আজকের পত্রিকা ডেস্ক
২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী আনে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক পদে কর্মরত অবস্থায়ও কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।
এই সংশোধনী দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর জোট সরকার এগিয়ে নিয়েছে। সাবেক এই জেনারেল সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। নতুন আইনে চার তারকার জেনারেলদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ করা হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মকর্তাদের অবসরের সময়সীমা ৫৫ করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে অনেকেই স্বৈরতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন।
আইন সংশোধনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে অনেক বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল অসংখ্য ব্যানার। এসব ব্যানারে লেখা ছিল—‘সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাও!’ এবং ‘সামরিকীকরণ ও ওলিগার্কির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!’
মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সুহার্তোর আমলে প্রচলিত ‘দ্বৈত ভূমিকা’ আবার ফিরে আসতে পারে। ইমপারশিয়াল মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক আল আরাফ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর যে গণতান্ত্রিক সংস্কার হয়েছিল, তার চেতনাকে লঙ্ঘন করছে এবং এটি স্বৈরতন্ত্র পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
এই সংশোধনী গোপনে পাস করানোর বিষয়টিও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংসদে বিলটি উপস্থাপনের মাত্র এক মাস আগে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এক চিঠির মাধ্যমে সংসদকে এই আইন সংশোধনের অনুমোদন দেন।
গণতন্ত্রকামী কর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ জাকার্তার এক পাঁচতারকা হোটেলে গোপনে বৈঠক করে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো দ্রুততার সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের মানবাধিকার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
‘কনট্রাস’ নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর একটি সংগঠন বলেছে, ‘এই সংশোধনী ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।’
ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ডোমিনিক নিকি ফাহরিজাল বলেন, ‘এই ধরনের স্বৈরাচারী আইন সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে দেবে।’
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্যাফরি সামসুদ্দিন এই সংশোধনীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তির বিবর্তনের কারণে সামরিক বাহিনীর রূপান্তর জরুরি।’
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংশোধনীতে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান নেই।
১৯৬৫ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সুহার্তো এক রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের হত্যা করেছিলেন এবং এরপর ৩২ বছর ধরে সামরিক শাসন কায়েম করেন। তাঁর শাসনামলে সেনাবাহিনী ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করত, যেখানে তারা প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্দোনেশিয়া শাখার প্রধান উসমান হামিদ অতীতে স্বৈরশাসক সুহার্তোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেই সময়ে কর্মীরা অপহৃত হতেন, অনেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই পথে ফিরে যাচ্ছি।’
২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী আনে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক পদে কর্মরত অবস্থায়ও কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।
এই সংশোধনী দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর জোট সরকার এগিয়ে নিয়েছে। সাবেক এই জেনারেল সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। নতুন আইনে চার তারকার জেনারেলদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ করা হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মকর্তাদের অবসরের সময়সীমা ৫৫ করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে অনেকেই স্বৈরতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন।
আইন সংশোধনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে অনেক বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল অসংখ্য ব্যানার। এসব ব্যানারে লেখা ছিল—‘সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাও!’ এবং ‘সামরিকীকরণ ও ওলিগার্কির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!’
মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সুহার্তোর আমলে প্রচলিত ‘দ্বৈত ভূমিকা’ আবার ফিরে আসতে পারে। ইমপারশিয়াল মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক আল আরাফ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর যে গণতান্ত্রিক সংস্কার হয়েছিল, তার চেতনাকে লঙ্ঘন করছে এবং এটি স্বৈরতন্ত্র পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
এই সংশোধনী গোপনে পাস করানোর বিষয়টিও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংসদে বিলটি উপস্থাপনের মাত্র এক মাস আগে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এক চিঠির মাধ্যমে সংসদকে এই আইন সংশোধনের অনুমোদন দেন।
গণতন্ত্রকামী কর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ জাকার্তার এক পাঁচতারকা হোটেলে গোপনে বৈঠক করে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো দ্রুততার সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের মানবাধিকার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
‘কনট্রাস’ নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর একটি সংগঠন বলেছে, ‘এই সংশোধনী ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।’
ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ডোমিনিক নিকি ফাহরিজাল বলেন, ‘এই ধরনের স্বৈরাচারী আইন সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে দেবে।’
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্যাফরি সামসুদ্দিন এই সংশোধনীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তির বিবর্তনের কারণে সামরিক বাহিনীর রূপান্তর জরুরি।’
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংশোধনীতে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান নেই।
১৯৬৫ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সুহার্তো এক রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের হত্যা করেছিলেন এবং এরপর ৩২ বছর ধরে সামরিক শাসন কায়েম করেন। তাঁর শাসনামলে সেনাবাহিনী ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করত, যেখানে তারা প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্দোনেশিয়া শাখার প্রধান উসমান হামিদ অতীতে স্বৈরশাসক সুহার্তোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেই সময়ে কর্মীরা অপহৃত হতেন, অনেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই পথে ফিরে যাচ্ছি।’
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
১১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
১২ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
১৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
১৪ ঘণ্টা আগে