পুরুষ টেনিসে বিশ্বে এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ। তাঁকে ঘিরে চলমান বিপত্তি থেকে সহজে বের হতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া সরকার। জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয়ের জন্য আসছেন, এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বলতে গেলে মরিসন সরকার ব্যাকফুটে রয়েছে।
কারণ টিকাবিরোধী হিসেবে জোকোভিচের নাম এর আগেই ‘বিখ্যাত’ হয়ে গেছে। এরপরও তিনি অস্ট্রেলিয়া ঢুকতে পেরেছেন। তাঁকে আটকও করা হয়। এরপর একটি আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দেন। তা সত্ত্বেও জোকোভিচের ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্তের কী ব্যাখ্যা হতে পারে? কারণটা পরিষ্কার—সামনে নির্বাচন। অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের সামনে এ ছাড়া আর মুখ বাঁচানোর উপায় ছিল না মরিসনের।
মনে হচ্ছে, ভোটের আগে মুখরক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীনেরা যেকোনো কূটনৈতিক বিপর্যয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতিকে বিব্রত করা এবং জোকোভিচের লাখ লাখ সমর্থকের ক্রোধ সহ্য করতে প্রস্তুত।
জোকোভিচকে ঘিরে ঘটনাগুলো খেয়াল করলে সহজেই বোঝা যায়, দুই সপ্তাহ ধরে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার একটা অবস্থান ভোটারদের দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে—কেউ-ই নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি পুরুষ টেনিসে বিশ্বের এক নম্বর তারকা হলেও নয়।
পাবলিককে কথায় কথায় আইন দেখানো, আইনের শাসন নিয়ে মুখে খই ফোটানোর কাজটা খুব সহজ। এই নীতি বাস্তবায়ন রাজনীতিকদের কাছে খুব জটিল জিনিস হলেও সাধারণ জনগণের কাছে অতি সহজ-সরল। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিকেরা সেই রূপটাই দেখিয়েছেন। জোকোভিচের ঘটনাটি নিয়ে তাঁরা ত্যানা প্যাঁচিয়েছেন।
অথচ জোকোভিচ আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, কোনো খেলোয়াড় মেলবোর্নে পৌঁছানোর পর যদি দেখা যায় তাঁর নথিপত্র ঠিকঠাক নেই তাহলে ‘পরের ফ্লাইটেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে’। পরের দিন ৬ জানুয়ারি জোকোভিচের ভিসা বাতিলের পর মরিসন ওই বক্তব্যেরই পুনরুক্তি করে বলেন, ‘নিয়ম নিয়মই’।
এরপর জোকোভিচ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। মরিসন তখন বলেন, এখন এটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়।
কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারের অবস্থান খুবই নড়বড়ে হতে শুরু করে। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে করোনা বিধিনিষেধের সঙ্গে আইনি জটিলতাগুলো নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে সময় চাওয়া হলে একজন বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেন। টিকা না নিয়েও জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইটে কীভাবে চড়তে পারলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনের ত্রুটি নিয়েও অনেকে কথা বলতে থাকেন।
বিচারক অ্যান্টনি কেলি যখন জোকোভিচের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন—মেলবোর্ন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সরকারকে জোকোভিচের ভিসা ফিরিয়ে দিয়ে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক—তখনই কিন্তু পুরো বিষয়টি মিটে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হকের কাছে ভিসা বাতিল করা এবং জোকোভিচকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্বাহী ক্ষমতা ছিল এবং তিনি সেই ক্ষমতা দেখালেন।
আদালতের আদেশের পরও মন্ত্রী আগ বাড়িয়ে কেন এ কাজটা করলেন? পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পুরোটাই রাজনৈতিক। নোংরা রাজনীতি থেকে মুক্তি নেই!
এখানে সরকারের সামনে দুটি বিষয় বিবেচনা করার আছে।
প্রথমত, মরিসন প্রশাসনকে এই ঘটনা দারুণভাবে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে তো বটেই প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের কাছে, এমন একটা বার্তা যাচ্ছে যে, রাজনীতিবিদেরা এমন একটা নিয়ম প্রয়োগ করছেন যা তাঁরা নিজেরাই ঠিকঠাক বোঝেন না! তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না বলেও মনে হচ্ছে। অর্থাৎ সরকারের সমন্বয়হীনতাই এখানে স্পষ্ট হচ্ছে।
শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, শুরুতে সরকারের একটি স্তর—ভিক্টোরিয়া রাজ্য— টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। কেন্দ্র সরকারের কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছিলেন। টুর্নামেন্ট আয়োজকেরা অভিযোগ করছিলেন যে, তাঁরা এই ভজঘটের মধ্যে পড়ে গেছেন।
দ্বিতীয়ত, কোভিডে কড়াকড়ি আর টেনিসে ছাড়— দেশজুড়ে ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। যখন অস্ট্রেলিয়ার দুটি সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েক হাজার কোভিড আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। অবশ্য ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এখানে সংক্রমণ হার কম। যেখানে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়া কঠোর কোভিড নিয়ম আরোপ করেছে। মাঝে মাঝে একক রোগী শনাক্তের পরই পুরো শহর বা রাজ্য লকডাউনের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতিতে টেনিস নিয়ে সরকারের এমন লেজেগোবরে অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ানরা নিজেদের উপেক্ষিত, পরিত্যক্ত বোধ করছেন। তাঁরা বলছেন, সরকার যা যা বলেছে আমরা সব করেছি। তাঁরা টিকা পেয়েছেন। অনেকে বুস্টারও পাচ্ছে। এরপরও ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জনগণের এখন দিশেহারা অবস্থা। আর কী কী করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে! নতুন করে আর কঠোর লকডাউন আহ্বান করার মতো অবস্থায় কেউ নেই।
জনগণের এই অবস্থার মধ্যে এমন একজন টেনিস তারকাকে নিয়ে হইচই চলছে যিনি গর্বের সঙ্গেই নিজেকে টিকাবিরোধী বলে প্রচার করেন! যিনি এরই মধ্যে কোভিড পজিটিভ থাকাকালীন আইসোলেশনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং ভ্রমণ ভিসার নথিপত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
কোনো সন্দেহ নেই, এই বিতর্কের ফেরে স্কট মরিসন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ; পারস্পরিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা; সমন্বয়হীনতা, কোন আইন কার জন্য প্রযোজ্য তা নিয়ে অস্পষ্টতা ও অস্বচ্ছতা; একজন টিকাবিরোধী বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ যিনি কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করেছেন—সব মিলিয়ে সরকারে একটি এলোমেলো ছবি মেলে ধরেছে। রাজনীতিকেরা এখন মরিয়া হয়ে সেই ছবিটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন।
এখন একটা বিষয় আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আদালতের রায় মেনে জোকোভিচের ভিসা বাতিল না করলে সরকারকে আরও অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে হতো।
পুরুষ টেনিসে বিশ্বে এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ। তাঁকে ঘিরে চলমান বিপত্তি থেকে সহজে বের হতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া সরকার। জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয়ের জন্য আসছেন, এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বলতে গেলে মরিসন সরকার ব্যাকফুটে রয়েছে।
কারণ টিকাবিরোধী হিসেবে জোকোভিচের নাম এর আগেই ‘বিখ্যাত’ হয়ে গেছে। এরপরও তিনি অস্ট্রেলিয়া ঢুকতে পেরেছেন। তাঁকে আটকও করা হয়। এরপর একটি আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দেন। তা সত্ত্বেও জোকোভিচের ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্তের কী ব্যাখ্যা হতে পারে? কারণটা পরিষ্কার—সামনে নির্বাচন। অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের সামনে এ ছাড়া আর মুখ বাঁচানোর উপায় ছিল না মরিসনের।
মনে হচ্ছে, ভোটের আগে মুখরক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীনেরা যেকোনো কূটনৈতিক বিপর্যয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতিকে বিব্রত করা এবং জোকোভিচের লাখ লাখ সমর্থকের ক্রোধ সহ্য করতে প্রস্তুত।
জোকোভিচকে ঘিরে ঘটনাগুলো খেয়াল করলে সহজেই বোঝা যায়, দুই সপ্তাহ ধরে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার একটা অবস্থান ভোটারদের দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে—কেউ-ই নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি পুরুষ টেনিসে বিশ্বের এক নম্বর তারকা হলেও নয়।
পাবলিককে কথায় কথায় আইন দেখানো, আইনের শাসন নিয়ে মুখে খই ফোটানোর কাজটা খুব সহজ। এই নীতি বাস্তবায়ন রাজনীতিকদের কাছে খুব জটিল জিনিস হলেও সাধারণ জনগণের কাছে অতি সহজ-সরল। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিকেরা সেই রূপটাই দেখিয়েছেন। জোকোভিচের ঘটনাটি নিয়ে তাঁরা ত্যানা প্যাঁচিয়েছেন।
অথচ জোকোভিচ আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, কোনো খেলোয়াড় মেলবোর্নে পৌঁছানোর পর যদি দেখা যায় তাঁর নথিপত্র ঠিকঠাক নেই তাহলে ‘পরের ফ্লাইটেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে’। পরের দিন ৬ জানুয়ারি জোকোভিচের ভিসা বাতিলের পর মরিসন ওই বক্তব্যেরই পুনরুক্তি করে বলেন, ‘নিয়ম নিয়মই’।
এরপর জোকোভিচ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। মরিসন তখন বলেন, এখন এটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়।
কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারের অবস্থান খুবই নড়বড়ে হতে শুরু করে। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে করোনা বিধিনিষেধের সঙ্গে আইনি জটিলতাগুলো নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে সময় চাওয়া হলে একজন বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেন। টিকা না নিয়েও জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইটে কীভাবে চড়তে পারলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনের ত্রুটি নিয়েও অনেকে কথা বলতে থাকেন।
বিচারক অ্যান্টনি কেলি যখন জোকোভিচের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন—মেলবোর্ন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সরকারকে জোকোভিচের ভিসা ফিরিয়ে দিয়ে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক—তখনই কিন্তু পুরো বিষয়টি মিটে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হকের কাছে ভিসা বাতিল করা এবং জোকোভিচকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্বাহী ক্ষমতা ছিল এবং তিনি সেই ক্ষমতা দেখালেন।
আদালতের আদেশের পরও মন্ত্রী আগ বাড়িয়ে কেন এ কাজটা করলেন? পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পুরোটাই রাজনৈতিক। নোংরা রাজনীতি থেকে মুক্তি নেই!
এখানে সরকারের সামনে দুটি বিষয় বিবেচনা করার আছে।
প্রথমত, মরিসন প্রশাসনকে এই ঘটনা দারুণভাবে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে তো বটেই প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের কাছে, এমন একটা বার্তা যাচ্ছে যে, রাজনীতিবিদেরা এমন একটা নিয়ম প্রয়োগ করছেন যা তাঁরা নিজেরাই ঠিকঠাক বোঝেন না! তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না বলেও মনে হচ্ছে। অর্থাৎ সরকারের সমন্বয়হীনতাই এখানে স্পষ্ট হচ্ছে।
শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, শুরুতে সরকারের একটি স্তর—ভিক্টোরিয়া রাজ্য— টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। কেন্দ্র সরকারের কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছিলেন। টুর্নামেন্ট আয়োজকেরা অভিযোগ করছিলেন যে, তাঁরা এই ভজঘটের মধ্যে পড়ে গেছেন।
দ্বিতীয়ত, কোভিডে কড়াকড়ি আর টেনিসে ছাড়— দেশজুড়ে ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। যখন অস্ট্রেলিয়ার দুটি সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েক হাজার কোভিড আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। অবশ্য ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এখানে সংক্রমণ হার কম। যেখানে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়া কঠোর কোভিড নিয়ম আরোপ করেছে। মাঝে মাঝে একক রোগী শনাক্তের পরই পুরো শহর বা রাজ্য লকডাউনের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতিতে টেনিস নিয়ে সরকারের এমন লেজেগোবরে অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ানরা নিজেদের উপেক্ষিত, পরিত্যক্ত বোধ করছেন। তাঁরা বলছেন, সরকার যা যা বলেছে আমরা সব করেছি। তাঁরা টিকা পেয়েছেন। অনেকে বুস্টারও পাচ্ছে। এরপরও ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জনগণের এখন দিশেহারা অবস্থা। আর কী কী করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে! নতুন করে আর কঠোর লকডাউন আহ্বান করার মতো অবস্থায় কেউ নেই।
জনগণের এই অবস্থার মধ্যে এমন একজন টেনিস তারকাকে নিয়ে হইচই চলছে যিনি গর্বের সঙ্গেই নিজেকে টিকাবিরোধী বলে প্রচার করেন! যিনি এরই মধ্যে কোভিড পজিটিভ থাকাকালীন আইসোলেশনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং ভ্রমণ ভিসার নথিপত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
কোনো সন্দেহ নেই, এই বিতর্কের ফেরে স্কট মরিসন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ; পারস্পরিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা; সমন্বয়হীনতা, কোন আইন কার জন্য প্রযোজ্য তা নিয়ে অস্পষ্টতা ও অস্বচ্ছতা; একজন টিকাবিরোধী বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ যিনি কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করেছেন—সব মিলিয়ে সরকারে একটি এলোমেলো ছবি মেলে ধরেছে। রাজনীতিকেরা এখন মরিয়া হয়ে সেই ছবিটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন।
এখন একটা বিষয় আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আদালতের রায় মেনে জোকোভিচের ভিসা বাতিল না করলে সরকারকে আরও অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে হতো।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মন্দিরে ওঠার সিঁড়িতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৬ মিনিট আগেসব কাগজপত্র ছিল তাঁর কাছে—আধার, ভোটার কার্ড, এমনকি আত্মীয়দের পরিচয়পত্রও। তবু রাজস্থান পুলিশ বিশ্বাস করল না যে সে ভারতীয়। এরপর, এক সকালে চোখ খুলে দেখল, সে আছে অন্য এক দেশে, বাংলাদেশে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমির শেখ নামক ওই তরুণকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগে‘আমার বাবা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্রায়শই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একবার তো পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন। দুধ-ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তো দূর কোনোমতে পেট ভরার মতো খাবারও নেই। বেশির ভাগ দিনই আমরা না খেয়ে থাকছি। মাঝে মাঝ
১ ঘণ্টা আগেসৌভাগ্য কাকে বলে, তারই যেন প্রমাণ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় লটারি বিগ টিকিটে প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতে নিয়েছেন ৫০ হাজার দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ লাখ টাকারও বেশি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে