
প্রতিবছরই ভ্যালেন্টাইন ডে-তে চকলেট দেওয়ার একটি রীতি ছিল জাপানের কর্মস্থলগুলোতে। ‘গিরি-চোকো’ বা ‘বাধ্যতামূলক চকলেট’ দেওয়ার এই রীতি একসময় জাপানের অফিস সংস্কৃতির অংশ ছিল।
পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
ব্লুমবার্গের এক দশক পুরোনো একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী—এই অভ্যাস এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, এটি চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য বাড়াতে সহায়তা করেছিল।
কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তনশীল ধারা এই ঐতিহ্যের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। নিপ্পন লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই বছর ভ্যালেন্টাইনের জন্য চকলেট দেওয়ার পরিকল্পনা করা ব্যক্তিদের মধ্যে সহকর্মীদের জন্য চকলেট কিনেছেন মাত্র ১৩ শতাংশ নারী।
আরেকটি সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালে যেখানে ১৪ শতাংশ নারী সহকর্মীদের চকলেট উপহার দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে।
শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে ফেব্রুয়ারির সেটসুবুন উৎসবে এহোমাকি সুশি খাওয়া বা ক্রিসমাসে কেনটাকি ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার ঋতু-ভিত্তিক প্রচলনের মতো ‘গিরি-চোকো’ সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে চকলেটের বিক্রি বাড়াতে চালু হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসটি জাপানে চকলেট বিক্রির একটি প্রধান সময় হয়ে উঠেছিল।
তবে এই রীতির প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। জাপানের কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিবর্তিত লিঙ্গবোধ এই রীতিকে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করতে শুরু করে।
২০১৮ সালে বেলজিয়ান চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি গডাইভা জাপানের নিক্কেই পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। বিজ্ঞাপনে তারা জাপানকে গিরি-চকো রীতি বন্ধ করার আহ্বান জানায় এই যুক্তিতে যে, এটি নারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
এই রীতিতে শেষ ধাক্কাটি লাগে করোনা মহামারির সময়। কারণ সেই সময়টিতে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি অনেক কমে গিয়েছিল। এভাবে সে সময় ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে অফিসে না থাকার একটি সুবিধাজনক অজুহাত তৈরি হয়েছিল।
তবে পুরুষদের জন্য বিষয়টি একেবারে সহজ ছিল না। ঐতিহ্য অনুসারে তাঁরা ‘হোয়াইট ডে’ অর্থাৎ ১৪ মার্চে নারীদের চকলেটের প্রতিদান দিতে বাধ্য ছিলেন। এই রীতিটি চালু হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে। এই দিনটিতে পুরুষেরা সাধারণত মিষ্টান্ন বিতরণ করেন।
তবে আজকাল জাপানিরা এই ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসছে। শুধু অফিস নয়, চকলেট উপহারের ক্ষেত্রটি বরং আরও প্রসারিত হয়েছে। যেমন—জাপানিরা এখন বন্ধুবান্ধবকে দেন ‘টোমো-চোকো’, ‘কাজোকু-চোকো’ পরিবারের জন্য এবং সর্বোপরি ‘জিবুন-চোকো’ অর্থাৎ নিজের জন্য চকলেট কেনারও প্রচলন বাড়ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে চকলেট শিল্পের বিক্রি সংকুচিত না হয়ে বরং আরও বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশটিতে চকলেট খাওয়ার পরিমাণও এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
অন্যান্য শিল্পও এই পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। ফুলের ব্যবসায়ীরা পুরুষদের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশের প্রবণতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালে যেখানে মাত্র ১.৭ শতাংশ পুরুষ ভ্যালেন্টাইনসে ফুল দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।
তাহলে কে বলেছে, রোমান্স মরে গেছে?

প্রতিবছরই ভ্যালেন্টাইন ডে-তে চকলেট দেওয়ার একটি রীতি ছিল জাপানের কর্মস্থলগুলোতে। ‘গিরি-চোকো’ বা ‘বাধ্যতামূলক চকলেট’ দেওয়ার এই রীতি একসময় জাপানের অফিস সংস্কৃতির অংশ ছিল।
পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
ব্লুমবার্গের এক দশক পুরোনো একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী—এই অভ্যাস এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, এটি চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য বাড়াতে সহায়তা করেছিল।
কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তনশীল ধারা এই ঐতিহ্যের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। নিপ্পন লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই বছর ভ্যালেন্টাইনের জন্য চকলেট দেওয়ার পরিকল্পনা করা ব্যক্তিদের মধ্যে সহকর্মীদের জন্য চকলেট কিনেছেন মাত্র ১৩ শতাংশ নারী।
আরেকটি সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালে যেখানে ১৪ শতাংশ নারী সহকর্মীদের চকলেট উপহার দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে।
শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে ফেব্রুয়ারির সেটসুবুন উৎসবে এহোমাকি সুশি খাওয়া বা ক্রিসমাসে কেনটাকি ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার ঋতু-ভিত্তিক প্রচলনের মতো ‘গিরি-চোকো’ সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে চকলেটের বিক্রি বাড়াতে চালু হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসটি জাপানে চকলেট বিক্রির একটি প্রধান সময় হয়ে উঠেছিল।
তবে এই রীতির প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। জাপানের কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিবর্তিত লিঙ্গবোধ এই রীতিকে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করতে শুরু করে।
২০১৮ সালে বেলজিয়ান চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি গডাইভা জাপানের নিক্কেই পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। বিজ্ঞাপনে তারা জাপানকে গিরি-চকো রীতি বন্ধ করার আহ্বান জানায় এই যুক্তিতে যে, এটি নারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
এই রীতিতে শেষ ধাক্কাটি লাগে করোনা মহামারির সময়। কারণ সেই সময়টিতে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি অনেক কমে গিয়েছিল। এভাবে সে সময় ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে অফিসে না থাকার একটি সুবিধাজনক অজুহাত তৈরি হয়েছিল।
তবে পুরুষদের জন্য বিষয়টি একেবারে সহজ ছিল না। ঐতিহ্য অনুসারে তাঁরা ‘হোয়াইট ডে’ অর্থাৎ ১৪ মার্চে নারীদের চকলেটের প্রতিদান দিতে বাধ্য ছিলেন। এই রীতিটি চালু হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে। এই দিনটিতে পুরুষেরা সাধারণত মিষ্টান্ন বিতরণ করেন।
তবে আজকাল জাপানিরা এই ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসছে। শুধু অফিস নয়, চকলেট উপহারের ক্ষেত্রটি বরং আরও প্রসারিত হয়েছে। যেমন—জাপানিরা এখন বন্ধুবান্ধবকে দেন ‘টোমো-চোকো’, ‘কাজোকু-চোকো’ পরিবারের জন্য এবং সর্বোপরি ‘জিবুন-চোকো’ অর্থাৎ নিজের জন্য চকলেট কেনারও প্রচলন বাড়ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে চকলেট শিল্পের বিক্রি সংকুচিত না হয়ে বরং আরও বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশটিতে চকলেট খাওয়ার পরিমাণও এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
অন্যান্য শিল্পও এই পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। ফুলের ব্যবসায়ীরা পুরুষদের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশের প্রবণতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালে যেখানে মাত্র ১.৭ শতাংশ পুরুষ ভ্যালেন্টাইনসে ফুল দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।
তাহলে কে বলেছে, রোমান্স মরে গেছে?

প্রতিবছরই ভ্যালেন্টাইন ডে-তে চকলেট দেওয়ার একটি রীতি ছিল জাপানের কর্মস্থলগুলোতে। ‘গিরি-চোকো’ বা ‘বাধ্যতামূলক চকলেট’ দেওয়ার এই রীতি একসময় জাপানের অফিস সংস্কৃতির অংশ ছিল।
পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
ব্লুমবার্গের এক দশক পুরোনো একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী—এই অভ্যাস এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, এটি চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য বাড়াতে সহায়তা করেছিল।
কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তনশীল ধারা এই ঐতিহ্যের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। নিপ্পন লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই বছর ভ্যালেন্টাইনের জন্য চকলেট দেওয়ার পরিকল্পনা করা ব্যক্তিদের মধ্যে সহকর্মীদের জন্য চকলেট কিনেছেন মাত্র ১৩ শতাংশ নারী।
আরেকটি সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালে যেখানে ১৪ শতাংশ নারী সহকর্মীদের চকলেট উপহার দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে।
শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে ফেব্রুয়ারির সেটসুবুন উৎসবে এহোমাকি সুশি খাওয়া বা ক্রিসমাসে কেনটাকি ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার ঋতু-ভিত্তিক প্রচলনের মতো ‘গিরি-চোকো’ সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে চকলেটের বিক্রি বাড়াতে চালু হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসটি জাপানে চকলেট বিক্রির একটি প্রধান সময় হয়ে উঠেছিল।
তবে এই রীতির প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। জাপানের কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিবর্তিত লিঙ্গবোধ এই রীতিকে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করতে শুরু করে।
২০১৮ সালে বেলজিয়ান চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি গডাইভা জাপানের নিক্কেই পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। বিজ্ঞাপনে তারা জাপানকে গিরি-চকো রীতি বন্ধ করার আহ্বান জানায় এই যুক্তিতে যে, এটি নারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
এই রীতিতে শেষ ধাক্কাটি লাগে করোনা মহামারির সময়। কারণ সেই সময়টিতে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি অনেক কমে গিয়েছিল। এভাবে সে সময় ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে অফিসে না থাকার একটি সুবিধাজনক অজুহাত তৈরি হয়েছিল।
তবে পুরুষদের জন্য বিষয়টি একেবারে সহজ ছিল না। ঐতিহ্য অনুসারে তাঁরা ‘হোয়াইট ডে’ অর্থাৎ ১৪ মার্চে নারীদের চকলেটের প্রতিদান দিতে বাধ্য ছিলেন। এই রীতিটি চালু হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে। এই দিনটিতে পুরুষেরা সাধারণত মিষ্টান্ন বিতরণ করেন।
তবে আজকাল জাপানিরা এই ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসছে। শুধু অফিস নয়, চকলেট উপহারের ক্ষেত্রটি বরং আরও প্রসারিত হয়েছে। যেমন—জাপানিরা এখন বন্ধুবান্ধবকে দেন ‘টোমো-চোকো’, ‘কাজোকু-চোকো’ পরিবারের জন্য এবং সর্বোপরি ‘জিবুন-চোকো’ অর্থাৎ নিজের জন্য চকলেট কেনারও প্রচলন বাড়ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে চকলেট শিল্পের বিক্রি সংকুচিত না হয়ে বরং আরও বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশটিতে চকলেট খাওয়ার পরিমাণও এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
অন্যান্য শিল্পও এই পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। ফুলের ব্যবসায়ীরা পুরুষদের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশের প্রবণতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালে যেখানে মাত্র ১.৭ শতাংশ পুরুষ ভ্যালেন্টাইনসে ফুল দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।
তাহলে কে বলেছে, রোমান্স মরে গেছে?

প্রতিবছরই ভ্যালেন্টাইন ডে-তে চকলেট দেওয়ার একটি রীতি ছিল জাপানের কর্মস্থলগুলোতে। ‘গিরি-চোকো’ বা ‘বাধ্যতামূলক চকলেট’ দেওয়ার এই রীতি একসময় জাপানের অফিস সংস্কৃতির অংশ ছিল।
পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
ব্লুমবার্গের এক দশক পুরোনো একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী—এই অভ্যাস এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, এটি চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য বাড়াতে সহায়তা করেছিল।
কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তনশীল ধারা এই ঐতিহ্যের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। নিপ্পন লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই বছর ভ্যালেন্টাইনের জন্য চকলেট দেওয়ার পরিকল্পনা করা ব্যক্তিদের মধ্যে সহকর্মীদের জন্য চকলেট কিনেছেন মাত্র ১৩ শতাংশ নারী।
আরেকটি সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালে যেখানে ১৪ শতাংশ নারী সহকর্মীদের চকলেট উপহার দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে।
শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে ফেব্রুয়ারির সেটসুবুন উৎসবে এহোমাকি সুশি খাওয়া বা ক্রিসমাসে কেনটাকি ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার ঋতু-ভিত্তিক প্রচলনের মতো ‘গিরি-চোকো’ সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে চকলেটের বিক্রি বাড়াতে চালু হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসটি জাপানে চকলেট বিক্রির একটি প্রধান সময় হয়ে উঠেছিল।
তবে এই রীতির প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। জাপানের কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিবর্তিত লিঙ্গবোধ এই রীতিকে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করতে শুরু করে।
২০১৮ সালে বেলজিয়ান চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি গডাইভা জাপানের নিক্কেই পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। বিজ্ঞাপনে তারা জাপানকে গিরি-চকো রীতি বন্ধ করার আহ্বান জানায় এই যুক্তিতে যে, এটি নারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
এই রীতিতে শেষ ধাক্কাটি লাগে করোনা মহামারির সময়। কারণ সেই সময়টিতে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি অনেক কমে গিয়েছিল। এভাবে সে সময় ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে অফিসে না থাকার একটি সুবিধাজনক অজুহাত তৈরি হয়েছিল।
তবে পুরুষদের জন্য বিষয়টি একেবারে সহজ ছিল না। ঐতিহ্য অনুসারে তাঁরা ‘হোয়াইট ডে’ অর্থাৎ ১৪ মার্চে নারীদের চকলেটের প্রতিদান দিতে বাধ্য ছিলেন। এই রীতিটি চালু হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে। এই দিনটিতে পুরুষেরা সাধারণত মিষ্টান্ন বিতরণ করেন।
তবে আজকাল জাপানিরা এই ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসছে। শুধু অফিস নয়, চকলেট উপহারের ক্ষেত্রটি বরং আরও প্রসারিত হয়েছে। যেমন—জাপানিরা এখন বন্ধুবান্ধবকে দেন ‘টোমো-চোকো’, ‘কাজোকু-চোকো’ পরিবারের জন্য এবং সর্বোপরি ‘জিবুন-চোকো’ অর্থাৎ নিজের জন্য চকলেট কেনারও প্রচলন বাড়ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে চকলেট শিল্পের বিক্রি সংকুচিত না হয়ে বরং আরও বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশটিতে চকলেট খাওয়ার পরিমাণও এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
অন্যান্য শিল্পও এই পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। ফুলের ব্যবসায়ীরা পুরুষদের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশের প্রবণতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালে যেখানে মাত্র ১.৭ শতাংশ পুরুষ ভ্যালেন্টাইনসে ফুল দিতেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই হার বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।
তাহলে কে বলেছে, রোমান্স মরে গেছে?

বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
১ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৩ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৩ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
১ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
১ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৩ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৬ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

পশ্চিমা বিশ্বে ভালোবাসার এই দিনটিতে যেখানে সাধারণত পুরুষেরা নারীদের ফুল দেন, সেখানে জাপানের নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মী ও বস সহ অন্য পুরুষদের চকলেট উপহার দিতেন। ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি একটু অতিরঞ্জিত শোনালেও এটি দেশটির একটি সাধারণ কর্মস্থলীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
১ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৩ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৫ ঘণ্টা আগে