অনলাইন ডেস্ক
দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী পাওলুস তান্নোস, যিনি চিন থিয়ান পো নামেও পরিচিত। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এটি প্রথম অনুরোধ।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাওলুস তান্নোস ইন্দোনেশিয়ার ষাটোর্ধ্ব এক ব্যবসায়ী। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ১৭ জানুয়ারি তাঁকে সিঙ্গাপুরে আটক করা হয়। ইন্দোনেশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানায়। গত ১০ মার্চ সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার প্রত্যর্পণ চুক্তিটি ২০২৪ সালের ২১ মার্চ কার্যকর হয়। চুক্তির আওতায় দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ঘুষসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি অপরাধের জন্য প্রত্যর্পণ অনুমোদিত হয়েছে এবং এটি ১৮ বছর পর্যন্ত পুরোনো অপরাধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তান্নোস ইন্দোনেশিয়ার সরকার পরিচালিত ইলেকট্রনিক জাতীয় পরিচয়পত্র (ই-কেটিপি) প্রকল্পের দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। এই কেলেঙ্কারিতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি রুপিয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা বা প্রায় ১৯০০ টাকা) ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি শানদিপালা অর্থপুত্র নামে একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি ই-কেটিপি প্রকল্পের একটা অংশের কাজ পেয়েছিল।
তান্নোস ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ইন্দোনেশিয়ার পলাতকের তালিকায় আছেন এবং ২০১৭ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। তাঁর প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে. শানমুগম। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে।
মন্ত্রী জানান, তান্নোস আইনজীবী নিয়োগ করেছেন এবং প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। ফলে এই প্রক্রিয়া দুই বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। শানমুগম বলেন, ‘যদি তান্নোস প্রত্যর্পণের বিরোধিতা না করেন, তাহলে এটি ছয় মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তিনি আদালতকে জানিয়েছেন যে, তিনি প্রত্যর্পণে সম্মত নন এবং তিনি এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।’
সিঙ্গাপুরের প্রত্যর্পণ আইনের আওতায়, পলাতকেরা চাইলে স্বেচ্ছায় প্রত্যর্পণের সম্মতি দিতে পারেন এবং আনুষ্ঠানিক শুনানি এড়াতে পারেন। তবে তান্নোস এর বিরোধিতা করায় আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। শানমুগম বলেন, ‘তান্নোসের আইনজীবী দল আছে। তিনি জামিনের আবেদন করার অধিকার রাখেন। তিনি অবশ্যই তাঁর মামলার প্রস্তুতির জন্য সময় চাইবেন। এবং যদি আদালত প্রত্যর্পণের আদেশ দেয়, তাহলে তাঁর আপিলের অধিকারও থাকবে।’
সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ প্রত্যর্পণ মামলাটি দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় দুই ভাই অবিনাশ কুমার ঝা ও রজনীশ কুমার ঝাকে ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়।
তান্নোসের প্রত্যর্পণ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রত্যর্পণের জন্য এত সময় লাগছে কেন। বিশেষ করে যখন দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। শানমুগম জানান, সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, তবে এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
সিঙ্গাপুর ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে তান্নোসকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ পায়। এরপর সিঙ্গাপুরের দুর্নীতি-নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং অ্যাটর্নি-জেনারেলের দপ্তর অনুরোধটি প্রত্যর্পণ চুক্তির কাঠামোর মধ্যে পড়ে কিনা তা নিশ্চিত করে। তারপর আদালতে আবেদন করে এবং ১৭ জানুয়ারি তান্নোসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ জানুয়ারির প্রত্যর্পণ শুনানিতে তান্নোস দাবি করেন, তিনি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। তবে রাষ্ট্রের কৌঁসুলি জানান, যেহেতু তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কূটনীতিক নন, তাই এই পাসপোর্ট তাঁকে ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি বা কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা দেবে না।
বিচারক তান্নোসকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি স্বেচ্ছায় প্রত্যর্পণে সম্মত হবেন কি না? জবাবে তিনি জানান, তিনি ইন্দোনেশিয়ায় যেতে রাজি নন, তবে গিনি-বিসাউ যেতে ইচ্ছুক। আইনজীবীরা তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা উল্লেখ করে জামিন শুনানির আবেদন করেছিলেন, তবে এ বিষয়ে আদালতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ২৪ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর আনুষ্ঠানিক প্রত্যর্পণ অনুরোধ এবং সংযুক্ত দলিলপত্র ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রহণ করে।
তান্নোসের সর্বশেষ নির্ধারিত শুনানি ছিল ৭ মার্চ, তবে তিনি তখন হাসপাতালে ছিলেন। তাঁর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৩ মার্চ এবং ১৯ মার্চ তাঁর জামিন পর্যালোচনার শুনানি হবে। শানমুগম বলেন, ‘কেউ যদি সিঙ্গাপুরে মিথ্যা বা অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে প্রবেশ করে, তবে তাঁকে দ্রুত ফেরত পাঠানো সম্ভব। কিন্তু তান্নোস বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করেছেন, ফলে তাঁকে সহজেই ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। আমরা তাঁকে স্রেফ বিমানে তুলে ফেরত পাঠাতে পারি না। এর জন্য আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। "
তিনি উল্লেখ করেন, তান্নোসের আইনজীবীরা তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছিলেন, তবে এখনো তারা কিছু করেননি। ১০ মার্চ সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সিঙ্গাপুর সরকার অপরাধ দমনে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দায়িত্বশীল প্রত্যর্পণ অংশীদার হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। আমরা এই মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী পাওলুস তান্নোস, যিনি চিন থিয়ান পো নামেও পরিচিত। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এটি প্রথম অনুরোধ।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাওলুস তান্নোস ইন্দোনেশিয়ার ষাটোর্ধ্ব এক ব্যবসায়ী। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ১৭ জানুয়ারি তাঁকে সিঙ্গাপুরে আটক করা হয়। ইন্দোনেশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানায়। গত ১০ মার্চ সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার প্রত্যর্পণ চুক্তিটি ২০২৪ সালের ২১ মার্চ কার্যকর হয়। চুক্তির আওতায় দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ঘুষসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি অপরাধের জন্য প্রত্যর্পণ অনুমোদিত হয়েছে এবং এটি ১৮ বছর পর্যন্ত পুরোনো অপরাধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তান্নোস ইন্দোনেশিয়ার সরকার পরিচালিত ইলেকট্রনিক জাতীয় পরিচয়পত্র (ই-কেটিপি) প্রকল্পের দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। এই কেলেঙ্কারিতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি রুপিয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা বা প্রায় ১৯০০ টাকা) ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি শানদিপালা অর্থপুত্র নামে একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি ই-কেটিপি প্রকল্পের একটা অংশের কাজ পেয়েছিল।
তান্নোস ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ইন্দোনেশিয়ার পলাতকের তালিকায় আছেন এবং ২০১৭ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। তাঁর প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে. শানমুগম। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে।
মন্ত্রী জানান, তান্নোস আইনজীবী নিয়োগ করেছেন এবং প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। ফলে এই প্রক্রিয়া দুই বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। শানমুগম বলেন, ‘যদি তান্নোস প্রত্যর্পণের বিরোধিতা না করেন, তাহলে এটি ছয় মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তিনি আদালতকে জানিয়েছেন যে, তিনি প্রত্যর্পণে সম্মত নন এবং তিনি এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।’
সিঙ্গাপুরের প্রত্যর্পণ আইনের আওতায়, পলাতকেরা চাইলে স্বেচ্ছায় প্রত্যর্পণের সম্মতি দিতে পারেন এবং আনুষ্ঠানিক শুনানি এড়াতে পারেন। তবে তান্নোস এর বিরোধিতা করায় আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। শানমুগম বলেন, ‘তান্নোসের আইনজীবী দল আছে। তিনি জামিনের আবেদন করার অধিকার রাখেন। তিনি অবশ্যই তাঁর মামলার প্রস্তুতির জন্য সময় চাইবেন। এবং যদি আদালত প্রত্যর্পণের আদেশ দেয়, তাহলে তাঁর আপিলের অধিকারও থাকবে।’
সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ প্রত্যর্পণ মামলাটি দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় দুই ভাই অবিনাশ কুমার ঝা ও রজনীশ কুমার ঝাকে ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়।
তান্নোসের প্রত্যর্পণ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রত্যর্পণের জন্য এত সময় লাগছে কেন। বিশেষ করে যখন দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। শানমুগম জানান, সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, তবে এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
সিঙ্গাপুর ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে তান্নোসকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ পায়। এরপর সিঙ্গাপুরের দুর্নীতি-নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং অ্যাটর্নি-জেনারেলের দপ্তর অনুরোধটি প্রত্যর্পণ চুক্তির কাঠামোর মধ্যে পড়ে কিনা তা নিশ্চিত করে। তারপর আদালতে আবেদন করে এবং ১৭ জানুয়ারি তান্নোসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ জানুয়ারির প্রত্যর্পণ শুনানিতে তান্নোস দাবি করেন, তিনি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। তবে রাষ্ট্রের কৌঁসুলি জানান, যেহেতু তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কূটনীতিক নন, তাই এই পাসপোর্ট তাঁকে ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি বা কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা দেবে না।
বিচারক তান্নোসকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি স্বেচ্ছায় প্রত্যর্পণে সম্মত হবেন কি না? জবাবে তিনি জানান, তিনি ইন্দোনেশিয়ায় যেতে রাজি নন, তবে গিনি-বিসাউ যেতে ইচ্ছুক। আইনজীবীরা তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা উল্লেখ করে জামিন শুনানির আবেদন করেছিলেন, তবে এ বিষয়ে আদালতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ২৪ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর আনুষ্ঠানিক প্রত্যর্পণ অনুরোধ এবং সংযুক্ত দলিলপত্র ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রহণ করে।
তান্নোসের সর্বশেষ নির্ধারিত শুনানি ছিল ৭ মার্চ, তবে তিনি তখন হাসপাতালে ছিলেন। তাঁর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৩ মার্চ এবং ১৯ মার্চ তাঁর জামিন পর্যালোচনার শুনানি হবে। শানমুগম বলেন, ‘কেউ যদি সিঙ্গাপুরে মিথ্যা বা অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে প্রবেশ করে, তবে তাঁকে দ্রুত ফেরত পাঠানো সম্ভব। কিন্তু তান্নোস বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করেছেন, ফলে তাঁকে সহজেই ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। আমরা তাঁকে স্রেফ বিমানে তুলে ফেরত পাঠাতে পারি না। এর জন্য আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। "
তিনি উল্লেখ করেন, তান্নোসের আইনজীবীরা তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছিলেন, তবে এখনো তারা কিছু করেননি। ১০ মার্চ সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সিঙ্গাপুর সরকার অপরাধ দমনে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দায়িত্বশীল প্রত্যর্পণ অংশীদার হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। আমরা এই মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৪ ঘণ্টা আগে