
বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে জাপানের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াকে অপমান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারো আসো। সম্প্রতি ভাষণে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কেবল কয়েকবার ভুলই বলেননি, ইয়োকো কামিকাওয়াকে বেশি বয়সী বলেও মন্তব্য করেছেন তারো। আরও বলেছেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) দেখতে তেমন ভালো নন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, বিতর্কিত মন্তব্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তারো আসোর। জাপানের ইতিহাসে ইয়োকো কামিকাওয়ার অবস্থানও গুলিয়ে ফেলেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়স ও চেহারা নিয়ে যৌন ইঙ্গিতমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে তারো আসোর বিরুদ্ধে।
রাজনীতিবিদ হিসেবে ইয়োকো কামিকাওয়ার দক্ষতার ব্যাপারেও তিনি প্রশংসা করেছেন বিতর্কিত ইঙ্গিত দিয়ে। সম্প্রতি এক ভাষণে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) দেখতে তেমন ভালো নন। তবে তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারেন। ইংরেজিতে তিনি ভালো। এ ছাড়া, কূটনীতিকদের সাহায্য ছাড়াই তিনি এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যাদের সঙ্গে দেখা করা তার ব্যক্তিগতভাবে প্রয়োজন।’
৮৩ বছর বয়সী আসো এ সময় ৭০ বছর বয়সী কামিকাওয়াকে ‘ওবাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন। জাপানি ভাষার শব্দটি মধ্যবয়সী নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই শব্দটিকে অবমাননাকর বলে মনে করেন।
তারো আসো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদবি বলতেও দুইবার ভুল করেছেন। কামিকাওয়ার জায়গায় বলেছেন কামিমুরা। এ ছাড়া, ইয়োকো কামিকাওয়াকে জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও উল্লেখ করেন তারো আসো—যা ভুল। ইয়োকো কামিকাওয়া মূলত জাপানের তৃতীয় নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগেই এই দায়িত্ব সামলেছেন দুই নারী—মাকিকো তানাকা এবং ইয়োরিকো কাওয়াগুচি।
ইয়োকো কামিকাওয়া অবশ্য তারো আসোর মন্তব্যকে পাত্তা দেননি। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন মতামতের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমি সচেতন এবং যে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়াই আমি গ্রহণ করি।’ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাপানের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যাওয়াই আসোর মন্তব্যের সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া।
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তারো আসোর কুখ্যাতি সত্ত্বেও তার এবারের মন্তব্যকে ‘নিকৃষ্ট’ বলেছেন জাপানের কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আকিরা কোইকে। এ ছাড়া, তারো আসোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সামাজিক প্ল্যাটফর্মের অনেক ব্যবহারকারী।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার স্টাডিজের অধ্যাপক কাকু সেচিয়ামা বলেছেন, ‘তিনি (তারো আসো) যদি একজন পুরুষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বলতেন, তবে কখনই তার চেহারার উল্লেখ করতেন না। শুধুমাত্র নারীদেরই তাদের চেহারা সম্পর্কে বাড়তি মূল্যায়নের শিকার হতে হয়।’

বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে জাপানের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াকে অপমান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারো আসো। সম্প্রতি ভাষণে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কেবল কয়েকবার ভুলই বলেননি, ইয়োকো কামিকাওয়াকে বেশি বয়সী বলেও মন্তব্য করেছেন তারো। আরও বলেছেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) দেখতে তেমন ভালো নন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, বিতর্কিত মন্তব্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তারো আসোর। জাপানের ইতিহাসে ইয়োকো কামিকাওয়ার অবস্থানও গুলিয়ে ফেলেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়স ও চেহারা নিয়ে যৌন ইঙ্গিতমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে তারো আসোর বিরুদ্ধে।
রাজনীতিবিদ হিসেবে ইয়োকো কামিকাওয়ার দক্ষতার ব্যাপারেও তিনি প্রশংসা করেছেন বিতর্কিত ইঙ্গিত দিয়ে। সম্প্রতি এক ভাষণে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) দেখতে তেমন ভালো নন। তবে তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারেন। ইংরেজিতে তিনি ভালো। এ ছাড়া, কূটনীতিকদের সাহায্য ছাড়াই তিনি এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যাদের সঙ্গে দেখা করা তার ব্যক্তিগতভাবে প্রয়োজন।’
৮৩ বছর বয়সী আসো এ সময় ৭০ বছর বয়সী কামিকাওয়াকে ‘ওবাসান’ বলে উল্লেখ করেছেন। জাপানি ভাষার শব্দটি মধ্যবয়সী নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই শব্দটিকে অবমাননাকর বলে মনে করেন।
তারো আসো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদবি বলতেও দুইবার ভুল করেছেন। কামিকাওয়ার জায়গায় বলেছেন কামিমুরা। এ ছাড়া, ইয়োকো কামিকাওয়াকে জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও উল্লেখ করেন তারো আসো—যা ভুল। ইয়োকো কামিকাওয়া মূলত জাপানের তৃতীয় নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগেই এই দায়িত্ব সামলেছেন দুই নারী—মাকিকো তানাকা এবং ইয়োরিকো কাওয়াগুচি।
ইয়োকো কামিকাওয়া অবশ্য তারো আসোর মন্তব্যকে পাত্তা দেননি। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন মতামতের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমি সচেতন এবং যে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়াই আমি গ্রহণ করি।’ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাপানের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যাওয়াই আসোর মন্তব্যের সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া।
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তারো আসোর কুখ্যাতি সত্ত্বেও তার এবারের মন্তব্যকে ‘নিকৃষ্ট’ বলেছেন জাপানের কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আকিরা কোইকে। এ ছাড়া, তারো আসোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সামাজিক প্ল্যাটফর্মের অনেক ব্যবহারকারী।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার স্টাডিজের অধ্যাপক কাকু সেচিয়ামা বলেছেন, ‘তিনি (তারো আসো) যদি একজন পুরুষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বলতেন, তবে কখনই তার চেহারার উল্লেখ করতেন না। শুধুমাত্র নারীদেরই তাদের চেহারা সম্পর্কে বাড়তি মূল্যায়নের শিকার হতে হয়।’

ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরীসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে এই অবস্থান সাংঘর্ষিক।
৮ মিনিট আগে
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৭ ঘণ্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
১০ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরীসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে এই অবস্থান সাংঘর্ষিক।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুদ্ধবিমান, রণতরী এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে, এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনার খবর সরাসরি অস্বীকার করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-ও একই বার্তা দেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ওয়াশিংটনের বাহিনী ভেনেজুয়েলায় আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেটা ‘গালগল্প’।
ট্রাম্পের এই সংক্ষিপ্ত জবাব চলতি মাসের শুরুতে ভেনেজুয়েলা প্রসঙ্গে তাঁর দেওয়া অন্তত দুটি মন্তব্যের বিপরীত। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, তিনি মাদক পাচারকারীদের ‘হত্যা করবেন’ এবং এর জন্য ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ প্রয়োজন নেই। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখন মাদক আসছে স্থলপথে...বুঝলেন! স্থলই হতে চলেছে পরবর্তী লক্ষ্য।’
গত সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ক্যারিবীয় এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জলযানগুলোতে একাধিক হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৬২ জন নিহত এবং ১৪টি নৌকা ও একটি ডুবোজাহাজ ধ্বংস হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এসব হামলায় মাদক পাচারকারীরা লক্ষ্যবস্তু ছিল, যদিও দাবির সমর্থনে এখনো কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
মার্কিন সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারাই জানিয়েছেন, ক্যারিবিয়াতে জলযানগুলোতে মার্কিন হামলার আইনি ভিত্তি সম্পর্কে তথ্য চেয়ে তাদের অনুরোধের কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান সিনেটর রজার উইকার এবং শীর্ষ ডেমোক্র্যাট জ্যাক রিড এক বিরল দ্বিদলীয় পদক্ষেপে, এ বিষয়ে আরও তথ্য চেয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথের কাছে লেখা দুটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত অনুরোধ করা নথিগুলো সরবরাহ করা হয়নি।
এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই হামলা এবং এর ক্রমবর্ধমান মানবিক ক্ষয়ক্ষতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করেছেন। তুর্ক বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে এবং এই নৌকাগুলোর আরোহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাই হোক না কেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিকে মার্কিন সামরিক বাড়াবাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, আমেরিকা তাঁর বিরুদ্ধে একটি নতুন ‘অনন্ত যুদ্ধ’ বাধাতে চায়। মাদুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাদক সংক্রান্ত দাবিও অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ যারা কোকেন উৎপাদন করে না।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ মাদক মার্কিন নাগরিকেরাই মেক্সিকোর স্থল সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় পাচার করে।
অন্যদিকে, শুক্রবার প্রকাশিত এক ইউগভ (YouGov) জনমত জরিপে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলার আশপাশে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতির প্রতি আমেরিকানদের সমর্থন সেপ্টেম্বরের তুলনায় কমেছে। সর্বশেষ জরিপে মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ নৌবাহিনীর এই মোতায়েনকে সমর্থন করেছেন, যেখানে ৩৭ শতাংশ মানুষ এর বিরোধিতা করেছেন।
ট্রাম্প ও রুবিওর মন্তব্য সত্ত্বেও, ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ত্রিনিদাদ ও টোবাগো শুক্রবার তাদের সামরিক বাহিনীকে ‘স্টেট ওয়ান অ্যালার্ট লেভেল’-এ রেখেছে এবং সমস্ত কর্মীকে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ ও টোবাগো মার্কিন রণতরী ইউএসএস গ্রেভেলিকে স্বাগত জানানোর কারণে ভেনেজুয়েলা মঙ্গলবার তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস চুক্তিও স্থগিত করেছে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো অবশ্য দাবি করেছে, রণতরীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত, পূর্ব-পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিল।

ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরীসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে এই অবস্থান সাংঘর্ষিক।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুদ্ধবিমান, রণতরী এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে, এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনার খবর সরাসরি অস্বীকার করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-ও একই বার্তা দেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ওয়াশিংটনের বাহিনী ভেনেজুয়েলায় আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেটা ‘গালগল্প’।
ট্রাম্পের এই সংক্ষিপ্ত জবাব চলতি মাসের শুরুতে ভেনেজুয়েলা প্রসঙ্গে তাঁর দেওয়া অন্তত দুটি মন্তব্যের বিপরীত। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, তিনি মাদক পাচারকারীদের ‘হত্যা করবেন’ এবং এর জন্য ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ প্রয়োজন নেই। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখন মাদক আসছে স্থলপথে...বুঝলেন! স্থলই হতে চলেছে পরবর্তী লক্ষ্য।’
গত সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ক্যারিবীয় এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জলযানগুলোতে একাধিক হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৬২ জন নিহত এবং ১৪টি নৌকা ও একটি ডুবোজাহাজ ধ্বংস হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এসব হামলায় মাদক পাচারকারীরা লক্ষ্যবস্তু ছিল, যদিও দাবির সমর্থনে এখনো কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
মার্কিন সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারাই জানিয়েছেন, ক্যারিবিয়াতে জলযানগুলোতে মার্কিন হামলার আইনি ভিত্তি সম্পর্কে তথ্য চেয়ে তাদের অনুরোধের কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান সিনেটর রজার উইকার এবং শীর্ষ ডেমোক্র্যাট জ্যাক রিড এক বিরল দ্বিদলীয় পদক্ষেপে, এ বিষয়ে আরও তথ্য চেয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথের কাছে লেখা দুটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত অনুরোধ করা নথিগুলো সরবরাহ করা হয়নি।
এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই হামলা এবং এর ক্রমবর্ধমান মানবিক ক্ষয়ক্ষতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করেছেন। তুর্ক বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে এবং এই নৌকাগুলোর আরোহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাই হোক না কেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিকে মার্কিন সামরিক বাড়াবাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, আমেরিকা তাঁর বিরুদ্ধে একটি নতুন ‘অনন্ত যুদ্ধ’ বাধাতে চায়। মাদুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাদক সংক্রান্ত দাবিও অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ যারা কোকেন উৎপাদন করে না।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ মাদক মার্কিন নাগরিকেরাই মেক্সিকোর স্থল সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় পাচার করে।
অন্যদিকে, শুক্রবার প্রকাশিত এক ইউগভ (YouGov) জনমত জরিপে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলার আশপাশে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতির প্রতি আমেরিকানদের সমর্থন সেপ্টেম্বরের তুলনায় কমেছে। সর্বশেষ জরিপে মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ নৌবাহিনীর এই মোতায়েনকে সমর্থন করেছেন, যেখানে ৩৭ শতাংশ মানুষ এর বিরোধিতা করেছেন।
ট্রাম্প ও রুবিওর মন্তব্য সত্ত্বেও, ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ত্রিনিদাদ ও টোবাগো শুক্রবার তাদের সামরিক বাহিনীকে ‘স্টেট ওয়ান অ্যালার্ট লেভেল’-এ রেখেছে এবং সমস্ত কর্মীকে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ ও টোবাগো মার্কিন রণতরী ইউএসএস গ্রেভেলিকে স্বাগত জানানোর কারণে ভেনেজুয়েলা মঙ্গলবার তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস চুক্তিও স্থগিত করেছে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো অবশ্য দাবি করেছে, রণতরীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত, পূর্ব-পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিল।

বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে জাপানের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াকে অপমান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারো আসো। সম্প্রতি ভাষণে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কেবল কয়েকবার ভুলই বলেননি, ইয়োকো কামিকাওয়াকে বেশি বয়সী বলেও মন্তব্য করেছেন তারো। আরও বলেছেন,
৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৭ ঘণ্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
১০ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
১০ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ রাজপরিবারে যৌন কেলেঙ্কারি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন অ্যান্ড্রু। আর এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজার ভাই এখন থেকে অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর নামে পরিচিত হবেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী এই সাবেক প্রিন্সের জাঁকালো জীবনযাপনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে রাজা তৃতীয় চার্লসের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি আর কোনো রাজকীয় সুযোগ-সুবিধাও পাবেন না। ২০ বছর ধরে যে বাড়িতে তিনি বসবাস করেছেন, সেটিও ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আর এই রয়্যাল লজ ছেড়ে এখন গ্রামে গিয়ে থাকতে হবে তাঁকে। এটি হবে অ্যান্ড্রুর জন্য একধরনের নির্বাসিত জীবনযাপন।
যৌন নিপীড়কের ইতিহাসে এক ভয়ংকর নাম এপস্টেইন। কুখ্যাত এই নিপীড়ক নিউইয়র্কের কারাগারে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন। তবে তাঁকে নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া তাঁর সাবেক প্রেমিকা গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল এবং আরেক যৌন নিপীড়ক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিজের বাড়িতে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু।
অ্যান্ড্রুর মেয়ে বিট্রিসের ১৮তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও হলিউডের সাবেক প্রযোজক ওয়াইনস্টিন ২০০৬ সালে উইন্ডসর ক্যাসেলে যান। অথচ এর দুই মাস আগে এক মেয়েশিশুর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি অ্যান্ড্রুকে জড়িয়ে এসব তথ্য প্রকাশের পর থেকেই রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছিল। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
বিবিসি বলছে, এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে চলতি মাসের শুরুতে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ রাজকীয় নানা পদবি ব্যবহার না করার ঘোষণা দেন অ্যান্ড্রু। বিশেষ করে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগকারী নারী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। জিউফ্রের মৃত্যুর পর চলতি মাসের শুরুর দিকে এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। আত্মজীবনীতে জিউফ্রে অভিযোগ করেছেন, কিশোরী বয়সে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। জীবিত থাকাকালেও অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন জিউফ্রে। অ্যান্ড্রু ২০২২ সালে জিউফ্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি মীমাংসা করেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রুর সব ধরনের উপাধি, সম্মাননা ও রাজকীয় মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। অ্যান্ড্রুকে দেওয়া রয়্যাল লজও ছাড়তে হবে। অ্যান্ড্রু নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করলেও এ শাস্তিগুলো অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের নির্যাতনের শিকারদের প্রতি’ সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করছে রাজপরিবার।
এদিকে অ্যান্ড্রুর উপাধি বাতিল হলেও দুই প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রিন্সেস ইউজিনি ও প্রিন্সেস বিট্রিসের রাজকীয় উপাধি বহাল থাকবে। অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ ছাড়বেন। অবশ্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগ করেছেন। এরপর তিনি নিজের পারিবারিক নাম ফার্গুসন ব্যবহার করতে শুরু করেন।
কী আছে সেই বাড়িতে
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিলাসবহুল বাড়ি রয়্যাল লজ। ‘৩০ রুম ম্যানশন’খ্যাত এই বাড়িতে অ্যান্ড্রু আছেন ২০০৩ সাল থেকে। বাড়িটির আয়তন ৯৯ একর। সেখানে সুইমিং পুল, পাখি পালনের বন্দোবস্ত, ছয়টি লজ কটেজ, একটি বাগান কটেজ, এমনকি রাজপরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়্যাল লজে নামের বাড়িটি যুক্তরাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। অ্যান্ড্রু সেখানে অনেকটা বিনা ভাড়ায় থাকার সুবিধা পেতেন।
১৬৬০ সালের দিকে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সময় এই বাড়ি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রাজা চতুর্থ জর্জের আমলে এই বাড়ির আদলে পরিবর্তন আনা হয়। ১৮২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এটি রয়্যাল লজ নামে পরিচিতি পায়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোটবেলা কেটেছে এই বাড়িতে। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত রানির পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িতে ছিলেন।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন অ্যান্ড্রু। আর এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজার ভাই এখন থেকে অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর নামে পরিচিত হবেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী এই সাবেক প্রিন্সের জাঁকালো জীবনযাপনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে রাজা তৃতীয় চার্লসের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি আর কোনো রাজকীয় সুযোগ-সুবিধাও পাবেন না। ২০ বছর ধরে যে বাড়িতে তিনি বসবাস করেছেন, সেটিও ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আর এই রয়্যাল লজ ছেড়ে এখন গ্রামে গিয়ে থাকতে হবে তাঁকে। এটি হবে অ্যান্ড্রুর জন্য একধরনের নির্বাসিত জীবনযাপন।
যৌন নিপীড়কের ইতিহাসে এক ভয়ংকর নাম এপস্টেইন। কুখ্যাত এই নিপীড়ক নিউইয়র্কের কারাগারে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন। তবে তাঁকে নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া তাঁর সাবেক প্রেমিকা গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল এবং আরেক যৌন নিপীড়ক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিজের বাড়িতে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু।
অ্যান্ড্রুর মেয়ে বিট্রিসের ১৮তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও হলিউডের সাবেক প্রযোজক ওয়াইনস্টিন ২০০৬ সালে উইন্ডসর ক্যাসেলে যান। অথচ এর দুই মাস আগে এক মেয়েশিশুর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি অ্যান্ড্রুকে জড়িয়ে এসব তথ্য প্রকাশের পর থেকেই রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছিল। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
বিবিসি বলছে, এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে চলতি মাসের শুরুতে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ রাজকীয় নানা পদবি ব্যবহার না করার ঘোষণা দেন অ্যান্ড্রু। বিশেষ করে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগকারী নারী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। জিউফ্রের মৃত্যুর পর চলতি মাসের শুরুর দিকে এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। আত্মজীবনীতে জিউফ্রে অভিযোগ করেছেন, কিশোরী বয়সে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। জীবিত থাকাকালেও অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন জিউফ্রে। অ্যান্ড্রু ২০২২ সালে জিউফ্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি মীমাংসা করেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রুর সব ধরনের উপাধি, সম্মাননা ও রাজকীয় মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। অ্যান্ড্রুকে দেওয়া রয়্যাল লজও ছাড়তে হবে। অ্যান্ড্রু নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করলেও এ শাস্তিগুলো অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের নির্যাতনের শিকারদের প্রতি’ সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করছে রাজপরিবার।
এদিকে অ্যান্ড্রুর উপাধি বাতিল হলেও দুই প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রিন্সেস ইউজিনি ও প্রিন্সেস বিট্রিসের রাজকীয় উপাধি বহাল থাকবে। অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ ছাড়বেন। অবশ্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগ করেছেন। এরপর তিনি নিজের পারিবারিক নাম ফার্গুসন ব্যবহার করতে শুরু করেন।
কী আছে সেই বাড়িতে
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিলাসবহুল বাড়ি রয়্যাল লজ। ‘৩০ রুম ম্যানশন’খ্যাত এই বাড়িতে অ্যান্ড্রু আছেন ২০০৩ সাল থেকে। বাড়িটির আয়তন ৯৯ একর। সেখানে সুইমিং পুল, পাখি পালনের বন্দোবস্ত, ছয়টি লজ কটেজ, একটি বাগান কটেজ, এমনকি রাজপরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়্যাল লজে নামের বাড়িটি যুক্তরাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। অ্যান্ড্রু সেখানে অনেকটা বিনা ভাড়ায় থাকার সুবিধা পেতেন।
১৬৬০ সালের দিকে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সময় এই বাড়ি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রাজা চতুর্থ জর্জের আমলে এই বাড়ির আদলে পরিবর্তন আনা হয়। ১৮২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এটি রয়্যাল লজ নামে পরিচিতি পায়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোটবেলা কেটেছে এই বাড়িতে। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত রানির পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িতে ছিলেন।

বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে জাপানের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াকে অপমান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারো আসো। সম্প্রতি ভাষণে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কেবল কয়েকবার ভুলই বলেননি, ইয়োকো কামিকাওয়াকে বেশি বয়সী বলেও মন্তব্য করেছেন তারো। আরও বলেছেন,
৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরীসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে এই অবস্থান সাংঘর্ষিক।
৮ মিনিট আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
১০ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এএনপি জানায়, ইউরোপপন্থী এই লিবারেল দলটিকে এখন আর গির্ট উইল্ডার্সের কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) পেছনে ফেলতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসের সব পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএনপি।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘দেশের ভোটাররা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট গঠন করতে চাই, যারা বাসস্থান, অভিবাসন, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করবে।’
তবে পরাজয় স্বীকার করেননি গির্ট উইল্ডার্স। তিনি এক্সে জেটেনকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করা অন্যায়।’ দেশটির নির্বাচনী পরিষদ আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবে।
এএনপির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ডি৬৬ এখন সরকারের নেতৃত্ব গঠনের প্রথম পর্বের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে ১৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির অন্তত তিনটি জোটসঙ্গীর প্রয়োজন হবে। নেদারল্যান্ডসে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে।
উইল্ডার্স দাবি করেন, সারা দেশ থেকে তাঁকে ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। যদিও তিনি নিজেই বলেন, এসব বার্তা কতটা সত্য, তা তিনি জানেন না, তবে সেগুলো তদন্ত করা উচিত।
এদিকে এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে কিছু কেন্দ্র। আমস্টারডামের উত্তরাঞ্চলের শহর জানস্টাড পৌর কর্তপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভোট গ্রহণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
এই নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ডি৬৬ নিজেদের আসনসংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়া পিভিভির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
তবে ভোট গণনা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ—প্রাথমিক ফলাফলে ডি৬৬ সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যায়ে পিভিভি সাময়িকভাবে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এএনপি নিশ্চিত করে, জয়ের ব্যবধান অল্প হলেও ডি৬৬-ই এগিয়ে রয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত ডাচ নাগরিকদের ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনার পর আগামী সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। জয়ী দলের নেতারা মঙ্গলবার থেকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।

নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এএনপি জানায়, ইউরোপপন্থী এই লিবারেল দলটিকে এখন আর গির্ট উইল্ডার্সের কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) পেছনে ফেলতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসের সব পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএনপি।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘দেশের ভোটাররা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট গঠন করতে চাই, যারা বাসস্থান, অভিবাসন, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করবে।’
তবে পরাজয় স্বীকার করেননি গির্ট উইল্ডার্স। তিনি এক্সে জেটেনকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করা অন্যায়।’ দেশটির নির্বাচনী পরিষদ আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবে।
এএনপির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ডি৬৬ এখন সরকারের নেতৃত্ব গঠনের প্রথম পর্বের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে ১৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির অন্তত তিনটি জোটসঙ্গীর প্রয়োজন হবে। নেদারল্যান্ডসে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে।
উইল্ডার্স দাবি করেন, সারা দেশ থেকে তাঁকে ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। যদিও তিনি নিজেই বলেন, এসব বার্তা কতটা সত্য, তা তিনি জানেন না, তবে সেগুলো তদন্ত করা উচিত।
এদিকে এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে কিছু কেন্দ্র। আমস্টারডামের উত্তরাঞ্চলের শহর জানস্টাড পৌর কর্তপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভোট গ্রহণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
এই নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ডি৬৬ নিজেদের আসনসংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়া পিভিভির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
তবে ভোট গণনা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ—প্রাথমিক ফলাফলে ডি৬৬ সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যায়ে পিভিভি সাময়িকভাবে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এএনপি নিশ্চিত করে, জয়ের ব্যবধান অল্প হলেও ডি৬৬-ই এগিয়ে রয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত ডাচ নাগরিকদের ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনার পর আগামী সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। জয়ী দলের নেতারা মঙ্গলবার থেকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।

বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে জাপানের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াকে অপমান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারো আসো। সম্প্রতি ভাষণে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কেবল কয়েকবার ভুলই বলেননি, ইয়োকো কামিকাওয়াকে বেশি বয়সী বলেও মন্তব্য করেছেন তারো। আরও বলেছেন,
৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরীসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে এই অবস্থান সাংঘর্ষিক।
৮ মিনিট আগে
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৭ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে। তবে রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন থেকে তিনি তাঁর ভাই রাজা চার্লসের আর্থিক অনুদানে জীবন চালাবেন। রাজা নিজেই অ্যান্ড্রুর নতুন আবাসনের খরচ বহন করছেন বলে জানা গেছে।
শুধু ভাই অ্যন্ড্রু নয়, রাজপরিবারের আরও অনেক খাতেই রাজাকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এত বিপুল রাজকীয় ব্যয় রাজা কীভাবে সামাল দেন, কোন উৎস থেকে তিনি টাকা পান, সাধারণ মানুষের কাছে তা চরম কৌতূহলের বিষয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকেই কোটি কোটি পাউন্ড পায় ব্রিটিশ রাজপরিবার। ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এটি রাজা চার্লসের একমাত্র আয় নয়।
‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ থেকে কত আসে?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২১ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অনুদান ছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড ছিল মূল রাজকীয় ব্যয়ের জন্য এবং ৩ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড ব্যয় করা হয় বাকিংহাম প্যালেস আধুনিকায়ন প্রকল্পে।
২০১২ সালে এই বরাদ্দ যখন চালু হয়েছিল, তখন এটির পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
আছে ‘ক্রাউন এস্টেট’ আয়
এই অনুদান নির্ধারিত হয় ‘ক্রাউন এস্টেট’ এর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে। এই সম্পত্তি রাজার মালিকানাধীন হলেও তা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং আয় সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এরপর সেই মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ সালে ক্রাউন এস্টেটের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটসহ বিপুল সম্পত্তি ও উপকূলবর্তী ভূমি। তবে এই সম্পত্তি রাজা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি বা নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না।
এই খাতের আয় থেকে ২০১৭ সালে রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দের হার বাড়িয়ে মুনাফার ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছিল মূলত বাকিংহাম প্যালেস সংস্কারের জন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়। তবু অফশোর উইন্ডফার্মের মুনাফা বৃদ্ধির কারণে এই বছর এই রাজা চার্লস প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি পেয়েছেন।
রাজপরিবারের অন্য আয়
রাজা চার্লস ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার নামের একটি ব্যক্তিগত এস্টেট থেকেও আয় করেন, যা ১৮ হাজার হেক্টর জমি ও বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ পাউন্ড।
অন্যদিকে, রাজার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম পান ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে আয়। ওই সম্পদের মূল্য ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড।
এই দুটি সম্পত্তির আয় রাজা ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এস্টেটের সম্পদ বিক্রি করলে, সেই অর্থ নিজেদের কাছে রাখতে পারেন না।
চার্লসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ‘বালমোরাল’ ও ‘স্যান্ড্রিংহাম’ এস্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটেই থাকতে দেবেন রাজা চার্লস।
কর দেয় রাজপরিবার
১৯৯২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজের আয় থেকে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজা চার্লসও তা অনুসরণ করছেন। তবে তাঁরা কত কর দেন তা প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দ ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ এই করের আওতায় পড়ে না।
এদিকে ‘রিপাবলিক’ নামে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যয়সহ রাজতন্ত্র বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের জনগণের বছরে প্রায় ৫১ কোটি পাউন্ড খরচ হয়।

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে। তবে রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন থেকে তিনি তাঁর ভাই রাজা চার্লসের আর্থিক অনুদানে জীবন চালাবেন। রাজা নিজেই অ্যান্ড্রুর নতুন আবাসনের খরচ বহন করছেন বলে জানা গেছে।
শুধু ভাই অ্যন্ড্রু নয়, রাজপরিবারের আরও অনেক খাতেই রাজাকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এত বিপুল রাজকীয় ব্যয় রাজা কীভাবে সামাল দেন, কোন উৎস থেকে তিনি টাকা পান, সাধারণ মানুষের কাছে তা চরম কৌতূহলের বিষয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকেই কোটি কোটি পাউন্ড পায় ব্রিটিশ রাজপরিবার। ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এটি রাজা চার্লসের একমাত্র আয় নয়।
‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ থেকে কত আসে?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২১ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অনুদান ছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড ছিল মূল রাজকীয় ব্যয়ের জন্য এবং ৩ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড ব্যয় করা হয় বাকিংহাম প্যালেস আধুনিকায়ন প্রকল্পে।
২০১২ সালে এই বরাদ্দ যখন চালু হয়েছিল, তখন এটির পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
আছে ‘ক্রাউন এস্টেট’ আয়
এই অনুদান নির্ধারিত হয় ‘ক্রাউন এস্টেট’ এর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে। এই সম্পত্তি রাজার মালিকানাধীন হলেও তা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং আয় সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এরপর সেই মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ সালে ক্রাউন এস্টেটের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটসহ বিপুল সম্পত্তি ও উপকূলবর্তী ভূমি। তবে এই সম্পত্তি রাজা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি বা নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না।
এই খাতের আয় থেকে ২০১৭ সালে রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দের হার বাড়িয়ে মুনাফার ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছিল মূলত বাকিংহাম প্যালেস সংস্কারের জন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়। তবু অফশোর উইন্ডফার্মের মুনাফা বৃদ্ধির কারণে এই বছর এই রাজা চার্লস প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি পেয়েছেন।
রাজপরিবারের অন্য আয়
রাজা চার্লস ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার নামের একটি ব্যক্তিগত এস্টেট থেকেও আয় করেন, যা ১৮ হাজার হেক্টর জমি ও বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ পাউন্ড।
অন্যদিকে, রাজার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম পান ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে আয়। ওই সম্পদের মূল্য ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড।
এই দুটি সম্পত্তির আয় রাজা ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এস্টেটের সম্পদ বিক্রি করলে, সেই অর্থ নিজেদের কাছে রাখতে পারেন না।
চার্লসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ‘বালমোরাল’ ও ‘স্যান্ড্রিংহাম’ এস্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটেই থাকতে দেবেন রাজা চার্লস।
কর দেয় রাজপরিবার
১৯৯২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজের আয় থেকে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজা চার্লসও তা অনুসরণ করছেন। তবে তাঁরা কত কর দেন তা প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দ ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ এই করের আওতায় পড়ে না।
এদিকে ‘রিপাবলিক’ নামে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যয়সহ রাজতন্ত্র বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের জনগণের বছরে প্রায় ৫১ কোটি পাউন্ড খরচ হয়।

বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে জাপানের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়াকে অপমান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারো আসো। সম্প্রতি ভাষণে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কেবল কয়েকবার ভুলই বলেননি, ইয়োকো কামিকাওয়াকে বেশি বয়সী বলেও মন্তব্য করেছেন তারো। আরও বলেছেন,
৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরীসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে এই অবস্থান সাংঘর্ষিক।
৮ মিনিট আগে
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৭ ঘণ্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
১০ ঘণ্টা আগে