Ajker Patrika

বিশ্বের জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ০৭
বিশ্বের জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।

টোকিও শহরে বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস। ছবি: এএফপিটোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি। 

স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।

শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।

জনবহুল শহরের তালিকায় দিল্লি আছে দুইয়েদিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।

দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।

শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।

আকাশচুম্বী সব অট্টালিকার দেখা পাবেন সাংহাইয়েসাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।

অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।

নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।

জনবহুল শহরের তালিকায় চারে আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।

ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।

ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।

সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলোসাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।

সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।

সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে। 

যানজট কায়রোর বড় সমস্যাকায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০। 

ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।

শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।

সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি।মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।

সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।

১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে। 

এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।

তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।

8বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। ছবি: এএফপিবেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।

শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।

বিশ্বের নবম জনবহুল শহর মুম্বাই। এএফপিমুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো। 

ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।

দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।

রাতের ওসাকা শহরওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।

বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।

ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খড়্গহস্ত ট্রাম্প: মাদুরোর পাশে থাকবেন পুতিন ও লুকাশেঙ্কো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চলতি বছরের ৭ মে মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের ৭ মে মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।

একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।

এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।

বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।

লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।

লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’

রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড় কোম্পানি থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান মার্কিন জরিপকারীর, সমালোচনার ঝড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৯
যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। ছবি: এনডিটিভি
যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। ছবি: এনডিটিভি

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’

কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন র‍র‍্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।

৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।

মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’

এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।

মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।

মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।

মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’

মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।

এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলে কিশোরীদের হেডস্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৮
নতুন আইনে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের স্কুলে ‘ঐতিহ্যবাহী মুসলিম’ মাথা ঢাকার পোশাক পরে যেতে হবে না। ছবি: স্কাই নিউজ
নতুন আইনে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের স্কুলে ‘ঐতিহ্যবাহী মুসলিম’ মাথা ঢাকার পোশাক পরে যেতে হবে না। ছবি: স্কাই নিউজ

১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।

নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েরা ‘ঐতিহ্যবাহী মুসলিম’ মাথা ঢেকে রাখে এমন পোশাক, যেমন হিজাব বা বোরকা পরে স্কুলে যেতে পারবে না।

আইনে বলা হয়েছে, হিজাব নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আইনগত অভিভাবকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসতে হবে। বারবার নিয়ম ভাঙা হলে শিশু ও যুবকল্যাণ সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে। শেষপর্যন্ত প্রয়োজন হলে পরিবার বা অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ৮০০ ইউরো (১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।

এর আগে ২০২০ সালে ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধের একটি আইন সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির সাংবিধানিক আদালত বাতিল করে দেন। কারণ, আইনটি সরাসরি মুসলমানদের লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।

অস্ট্রিয়ার তিনটি মধ্যপন্থী দল—ওইভিপি (ÖVP), এসপিও (SPÖ) ও নিওস (Neos)-এর নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট বলছে, এই আইন ‘লিঙ্গ সমতার প্রতি সুস্পষ্ট অঙ্গীকার’।

সরকারের সদস্যরা বলছেন, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন করা। তাঁদের দাবি, এটি মেয়েদের ‘বঞ্চনা বা দমন-পীড়ন’ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে।

লিবারেল নিওস দলের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি বলেন, এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়। এ দেশের মেয়েদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ।

নিষেধাজ্ঞাটি প্রায় ১২ হাজার শিশুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানান তিনি।

অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেওয়া ডানপন্থী বিরোধী দল অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টি (এফপিও) বলেছে, আইনটি যথেষ্ট দূর পর্যন্ত যায়নি। এটি ‘প্রথম ধাপ’, যা সম্প্রসারিত করে সব শিক্ষার্থী ও স্কুলকর্মীর জন্য প্রযোজ্য করা উচিত।

এফপিওর পরিবারের বিষয়ে দলের মুখপাত্র রিকার্ডা বার্গার বলেন, স্কুলে হিজাবের ওপর সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মের রাজনীতিকীকরণের কোনো স্থান এখানে নেই।

তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই আইন দেশে ইসলামবিদ্বেষ আরও উসকে দিতে পারে এবং এটি সংবিধানবিরোধীও হতে পারে।

বিরোধী দল গ্রিনসের সিগরিড মাউরার নতুন আইনটিকে ‘স্পষ্টভাবেই অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

অস্ট্রিয়ার সরকারি ইসলামিক কমিউনিটি (আইজিজিও) জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করবে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের ক্ষমতায়নের বদলে তাদের কলঙ্কিত ও প্রান্তিক করে দেওয়া হবে। তারা আইনটির সাংবিধানিকতা পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।

আইজিজিও আরও বলেছে, সাংবিধানিক আদালত ইতিমধ্যে ২০২০ সালেই স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক, কারণ এটি একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে লক্ষ্য করে এবং সমতার নীতি লঙ্ঘন করে।

এ নিয়ে সরকার বলছে, তারা এমন পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করেছে। সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক আদালতের পরীক্ষায় টিকবে কি না, আমি জানি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করেছি।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই আইনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাজ্যে ভারতীয়সহ ৬০০ ঔপনিবেশিক প্রত্নবস্তু চুরি, দুই মাস পর জানাল পুলিশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
ঘটনার দুই মাস পর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ঘটনার দুই মাস পর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের ইতিহাস সম্পর্কিত ৬০০ টিরও বেশি ‘অতি মূল্যবান’ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। অ্যাভন এবং সমারসেট পুলিশ এই ঘটনাকে ‘হাই-ভ্যালু বার্গলারি’ বা ‘অতি মূল্যবান বস্তু চুরি’ বলে চিহ্নিত করেছে। চুরি যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিদর্শন ভারতসহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে সংগৃহীত।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে চারজন অজ্ঞাতপরিচয় শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ব্রিস্টলের কিউম্বারল্যান্ড রোড এলাকার একটি গুদামে প্রবেশ করে, যেখানে জাদুঘরের ‘ব্রিটিশ এম্পায়ার অ্যান্ড কমনওয়েলথ’ সংগ্রহশালার সামগ্রী সংরক্ষিত ছিল। মূল জাদুঘর নয়, বরং গুদাম থেকে এই বিশাল সংখ্যক প্রত্নবস্তু চুরি যাওয়ায় সংগ্রহশালাটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরি যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক কর্মকর্তার কোমরের বেল্টের বাকল, হাতির দাঁতের খোদাই করা একটি বুদ্ধমূর্তি, সামরিক পদক, ব্যাজ, গয়না, রুপার বাসন, ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং ভূতাত্ত্বিক নমুনা। প্রতিটি সামগ্রীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্য অনেক।

ঘটনাটি সেপ্টেম্বরে ঘটলেও, দু’মাসেরও বেশি সময় পর পুলিশ চলতি মাসে সন্দেহভাজন চার ব্যক্তির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে জনগণের সহায়তা চেয়েছে। প্রকাশিত ঝাপসা ফুটেজে দেখা গেছে, চারজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ওই এলাকায় ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে।

এই বিলম্ব প্রসঙ্গে পুলিশ কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিলেও, অ্যাভন ও সমারসেট পুলিশের গোয়েন্দা কনস্টেবল ড্যান বার্গান এক বিবৃতিতে চুরির ঘটনাকে শহরের জন্য ‘এক বিশাল সাংস্কৃতিক ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

গোয়েন্দা কনস্টেবল বার্গান আরও বলেন, ‘চুরি হওয়া এই জিনিসগুলোর অনেকগুলোই ব্যক্তিগত দান, যা ব্রিটিশ ইতিহাসের একটি বহু-স্তরীয় দিক সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়। এই সংগ্রহশালাটি ঔপনিবেশিক ইতিহাস, সাম্রাজ্যের কাঠামো এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার বিরল দলিল।’

পুলিশ আশা করছে, এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পদগুলো উদ্ধার এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসবেন। গোয়েন্দা দল বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, ফরেনসিক তদন্ত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত