Ajker Patrika

আলাস্কায় আসতে পুতিনকে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, নগদ টাকায় কিনতে হয়েছে তেল: মার্কো রুবিও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৩০
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলাস্কা সফর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিনের তিনটি জেট বিমানের জ্বালানি তেল কিনতে নগদ প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি টাকা) গুনতে হয়েছে পুতিনকে।

গত ১৫ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের জন্য পুতিন যখন আলাস্কায় পৌঁছান, তখন তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কিন্তু বৈঠক শেষে ফেরার সময়ে বিমানের জ্বালানি ভরতেই দেখা দেয় বড় রকমের অসুবিধা।

সিনেটর রুবিও মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আলাস্কায় আসতে পুতিনকে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে, নগদ টাকায় কিনতে হয়েছে তেল।’

রুবিও বলেন, ‘তারা (রাশিয়ানরা) যখন আলাস্কায় অবতরণ করে, তখন তাদের জ্বালানি ভরতে হয়েছিল। আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করতে না পারায় তাদের নগদ অর্থ দিয়ে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করতে হয়।’

তিনি এটিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রত্যক্ষ ফলাফল হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। রুবিও জোর দিয়ে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার দিন যে সব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল, তা এখনো পুরোপুরি বলবৎ আছে এবং তার প্রভাবও রয়ে গেছে। তারা প্রতিদিনই এর ফলভোগ করছে।’

গত শুক্রবার ইউক্রেন ইস্যুতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলাস্কায় অবস্থান করেন পুতিন। দীর্ঘ বৈঠক শেষে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, বৈঠকে ‘কোনো চুক্তি হয়নি’। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার একটি প্রস্তাব এখনো টেবিলে রয়েছে এবং ট্রাম্প ইউক্রেনকে সেটি বিবেচনা করতে উৎসাহিত করছেন।

কিন্তু আলাস্কা শীর্ষ বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর কোনো কংক্রিট সমাধান নিয়ে আসতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে অনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে অগ্রগতির কথা বলা হলেও যুদ্ধবিরতি অর্জনের লক্ষ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।

কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, রাশিয়াকে চাপে রাখতে আরও নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হচ্ছে না? এর জবাবে রুবিও বলেন, ‘নতুন নিষেধাজ্ঞা কখনোই পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাবে না।’ তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাশিয়া ইতিমধ্যেই কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে মাস কিংবা কখনো বছর লেগে যায়, তাই এর ফলে তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত