Ajker Patrika

অর্থনৈতিক ধসের পর ক্যাসিনো ব্যবসায় মন দিয়েছে শ্রীলঙ্কা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে প্রথম সমন্বিত ক্যাসিনো রিসোর্ট তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে প্রথম সমন্বিত ক্যাসিনো রিসোর্ট তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

অর্থনৈতিক ধসের পর নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে এক ভিন্নধর্মী কৌশল নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক মুক্তির উপায় হিসেবে দেশটি ক্যাসিনো শিল্পে জোর দিচ্ছে। বলা যায়—একসময় সমুদ্রসৈকত ও ঐতিহাসিক স্থানের জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপরাষ্ট্র এখন বাজি ধরেছে পর্যটন নির্ভর বিনিয়োগে। আর এই জন্য দেশটির প্রথম মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে ভারত ও চীনের ধনী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ক্যাসিনো শিল্পকে কেন্দ্র করে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক ধস কাটিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন অনুরা। ক্ষমতার এক বছর পূর্তির প্রাক্কালে তিনি উদ্বোধন করেছেন ‘সিটি অব ড্রিমজ’। এটি মূলত রাজধানী কলম্বোর সমুদ্রতটে অবস্থিত বিশাল এক রিসোর্ট।

ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই রিসোর্টে আছে ৮০০ কক্ষ, বিলাসবহুল শপিং মল ও সম্মেলন কেন্দ্র। এটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে শ্রীলঙ্কার জন কিলস হোল্ডিংস ও ম্যাকাওভিত্তিক মেলকো রিসোর্টস। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এটাই প্রথম সমন্বিত ক্যাসিনো রিসোর্ট। এটির উদ্বোধনীতে বলিউড তারকা হৃতিক রোশনও উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীলঙ্কার সরকারি হিসাব অনুযায়ী—এই বছর পর্যটক আগমন ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। এতে গত বছরের ৩.৭ বিলিয়ন ডলার আয় বেড়ে হতে পারে ৫ বিলিয়ন ডলার।

দেশটির পর্যটনমন্ত্রী রুয়ান রানাসিংহে বলেছেন, স্বল্পমেয়াদে বেশি পর্যটক আনার চেষ্টা চলছে। তবে উচ্চমানের ও টেকসই পর্যটনই দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। এই ক্ষেত্রে ক্যাসিনো খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার জিডিপির ৪ শতাংশ জোগায় পর্যটন। সরকার আশা করছে, এটি ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।

দেশটির অর্থনীতি ২০২৩ সালে আবার প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশ হবে, যা বিশ্বব্যাংকের অনুমানের চেয়ে বেশি। তবে ২০২৮ সাল থেকে ঋণ শোধ শুরু করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ২০২২ সালে তারা বৈদেশিক ঋণে খেলাপি হয়েছিল।

‘সিটি অব ড্রিমজ’ নিয়ে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, এটি নতুন বাজার উন্মোচন করবে। এটির নির্মাণে অংশ নেওয়া ম্যাকাওভিত্তিক মেলকো রিসোর্টসের চেয়ারম্যান লরেন্স হো বলেছেন, ‘আমরা এখানে পর্যটন ও ক্যাসিনো খাতের যে সম্ভাবনা, তার সামান্যই স্পর্শ করতে পেরেছি।’

ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

সরকারের আশা, আগামী এক দশক ভারতীয় পর্যটকই হবে তাদের মূল ভরসা। গত বছর শ্রীলঙ্কায় আসা ২০ লাখ পর্যটকের এক-চতুর্থাংশ ছিলেন ভারতীয়, আর ৭ শতাংশ ছিলেন চীনা। দুই দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত সুবিধাও রয়েছে।

এদিকে ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংসদে পাস হয়েছে ‘গ্যাম্বলিং রেগুলেটরি অথোরিটি’ আইন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এতে অর্থমন্ত্রীর হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রীয় লটারি তদারকির বাইরে রাখা হয়েছে এবং শাস্তির পরিমাণও খুবই কম। সরকার অবশ্য বলছে, এই আইন শিল্পকে শৃঙ্খলায় রাখতে ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়ক হবে।

পর্যটন শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক আয়ের তৃতীয় বৃহৎ উৎস। এবার ক্যাসিনো শিল্প সেই আয়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে নতুন স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলক সরকারি অ্যাপ—গোপনীয়তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: নিক্কেই এশিয়া
ছবি: নিক্কেই এশিয়া

ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। অ্যাপল, ভিভোসহ সব নির্মাতাকে ৯০ দিনের মধ্যে এই শর্ত মানতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।

ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগ দাবি করেছে—‘সঞ্চার সাথি’ মূলত চুরি বা হারানো ফোন ট্র্যাক ও ব্লক করতে এবং ব্যবহারকারীর নামে থাকা ভুয়া মোবাইল সংযোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। অ্যাপটি এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ডাউনলোডযোগ্য হলেও নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব নতুন ডিভাইসেই এটি প্রি-লোড করতে হবে এর ‘ফাংশনালিটি সীমিত বা নিষ্ক্রিয় করার’ কোনো উপায় না রেখেই। অর্থাৎ কেউ চাইলেই এটি ফোন থেকে ডিলিট করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্তটি ‘গোপনীয়তায় স্থায়ী হস্তক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির ডিজিটাল অধিকার সংগঠন ‘ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন’ (আইএফএফ)। সংগঠনটি ঘোষণা করেছে, নির্দেশনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।

এ অবস্থায় জনমনে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে, যখন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন—ব্যবহারকারীরা নাকি চাইলেই অ্যাপটি ‘সক্রিয় বা মুছে ফেলতে’ পারবেন। তবে তিনি নির্দেশনার সেই অংশটি ব্যাখ্যা করেননি, যেখানে অ্যাপ নিষ্ক্রিয় বা সীমিত করা নিষিদ্ধ বলা আছে। সরকারও নতুন কোনো ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছে। বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন—অ্যাপটি ফোনের ক্যামেরা, কল লগ, ফাইল স্টোরেজ ও এসএমএস–সহ বিস্তৃত অ্যাকসেস চায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার-পয়েন্ট-এর তরুণ পাঠক বলেন, ‘ইউরোপের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট ব্যবহারকারীকে অ্যাপ মুছে ফেলার অধিকার দেয়। আর আমরা সেই জায়গা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।’

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্মাতা কোম্পানিগুলো প্রকাশ্যে অবস্থান না নিলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ্যাপল ও চীনা ব্র্যান্ডগুলো শিল্প সংগঠনের মাধ্যমে নীরবে ভারত সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। ভারতে ভিভো, অপ্পো ও শাওমি মিলেই বাজারের অর্ধেকের বেশি দখলে রেখেছে। অন্যদিকে অ্যাপল ইতিমধ্যে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখে রয়েছে, যা তাদের জন্য আরও ঝুঁকি তৈরি করেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপল এই নির্দেশনা মানতে আগ্রহী নয়। তবে কোম্পানিটি এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউরোপ যুদ্ধ চাইলে আমরা এখনই প্রস্তুত: পুতিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।

মস্কোতে এক বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতাকালে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না—এটি শতবার বলেছি। কিন্তু যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করতে চায়, তবে আমরা এই মুহূর্তেই প্রস্তুত। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

এ সময় তিনি সতর্ক করেন—ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যেখানে আলোচনার জন্য কোনো পক্ষই অবশিষ্ট থাকবে না।

পুতিন দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এরই মধ্যে তিনি জানান, দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্কও এখন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এ ছাড়া সম্প্রতি একটি রুশ তেলে ট্যাংকারে ইউক্রেনের হামলাকে ‘সমুদ্র দস্যুতা’ হিসেবে অভিহিত করেন পুতিন। তিনি ইউক্রেনের বন্দর ও জাহাজে রাশিয়ার পাল্টা হামলা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

এদিকে পুতিনের সঙ্গে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার্কিন মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার এখন মস্কোতে আছেন। ওয়াশিংটন আশাবাদী, এই কথোপকথনের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একটি রূপরেখা সামনে আসতে পারে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ড সফর করছেন ভলদিমির জেলেনস্কি। আইরিশ রাজধানী ডাবলিনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। তবে তা নির্ভর করবে মস্কোর আলোচনার সফলতার ওপর।

জেলেনস্কি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিয়েভ ২০ দফা শান্তি কাঠামো তৈরি করেছে। তবে ‘সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ শান্তি’ পেতে এখনো কিছু বিষয়ের সমাধান বাকি রয়েছে।

আয়ারল্যান্ড ইউক্রেনকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অ-প্রাণঘাতী সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ বছর ইউক্রেনে পাঠানো আয়ারল্যান্ডের মোট সহায়তা ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি দুই দেশের নেতারা নতুন ‘ইউক্রেন–আইরিশ পার্টনারশিপ রোডম্যাপ ২০৩০ ’–এ সই করতে যাচ্ছেন, যেখানে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো পুনর্গঠন, ইইউ–এ অনুপ্রবেশ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা উল্লেখ আছে।

জেলেনস্কি আয়ারল্যান্ডের রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার সৎ ও নীতিগত অবস্থানকে প্রশংসা করেন এবং বলেন, রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ অনেক আগেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বোনের সঙ্গে ২০ মিনিটের আলাপে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইমরান খান ও আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান খান ও আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর বোন ডা. উজমা খানম। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরানের সঙ্গে ২০ মিনিটের সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, তিনি শারীরিকভাবে ঠিক আছেন। তবে মানসিকভাবে তাকে প্রচণ্ড চাপে রাখা হয়েছে। দিনভর সেলে আটকে রাখা হয়, বাইরে যেতে পারেন সামান্য সময়ের জন্য। কারও সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই।’

উজমার ভাষ্য অনুযায়ী, ইমরান খান তার বর্তমান অবস্থার জন্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দায়ী করেছেন। উজমা জানান, ইমরান মনে করেন—সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ নিজের হাতে নিয়ে মুনিরই সংবিধান পুনর্লিখন করেছেন এবং নিজে, অন্য বাহিনীর প্রধানগণ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির আজীবন দায়মুক্তি নিশ্চিত করেছেন। ক্ষমতাকে এভাবে কেন্দ্রীকরণ করার জন্যই তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর পরিবারকে দীর্ঘদিন দেখা করতে না দেওয়া এবং তাঁকে গোপনে হত্যা করা হয়েছে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। সম্প্রতি ইমরানের তিন বোন—নূরীন নিয়াজি, আলিমা খান ও উজমা খান অভিযোগ করেছিলেন, ভাইয়ের সাক্ষাৎ গেলে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। কাছাকাছি সময়ে ইমরানের দুই ছেলেও দাবি করেন, কারাগার প্রশাসন তাঁদের বাবার বিষয়ে ‘অপরিবর্তনীয়’ কিছু গোপন করছে। আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পরিবার ও দলের লোকজনের সঙ্গে ইমরান খানকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এ ছাড়া ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককেও কারাগারে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে পরিবার। প্রায় ২৫ দিন কাউকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় গুজব ছড়ায় তাঁকে গোপনে হত্যা করা হয়েছে এবং সরকারের আশঙ্কা করছে, মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে লাখো সমর্থকের বিক্ষোভে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারও চাপের মুখে পড়ে। বিশেষ করে, যখন পিটিআই–এর সিনেটর খুররম জিশান দাবি করেন, ইমরানকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করার জন্য বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। তাঁর মতে, ইমরানের বিপুল জনপ্রিয়তাই সরকারের আতঙ্কের কারণ।

৭২ বছর বয়সী বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দী। তাঁর মৃত্যুর গুজব প্রথম ছড়ায় আফগানিস্তানের কিছু সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে। দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এমনটি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

আসিম মুনিরকে পাকিস্তানের সিডিএফ নিয়োগ দেওয়া এড়াতেই বিদেশে শাহবাজ শরিফ—ভারতীয় গণমাধ্যমে গুঞ্জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৪
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্বের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে সই করা এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পরিকল্পিতভাবে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। এমন পরিস্থিতিতে বিড়ম্বনায় পড়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের যুগান্তকারী ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সিডিএফ পদটি সৃষ্টি করা হয়। নতুন কাঠামোয় সিডিএফ পদটি সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বের সঙ্গেই যুক্ত থাকবে—অর্থাৎ এটি হবে দ্বৈত দায়িত্বের একটি পদ। এই পদ সৃষ্টির ফলে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের (সিজেসিএসসি) পদটি বিলুপ্ত হয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭ নভেম্বর শেষ হয়েছে।

আর সিজেসিএসসির পদ বিলুপ্তির ঘোষণার সঙ্গে সিডিএফ নিয়োগের নতুন প্রজ্ঞাপনটি জারি হবে বলে আশা করেছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং পর্যবেক্ষকেরা। কারণ দুদিন পর ২৯ নভেম্বর ছিল গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওই দিন সেনাপ্রধানের মূল তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সরকার গত মাসেই দ্রুতগতিতে ২৭তম সংশোধনীটি জাতীয় সংসদে পাস করিয়ে নেয়। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি আটকে যাওয়ায় শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। প্রতিরক্ষা কাঠামোর উচ্চপর্যায়ের পুনর্গঠন নির্বিঘ্ন হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন সামরিক পরিকল্পনাবিদেরাদ কিন্তু তা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের (এনএসএবি) সাবেক সদস্য তিলক দেবেশের এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, শেহবাজ শরিফ প্রথমে বাহরাইন ও পরে লন্ডনে চলে গেছেন। তিনি এমন সময় গেলেন, যখন সেনাপ্রধানের নতুন দায়িত্ব নিশ্চিত করতে তাঁর সই দরকার ছিল।

দেবেশের বলেন, ‘চালাকি করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাহরাইনে যান এবং সেখান থেকে সোজা লন্ডনে চলে গেছেন। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, তিনি এ বিজ্ঞপ্তিতে সই করতে চান না। ফলে আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের মেয়াদ দিয়ে সিডিএফ পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া থমকে আছে। নোটিফিকেশন জারি না হওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের ভেতরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, যদি ধরে নেওয়া হয় যে মুনিরের বর্তমান মেয়াদ শেষ, তাহলে পাকিস্তানে এখন কার্যত কোনো বৈধ সেনাপ্রধান নেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটি, যাকে নতুন স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের অধীনে আনার কথা ছিল, সেটিও আটকে গেল। দেবেশের ভাষায়, ‘এ পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য অস্বাভাবিকই নয়, অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের ভেতরেই বিভক্ত মত শোনা যাচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ মনে করে, ২০০৪ সালের সেনা সংশোধনী আইনের ‘ডিমিং’ ধারার কারণে মুনিরের মেয়াদ আপনা-আপনিই পাঁচ বছর ধরা যেতে পারে, ফলে নতুন বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন নেই। তবে অন্য পক্ষের মতে, বিষয়টি অত্যন্ত বিতর্কিত এবং শেষ পর্যন্ত আদালত ও সরকারের ব্যাখ্যাই নির্ধারণ করবে, কোন পথ খোলা থাকবে।

এমন গুঞ্জনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি নওয়াজ শরিফ নোটিফিকেশন ঠেকিয়ে রেখেছেন—এ দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাঁর ভাষায়, ‘নওয়াজ কখনো এ ধরনের অবস্থান নেননি। তাঁর বক্তব্যকে অযথা এ প্রসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।’

রানা সানাউল্লাহ বলেন, নতুন সিডিএফ প্রতিষ্ঠান ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ হবে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই যথাসময়ে নোটিফিকেশন জারি হবে। তিনি আরও জানান, যেদিন নোটিফিকেশন জারি হবে, সেদিন থেকেই শুরু হবে সিডিএফের পাঁচ বছরের মেয়াদ।

পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারারকে উদ্ধৃত করে ডন লিখেছে, অপ্রয়োজনীয় গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, মুনিরের মেয়াদ আগেই আইনগতভাবে সুরক্ষিত। নতুন সংশোধনী শুধু অভিন্ন পদ, সিওএএস-সিডিএফ গঠনের আনুষঙ্গিক বিধান যুক্ত করেছে। ফলে কিছু সময় লাগলেও এতে কোনো আইনগত জট সৃষ্টি হবে না।’

তারার আরও বলেন, সরকার শিগগিরই একটি নোটিফিকেশন জারি করবে, যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মুনির ইতিমধ্যেই ‘সব দিক থেকেই ওই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও জানান, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শিগগির দেশে ফিরছেন। নোটিফিকেশনও যথাসময়ে দেওয়া হবে।

ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বর্তমানে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীর পর চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির পদ বিলুপ্ত করে যে নতুন কাঠামো করা হয়েছে, তার অধীনেই তাঁকে নতুন সিডিএফ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সিডিএফ ও সিওএএস—দুটি ভূমিকায় তাঁর দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব কীভাবে ভাগ হবে, তা সরকারই নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়াও ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডে (এনএসসি) কমান্ডারের নিয়োগ বাকি আছে। আগে সিজেসিএসসির হাতে থাকা পারমাণবিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নতুন সৃষ্ট এই চার তারকা পদের অধীনে আসবে। কর্মকর্তাদের ধারণা, সিডিএফের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়োগ দেওয়া হবে না।

এদিকে সিজেসিএসসি পদ বিলুপ্তি এবং সিডিএফ ও এনএসসি কমান্ডারের পদ সৃষ্টিকে সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (এনসিএ) আইনেও সংশোধন আনা প্রয়োজন।

এই পরিবর্তনগুলো বেশ জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানদের তুলনায় নতুন পদগুলোর অবস্থান কী হবে। তা ছাড়া কৌশলগত কমান্ড একীভূত এনএসসি কমান্ডারের অধীনে চলে গেলে বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানেরা ভবিষ্যতে এনসিএতে প্রতিনিধিত্ব বজায় রাখবেন কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত