রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের কথা বলছেন। তার মানে, এই বিষয়ে তাদের একটি পরিকল্পনা আছে। তুরস্কের আনতালিয়ায় একটি কূটনৈতিক কনফারেন্সে গতকাল শুক্রবার লাভরভ এ কথা বলেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের হারিয়েই থামবে না রাশিয়া। আর তাই তিনি, ইউরোপের ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
লয়েড অস্টিন এ সময় ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোকে নির্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা যদি একটি বাল্টিক রাষ্ট্র হন, তবে সত্যিই আপনাদের চিন্তিত হওয়া উচিত যে (রাশিয়ার) পরবর্তী টার্গেট আপনারা কি না এবং সত্যি বলতে, যদি ইউক্রেনের পতন হয়, সে ক্ষেত্রে আমি বিশ্বাস করি যে, ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার লড়াই অবশ্যম্ভাবী।’
লয়েড অস্টিনের এই মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘তাঁর এই বিবৃতির অর্থ হলো—ইউক্রেন যদি হেরে যায় তাহলে ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে। মূলত, অনিচ্ছাকৃত এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ফাঁস করে দিয়েছেন যে, তাদের মনে এ ধরনের পরিকল্পনা আছে।’
লাভরভ আরও বলেন, ‘এর আগে, সবাই বলাবলি করছিল যে, আমরা ইউক্রেনকে হারতে দিতে পারি না। কারণ, পুতিন কেবল এটি দখল করেই ক্ষান্ত হবেন না তিনি বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো, পোল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের দিকেও হাত বাড়াবেন। কিন্তু অস্টিনের বক্তব্যের—যা মূলত একটি দ্ব্যর্থহীন বিবৃতি—মাধ্যমে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এটি তাদের কাছে আরও একটি বিকল্প।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই, আমরা এমন পরিকল্পনা করতেও চাই না। কিন্তু মার্কিনিদের এমন পরিকল্পনা আছে।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বলির পাঠা। যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোকে ইউক্রেনে টেনে আনছে।
মার্কিন নীতির কারণে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় ইউরোপের ঘাড়ে চেপে বসেছে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, ‘সব ধরনের বড় ব্যয়গুলো ইউরোপের কাঁধে চেপে বসেছে। এতে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে, জ্বালানির মূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। যদি মার্কিনিরা নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন উড়িয়ে না দিত তাহলে এই খরচ বাড়ত না।’
লাভরভ আরও বলেন, ইউক্রেনে যে পরিস্থিতি তা মূলত যুক্তরাষ্ট্রেরই সৃষ্টি। এর উদ্দেশ্য হলো—ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন কখনোই শক্তিশালী হয়ে মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়াতে না পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এবং এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ইউরোপ এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সেখানকার প্রধান প্রধান ব্যবসা ও উৎপাদন শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের চলে যাচ্ছে। কিন্তু যখন জ্বালানি সস্তা ছিল তখন এই পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের কথা বলছেন। তার মানে, এই বিষয়ে তাদের একটি পরিকল্পনা আছে। তুরস্কের আনতালিয়ায় একটি কূটনৈতিক কনফারেন্সে গতকাল শুক্রবার লাভরভ এ কথা বলেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের হারিয়েই থামবে না রাশিয়া। আর তাই তিনি, ইউরোপের ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
লয়েড অস্টিন এ সময় ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোকে নির্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা যদি একটি বাল্টিক রাষ্ট্র হন, তবে সত্যিই আপনাদের চিন্তিত হওয়া উচিত যে (রাশিয়ার) পরবর্তী টার্গেট আপনারা কি না এবং সত্যি বলতে, যদি ইউক্রেনের পতন হয়, সে ক্ষেত্রে আমি বিশ্বাস করি যে, ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার লড়াই অবশ্যম্ভাবী।’
লয়েড অস্টিনের এই মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘তাঁর এই বিবৃতির অর্থ হলো—ইউক্রেন যদি হেরে যায় তাহলে ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে। মূলত, অনিচ্ছাকৃত এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ফাঁস করে দিয়েছেন যে, তাদের মনে এ ধরনের পরিকল্পনা আছে।’
লাভরভ আরও বলেন, ‘এর আগে, সবাই বলাবলি করছিল যে, আমরা ইউক্রেনকে হারতে দিতে পারি না। কারণ, পুতিন কেবল এটি দখল করেই ক্ষান্ত হবেন না তিনি বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো, পোল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের দিকেও হাত বাড়াবেন। কিন্তু অস্টিনের বক্তব্যের—যা মূলত একটি দ্ব্যর্থহীন বিবৃতি—মাধ্যমে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এটি তাদের কাছে আরও একটি বিকল্প।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই, আমরা এমন পরিকল্পনা করতেও চাই না। কিন্তু মার্কিনিদের এমন পরিকল্পনা আছে।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বলির পাঠা। যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোকে ইউক্রেনে টেনে আনছে।
মার্কিন নীতির কারণে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় ইউরোপের ঘাড়ে চেপে বসেছে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, ‘সব ধরনের বড় ব্যয়গুলো ইউরোপের কাঁধে চেপে বসেছে। এতে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে, জ্বালানির মূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। যদি মার্কিনিরা নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন উড়িয়ে না দিত তাহলে এই খরচ বাড়ত না।’
লাভরভ আরও বলেন, ইউক্রেনে যে পরিস্থিতি তা মূলত যুক্তরাষ্ট্রেরই সৃষ্টি। এর উদ্দেশ্য হলো—ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন কখনোই শক্তিশালী হয়ে মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়াতে না পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এবং এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ইউরোপ এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সেখানকার প্রধান প্রধান ব্যবসা ও উৎপাদন শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের চলে যাচ্ছে। কিন্তু যখন জ্বালানি সস্তা ছিল তখন এই পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।’
২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গের গাজা অভিমুখী জাহাজ ম্যাডলিন উপত্যকাটিতে পৌঁছাবে। জাহাজের যাত্রী ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি-ফিলিস্তিনি সদস্য রিমা হাসান সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।
৫ মিনিট আগেএবার নির্বাচনী সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিগুয়েল উরিবে তুরবাই। পরপর তিনবার গুলি করা হয় তাঁকে। এর মধ্যে দুটি বুলেটই তাঁর মাথায় লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আর অন্যটি লেগেছে হাঁটুতে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় ১৫ বছর বয়সী এক
২৬ মিনিট আগেট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে দুদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। বিক্ষোভ দমনে শহরটিতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা দমনে এই গার্ডদের মোতায়েন করা
২ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক মরদেহ উদ্ধার হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স এই হামলাকে ‘পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা’ বলে অভিহিত
৩ ঘণ্টা আগে