অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অনুরোধের পর ফিলিপাইনের পুলিশ দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর শাসনামলের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল মাদকের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান। এসব অভিযানে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা ও আগ্রাসনের অপরাধের বিচার করে। বিশেষ করে যখন সদস্য রাষ্ট্রগুলো এসব অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে অক্ষম বা অনিচ্ছুক হয়। আদালত সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের সংঘটিত অপরাধ বা সদস্য রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে পারে। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ১২৫। ২০২৫ সালের জন্য আদালতের বাজেট প্রায় ২০২ মিলিয়ন ডলার।
আইসিসি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে শুরু করে ইউক্রেন, উগান্ডা, কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী, কেনিয়ার মতো আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, লাতিন আমেরিকায় ভেনেজুয়েলা এবং এশিয়ায় মিয়ানমার ও ফিলিপাইনে তদন্ত পরিচালনা করছে। আদালত জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩২টি মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় একাধিক সন্দেহভাজন আছে। আইসিসির বিচারকেরা অন্তত ৬০টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদালত ১১টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার রায় এবং চারটিতে খালাসের রায় দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি বন্দী কেন্দ্রে ২১ জন আটক আছেন এবং তারা আদালতে হাজির হয়েছেন, তবে ৩১ জন এখনো পলাতক। সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের মৃত্যুর কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
যে ১১টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য। অন্য সাজাগুলো সাক্ষী প্রভাবিত করার মতো অপরাধের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ছয়জনই আফ্রিকার বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনীর নেতা, যারা কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী, মালি ও উগান্ডার নাগরিক। তাঁদের কারাদণ্ডের মেয়াদ ৯ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। সর্বোচ্চ সাজা হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে, তবে আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি। ২০১৮ সালে আইসিসি তাঁর শাসনামলে মাদক ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তের ঘোষণা দিলে দুতার্তে আদালত থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
২০২০ সালে এ প্রত্যাহার কার্যকর হলেও বিচারকেরা রায় দেন যে, ফিলিপাইন সদস্য থাকা অবস্থায় সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত আইসিসি চালিয়ে যেতে পারবে।
আইসিসির অন্যান্য আলোচিত অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন—ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যাকে গাজা সংঘাতে হত্যা, নিপীড়ন ও অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের মতো অপরাধের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন থেকে শত শত শিশু অবৈধভাবে বহন করার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধের মামলা রয়েছে। ইসরায়েল ও রাশিয়া বারবার দাবি করেছে যে, তাদের বাহিনী গাজা ও ইউক্রেনে কোনো নৃশংসতা চালায়নি এবং আইসিসির তাদের ওপর কোনো এখতিয়ার নেই।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইসিসির প্রসিকিউটর আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন, তবে বিচারকেরা এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেননি। যদিও আদালত জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন পায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া সদস্য নয়। তারা যুক্তি দেয় যে, আইসিসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার পরিচালনার জন্য ব্যবহার হতে পারে।
মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়, তবে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আদালতের বিচারকেরা রায় দেন যে, আইসিসির সদস্য বাংলাদেশ আংশিক সংঘটিত হওয়া সীমান্ত পেরিয়ে করা অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার রয়েছে। এর ফলে আদালত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের আনুষ্ঠানিক তদন্ত চালাতে পারে।
ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয় এবং এর এখতিয়ার স্বীকার করে না। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ২০১৫ সালে আইসিসির সদস্যপদ লাভ করে। এর ফলে আদালত হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে চালানো যুদ্ধাপরাধ এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য অপরাধগুলোর তদন্ত করতে পারে।
ফিলিপাইন বর্তমানে আইসিসির সদস্য নয়, তবে ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তারা সদস্য ছিল। দুতার্তের একতরফা প্রত্যাহার ২০১৯ সালে চূড়ান্ত হয়। আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা ১৯৯৮ সালের রোম সংবিধি অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র সদস্যপদ প্রত্যাহার করলেও সদস্য থাকা অবস্থায় সংঘটিত অপরাধের ওপর আদালতের এখতিয়ার বজায় থাকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অনুরোধের পর ফিলিপাইনের পুলিশ দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর শাসনামলের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল মাদকের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান। এসব অভিযানে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা ও আগ্রাসনের অপরাধের বিচার করে। বিশেষ করে যখন সদস্য রাষ্ট্রগুলো এসব অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে অক্ষম বা অনিচ্ছুক হয়। আদালত সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের সংঘটিত অপরাধ বা সদস্য রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে পারে। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ১২৫। ২০২৫ সালের জন্য আদালতের বাজেট প্রায় ২০২ মিলিয়ন ডলার।
আইসিসি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে শুরু করে ইউক্রেন, উগান্ডা, কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী, কেনিয়ার মতো আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, লাতিন আমেরিকায় ভেনেজুয়েলা এবং এশিয়ায় মিয়ানমার ও ফিলিপাইনে তদন্ত পরিচালনা করছে। আদালত জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩২টি মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় একাধিক সন্দেহভাজন আছে। আইসিসির বিচারকেরা অন্তত ৬০টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদালত ১১টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার রায় এবং চারটিতে খালাসের রায় দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি বন্দী কেন্দ্রে ২১ জন আটক আছেন এবং তারা আদালতে হাজির হয়েছেন, তবে ৩১ জন এখনো পলাতক। সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের মৃত্যুর কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
যে ১১টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য। অন্য সাজাগুলো সাক্ষী প্রভাবিত করার মতো অপরাধের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ছয়জনই আফ্রিকার বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনীর নেতা, যারা কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী, মালি ও উগান্ডার নাগরিক। তাঁদের কারাদণ্ডের মেয়াদ ৯ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। সর্বোচ্চ সাজা হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে, তবে আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি। ২০১৮ সালে আইসিসি তাঁর শাসনামলে মাদক ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তের ঘোষণা দিলে দুতার্তে আদালত থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
২০২০ সালে এ প্রত্যাহার কার্যকর হলেও বিচারকেরা রায় দেন যে, ফিলিপাইন সদস্য থাকা অবস্থায় সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত আইসিসি চালিয়ে যেতে পারবে।
আইসিসির অন্যান্য আলোচিত অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন—ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যাকে গাজা সংঘাতে হত্যা, নিপীড়ন ও অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের মতো অপরাধের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন থেকে শত শত শিশু অবৈধভাবে বহন করার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধের মামলা রয়েছে। ইসরায়েল ও রাশিয়া বারবার দাবি করেছে যে, তাদের বাহিনী গাজা ও ইউক্রেনে কোনো নৃশংসতা চালায়নি এবং আইসিসির তাদের ওপর কোনো এখতিয়ার নেই।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইসিসির প্রসিকিউটর আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন, তবে বিচারকেরা এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেননি। যদিও আদালত জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন পায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া সদস্য নয়। তারা যুক্তি দেয় যে, আইসিসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার পরিচালনার জন্য ব্যবহার হতে পারে।
মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়, তবে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আদালতের বিচারকেরা রায় দেন যে, আইসিসির সদস্য বাংলাদেশ আংশিক সংঘটিত হওয়া সীমান্ত পেরিয়ে করা অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার রয়েছে। এর ফলে আদালত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের আনুষ্ঠানিক তদন্ত চালাতে পারে।
ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয় এবং এর এখতিয়ার স্বীকার করে না। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ২০১৫ সালে আইসিসির সদস্যপদ লাভ করে। এর ফলে আদালত হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে চালানো যুদ্ধাপরাধ এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য অপরাধগুলোর তদন্ত করতে পারে।
ফিলিপাইন বর্তমানে আইসিসির সদস্য নয়, তবে ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তারা সদস্য ছিল। দুতার্তের একতরফা প্রত্যাহার ২০১৯ সালে চূড়ান্ত হয়। আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা ১৯৯৮ সালের রোম সংবিধি অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র সদস্যপদ প্রত্যাহার করলেও সদস্য থাকা অবস্থায় সংঘটিত অপরাধের ওপর আদালতের এখতিয়ার বজায় থাকে।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানে রেলপথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেনে হামলা চালিয়েছিল বিদ্রোহীরা। এই হামলার দায় স্বীকার করা বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ট্রেন ছিনতাইয়ের দৃশ্য সংবলিত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
২০ মিনিট আগেপাকিস্তানে গতকাল মঙ্গলবার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা একটি ট্রেন ছিনতাই করে প্রায় ৫০০ যাত্রীকে জিম্মি করে। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তানে স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
৪২ মিনিট আগেপাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান জেলার কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন জিম্মি করে স্থানীয় বিদ্রোহীরা। প্রায় সাড়ে ৪০০ যাত্রীবাহী জাফর এক্সপ্রেস থেকে এখন পর্যন্ত ১৯০ জনকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৩০ বিদ্রোহী...
১ ঘণ্টা আগেমর্মান্তিক এই ঘটনায় নেপাল সরকারের অবস্থান ছিল অমানবিক। হতাহতদের পরিবারকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। তাদের যুক্তি ছিল—দর্শকেরা নিজের ইচ্ছায় খেলা দেখতে গেছে। সেখানে যা ঘটেছে তাতে সরকারের কোনো হাত ছিল না। তাই, সরকার কোনো দায় নেবে না।
২ ঘণ্টা আগে