হামিদ মীর, ইসলামাবাদ

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।
হামিদ মীর, ইসলামাবাদ

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এই বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
৭ মিনিট আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
৭ মিনিট আগে
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এই বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গত সপ্তাহে জাদুঘরের অ্যাপোলো গ্যালারিতে দিনের আলোয় ঘটে এই দুঃসাহসী চুরির ঘটনা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই চুরির কাজটি সম্পন্ন করে পালিয়ে যায় চোরেরা। তাঁরা জাদুঘর থেকে ফরাসি রাজতন্ত্রের স্মারক হিসেবে থাকা এমন কিছু গয়না ও রত্ন নিয়ে যায়, যার মূল্য ১০ কোটি ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ল্যুভরের পরিচালক লরেন্স দে কার এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ফরাসি গণমাধ্যমের বরাতে রোববার (২৬ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে দুই সন্দেহভাজন ধরা পড়ে। দুজনই ত্রিশের কোঠার এবং পুলিশ তাদের আগেও চিনত। আরও অন্তত দুজন সন্দেহভাজন এখনো পলাতক রয়েছে।
প্রসিকিউটর লর বেকুয়ো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্যারিসের রোয়াসি বিমানবন্দর (চার্লস দ্য গল) থেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা চুরি হওয়া রত্ন উদ্ধার হয়েছে কি না—সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এদিকে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ ন্যুনেজ তদন্তকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ‘তারা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেমনটা আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম। আমি সব সময় তাদের ওপর আস্থা রেখেছি।’
ল্যুভরের অ্যাপোলো গ্যালারিটি ফরাসি রাজমুকুটের রত্নভান্ডার হিসেবে পরিচিত। চোরেরা একটি চেরি পিকার বা ট্রাকের ওপর বসানো মই ব্যবহার করে জানালা ভেঙে জাদুঘরের ওপরের তলায় প্রবেশ করেছিল। পরে মাত্র সাত মিনিটে তারা দুটি উচ্চ নিরাপত্তা কাচের কেস ভেঙে ৯টি অলংকার নিয়ে যায়।
ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, চুরি হওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল হিরা ও নীলা পাথরে তৈরি এক জোড়া টায়রা ও নেকলেস—যা একসময় রানি মেরি-অ্যামেলি ও রানি হর্তেন্স পরিধান করেছিলেন।
ঘটনার তদন্তে প্রায় ১০০ জন তদন্তকারী কাজ করছেন। ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলও অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমান স্বীকার করেছেন, ‘এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। জানালা সুরক্ষিত না থাকা এবং প্রকাশ্য রাস্তায় মই থাকা—এসবই আমাদের ব্যর্থতার প্রমাণ।’

প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এই বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গত সপ্তাহে জাদুঘরের অ্যাপোলো গ্যালারিতে দিনের আলোয় ঘটে এই দুঃসাহসী চুরির ঘটনা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই চুরির কাজটি সম্পন্ন করে পালিয়ে যায় চোরেরা। তাঁরা জাদুঘর থেকে ফরাসি রাজতন্ত্রের স্মারক হিসেবে থাকা এমন কিছু গয়না ও রত্ন নিয়ে যায়, যার মূল্য ১০ কোটি ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ল্যুভরের পরিচালক লরেন্স দে কার এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ফরাসি গণমাধ্যমের বরাতে রোববার (২৬ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে দুই সন্দেহভাজন ধরা পড়ে। দুজনই ত্রিশের কোঠার এবং পুলিশ তাদের আগেও চিনত। আরও অন্তত দুজন সন্দেহভাজন এখনো পলাতক রয়েছে।
প্রসিকিউটর লর বেকুয়ো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্যারিসের রোয়াসি বিমানবন্দর (চার্লস দ্য গল) থেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা চুরি হওয়া রত্ন উদ্ধার হয়েছে কি না—সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এদিকে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ ন্যুনেজ তদন্তকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ‘তারা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেমনটা আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম। আমি সব সময় তাদের ওপর আস্থা রেখেছি।’
ল্যুভরের অ্যাপোলো গ্যালারিটি ফরাসি রাজমুকুটের রত্নভান্ডার হিসেবে পরিচিত। চোরেরা একটি চেরি পিকার বা ট্রাকের ওপর বসানো মই ব্যবহার করে জানালা ভেঙে জাদুঘরের ওপরের তলায় প্রবেশ করেছিল। পরে মাত্র সাত মিনিটে তারা দুটি উচ্চ নিরাপত্তা কাচের কেস ভেঙে ৯টি অলংকার নিয়ে যায়।
ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, চুরি হওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল হিরা ও নীলা পাথরে তৈরি এক জোড়া টায়রা ও নেকলেস—যা একসময় রানি মেরি-অ্যামেলি ও রানি হর্তেন্স পরিধান করেছিলেন।
ঘটনার তদন্তে প্রায় ১০০ জন তদন্তকারী কাজ করছেন। ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলও অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমান স্বীকার করেছেন, ‘এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। জানালা সুরক্ষিত না থাকা এবং প্রকাশ্য রাস্তায় মই থাকা—এসবই আমাদের ব্যর্থতার প্রমাণ।’

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
৭ মিনিট আগে
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করা।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল জানিয়েছে, পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের গত মে মাসের আহ্বানের পর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্তটি এসেছে। ওজালান পিকেকে-কে নিরস্ত্রীকরণ ও বিলুপ্তির পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ অবস্থায় গত জুলাইয়ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অল্প কিছু পিকেকে যোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘোষণা করে। এই সংগঠনটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) পিকেকের ফিরাত নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কে অবস্থানরত সব যোদ্ধাকে মেদিয়া প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি মূলত উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে কান্দিল পর্বতমালা ও এর আশপাশের অঞ্চল, যেখানে পিকেকের ঘাঁটি ও প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
কান্দিল পর্বতের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ২৫ জন যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন, যারা তুরস্ক থেকে সেখানে পৌঁছান। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছি।’
সংগঠনটি তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া রক্ষার জন্য যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হয় এবং সাবেক যোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়।
সিনিয়র পিকেকে নেতা সাবরি ওক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে উল্লেখযোগ্য আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা এমন আইন চাই যা এই প্রক্রিয়ার উপযোগী। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
এই বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েব এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর শেলিক একটি এক্স বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পিকেকের প্রত্যাহার তুরস্কে সন্ত্রাসমুক্ত অগ্রগতির বাস্তব প্রতিফলন।’ তিনি আরও জানান, সংসদে গঠিত ৫১ সদস্যের কমিশন এই প্রক্রিয়ার আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরির কাজ করছে।

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে ওজালানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। এই সংঘাতে গত চার দশকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ওজালানের আহ্বানে পিকেকে জানায়, তারা অস্ত্র নয় বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে কুর্দি জনগণের অধিকার রক্ষার পথে এগিয়ে যাবে।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ডিইএম এই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দলের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং পরে ওজালানের সঙ্গে দেখা করতে ইমরালি দ্বীপের কারাগারে যাবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর ইরাকে ঘাঁটি গেড়েছে পিকেকে। এই অঞ্চলটিতে তাই তুরস্ক নিয়মিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তবে সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটির লক্ষ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন থেকে সরে এসে তারা এখন কুর্দিদের জন্য অধিক অধিকার ও সীমিত স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলছে।
তুরস্ক বলেছে, দেশটি কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করে, তবে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদ মেনে নেবে না।

কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করা।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল জানিয়েছে, পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের গত মে মাসের আহ্বানের পর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্তটি এসেছে। ওজালান পিকেকে-কে নিরস্ত্রীকরণ ও বিলুপ্তির পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ অবস্থায় গত জুলাইয়ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অল্প কিছু পিকেকে যোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘোষণা করে। এই সংগঠনটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) পিকেকের ফিরাত নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কে অবস্থানরত সব যোদ্ধাকে মেদিয়া প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি মূলত উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে কান্দিল পর্বতমালা ও এর আশপাশের অঞ্চল, যেখানে পিকেকের ঘাঁটি ও প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
কান্দিল পর্বতের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ২৫ জন যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন, যারা তুরস্ক থেকে সেখানে পৌঁছান। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছি।’
সংগঠনটি তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া রক্ষার জন্য যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হয় এবং সাবেক যোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়।
সিনিয়র পিকেকে নেতা সাবরি ওক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে উল্লেখযোগ্য আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা এমন আইন চাই যা এই প্রক্রিয়ার উপযোগী। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
এই বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েব এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর শেলিক একটি এক্স বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পিকেকের প্রত্যাহার তুরস্কে সন্ত্রাসমুক্ত অগ্রগতির বাস্তব প্রতিফলন।’ তিনি আরও জানান, সংসদে গঠিত ৫১ সদস্যের কমিশন এই প্রক্রিয়ার আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরির কাজ করছে।

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে ওজালানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। এই সংঘাতে গত চার দশকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ওজালানের আহ্বানে পিকেকে জানায়, তারা অস্ত্র নয় বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে কুর্দি জনগণের অধিকার রক্ষার পথে এগিয়ে যাবে।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ডিইএম এই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দলের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং পরে ওজালানের সঙ্গে দেখা করতে ইমরালি দ্বীপের কারাগারে যাবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর ইরাকে ঘাঁটি গেড়েছে পিকেকে। এই অঞ্চলটিতে তাই তুরস্ক নিয়মিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তবে সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটির লক্ষ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন থেকে সরে এসে তারা এখন কুর্দিদের জন্য অধিক অধিকার ও সীমিত স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলছে।
তুরস্ক বলেছে, দেশটি কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করে, তবে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদ মেনে নেবে না।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এই বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
৭ মিনিট আগে
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮ হাজার ৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।
রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।
পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮ হাজার ৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।
রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।
পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এই বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
৭ মিনিট আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
৭ মিনিট আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরও এক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এআই দিয়ে বানানো এমন ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ ও প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কবার্তা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরও এক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এআই দিয়ে বানানো এমন ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ ও প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কবার্তা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এই বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
৭ মিনিট আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
৭ মিনিট আগে
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে