আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাইয়ে ইসরায়েলকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ ছাড়া ব্রিটিশ পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়ন বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আর তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও হামাসের হাতে জিম্মিদের স্বজনদের আপত্তি সত্ত্বেও এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন স্টারমার। এর আগে জুলাইয়ে তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বিশ্বনেতাদের সমাবেশের আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও মানবিক সংকটের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে নতুন করে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েও উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য সরকার। ব্রিটিশ মন্ত্রীদের আশঙ্কা, ইসরায়েলি এসব কার্যক্রমের কারণে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এদিকে লেবার পার্টি জোর দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া কোনোভাবেই হামাসকে পুরস্কৃত করা নয়। গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা যাতে না থাকে, তার ওপরও জোর দিয়েছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির হামাসের ওপর আরও কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তির দাবিও জোরালো করেছে তারা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা জরুরি—এটি মূলত পশ্চিম তীরে আমরা যে ভয়াবহ সম্প্রসারণ দেখছি, সেখানে দখলদারদের সহিংসতা এবং নতুন বসতি স্থাপনের ইঙ্গিত, বিশেষ করে ই-ওয়ান প্রকল্পের মতো পরিকল্পনার ফলাফল। এ ধরনের প্রকল্প কার্যকর হলে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এদিকে গাজায়ও হামলার মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার উপত্যকাজুড়ে ৯১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আইডিএফ।
জাতিসংঘের সামিটে বিশ্বের নেতাদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বিবাদে পড়েছেন, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করছে। স্টারমার আগে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি শর্তসাপেক্ষ—ইসরায়েল যদি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করে, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান মেনে নেয় এবং জাতিসংঘকে পুনরায় সহায়তা সরবরাহে অনুমতি দেয়, তাহলে তিনি এ পদক্ষেপ নেবেন না।
তবে এই তিন শর্ত পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ, ইসরায়েল সরকার এগুলো মানতে রাজি নয়। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে হামাসের কাছে এখনো জিম্মি থাকা ৪৮ জনের মধ্যে কিছু ব্যক্তির পরিবার স্টারমারের কাছে খোলাচিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণায় আমাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। হামাস ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্তকে বিজয় হিসেবে উদ্যাপন করেছে এবং আগের সুরক্ষা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আমরা আপনাকে একটাই অনুরোধ জানাচ্ছি—যতক্ষণ না আমাদের প্রিয়জনেরা আমাদের কাছে ফিরে আসে, এ পদক্ষেপ নেবেন না।’
বিরোধী দলও সমালোচনা করেছে। পার্টির ব্যাকবেঞ্চারদের চাপের কারণে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছেন স্টারমার—এমন অভিযোগ করেছেন ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। ল্যামি জানিয়েছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। আমাদের আগে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। হামাসের জন্য কোনো স্থান নেই, একেবারেই নেই। মানুষ অভুক্ত, দুর্দশাগ্রস্ত। আমরা ইসরায়েলের কাছে বলছি, আরও কেন্দ্র খুলে সহায়তা পৌঁছে দিতে। গাজা সিটিতে চলমান হামলার বিষয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
আজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাইয়ে ইসরায়েলকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ ছাড়া ব্রিটিশ পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়ন বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আর তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও হামাসের হাতে জিম্মিদের স্বজনদের আপত্তি সত্ত্বেও এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন স্টারমার। এর আগে জুলাইয়ে তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বিশ্বনেতাদের সমাবেশের আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও মানবিক সংকটের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে নতুন করে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েও উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য সরকার। ব্রিটিশ মন্ত্রীদের আশঙ্কা, ইসরায়েলি এসব কার্যক্রমের কারণে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এদিকে লেবার পার্টি জোর দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া কোনোভাবেই হামাসকে পুরস্কৃত করা নয়। গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা যাতে না থাকে, তার ওপরও জোর দিয়েছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির হামাসের ওপর আরও কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তির দাবিও জোরালো করেছে তারা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা জরুরি—এটি মূলত পশ্চিম তীরে আমরা যে ভয়াবহ সম্প্রসারণ দেখছি, সেখানে দখলদারদের সহিংসতা এবং নতুন বসতি স্থাপনের ইঙ্গিত, বিশেষ করে ই-ওয়ান প্রকল্পের মতো পরিকল্পনার ফলাফল। এ ধরনের প্রকল্প কার্যকর হলে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এদিকে গাজায়ও হামলার মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার উপত্যকাজুড়ে ৯১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আইডিএফ।
জাতিসংঘের সামিটে বিশ্বের নেতাদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বিবাদে পড়েছেন, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করছে। স্টারমার আগে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি শর্তসাপেক্ষ—ইসরায়েল যদি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করে, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান মেনে নেয় এবং জাতিসংঘকে পুনরায় সহায়তা সরবরাহে অনুমতি দেয়, তাহলে তিনি এ পদক্ষেপ নেবেন না।
তবে এই তিন শর্ত পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ, ইসরায়েল সরকার এগুলো মানতে রাজি নয়। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে হামাসের কাছে এখনো জিম্মি থাকা ৪৮ জনের মধ্যে কিছু ব্যক্তির পরিবার স্টারমারের কাছে খোলাচিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণায় আমাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। হামাস ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্তকে বিজয় হিসেবে উদ্যাপন করেছে এবং আগের সুরক্ষা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আমরা আপনাকে একটাই অনুরোধ জানাচ্ছি—যতক্ষণ না আমাদের প্রিয়জনেরা আমাদের কাছে ফিরে আসে, এ পদক্ষেপ নেবেন না।’
বিরোধী দলও সমালোচনা করেছে। পার্টির ব্যাকবেঞ্চারদের চাপের কারণে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছেন স্টারমার—এমন অভিযোগ করেছেন ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। ল্যামি জানিয়েছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। আমাদের আগে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। হামাসের জন্য কোনো স্থান নেই, একেবারেই নেই। মানুষ অভুক্ত, দুর্দশাগ্রস্ত। আমরা ইসরায়েলের কাছে বলছি, আরও কেন্দ্র খুলে সহায়তা পৌঁছে দিতে। গাজা সিটিতে চলমান হামলার বিষয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ হাজার ৫০০-এর বেশি স্থানে তাদের বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে লাখো মানুষ অংশ নেবে। তাদের দাবি, ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী মনোভাব ও কর্তৃত্ববাদী শাসন’ রুখতেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট মনে করেন, তিনিই সর্বেসর্বা।
৩ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকটি কেমন ছিল, তা একটি শব্দ দিয়েই বর্ণনা করা যায়। আর তা হলো ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বা জেলেনস্কির ভাষায় ‘তীক্ষ্ণ’ (pointed)। তিনি নিজেই এক্সে এভাবে লিখেছেন। এই শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ না করলেও বোঝা যায়, জেলেনস্কি আসলে এর মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান আবারও তাদের সীমান্তে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দিনের যুদ্ধবিরতিও ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তালেবান সরকারের।
৬ ঘণ্টা আগেরাজনাথ সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় যা ঘটেছিল, তা ছিল ট্রেলার। পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটি এখন ভারতের ব্রহ্মসের আওতায়।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে ছিল একটি কঠোর বার্তা—ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া কেবল সীমান্তে প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক এবং সুনির্দিষ্টও হতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে