
আগামী দুই দশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির বাজার হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে এলএনজি আমদানির প্রকল্পগুলো প্রায়ই দীর্ঘ বিলম্বের মুখোমুখি হয়। এ কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এলএনজি শিল্পে বিনিয়োগকারীরা ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মিনালগুলোকে স্থলভিত্তিক বড় স্থাপনাগুলোর চেয়ে দ্রুত ও সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরছে।
তবে ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইএফএ) নতুন ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে, ভাসমান আমদানি টার্মিনালগুলো বেশ কিছু উপেক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, যা এই সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির বাজারগুলোতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ভাসমান টার্মিনালগুলোর নির্মাণ ব্যয় স্থলভিত্তিক টার্মিনালগুলোর তুলনায় কম হলেও, ভাসমান টার্মিনালের পরিচালন ব্যয় মাত্র সাত বছরের মধ্যেই বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, বৈরী আবহাওয়ায় কার্যক্রম চালানো কঠিন হওয়ার বিষয়টিও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে এলএনজি প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি। এই অঞ্চলগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমানভাবে কঠোর আবহাওয়া ও সামুদ্রিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
আইইএফএ-এশিয়ার এলএনজি-গ্যাস গবেষণা বিভাগের প্রধান এবং নোটের সহলেখক স্যাম রেনল্ডস বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী ও বিপজ্জনক আবহাওয়া ঘটনা ভাসমান এলএনজি প্রকল্পের নির্ভরযোগ্যতা এবং আমদানিকারক দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের এবং ফিলিপাইনের সাম্প্রতিক ভাসমান প্রকল্প বাতিল এবং ভিয়েতনামে চলমান বিলম্ব প্রমাণ করে যে, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সহজ নয়। এই বিষয়টি এলএনজি শিল্পের দ্রুত, স্বল্প মেয়াদি চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশা কমিয়ে দিতে পারে।’
আইইএফএ-এর এলএনজি-গ্যাস বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার ডোলম্যান বলেন, ‘এশিয়ার বৃহত্তম এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলোর—যেমন জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারত বা থাইল্যান্ড—কোনোটাই বর্তমানে ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মিনাল ব্যবহার করছে না। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র অনুকূল আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করা এই অঞ্চলের শীর্ষ আমদানিকারকদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’
সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভাসমান এলএনজি আমদানির জাহাজ ছাড়াও ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এবং ফ্লোটিং স্টোরেজ ইউনিট (এফএসইউ) বাতাসের গতিবেগ মাপার আন্তর্জাতিক স্কেলে ‘মাঝারি গতির বাতাসেও’ কার্যকরী সমস্যা তৈরি করতে পারে। মাঝারি থেকে উত্তাল ঢেউও কার্যক্রমে বাধা দিতে পারে এবং ভাসমান টার্মিনালগুলোকে সাময়িকভাবে গ্যাস স্থানান্তর করতে বাধ্য করতে পারে।
এই বাধাগুলো সাধারণভাবে স্বল্পমেয়াদি হলেও, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা দেখায় যে, আবহাওয়া সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। যা অন্যান্য দেশে নির্মাণাধীন ভাসমান এলএনজি প্রকল্পগুলোর জন্য জ্বালানি নিরাপত্তার ঝুঁকির পূর্বাভাস দেয়।
বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি আমদানির স্থাপনার মধ্যে একটি সামিট এলএনজি টার্মিনাল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রুটিন মেরামত শেষে, মে মাসে সাইক্লোন রেমাল চলাকালীন কাঠামোগত ক্ষতির কারণে এটি সিঙ্গাপুরে অতিরিক্ত মেরামতের জন্য পাঠানো হয়। জুলাইয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর প্রতিকূল সামুদ্রিক পরিস্থিতি সংযোগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টার্মিনালটি পুনরায় চালু হতে বিলম্বিত হয়।
এই ঝড়ে বাংলাদেশের আনুমানিক ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া, টার্মিনালটি কাজ না করার সময়ে চুক্তিভিত্তিক অর্থ প্রদানের অংশ হিসেবে সামিট গ্রুপ সরকারের কাছে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছে। উল্লেখ্য, এই টার্মিনালের কিছু অংশের মালিকানা জাপানের জেরা (১৬ দশমিক ৫ শতাংশ) এবং মিতসুবিশির (২৫ শতাংশ)।
এশিয়াজুড়ে ১২২টি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণাধীন, যার মধ্যে ২২টি ভাসমান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিকল্পিত ভাসমান প্রকল্পগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই ক্রান্তীয় ঝড় এবং ঘূর্ণিঝড় প্রবণ দেশগুলোতে অবস্থিত। এসব দেশের ভারত, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম অন্যতম। ফিলিপাইনের নতুন টার্মিনালগুলো এরই মধ্যে আবহাওয়াজনিত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং ভিয়েতনামের উপকূলবর্তী প্রতিকূল অবস্থা ভাসমান টার্মিনালের উপযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
স্যাম রেনল্ডস বলেন, ‘ভাসমান টার্মিনালগুলোর জন্য আবহাওয়াজনিত সমস্যা এলএনজি গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করা অনেক সমস্যার একটি মাত্র। এ ছাড়া এলএনজির উচ্চমূল্য এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের কারণে উদীয়মান বাজারগুলোতে একটি কঠিন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। উচ্চ ব্যয়, দীর্ঘ বিলম্ব এবং প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ অনেক প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং কিছু প্রকল্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’
ডোলম্যান বলেন, ‘যদিও সমুদ্রপথে প্রাকৃতিক গ্যাস বাণিজ্যে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আবহাওয়াজনিত ঝুঁকিগুলো অপ্রতিরোধ্য নয়, তবে এসব ঝুঁকি মোকাবিলার প্রচেষ্টা উদীয়মান বাজারগুলোর জন্য ইতিমধ্যেই ব্যয়বহুল জ্বালানিতে আরও খরচ ও জটিলতা যোগ করবে।’

আগামী দুই দশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির বাজার হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে এলএনজি আমদানির প্রকল্পগুলো প্রায়ই দীর্ঘ বিলম্বের মুখোমুখি হয়। এ কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এলএনজি শিল্পে বিনিয়োগকারীরা ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মিনালগুলোকে স্থলভিত্তিক বড় স্থাপনাগুলোর চেয়ে দ্রুত ও সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরছে।
তবে ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইএফএ) নতুন ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে, ভাসমান আমদানি টার্মিনালগুলো বেশ কিছু উপেক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, যা এই সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির বাজারগুলোতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ভাসমান টার্মিনালগুলোর নির্মাণ ব্যয় স্থলভিত্তিক টার্মিনালগুলোর তুলনায় কম হলেও, ভাসমান টার্মিনালের পরিচালন ব্যয় মাত্র সাত বছরের মধ্যেই বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, বৈরী আবহাওয়ায় কার্যক্রম চালানো কঠিন হওয়ার বিষয়টিও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে এলএনজি প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি। এই অঞ্চলগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমানভাবে কঠোর আবহাওয়া ও সামুদ্রিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
আইইএফএ-এশিয়ার এলএনজি-গ্যাস গবেষণা বিভাগের প্রধান এবং নোটের সহলেখক স্যাম রেনল্ডস বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী ও বিপজ্জনক আবহাওয়া ঘটনা ভাসমান এলএনজি প্রকল্পের নির্ভরযোগ্যতা এবং আমদানিকারক দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের এবং ফিলিপাইনের সাম্প্রতিক ভাসমান প্রকল্প বাতিল এবং ভিয়েতনামে চলমান বিলম্ব প্রমাণ করে যে, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সহজ নয়। এই বিষয়টি এলএনজি শিল্পের দ্রুত, স্বল্প মেয়াদি চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশা কমিয়ে দিতে পারে।’
আইইএফএ-এর এলএনজি-গ্যাস বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার ডোলম্যান বলেন, ‘এশিয়ার বৃহত্তম এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলোর—যেমন জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারত বা থাইল্যান্ড—কোনোটাই বর্তমানে ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মিনাল ব্যবহার করছে না। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র অনুকূল আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করা এই অঞ্চলের শীর্ষ আমদানিকারকদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’
সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভাসমান এলএনজি আমদানির জাহাজ ছাড়াও ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এবং ফ্লোটিং স্টোরেজ ইউনিট (এফএসইউ) বাতাসের গতিবেগ মাপার আন্তর্জাতিক স্কেলে ‘মাঝারি গতির বাতাসেও’ কার্যকরী সমস্যা তৈরি করতে পারে। মাঝারি থেকে উত্তাল ঢেউও কার্যক্রমে বাধা দিতে পারে এবং ভাসমান টার্মিনালগুলোকে সাময়িকভাবে গ্যাস স্থানান্তর করতে বাধ্য করতে পারে।
এই বাধাগুলো সাধারণভাবে স্বল্পমেয়াদি হলেও, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা দেখায় যে, আবহাওয়া সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। যা অন্যান্য দেশে নির্মাণাধীন ভাসমান এলএনজি প্রকল্পগুলোর জন্য জ্বালানি নিরাপত্তার ঝুঁকির পূর্বাভাস দেয়।
বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি আমদানির স্থাপনার মধ্যে একটি সামিট এলএনজি টার্মিনাল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রুটিন মেরামত শেষে, মে মাসে সাইক্লোন রেমাল চলাকালীন কাঠামোগত ক্ষতির কারণে এটি সিঙ্গাপুরে অতিরিক্ত মেরামতের জন্য পাঠানো হয়। জুলাইয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর প্রতিকূল সামুদ্রিক পরিস্থিতি সংযোগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টার্মিনালটি পুনরায় চালু হতে বিলম্বিত হয়।
এই ঝড়ে বাংলাদেশের আনুমানিক ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া, টার্মিনালটি কাজ না করার সময়ে চুক্তিভিত্তিক অর্থ প্রদানের অংশ হিসেবে সামিট গ্রুপ সরকারের কাছে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছে। উল্লেখ্য, এই টার্মিনালের কিছু অংশের মালিকানা জাপানের জেরা (১৬ দশমিক ৫ শতাংশ) এবং মিতসুবিশির (২৫ শতাংশ)।
এশিয়াজুড়ে ১২২টি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণাধীন, যার মধ্যে ২২টি ভাসমান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিকল্পিত ভাসমান প্রকল্পগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই ক্রান্তীয় ঝড় এবং ঘূর্ণিঝড় প্রবণ দেশগুলোতে অবস্থিত। এসব দেশের ভারত, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম অন্যতম। ফিলিপাইনের নতুন টার্মিনালগুলো এরই মধ্যে আবহাওয়াজনিত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং ভিয়েতনামের উপকূলবর্তী প্রতিকূল অবস্থা ভাসমান টার্মিনালের উপযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
স্যাম রেনল্ডস বলেন, ‘ভাসমান টার্মিনালগুলোর জন্য আবহাওয়াজনিত সমস্যা এলএনজি গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করা অনেক সমস্যার একটি মাত্র। এ ছাড়া এলএনজির উচ্চমূল্য এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের কারণে উদীয়মান বাজারগুলোতে একটি কঠিন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। উচ্চ ব্যয়, দীর্ঘ বিলম্ব এবং প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ অনেক প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং কিছু প্রকল্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’
ডোলম্যান বলেন, ‘যদিও সমুদ্রপথে প্রাকৃতিক গ্যাস বাণিজ্যে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আবহাওয়াজনিত ঝুঁকিগুলো অপ্রতিরোধ্য নয়, তবে এসব ঝুঁকি মোকাবিলার প্রচেষ্টা উদীয়মান বাজারগুলোর জন্য ইতিমধ্যেই ব্যয়বহুল জ্বালানিতে আরও খরচ ও জটিলতা যোগ করবে।’

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
১ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

আগামী দুই দশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির বাজার হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে এলএনজি আমদানির প্রকল্পগুলো প্রায়ই দীর্ঘ বিলম্বের মুখোমুখি হয়। এ কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এলএনজি শিল্পে বিনিয়োগকারীরা ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মি
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

আগামী দুই দশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির বাজার হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে এলএনজি আমদানির প্রকল্পগুলো প্রায়ই দীর্ঘ বিলম্বের মুখোমুখি হয়। এ কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এলএনজি শিল্পে বিনিয়োগকারীরা ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মি
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
১ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

আগামী দুই দশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির বাজার হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে এলএনজি আমদানির প্রকল্পগুলো প্রায়ই দীর্ঘ বিলম্বের মুখোমুখি হয়। এ কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এলএনজি শিল্পে বিনিয়োগকারীরা ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মি
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
১ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

আগামী দুই দশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির বাজার হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে এলএনজি আমদানির প্রকল্পগুলো প্রায়ই দীর্ঘ বিলম্বের মুখোমুখি হয়। এ কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এলএনজি শিল্পে বিনিয়োগকারীরা ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মি
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
১ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে