ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ সংলাপের মাধ্যমে শেষ হতে পারে। তবে এর জন্য ইউক্রেনকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। আর তাই তিনি যুদ্ধ শেষ করার একটি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর দুই সম্ভাব্য উত্তরসূরির সঙ্গে শেয়ার করবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এই কথা বলেন। তিনি জানান, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা অভিযান মূলত সেই পরিকল্পনারই অংশ। তবে এর বাইরেও অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ফ্রন্ট নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা আছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এই পরিকল্পনার প্রধান অংশ হলো—রাশিয়াকে এই যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য করা এবং আমি খুব করে চাই যে, এই বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য একটি বিষয় হোক।’ তিনি এই পরিকল্পনার বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি। তবে বলেছেন, তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও পরিকল্পনাটি নিয়ে আলোচনা করবেন।
জেলেনস্কি জানান, তিনি আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আশা করছেন এবং বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি আলোচনার জন্য প্রধান সম্ভাব্য ফোরাম হিসেবে জাতিসংঘকেই বেছে নিতে চান। এদিকে ইউক্রেন বলেছে, তারা চায় এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি থাক।
এর আগে, গত জুনে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন রাশিয়াকে বাদ দিয়েছিল। সেই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিলেও চীন কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। সর্বশেষ, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৯ আগস্ট বলেছেন, ইউক্রেন ৬ আগস্ট রাশিয়ার কুরস্কে আন্তসীমান্ত অনুপ্রবেশ করার পর আলোচনার বিষয়টি প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।
এদিকে, সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তিনি পুতিনকে বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সমর্থন করেন।
অপরদিকে, জেলেনস্কি অনড় অবস্থান ব্যক্ত করে বলেছেন—রাশিয়া যুদ্ধের যেকোনো মীমাংসার ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে যেসব শর্ত দিতে চায় তা কিয়েভ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। তবে পুতিন বলেছেন, কোনো চুক্তির জন্য আলোচনার আগে ইউক্রেনকে ‘রণক্ষেত্রের বাস্তবতা’ মেনে নিতে হবে আগে। সে ক্ষেত্রে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের পাশাপাশি ক্রিমিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। তবে এখন ইউক্রেন বলেছে, তারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে কোনো আপস নয়, আজকের সংলাপ নীতিগতভাবে অন্তঃসারশূন্য এবং অর্থহীন কারণ তিনি (পুতিন) কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ শেষ করতে চান না।’ তিনি আরও বলেন, ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আপসরফা করারা জন্য যেসব দেশের সরকার কথা বলে আসছিল কুরস্ক ইউক্রেন কুরস্ক আক্রমণের পর সে ধরনের দেশের সংখ্যা কমে এসেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ সংলাপের মাধ্যমে শেষ হতে পারে। তবে এর জন্য ইউক্রেনকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। আর তাই তিনি যুদ্ধ শেষ করার একটি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর দুই সম্ভাব্য উত্তরসূরির সঙ্গে শেয়ার করবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এই কথা বলেন। তিনি জানান, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা অভিযান মূলত সেই পরিকল্পনারই অংশ। তবে এর বাইরেও অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ফ্রন্ট নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা আছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এই পরিকল্পনার প্রধান অংশ হলো—রাশিয়াকে এই যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য করা এবং আমি খুব করে চাই যে, এই বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য একটি বিষয় হোক।’ তিনি এই পরিকল্পনার বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি। তবে বলেছেন, তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও পরিকল্পনাটি নিয়ে আলোচনা করবেন।
জেলেনস্কি জানান, তিনি আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আশা করছেন এবং বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি আলোচনার জন্য প্রধান সম্ভাব্য ফোরাম হিসেবে জাতিসংঘকেই বেছে নিতে চান। এদিকে ইউক্রেন বলেছে, তারা চায় এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি থাক।
এর আগে, গত জুনে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন রাশিয়াকে বাদ দিয়েছিল। সেই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিলেও চীন কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। সর্বশেষ, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৯ আগস্ট বলেছেন, ইউক্রেন ৬ আগস্ট রাশিয়ার কুরস্কে আন্তসীমান্ত অনুপ্রবেশ করার পর আলোচনার বিষয়টি প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।
এদিকে, সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তিনি পুতিনকে বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সমর্থন করেন।
অপরদিকে, জেলেনস্কি অনড় অবস্থান ব্যক্ত করে বলেছেন—রাশিয়া যুদ্ধের যেকোনো মীমাংসার ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে যেসব শর্ত দিতে চায় তা কিয়েভ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। তবে পুতিন বলেছেন, কোনো চুক্তির জন্য আলোচনার আগে ইউক্রেনকে ‘রণক্ষেত্রের বাস্তবতা’ মেনে নিতে হবে আগে। সে ক্ষেত্রে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের পাশাপাশি ক্রিমিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। তবে এখন ইউক্রেন বলেছে, তারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে কোনো আপস নয়, আজকের সংলাপ নীতিগতভাবে অন্তঃসারশূন্য এবং অর্থহীন কারণ তিনি (পুতিন) কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ শেষ করতে চান না।’ তিনি আরও বলেন, ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আপসরফা করারা জন্য যেসব দেশের সরকার কথা বলে আসছিল কুরস্ক ইউক্রেন কুরস্ক আক্রমণের পর সে ধরনের দেশের সংখ্যা কমে এসেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১৪ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে