকার হন। ভাষা, আইন এবং জীবনধারার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা তাদের ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মস্কোর নির্মাণশ্রমিক আব্দুল আজিজ বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ তাঁর ছোট ভাই আব্দুল মুমিনের কাছে ‘স্পাইস’ নামের কৃত্রিম মাদক রেখে দেয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক এবং প্লাস্টিক বোতল দিয়ে মারধর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, সে পার্কের বেঞ্চের নিচে মাদক রেখেছিল। পরে এক বিচারক তাকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ওখানে অনেক সবুজ (মুসলিম) বন্দী আছে। ওরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তাই অন্য বন্দীরা ওদের সঙ্গে ঝামেলা করে না...সমস্যা হলো, কারারক্ষীরা। তবে তাদেরও ঘুষ দিয়ে সামলানো যায়।’
রাশিয়ার কিছু কারাগার মুসলিম বন্দীদের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। অনেক কারাগারে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। ফলে ফজরের নামাজ পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। রমজানে রোজা রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।
তবে কিছু কারাগারে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো বলে জানান রুশ একটি কারাগারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আজাত গাউনুতদিনভ। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানে, যদি মুসলিম বন্দীদের মানসিকতা বোঝে, তাহলে অনেক সমস্যা কমে যায়।’ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুসলিম বন্দীদের অধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছেন।
মাইনুসিনস্কের কারাগারে জেলিয়াল এবং অন্যান্য মুসলিম বন্দীদের নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল। তাঁরা বিছানায় বসেই রোজার ইফতার করতে পারতেন। কারাগারের গ্রন্থাগার থেকে কোরআন এবং ইসলামবিষয়ক বই পাওয়া যেত। কিন্তু অন্যান্য কারাগারে মুসলিম বন্দীদের এতটুকু স্বাধীনতাও নেই। কোরআন পড়া তো দূরের কথা, আরবি ভাষা শেখাও নিষিদ্ধ।
২০০০ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় চেচনিয়া যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার কারাগারে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্লেষক কারেতনিকোভা বলেন, এত দিনেও রুশ প্রশাসন এই সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান বের করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘কেবল শাস্তি আর পুরস্কারের নীতি চলছে। কোনো বোঝাপড়া নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নরিমান জেলিয়ালকে রুশ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সাইবেরিয়ার এক তীব্র শীতল কারাগারে পাঠায়। সে সময় বন্দীদের খাবার বলতে ছিল শুধু রুটি আর পাতলা স্যুপ। চশমা পরা, দাড়িওয়ালা এই ক্রিমিয়ান তাতার নেতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। কিন্তু তাঁকে যে খাবার দেওয়া হতো, তার বেশির ভাগই ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি—যা ইসলামে হারাম।
জেলিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিস্ফোরক পাচার করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই মামলাকে রাশিয়ার সাজানো নাটক বলেই দাবি করেছে। জেলিয়াল খাবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কেবল রুটিই খেতাম, সেটাও ভালো মানের ছিল না, আর সঙ্গে থাকত চা।’ তিনি এখন ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জেলিয়াল শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পরে সাইবেরিয়ার শীতলতম এলাকা থেকে জোলিয়ালকে প্রায় জনশূন্য মাইনুসিনস্ক শহরের কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে অবশ্য তাঁর খাবারের মান কিঞ্চিৎ উন্নত হয়। সকালের খাবারে থাকত বিস্বাদ স্যুপ; রাতে মাছ। আর দুপুরের খাবারের তিনটি পদের একটি ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি।
তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
‘মুকুটধারী চোর’ বা ‘কৃষ্ণ গোত্রের অপরাধী’—নামে একদল দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগারে একধরনের গ্যাং-সংস্কৃতি কায়েম করেছে। কারাগারের ভেতরেই তারা জুয়ার আসর বসায়, মাদক চোরাচালান করে, নির্মম হিংস্রতার শাসন চালায়। এসব কারাগারকে বলা হয় ‘কালো কারাগার’। আর এসব কাজে অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলে কারারক্ষীরা।
আরেক ধরনের কারাগার আছে, যেখানে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে কারারক্ষীদের হাতে। সেগুলোকে বলা হয় ‘লাল কারাগার’। এসব কারাগারে বন্দীদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন—নির্জন কারাবাস, অপুষ্টি, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হতে হয় অনেককে।
কিন্তু গত দুই দশকে রাশিয়ার কারাগারের আরেকটি ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম বন্দীকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘উগ্রপন্থার’ অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশই মুসলিম। কিন্তু কারাগারে এই অনুপাত অনেক বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ মুফতি আলবির ক্রগানোভ জানান, রাশিয়ার ২ লাখ ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা ৩১ হাজার।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কারাবন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে কত মুসলিম বন্দী যুদ্ধের নামে কারাগার থেকে সরানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়ার কারাগারে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁকে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাঁর সাজাও বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক কারা বিশ্লেষক আন্না কারেতনিকোভা বলেন, ‘কোনো বন্দী যদি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান হয়ে গির্জায় গিয়ে ব্যাপ্টিজম নেয়, তবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁকে উগ্রপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, কারা প্রশাসনকে তিরস্কার করা হয়, আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।’

মধ্য এশিয়া থেকে আসা অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকেরাও এই নির্যাতনের শিকার হন। ভাষা, আইন এবং জীবনধারার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা তাদের ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মস্কোর নির্মাণশ্রমিক আব্দুল আজিজ বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ তাঁর ছোট ভাই আব্দুল মুমিনের কাছে ‘স্পাইস’ নামের কৃত্রিম মাদক রেখে দেয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক এবং প্লাস্টিক বোতল দিয়ে মারধর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, সে পার্কের বেঞ্চের নিচে মাদক রেখেছিল। পরে এক বিচারক তাকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ওখানে অনেক সবুজ (মুসলিম) বন্দী আছে। ওরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তাই অন্য বন্দীরা ওদের সঙ্গে ঝামেলা করে না...সমস্যা হলো, কারারক্ষীরা। তবে তাদেরও ঘুষ দিয়ে সামলানো যায়।’
রাশিয়ার কিছু কারাগার মুসলিম বন্দীদের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। অনেক কারাগারে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। ফলে ফজরের নামাজ পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। রমজানে রোজা রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।
তবে কিছু কারাগারে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো বলে জানান রুশ একটি কারাগারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আজাত গাউনুতদিনভ। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানে, যদি মুসলিম বন্দীদের মানসিকতা বোঝে, তাহলে অনেক সমস্যা কমে যায়।’ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুসলিম বন্দীদের অধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছেন।
মাইনুসিনস্কের কারাগারে জেলিয়াল এবং অন্যান্য মুসলিম বন্দীদের নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল। তাঁরা বিছানায় বসেই রোজার ইফতার করতে পারতেন। কারাগারের গ্রন্থাগার থেকে কোরআন এবং ইসলামবিষয়ক বই পাওয়া যেত। কিন্তু অন্যান্য কারাগারে মুসলিম বন্দীদের এতটুকু স্বাধীনতাও নেই। কোরআন পড়া তো দূরের কথা, আরবি ভাষা শেখাও নিষিদ্ধ।
২০০০ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় চেচনিয়া যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার কারাগারে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্লেষক কারেতনিকোভা বলেন, এত দিনেও রুশ প্রশাসন এই সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান বের করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘কেবল শাস্তি আর পুরস্কারের নীতি চলছে। কোনো বোঝাপড়া নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই।’

নরিমান জেলিয়ালকে রুশ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সাইবেরিয়ার এক তীব্র শীতল কারাগারে পাঠায়। সে সময় বন্দীদের খাবার বলতে ছিল শুধু রুটি আর পাতলা স্যুপ। চশমা পরা, দাড়িওয়ালা এই ক্রিমিয়ান তাতার নেতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। কিন্তু তাঁকে যে খাবার দেওয়া হতো, তার বেশির ভাগই ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি—যা ইসলামে হারাম।
জেলিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিস্ফোরক পাচার করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই মামলাকে রাশিয়ার সাজানো নাটক বলেই দাবি করেছে। জেলিয়াল খাবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কেবল রুটিই খেতাম, সেটাও ভালো মানের ছিল না, আর সঙ্গে থাকত চা।’ তিনি এখন ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জেলিয়াল শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পরে সাইবেরিয়ার শীতলতম এলাকা থেকে জোলিয়ালকে প্রায় জনশূন্য মাইনুসিনস্ক শহরের কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে অবশ্য তাঁর খাবারের মান কিঞ্চিৎ উন্নত হয়। সকালের খাবারে থাকত বিস্বাদ স্যুপ; রাতে মাছ। আর দুপুরের খাবারের তিনটি পদের একটি ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি।
তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
‘মুকুটধারী চোর’ বা ‘কৃষ্ণ গোত্রের অপরাধী’—নামে একদল দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগারে একধরনের গ্যাং-সংস্কৃতি কায়েম করেছে। কারাগারের ভেতরেই তারা জুয়ার আসর বসায়, মাদক চোরাচালান করে, নির্মম হিংস্রতার শাসন চালায়। এসব কারাগারকে বলা হয় ‘কালো কারাগার’। আর এসব কাজে অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলে কারারক্ষীরা।
আরেক ধরনের কারাগার আছে, যেখানে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে কারারক্ষীদের হাতে। সেগুলোকে বলা হয় ‘লাল কারাগার’। এসব কারাগারে বন্দীদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন—নির্জন কারাবাস, অপুষ্টি, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হতে হয় অনেককে।
কিন্তু গত দুই দশকে রাশিয়ার কারাগারের আরেকটি ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম বন্দীকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘উগ্রপন্থার’ অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশই মুসলিম। কিন্তু কারাগারে এই অনুপাত অনেক বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ মুফতি আলবির ক্রগানোভ জানান, রাশিয়ার ২ লাখ ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা ৩১ হাজার।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কারাবন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে কত মুসলিম বন্দী যুদ্ধের নামে কারাগার থেকে সরানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়ার কারাগারে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁকে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাঁর সাজাও বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক কারা বিশ্লেষক আন্না কারেতনিকোভা বলেন, ‘কোনো বন্দী যদি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান হয়ে গির্জায় গিয়ে ব্যাপ্টিজম নেয়, তবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁকে উগ্রপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, কারা প্রশাসনকে তিরস্কার করা হয়, আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।’

মধ্য এশিয়া থেকে আসা অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকেরাও এই নির্যাতনের শিকার হন। ভাষা, আইন এবং জীবনধারার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা তাদের ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মস্কোর নির্মাণশ্রমিক আব্দুল আজিজ বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ তাঁর ছোট ভাই আব্দুল মুমিনের কাছে ‘স্পাইস’ নামের কৃত্রিম মাদক রেখে দেয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক এবং প্লাস্টিক বোতল দিয়ে মারধর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, সে পার্কের বেঞ্চের নিচে মাদক রেখেছিল। পরে এক বিচারক তাকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ওখানে অনেক সবুজ (মুসলিম) বন্দী আছে। ওরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তাই অন্য বন্দীরা ওদের সঙ্গে ঝামেলা করে না...সমস্যা হলো, কারারক্ষীরা। তবে তাদেরও ঘুষ দিয়ে সামলানো যায়।’
রাশিয়ার কিছু কারাগার মুসলিম বন্দীদের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। অনেক কারাগারে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। ফলে ফজরের নামাজ পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। রমজানে রোজা রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।
তবে কিছু কারাগারে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো বলে জানান রুশ একটি কারাগারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আজাত গাউনুতদিনভ। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানে, যদি মুসলিম বন্দীদের মানসিকতা বোঝে, তাহলে অনেক সমস্যা কমে যায়।’ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুসলিম বন্দীদের অধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছেন।
মাইনুসিনস্কের কারাগারে জেলিয়াল এবং অন্যান্য মুসলিম বন্দীদের নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল। তাঁরা বিছানায় বসেই রোজার ইফতার করতে পারতেন। কারাগারের গ্রন্থাগার থেকে কোরআন এবং ইসলামবিষয়ক বই পাওয়া যেত। কিন্তু অন্যান্য কারাগারে মুসলিম বন্দীদের এতটুকু স্বাধীনতাও নেই। কোরআন পড়া তো দূরের কথা, আরবি ভাষা শেখাও নিষিদ্ধ।
২০০০ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় চেচনিয়া যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার কারাগারে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্লেষক কারেতনিকোভা বলেন, এত দিনেও রুশ প্রশাসন এই সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান বের করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘কেবল শাস্তি আর পুরস্কারের নীতি চলছে। কোনো বোঝাপড়া নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই।’

গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
৩ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৯ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন এক নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা। গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি। কারণ, আবাসিক এলাকার বেশির ভাগ অংশেই ইসরায়েলে ফেলা বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া গাজার খান ইউনিসে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে এক ফিলিস্তিনি একটি বিস্ফোরক বোঝাই অবিস্ফোরিত কিন্তু বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যান দেখতে পান। ধ্বংসস্তূপে আশ্রয়হীন ওই ব্যক্তি বাধ্য হয়ে সেই সাঁজোয়া যানটির ওপরই পরিবার নিয়ে তাঁবু ফেলেছেন।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার দক্ষিণের এই শহরে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দক্ষিণের ত্রাণ শিবিরগুলো থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ উত্তরাঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় ফিরে গেছেন।
ফিরে এসে অনেকে দেখছেন, বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোথাও মাটির নিচে লুকানো বিস্ফোরক, কোথাও পড়ে আছে দাহ্য কোনো অস্ত্র–বোমা। খান ইউনিসের বাসিন্দা আয়মান কাদুরা জানান, নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ভেতর তিনি খুঁজে পান একটি দূরনিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া বিস্ফোরক রোবট, যা ইসরায়েলি সেনারা গাজা জুড়ে ব্যবহার করেছিল পুরো ভবন উড়িয়ে দিতে।
কাদুরা বলেন, তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতেও এমন আরেকটি যন্ত্র ছিল। দু’টি বাড়ির মাঝখানে এফ-১৬ বিমানের ক্ষেপণাস্ত্রে তিন মিটার গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, যদি এসব অবিস্ফোরিত যন্ত্র সক্রিয় হয়, পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তিনি নিয়মিত যন্ত্রগুলো বালি দিয়ে ঢেকে রাখেন।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ কেন্দ্র ইউনোস্যাট জানিয়েছে, শুধু খান ইউনিস গভর্নরেটেই ৪২ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় অন্তত ১৯ হাজার ভবন ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পুরো গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস জানিয়েছে, গাজাজুড়ে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের ঝুঁকি ‘অবিশ্বাস্যভাবে বেশি’। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬০টি বিস্ফোরক বস্তু শনাক্ত করেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত অস্ত্রের কারণে ৩২৮ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
কাদুরা জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া পুরোনো কাপড় পরে তাঁর সন্তানদের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু থাকার মতো জায়গা না থাকায় তিনি বাধ্য হয়েই ওই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন। মানবিক সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির পর খাদ্য, তাঁবু, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়ালেও ইসরায়েল এখনো সহায়তা প্রবাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক সহায়তা গাজায় প্রবেশের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা এখনো অর্জন সম্ভব হয়নি।

গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন এক নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা। গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি। কারণ, আবাসিক এলাকার বেশির ভাগ অংশেই ইসরায়েলে ফেলা বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া গাজার খান ইউনিসে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে এক ফিলিস্তিনি একটি বিস্ফোরক বোঝাই অবিস্ফোরিত কিন্তু বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যান দেখতে পান। ধ্বংসস্তূপে আশ্রয়হীন ওই ব্যক্তি বাধ্য হয়ে সেই সাঁজোয়া যানটির ওপরই পরিবার নিয়ে তাঁবু ফেলেছেন।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার দক্ষিণের এই শহরে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দক্ষিণের ত্রাণ শিবিরগুলো থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ উত্তরাঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় ফিরে গেছেন।
ফিরে এসে অনেকে দেখছেন, বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোথাও মাটির নিচে লুকানো বিস্ফোরক, কোথাও পড়ে আছে দাহ্য কোনো অস্ত্র–বোমা। খান ইউনিসের বাসিন্দা আয়মান কাদুরা জানান, নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ভেতর তিনি খুঁজে পান একটি দূরনিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া বিস্ফোরক রোবট, যা ইসরায়েলি সেনারা গাজা জুড়ে ব্যবহার করেছিল পুরো ভবন উড়িয়ে দিতে।
কাদুরা বলেন, তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতেও এমন আরেকটি যন্ত্র ছিল। দু’টি বাড়ির মাঝখানে এফ-১৬ বিমানের ক্ষেপণাস্ত্রে তিন মিটার গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, যদি এসব অবিস্ফোরিত যন্ত্র সক্রিয় হয়, পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তিনি নিয়মিত যন্ত্রগুলো বালি দিয়ে ঢেকে রাখেন।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ কেন্দ্র ইউনোস্যাট জানিয়েছে, শুধু খান ইউনিস গভর্নরেটেই ৪২ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় অন্তত ১৯ হাজার ভবন ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পুরো গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস জানিয়েছে, গাজাজুড়ে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের ঝুঁকি ‘অবিশ্বাস্যভাবে বেশি’। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬০টি বিস্ফোরক বস্তু শনাক্ত করেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত অস্ত্রের কারণে ৩২৮ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
কাদুরা জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া পুরোনো কাপড় পরে তাঁর সন্তানদের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু থাকার মতো জায়গা না থাকায় তিনি বাধ্য হয়েই ওই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন। মানবিক সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির পর খাদ্য, তাঁবু, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়ালেও ইসরায়েল এখনো সহায়তা প্রবাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক সহায়তা গাজায় প্রবেশের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা এখনো অর্জন সম্ভব হয়নি।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৯ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৯ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
৩ মিনিট আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৯ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটির পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যারা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছে। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটির পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যারা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছে। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
৩ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
৩ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৯ ঘণ্টা আগে