পরাগ মাঝি

প্রতিদিনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কো উইন কিয়াও। সঙ্গে নেন তাঁর প্রিয় গুলতিটি। আর পকেট ভরে নেন কিছু পাথরের টুকরো। গুলতি দিয়ে এগুলোই ছুঁড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের কাছে এসবই নস্যি। তারপরও গুলতি আর পাথরের টুকরোগুলো কিয়াওয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
কিয়াও বলেন, ‘আমি জানি মামুলি একটি গুলতি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারব না। কারণ, আমি যাদের মুখোমুখি, তাদের সবার হাতেই বন্দুক। তারা যখন গুলি করে, আমি তখন দৌড়ে পালাই।’
৩৬ বছর বয়সী উইন কিয়াও তাঁদেরই একজন, যারা নিজ দেশের সেনা শাসনকে অস্বীকার করে ছোট ছোট অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। এর প্রতিবাদে শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণই ছিল কর্মসূচিগুলো। কিন্তু মারমুখী জান্তাবাহিনী। তাদের মোকাবিলার জন্য এখন শুধু গুলতি নয়, কেউ কেউ হাতে তুলে নিয়েছেন দেশীয় এয়ারগান, শিকারের পুরোনো বন্দুক, আর পেট্রোল-বোমা।
এই সপ্তাহেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বেকলেট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্মম কঠোর অবস্থান সাধারণ মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য করছে।’তাঁর মতে, ২০১১ সালে সিরিয়ার যে অবস্থা হয়েছিল, মিয়ানমারে এখন সেই অবস্থাই চলছে। তাই এই মুখোমুখি অবস্থান যেকোনো মুহূর্তে পুরোদমে সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে।
মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের চিন্তায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি আসে গত ২৭ মার্চ। সেদিন দেশটির বিভিন্ন শহরে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত দেড় শ মানুষ নিহত হয়। এবারের অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের কাছে সেই দিনটিই ছিল ভয়ঙ্করতম দিন। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় সাড়ে সাত শ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর বন্দী করা হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
রাজধানী ইয়াঙ্গুন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর। আন্দোলনে এখানেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর থারকেটা এলাকার বিক্ষোভকারীর কো থাই হা–এর সঙ্গে কথা হয় নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিকের। কো থাই জানান, ভয়ঙ্কর ২৭ মার্চের পর বন্ধুরা মিলে একটি দল গঠন করেছেন। এই দলে আছেন অন্তত ২০ জন।
২৬ বছর বয়সী কো থাই হা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু তারা যখন শত শত মানুষ মারতে শুরু করল, আমাদের আন্দোলনও আর শান্তিপূর্ণ থাকল না। আমাদের এবার প্রতিশোধ নেওয়া প্রয়োজন।
সশস্ত্র হয়ে উঠতে আন্দোলনকারীদের অনেকেই এখন ইউটিউব ঘেঁটে দেখছেন কীভাবে হাতের কাছের টুকিটাকি জিনিস দিয়ে একটি মোক্ষম অস্ত্র বানানো যায়।
তাঁরা দেখছেন—কীভাবে প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করেও একটি এয়ারগান বানিয়ে ফেলা যায়। সাইকেলের চাকায় লাগানো বেয়ারিং বলগুলোকে তাঁরা গুলি হিসেবে ব্যবহারের উপায় শিখছেন। গুলতি দিয়ে ছোড়ার জন্য হাজার হাজার মার্বেল মজুদ করছেন। গান পাউডার ও পটাসিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে তাঁরা এক ধরনের ধোঁয়া ছড়ানোর বোমা তৈরি করছেন।
এয়ারগান কিংবা গুলতি দিয়ে তো আর সেনাদের আক্রমণ সম্ভব নয়। এগুলো তাই প্রতিরোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন বিক্ষোভকারীরা। এয়ারগানের গুলি প্রাণঘাতী না হলেও এটা দিয়ে ১০০ ফুট দূরে থাকা কাউকে আঘাত করা সম্ভব। সেনারা যেন নিরাপদ দূরত্বে থাকে এবং সহসাই আক্রমণ করতে না পারে, আপাতত সেই চেষ্টাই করছেন বিক্ষোভকারীরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় হলেই চারদিকে ধোঁয়া ছড়িয়ে নিমেষেই তাঁরা হাওয়া।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যারা সামনের সারিতে থাকেন, তাঁদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। পেছনে থাকা সঙ্গীদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তাঁরা কিছু সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংকেতিক ভাষা হলো—মিয়ানমারের ভাষায় তারা বলে বিরিয়ানি বানাও’। এর মানে হলো— গুলতি আর এয়ারগান দিয়ে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নাও। যখন তাঁরা বলেন— ‘মেহমানদের বিরিয়ানি দাও’, তখন এর অর্থ হয়—সেনাদের দিকে গুলি ছোড়ো।
রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে দেড় শ কিলোমিটার দূরের শহর কালাই। সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করার জন্য এই শহরেই এয়ারগান ও শিকারের বন্দুক নিয়ে একটি সশস্ত্র দল গঠন করেছে স্থানীয়রা। দলটির নাম দিয়েছেন তাঁরা ‘কালাই সিভিল আর্মি’। চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শহরের রাস্তার ওপর বালুর বস্তা ফেলে তারা। পরে সেনাবাহিনী ওই শহরের মুখে গিয়ে বালির বস্তাগুলো সরানোর নির্দেশ জারি করে। কিন্তু সরানোর জন্য তো আর বস্তা ফেলা হয়নি।
নির্দেশ না মানার জের ধরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারী মেশিনগানের গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে শহরে প্রবেশ করে সেনারা। এতে অন্তত ১১ জন সাধারণ মানুষ মারা যায়। আর গ্রেপ্তার করা হয় কেলাই সিভিল আর্মির ১৮ জনকে। বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের অস্ত্রসহ তাঁদের সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলে সেনারা। এই ছবির মধ্য দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতি এই বার্তাই দেওয়া হয় যে, সেনাদের ভারী ভারী অস্ত্রের সামনে এসব মামুলি অস্ত্র কোনো কাজেই লাগবে না।
কিন্তু সেনাদের ভয়ভীতি উপেক্ষা করেই নিজের গুলতিটি হাতে নিয়ে প্রতিদিন রাজপথে নামছেন মিয়ানমারের অসংখ্য যুবক। তাঁদের এই মনোভব ভয় ধরাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাদের মধ্যে। কারণ, বিক্ষোভকারীরা যদি কোনোভাবে বিপুল পরিমাণে শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরি করতে শুরু করে, তবে গৃহযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাও এমনই।

প্রতিদিনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কো উইন কিয়াও। সঙ্গে নেন তাঁর প্রিয় গুলতিটি। আর পকেট ভরে নেন কিছু পাথরের টুকরো। গুলতি দিয়ে এগুলোই ছুঁড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের কাছে এসবই নস্যি। তারপরও গুলতি আর পাথরের টুকরোগুলো কিয়াওয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
কিয়াও বলেন, ‘আমি জানি মামুলি একটি গুলতি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারব না। কারণ, আমি যাদের মুখোমুখি, তাদের সবার হাতেই বন্দুক। তারা যখন গুলি করে, আমি তখন দৌড়ে পালাই।’
৩৬ বছর বয়সী উইন কিয়াও তাঁদেরই একজন, যারা নিজ দেশের সেনা শাসনকে অস্বীকার করে ছোট ছোট অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। এর প্রতিবাদে শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণই ছিল কর্মসূচিগুলো। কিন্তু মারমুখী জান্তাবাহিনী। তাদের মোকাবিলার জন্য এখন শুধু গুলতি নয়, কেউ কেউ হাতে তুলে নিয়েছেন দেশীয় এয়ারগান, শিকারের পুরোনো বন্দুক, আর পেট্রোল-বোমা।
এই সপ্তাহেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বেকলেট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্মম কঠোর অবস্থান সাধারণ মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য করছে।’তাঁর মতে, ২০১১ সালে সিরিয়ার যে অবস্থা হয়েছিল, মিয়ানমারে এখন সেই অবস্থাই চলছে। তাই এই মুখোমুখি অবস্থান যেকোনো মুহূর্তে পুরোদমে সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে।
মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের চিন্তায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি আসে গত ২৭ মার্চ। সেদিন দেশটির বিভিন্ন শহরে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত দেড় শ মানুষ নিহত হয়। এবারের অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের কাছে সেই দিনটিই ছিল ভয়ঙ্করতম দিন। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় সাড়ে সাত শ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর বন্দী করা হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
রাজধানী ইয়াঙ্গুন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর। আন্দোলনে এখানেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর থারকেটা এলাকার বিক্ষোভকারীর কো থাই হা–এর সঙ্গে কথা হয় নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিকের। কো থাই জানান, ভয়ঙ্কর ২৭ মার্চের পর বন্ধুরা মিলে একটি দল গঠন করেছেন। এই দলে আছেন অন্তত ২০ জন।
২৬ বছর বয়সী কো থাই হা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু তারা যখন শত শত মানুষ মারতে শুরু করল, আমাদের আন্দোলনও আর শান্তিপূর্ণ থাকল না। আমাদের এবার প্রতিশোধ নেওয়া প্রয়োজন।
সশস্ত্র হয়ে উঠতে আন্দোলনকারীদের অনেকেই এখন ইউটিউব ঘেঁটে দেখছেন কীভাবে হাতের কাছের টুকিটাকি জিনিস দিয়ে একটি মোক্ষম অস্ত্র বানানো যায়।
তাঁরা দেখছেন—কীভাবে প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করেও একটি এয়ারগান বানিয়ে ফেলা যায়। সাইকেলের চাকায় লাগানো বেয়ারিং বলগুলোকে তাঁরা গুলি হিসেবে ব্যবহারের উপায় শিখছেন। গুলতি দিয়ে ছোড়ার জন্য হাজার হাজার মার্বেল মজুদ করছেন। গান পাউডার ও পটাসিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে তাঁরা এক ধরনের ধোঁয়া ছড়ানোর বোমা তৈরি করছেন।
এয়ারগান কিংবা গুলতি দিয়ে তো আর সেনাদের আক্রমণ সম্ভব নয়। এগুলো তাই প্রতিরোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন বিক্ষোভকারীরা। এয়ারগানের গুলি প্রাণঘাতী না হলেও এটা দিয়ে ১০০ ফুট দূরে থাকা কাউকে আঘাত করা সম্ভব। সেনারা যেন নিরাপদ দূরত্বে থাকে এবং সহসাই আক্রমণ করতে না পারে, আপাতত সেই চেষ্টাই করছেন বিক্ষোভকারীরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় হলেই চারদিকে ধোঁয়া ছড়িয়ে নিমেষেই তাঁরা হাওয়া।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যারা সামনের সারিতে থাকেন, তাঁদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। পেছনে থাকা সঙ্গীদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তাঁরা কিছু সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংকেতিক ভাষা হলো—মিয়ানমারের ভাষায় তারা বলে বিরিয়ানি বানাও’। এর মানে হলো— গুলতি আর এয়ারগান দিয়ে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নাও। যখন তাঁরা বলেন— ‘মেহমানদের বিরিয়ানি দাও’, তখন এর অর্থ হয়—সেনাদের দিকে গুলি ছোড়ো।
রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে দেড় শ কিলোমিটার দূরের শহর কালাই। সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করার জন্য এই শহরেই এয়ারগান ও শিকারের বন্দুক নিয়ে একটি সশস্ত্র দল গঠন করেছে স্থানীয়রা। দলটির নাম দিয়েছেন তাঁরা ‘কালাই সিভিল আর্মি’। চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শহরের রাস্তার ওপর বালুর বস্তা ফেলে তারা। পরে সেনাবাহিনী ওই শহরের মুখে গিয়ে বালির বস্তাগুলো সরানোর নির্দেশ জারি করে। কিন্তু সরানোর জন্য তো আর বস্তা ফেলা হয়নি।
নির্দেশ না মানার জের ধরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারী মেশিনগানের গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে শহরে প্রবেশ করে সেনারা। এতে অন্তত ১১ জন সাধারণ মানুষ মারা যায়। আর গ্রেপ্তার করা হয় কেলাই সিভিল আর্মির ১৮ জনকে। বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের অস্ত্রসহ তাঁদের সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলে সেনারা। এই ছবির মধ্য দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতি এই বার্তাই দেওয়া হয় যে, সেনাদের ভারী ভারী অস্ত্রের সামনে এসব মামুলি অস্ত্র কোনো কাজেই লাগবে না।
কিন্তু সেনাদের ভয়ভীতি উপেক্ষা করেই নিজের গুলতিটি হাতে নিয়ে প্রতিদিন রাজপথে নামছেন মিয়ানমারের অসংখ্য যুবক। তাঁদের এই মনোভব ভয় ধরাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাদের মধ্যে। কারণ, বিক্ষোভকারীরা যদি কোনোভাবে বিপুল পরিমাণে শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরি করতে শুরু করে, তবে গৃহযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাও এমনই।

ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকা
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। প্রায় সব বুথফেরত জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, এনডিএর পাঁচ দল (জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) মিলে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
বেশির ভাগ জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন, যা সরাসরি সরকার গঠনের রাস্তা খুলে দিচ্ছে নীতীশ কুমারের সামনে। তাঁর দল জেডিইউ একাই ৬৭ থেকে ৭৫ আসন পাবে, বলছে জরিপ।
অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন (আরজেডি-কংগ্রেস ও বামপন্থী মহাজোট) পিছিয়ে রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা হতে পারে ৭০ থেকে ১০২-এর মধ্যে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এই নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছেন। তাঁর নতুন দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি) বেশির ভাগ জরিপেই একটির বেশি আসন পাচ্ছে না; কয়েকটি জরিপে শূন্য আসনের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
আজ দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে ৬৭ শতাংশ পেরিয়েছে। বিহারের লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।
পি-মার্ক, টিআইএফ রিসার্চ, দৈনিক ভাস্কর, ম্যাট্রাইজ ও পিপলস ইনসাইট—সব বুথফেরত জরিপেই এনডিএর পরিষ্কার জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কিছু আসনে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে জরিপ সংস্থাগুলো।
যদিও ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে। বিহারে প্রকৃত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। প্রায় সব বুথফেরত জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, এনডিএর পাঁচ দল (জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) মিলে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
বেশির ভাগ জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন, যা সরাসরি সরকার গঠনের রাস্তা খুলে দিচ্ছে নীতীশ কুমারের সামনে। তাঁর দল জেডিইউ একাই ৬৭ থেকে ৭৫ আসন পাবে, বলছে জরিপ।
অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন (আরজেডি-কংগ্রেস ও বামপন্থী মহাজোট) পিছিয়ে রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা হতে পারে ৭০ থেকে ১০২-এর মধ্যে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এই নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছেন। তাঁর নতুন দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি) বেশির ভাগ জরিপেই একটির বেশি আসন পাচ্ছে না; কয়েকটি জরিপে শূন্য আসনের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
আজ দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে ৬৭ শতাংশ পেরিয়েছে। বিহারের লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।
পি-মার্ক, টিআইএফ রিসার্চ, দৈনিক ভাস্কর, ম্যাট্রাইজ ও পিপলস ইনসাইট—সব বুথফেরত জরিপেই এনডিএর পরিষ্কার জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কিছু আসনে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে জরিপ সংস্থাগুলো।
যদিও ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে। বিহারে প্রকৃত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

প্রতিদিনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কো উইন কিয়াও। সঙ্গে নেন তাঁর প্রিয় গুলতিটি। আর পকেট ভরে নেন কিছু পাথরের টুকরো। গুলতি দিয়ে এগুলোই ছুঁড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের কাছে এসবই নস্যি। তারপরও গুলতি আর পাথরের টুকরোগুলো কিয়াওয়ের আত্মবিশ্বাস
১৮ এপ্রিল ২০২১
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকা
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
পুলিশ ডা. আদিল ও ডা. মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তারের পরপরই উমর জানতে পারেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। ওই দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদের পরই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কয়াল গ্রামের মানুষ জানতে পেরেছে, ৩৩ বছর বয়সী চিকিৎসক উমরই সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী। এর পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছেন ডা. নবির পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাবি মুজাম্মিল বলেন, ‘শুক্রবার নবি আমাদের ফোন করে বলেছিল, পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত আছে, তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে। আমরা তাঁকে পড়াশোনা করাতে অনেক কষ্ট করেছি। সে কোনো দিন রাজনীতি বা সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব।’
দিল্লির বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ চিরুনি অভিযানে নামে।
কয়াল গ্রামে ডা. নবির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাঁর মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারীর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁর বাবাকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে। মানসিক অবস্থার কারণে গতকাল তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আলফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. নবির সহকর্মী ও বন্ধু ডা. সাজাদ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন। পুলিশ তাঁকে কেবল উমরের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নাকি তিনিও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এ ছাড়া কয়েল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সাম্বুরা গ্রামে পুলিশ আমির ও উমর রশিদ নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। পেশায় প্লাম্বার (নলমিস্ত্রি) আমিরকে এ ঘটনার মূল হোতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে একটি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যা এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আমিরের পরিবার বলছে, সে কখনো জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে যায়নি, তাই ফরিদাবাদের কোনো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
পরিবার জানায়, সোমবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তৎক্ষণাৎ আমির ও উমরকে আটক করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, তারা আসলেই কোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল কি না।
এ ঘটনাগুলোর সূত্রপাত সোমবার পুলিশ অভিযান শুরু করার পর, যেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়।
অক্টোবর ১৯ তারিখে শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ এই মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে। স্থানীয় থানার সূক্ষ্ম তদন্তে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের চিত্র সামনে আসে, যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডা. আদিল।
তাঁকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে আনন্তনাগের এক হাসপাতালের আলমারি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদেই আরেক চিকিৎসক, আলফালাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মুজাম্মিল আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুজাম্মিলের জবানবন্দির পরই পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিস পায়।
গত কয়েক দিনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এমন এক ভয়াবহ ‘উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের’ সন্ধান পেয়েছে, যারা আদর্শগতভাবে চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ফুয়েল অয়েল ও ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে, যা ফরিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্তভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নবি সম্ভবত অভিযানের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদিল আহমদ রাঠারের সঙ্গে। যিনি আনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং যাকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
পুলিশ ডা. আদিল ও ডা. মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তারের পরপরই উমর জানতে পারেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। ওই দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদের পরই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কয়াল গ্রামের মানুষ জানতে পেরেছে, ৩৩ বছর বয়সী চিকিৎসক উমরই সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী। এর পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছেন ডা. নবির পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাবি মুজাম্মিল বলেন, ‘শুক্রবার নবি আমাদের ফোন করে বলেছিল, পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত আছে, তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে। আমরা তাঁকে পড়াশোনা করাতে অনেক কষ্ট করেছি। সে কোনো দিন রাজনীতি বা সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব।’
দিল্লির বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ চিরুনি অভিযানে নামে।
কয়াল গ্রামে ডা. নবির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাঁর মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারীর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁর বাবাকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে। মানসিক অবস্থার কারণে গতকাল তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আলফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. নবির সহকর্মী ও বন্ধু ডা. সাজাদ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন। পুলিশ তাঁকে কেবল উমরের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নাকি তিনিও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এ ছাড়া কয়েল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সাম্বুরা গ্রামে পুলিশ আমির ও উমর রশিদ নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। পেশায় প্লাম্বার (নলমিস্ত্রি) আমিরকে এ ঘটনার মূল হোতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে একটি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যা এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আমিরের পরিবার বলছে, সে কখনো জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে যায়নি, তাই ফরিদাবাদের কোনো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
পরিবার জানায়, সোমবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তৎক্ষণাৎ আমির ও উমরকে আটক করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, তারা আসলেই কোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল কি না।
এ ঘটনাগুলোর সূত্রপাত সোমবার পুলিশ অভিযান শুরু করার পর, যেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়।
অক্টোবর ১৯ তারিখে শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ এই মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে। স্থানীয় থানার সূক্ষ্ম তদন্তে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের চিত্র সামনে আসে, যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডা. আদিল।
তাঁকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে আনন্তনাগের এক হাসপাতালের আলমারি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদেই আরেক চিকিৎসক, আলফালাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মুজাম্মিল আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুজাম্মিলের জবানবন্দির পরই পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিস পায়।
গত কয়েক দিনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এমন এক ভয়াবহ ‘উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের’ সন্ধান পেয়েছে, যারা আদর্শগতভাবে চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ফুয়েল অয়েল ও ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে, যা ফরিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্তভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নবি সম্ভবত অভিযানের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদিল আহমদ রাঠারের সঙ্গে। যিনি আনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং যাকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতিদিনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কো উইন কিয়াও। সঙ্গে নেন তাঁর প্রিয় গুলতিটি। আর পকেট ভরে নেন কিছু পাথরের টুকরো। গুলতি দিয়ে এগুলোই ছুঁড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের কাছে এসবই নস্যি। তারপরও গুলতি আর পাথরের টুকরোগুলো কিয়াওয়ের আত্মবিশ্বাস
১৮ এপ্রিল ২০২১
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকা
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই হামলাকে দেশের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের অবস্থায় আছি। যারা মনে করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল ও বেলুচিস্তানের দূরবর্তী এলাকায় কেবল এই যুদ্ধ লড়ছে, তাদের জন্য ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আজকের এই আত্মঘাতী হামলাটি হলো জাগ্রত হওয়ার বার্তা।’
খাজা আসিফ আরও যোগ করেন, এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার জন্য বেশি আশা রাখা অর্থহীন হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ঘটনার ভিডিওগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টনীর পেছনে একটি দগ্ধ গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী রুস্তম মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি যখন আমার গাড়ি পার্ক করে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছিলাম...ঠিক তখনই গেটে একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম।’ বিস্ফোরণের পর সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
মালিক বলেন, ‘আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ প্রাঙ্গণের ভেতরে ছুটছিলেন। আমি গেটের ওপর দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল।’ বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশে থাকা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে এক ট্রাফিক সিগন্যালে একটি ধীরগতির গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সাদা রঙের হুন্দাই আই-২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে ৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাটি ছিল রাজধানীর ব্যস্ততম জায়গাগুলোর একটি। এ ঘটনায় এখনো কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ভারত সরকার সরাসরি কোনো পক্ষকে দায়ী করেনি।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই হামলাকে দেশের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের অবস্থায় আছি। যারা মনে করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল ও বেলুচিস্তানের দূরবর্তী এলাকায় কেবল এই যুদ্ধ লড়ছে, তাদের জন্য ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আজকের এই আত্মঘাতী হামলাটি হলো জাগ্রত হওয়ার বার্তা।’
খাজা আসিফ আরও যোগ করেন, এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার জন্য বেশি আশা রাখা অর্থহীন হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ঘটনার ভিডিওগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টনীর পেছনে একটি দগ্ধ গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী রুস্তম মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি যখন আমার গাড়ি পার্ক করে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছিলাম...ঠিক তখনই গেটে একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম।’ বিস্ফোরণের পর সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
মালিক বলেন, ‘আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ প্রাঙ্গণের ভেতরে ছুটছিলেন। আমি গেটের ওপর দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল।’ বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশে থাকা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে এক ট্রাফিক সিগন্যালে একটি ধীরগতির গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সাদা রঙের হুন্দাই আই-২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে ৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাটি ছিল রাজধানীর ব্যস্ততম জায়গাগুলোর একটি। এ ঘটনায় এখনো কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ভারত সরকার সরাসরি কোনো পক্ষকে দায়ী করেনি।

প্রতিদিনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কো উইন কিয়াও। সঙ্গে নেন তাঁর প্রিয় গুলতিটি। আর পকেট ভরে নেন কিছু পাথরের টুকরো। গুলতি দিয়ে এগুলোই ছুঁড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের কাছে এসবই নস্যি। তারপরও গুলতি আর পাথরের টুকরোগুলো কিয়াওয়ের আত্মবিশ্বাস
১৮ এপ্রিল ২০২১
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকা
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকাল সোমবার ক্ষমা চাওয়ার পর বিষয়টি সামনে এল।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে—ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হওয়ায় গত রোববার বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, ব্রিটিশ এই সম্প্রচার সংস্থাকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ওই ডকুমেন্টারি প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য। এটি প্রচারিত হয়েছিল ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগে মার্কিন গণমাধ্যমকে চুপ করাতে মামলা করার অভিযোগ উঠেছিল। তবে সাম্প্রতিক এই বিতর্ক আবারও আলোচনায় এনেছে বিবিসিকে। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদমাধ্যমটিকে অনেকে ভালোবাসেন, আবার অনেকে পক্ষপাতের অভিযোগেও অভিযুক্ত করেন।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী দলের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, বিবিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি এএফপিকে বলেন, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃত করেছে, যাতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবেন, যারা মিথ্যা, প্রতারণা ও ভুয়া খবর ছড়ায়।
এ বিষয়ে বিবিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা চিঠিটি পর্যালোচনা করব এবং যথা সময়ে সরাসরি জবাব দেব।’
এদিকে, বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ ব্রিটিশ এমপিদের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে স্বীকার করেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্পাদনা এমন ধারণা সৃষ্টি করেছে যেন তিনি সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিবিসি এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চায়।’ এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পুরো বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ তদারকি ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হবে।
গত রোববার তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও নিউজ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন। ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবিসির সাংবাদিকদের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ও ‘অসৎ’ বলে আখ্যা দেন। তাঁর প্রেস সচিব বিবিসিকে বলেন, শতভাগ ভুয়া খবর প্রচারকারী।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ভুয়া তথ্যের যুগে বিবিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস ধরে রাখতে হলে বিবিসির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এবং ভুল হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকাল সোমবার ক্ষমা চাওয়ার পর বিষয়টি সামনে এল।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে—ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হওয়ায় গত রোববার বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, ব্রিটিশ এই সম্প্রচার সংস্থাকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ওই ডকুমেন্টারি প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য। এটি প্রচারিত হয়েছিল ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগে মার্কিন গণমাধ্যমকে চুপ করাতে মামলা করার অভিযোগ উঠেছিল। তবে সাম্প্রতিক এই বিতর্ক আবারও আলোচনায় এনেছে বিবিসিকে। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদমাধ্যমটিকে অনেকে ভালোবাসেন, আবার অনেকে পক্ষপাতের অভিযোগেও অভিযুক্ত করেন।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী দলের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, বিবিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি এএফপিকে বলেন, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃত করেছে, যাতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবেন, যারা মিথ্যা, প্রতারণা ও ভুয়া খবর ছড়ায়।
এ বিষয়ে বিবিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা চিঠিটি পর্যালোচনা করব এবং যথা সময়ে সরাসরি জবাব দেব।’
এদিকে, বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ ব্রিটিশ এমপিদের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে স্বীকার করেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্পাদনা এমন ধারণা সৃষ্টি করেছে যেন তিনি সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিবিসি এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চায়।’ এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পুরো বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ তদারকি ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হবে।
গত রোববার তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও নিউজ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন। ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবিসির সাংবাদিকদের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ও ‘অসৎ’ বলে আখ্যা দেন। তাঁর প্রেস সচিব বিবিসিকে বলেন, শতভাগ ভুয়া খবর প্রচারকারী।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ভুয়া তথ্যের যুগে বিবিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস ধরে রাখতে হলে বিবিসির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এবং ভুল হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করতে হবে।

প্রতিদিনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কো উইন কিয়াও। সঙ্গে নেন তাঁর প্রিয় গুলতিটি। আর পকেট ভরে নেন কিছু পাথরের টুকরো। গুলতি দিয়ে এগুলোই ছুঁড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের কাছে এসবই নস্যি। তারপরও গুলতি আর পাথরের টুকরোগুলো কিয়াওয়ের আত্মবিশ্বাস
১৮ এপ্রিল ২০২১
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।
৯ ঘণ্টা আগে