Ajker Patrika

মিয়ানমারে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে ৬ বছরের মেয়েকে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৫, ১৯: ৪৩
মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

মিয়ানমারের জান্তা সরকার সাবেক এক সামরিক কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে একটি ৬ বছর বয়সী মেয়ে ও এক কিশোর ছেলেও রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে জান্তা-নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ জানিয়েছে, তারা সবাই গত ২২ মে ইয়াঙ্গুন শহরে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কূটনীতিক চো তুন আংকে হত্যার সঙ্গে জড়িত। নিহত ৬৮ বছর বয়সী চো তুন আং কম্বোডিয়ায় মিয়ানমারের সাবেক রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি তাঁর নাতনির সঙ্গে হাঁটতে বের হলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

শনিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ‘গোল্ডেন ভ্যালি ওয়ারিয়র্স’ নামের একটি শহুরে গেরিলা গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত ওই জেনারেল সেনা অভিযানে সহায়তা করে আসছিলেন। বিশেষ করে, বেসামরিক জনগণের ওপর পরিচালিত দমনমূলক অভিযানে তিনি ভূমিকা রাখছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত গ্রেপ্তারকৃতদের ছবিতে ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে ও এক কিশোরের মুখচ্ছবিও (মাগশট) দেখা গেছে। তাদেরও ওই গেরিলা গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

জান্তার অভিযোগ, ওই হত্যাকাণ্ডে অর্থের জোগান দিয়েছে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। এটি মূলত সাবেক নির্বাচিত সু চি প্রশাসনের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ছায়া সরকার, যা দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হচ্ছে। জান্তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রতিটি হত্যার জন্য ২ লাখ কিয়াত বা মাত্র ৯৫ ডলার করে প্রদান করে এনইউজি।

তবে এনইউজির মুখপাত্র নাই ফোন লাট এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ হত্যা করতে আমরা কাউকে অর্থ দিই না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। জান্তা সরকার এখন পর্যন্ত দেশটির প্রায় ২৯ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার নারী এবং ছয় শতাধিক শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন অব পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’।

অন্যদিকে জান্তা দাবি করছে, তারা শান্তি ও স্থিতির জন্য সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে না। তবে বাস্তবে জাতিগোষ্ঠীগত মিলিশিয়া এবং গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধারা ইতিমধ্যেই দেশটির বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত