হামিদ মীর, ইসলামাবাদ

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৩২ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
বুধবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। সেই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩.৩৮ বিলিয়ন ডলার) তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো একটি ব্রিটিশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার চায় এই অর্থ শুধু ইউক্রেনের মানবিক সহায়তায় ব্যয় হোক। অন্যদিকে আব্রামোভিচের অবস্থান হলো—এই অর্থ যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই মতবিরোধের কারণেই অর্থ ছাড় বিলম্বিত হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বক্তব্যের সময় বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি লাইসেন্স ইস্যু করেছে, যার মাধ্যমে চেলসি বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আব্রামোভিচ যদি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করেন, তাহলে সরকার আদালতের শরণাপন্ন হবে, যাতে প্রতিটি পয়সা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও বিবিসিকে বলেছেন—আব্রামোভিচের উচিত অবিলম্বে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। তিনি জানান, আইনি লড়াই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে, তাই সরকার চাইছে বিষয়টি আদালতের বাইরে দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তবে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অর্থটি কেবল ইউক্রেনের মানবিক কাজে ব্যয় করা যাবে এবং কোনোভাবেই আব্রামোভিচ বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি এতে লাভবান হতে পারবেন না।
রুশ তেল ও গ্যাস খাত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে প্রায় ৯০ দিনের সময় দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনের বাজেট ও প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ ব্যবহারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
বুধবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। সেই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩.৩৮ বিলিয়ন ডলার) তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো একটি ব্রিটিশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার চায় এই অর্থ শুধু ইউক্রেনের মানবিক সহায়তায় ব্যয় হোক। অন্যদিকে আব্রামোভিচের অবস্থান হলো—এই অর্থ যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই মতবিরোধের কারণেই অর্থ ছাড় বিলম্বিত হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বক্তব্যের সময় বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি লাইসেন্স ইস্যু করেছে, যার মাধ্যমে চেলসি বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আব্রামোভিচ যদি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করেন, তাহলে সরকার আদালতের শরণাপন্ন হবে, যাতে প্রতিটি পয়সা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও বিবিসিকে বলেছেন—আব্রামোভিচের উচিত অবিলম্বে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। তিনি জানান, আইনি লড়াই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে, তাই সরকার চাইছে বিষয়টি আদালতের বাইরে দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তবে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অর্থটি কেবল ইউক্রেনের মানবিক কাজে ব্যয় করা যাবে এবং কোনোভাবেই আব্রামোভিচ বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি এতে লাভবান হতে পারবেন না।
রুশ তেল ও গ্যাস খাত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে প্রায় ৯০ দিনের সময় দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনের বাজেট ও প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ ব্যবহারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৩২ মিনিট আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির তালিকায় মোট আট ধরনের সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—৮২টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম বা হিমার্স; এটি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ৪২০টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম, যা মাঝারি পাল্লার মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ‘অ্যালটিয়াস’ লোটারিং মিউনিশন বা কামিকাজে ড্রোন। অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে আছে—৬০টি সেলফ-প্রপেলড হাউইজার সিস্টেম, জ্যাভলিন ও টাউ অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ও হেলিকপ্টারের খুচরা যন্ত্রাংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা ও অসম যুদ্ধকৌশলের সুবিধা কাজে লাগাতে সহায়তা করছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ভিত্তি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অস্ত্র প্যাকেজটি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে কংগ্রেস চাইলে চুক্তিটি বাতিল বা সংশোধন করতে পারে। তবে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমন দ্বিমত নেই, বরং সমর্থন রয়েছে।
এই চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলাদা এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ ও ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতা’ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে তাইওয়ানও তার সামরিক বাহিনীকে ‘অসম যুদ্ধকৌশল’-এর উপযোগী করে গড়ে তুলছে। এর মধ্যে রয়েছে—ছোট, চলনশীল ও তুলনামূলকভাবে কম খরচের অস্ত্র ব্যবহার, যেমন ড্রোন। এগুলো লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত হানতে সক্ষম।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র কারেন কুও এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমেই আমরা শান্তি রক্ষা করব। এই অস্ত্র সহায়তা আমাদের অসম যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা ও আত্মরক্ষার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে।’
গত ২৬ নভেম্বর চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির মুখে নিজেদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করে তাইওয়ান। প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসে প্রমাণ আছে, আগ্রাসনের মুখে আপস করার চেষ্টা কেবল ‘‘দাসত্ব’’ নিয়ে আসে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই। সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল মূল্যবোধই আমাদের জাতির ভিত্তি।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ‘তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে’। তারা এমন চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ত্র দিয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে ঠেকানোর চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র–তাইওয়ান বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি রুপার্ট হ্যামন্ড চেম্বার্স বলেন, হিমার্সের মতো অস্ত্র ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এটি তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এই ঘোষণা আসে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। এ ছাড়া ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম দিতে আইনত বাধ্য। তবে এই অস্ত্র বিক্রি দীর্ঘদিন ধরেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বড় বিতর্কের বিষয়।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত প্রতিরোধ এবং ওই অঞ্চলে ‘সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব’ বজায় রাখতে চায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাইওয়ানের কৌশলগত গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, তাইওয়ানের অবস্থান উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দুটি ভিন্ন সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে দেয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল—দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা আপসহীন।

তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির তালিকায় মোট আট ধরনের সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—৮২টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম বা হিমার্স; এটি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ৪২০টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম, যা মাঝারি পাল্লার মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ‘অ্যালটিয়াস’ লোটারিং মিউনিশন বা কামিকাজে ড্রোন। অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে আছে—৬০টি সেলফ-প্রপেলড হাউইজার সিস্টেম, জ্যাভলিন ও টাউ অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ও হেলিকপ্টারের খুচরা যন্ত্রাংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা ও অসম যুদ্ধকৌশলের সুবিধা কাজে লাগাতে সহায়তা করছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ভিত্তি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অস্ত্র প্যাকেজটি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে কংগ্রেস চাইলে চুক্তিটি বাতিল বা সংশোধন করতে পারে। তবে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমন দ্বিমত নেই, বরং সমর্থন রয়েছে।
এই চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলাদা এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ ও ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতা’ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে তাইওয়ানও তার সামরিক বাহিনীকে ‘অসম যুদ্ধকৌশল’-এর উপযোগী করে গড়ে তুলছে। এর মধ্যে রয়েছে—ছোট, চলনশীল ও তুলনামূলকভাবে কম খরচের অস্ত্র ব্যবহার, যেমন ড্রোন। এগুলো লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত হানতে সক্ষম।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র কারেন কুও এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমেই আমরা শান্তি রক্ষা করব। এই অস্ত্র সহায়তা আমাদের অসম যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা ও আত্মরক্ষার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে।’
গত ২৬ নভেম্বর চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির মুখে নিজেদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করে তাইওয়ান। প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসে প্রমাণ আছে, আগ্রাসনের মুখে আপস করার চেষ্টা কেবল ‘‘দাসত্ব’’ নিয়ে আসে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই। সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল মূল্যবোধই আমাদের জাতির ভিত্তি।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ‘তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে’। তারা এমন চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ত্র দিয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে ঠেকানোর চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র–তাইওয়ান বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি রুপার্ট হ্যামন্ড চেম্বার্স বলেন, হিমার্সের মতো অস্ত্র ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এটি তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এই ঘোষণা আসে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। এ ছাড়া ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম দিতে আইনত বাধ্য। তবে এই অস্ত্র বিক্রি দীর্ঘদিন ধরেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বড় বিতর্কের বিষয়।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত প্রতিরোধ এবং ওই অঞ্চলে ‘সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব’ বজায় রাখতে চায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাইওয়ানের কৌশলগত গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, তাইওয়ানের অবস্থান উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দুটি ভিন্ন সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে দেয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল—দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা আপসহীন।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৩২ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
১ ঘণ্টা আগে
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা এই ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা’র কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, অবসরের ঠিক আগে বিচারকদের একটি অংশ প্রভাবিত হয়ে রায় দিচ্ছেন, যা উদ্বেগজনক।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এক জেলা বিচারকের করা আবেদন শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিচারক অবসরের মাত্র ১০ দিন আগে তাঁর বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা বিচারকদের ফরমায়েশি রায় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ অনুযায়ী, বিচারকের দেওয়া দুটি বিচারিক আদেশের সঙ্গে ওই জেলা বিচারকের বরখাস্তের বিষয়টি যুক্ত ছিল।
শুনানিকালে বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘আবেদনকারী অবসরের ঠিক আগে ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছিলেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।’
ওই জেলা বিচারকের মূলত গত ৩০ নভেম্বর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি বিচারিক আদেশের জেরে তাঁকে ১৯ নভেম্বর বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারকে তাঁর অবসর এক বছর পিছিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। কারণ, রাজ্য সরকার কর্মীদের অবসরের বয়স ৬২ বছরে উন্নীত করে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘যখন তিনি ওই দুটি আদেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে তাঁর অবসর বয়স এক বছর বাড়ানো হয়েছে। অবসরের আগে বিচারকদের এভাবে একের পর এক আদেশ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’
এ সময় বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে—কেন ওই জেলা বিচারক তাঁর বরখাস্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাননি।
বিচারকের পক্ষে আইনজীবী জানান, যেহেতু এটি ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল, তাই ন্যায়বিচারের আশায় তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসাই সমীচীন মনে করেছিলেন।
বিচারকের পক্ষে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিপিন সাংঘি আদালতকে জানান, ওই কর্মকর্তার কর্মজীবন ছিল ‘চমৎকার’ এবং তাঁর বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনগুলোতে তিনি খুব ভালো রেটিং পেয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন—যেসব বিচারিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় এবং উচ্চতর আদালত চাইলে সংশোধন করতে পারেন, সেসব আদেশের জন্য কীভাবে একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা যায়।
জবাবে বেঞ্চ জানান, ভুল আদেশ দেওয়ার কারণে কোনো বিচারিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না কিংবা তাঁকে বরখাস্তও করা যায় না। কিন্তু যদি আদেশগুলো স্পষ্টভাবে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়—তাহলে বিষয়টি ভিন্ন।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাতিল করেছেন। এসব বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবেদনকারীকে হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, অবসরের ঠিক আগে বিচারকদের একটি অংশ প্রভাবিত হয়ে রায় দিচ্ছেন, যা উদ্বেগজনক।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এক জেলা বিচারকের করা আবেদন শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিচারক অবসরের মাত্র ১০ দিন আগে তাঁর বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও ছিলেন। তাঁরা বিচারকদের ফরমায়েশি রায় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, কিছু বিচারক অবসরের আগে ‘ছক্কা হাঁকানোর’ চেষ্টা করছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ অনুযায়ী, বিচারকের দেওয়া দুটি বিচারিক আদেশের সঙ্গে ওই জেলা বিচারকের বরখাস্তের বিষয়টি যুক্ত ছিল।
শুনানিকালে বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘আবেদনকারী অবসরের ঠিক আগে ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছিলেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।’
ওই জেলা বিচারকের মূলত গত ৩০ নভেম্বর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি বিচারিক আদেশের জেরে তাঁকে ১৯ নভেম্বর বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারকে তাঁর অবসর এক বছর পিছিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। কারণ, রাজ্য সরকার কর্মীদের অবসরের বয়স ৬২ বছরে উন্নীত করে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘যখন তিনি ওই দুটি আদেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে তাঁর অবসর বয়স এক বছর বাড়ানো হয়েছে। অবসরের আগে বিচারকদের এভাবে একের পর এক আদেশ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’
এ সময় বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে—কেন ওই জেলা বিচারক তাঁর বরখাস্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাননি।
বিচারকের পক্ষে আইনজীবী জানান, যেহেতু এটি ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল, তাই ন্যায়বিচারের আশায় তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসাই সমীচীন মনে করেছিলেন।
বিচারকের পক্ষে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিপিন সাংঘি আদালতকে জানান, ওই কর্মকর্তার কর্মজীবন ছিল ‘চমৎকার’ এবং তাঁর বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনগুলোতে তিনি খুব ভালো রেটিং পেয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন—যেসব বিচারিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় এবং উচ্চতর আদালত চাইলে সংশোধন করতে পারেন, সেসব আদেশের জন্য কীভাবে একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা যায়।
জবাবে বেঞ্চ জানান, ভুল আদেশ দেওয়ার কারণে কোনো বিচারিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না কিংবা তাঁকে বরখাস্তও করা যায় না। কিন্তু যদি আদেশগুলো স্পষ্টভাবে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়—তাহলে বিষয়টি ভিন্ন।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ফুল কোর্টের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাতিল করেছেন। এসব বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবেদনকারীকে হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৩২ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে গতকাল বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দেয়, যা তাইওয়ানের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের একক বৃহত্তম অস্ত্র বিক্রির চুক্তি।
২ ঘণ্টা আগে