অনলাইন ডেস্ক
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেন। ভোট দেওয়া তাঁদের অধিকার; তাঁরা মন চাইলে ভোট দেবেন, না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।
গ্রিক সভ্যতায় প্রাচীন এথেন্সে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা না মানলে কোনো দণ্ড প্রয়োগ করা কি না জানা যায় না। এথেন্স অবশ্য ওই সময় অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম বাধ্যতামূলক ভোট চালু করে বেলজিয়াম। দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে ১৯২৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেক দেশই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই আইনটি কীভাবে, কোন মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলোকে। যেমন, কোনো কোনো দেশে এই আইন খুব কড়া, আবার কোনো দেশ মধ্যম মাত্রার শাস্তির বিধান রেখেছে। আবার কোনো দেশে আইন থাকলেও শাস্তির বিধান নেই।
ভোট না দিলে বিশ্বের চারটি দেশের কড়া শাস্তি বা দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। দেশগুলো হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরু। এসব দেশে ভোট না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ব্রাজিলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট না দিলে এবং ভোট না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ওই ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আবার পেরুতে ভোট না দিলে আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আবার কিছু দেশে উল্লিখিত চারটি দেশের মতো অতটা কঠোর আইন না থাকলেও বেশ কড়াভাবেই প্রয়োগ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এসব দেশে খুব বড় ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় না। তবে একেবারে ছাড়ও দেওয়া হয় না। যেমন, বলিভিয়ায় কেউ ভোট না দিলে তাঁকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন থেকে বিরত রাখা হয়। আবার থাইল্যান্ডে ভোট না দিলে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে কোনো ভোটার ভোট না দিলে পরিমিত পরিমাণে দণ্ড দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব দেশে ভোট না দিলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ধরনের দণ্ড এসব দেশে দেওয়া হয় না।
এ ছাড়া, পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় ভোট না দিলে খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ভোটার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সেই দণ্ড থেকে রেহাই পান।
আবার কিছু দেশ আইন করে ভোটারদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের দণ্ডের বিধান নেই। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকো। এমনকি এসব দেশে ভোট দান থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো কারণও দর্শাতে হয় না।
সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন অনেক সময়ই নির্বাচনে ভোট কাস্টের হার বাড়ায়। বিপরীতে নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ—বাধ্যতামূলক ভোট— সেই মূল্যবোধের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বা অনাস্থা তৈরি করে। তাই গবেষকদের মত হলো, এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, এই আইনের দ্বিমুখী প্রভাব স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, পিউ রিসার্চ, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশন
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। সাধারণত, জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভোট দেন। ভোট দেওয়া তাঁদের অধিকার; তাঁরা মন চাইলে ভোট দেবেন, না চাইলে ভোট দেবেন না। কিন্তু এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলোতে আইন করে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।
গ্রিক সভ্যতায় প্রাচীন এথেন্সে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা না মানলে কোনো দণ্ড প্রয়োগ করা কি না জানা যায় না। এথেন্স অবশ্য ওই সময় অনেক কিছু নিয়েই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম বাধ্যতামূলক ভোট চালু করে বেলজিয়াম। দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করে আইন করে ১৯২৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেক দেশই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই আইনটি কীভাবে, কোন মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলোকে। যেমন, কোনো কোনো দেশে এই আইন খুব কড়া, আবার কোনো দেশ মধ্যম মাত্রার শাস্তির বিধান রেখেছে। আবার কোনো দেশে আইন থাকলেও শাস্তির বিধান নেই।
ভোট না দিলে বিশ্বের চারটি দেশের কড়া শাস্তি বা দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। দেশগুলো হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরু। এসব দেশে ভোট না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ব্রাজিলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট না দিলে এবং ভোট না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ওই ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আবার পেরুতে ভোট না দিলে আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
আবার কিছু দেশে উল্লিখিত চারটি দেশের মতো অতটা কঠোর আইন না থাকলেও বেশ কড়াভাবেই প্রয়োগ করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। এসব দেশে খুব বড় ধরনের দণ্ড দেওয়া হয় না। তবে একেবারে ছাড়ও দেওয়া হয় না। যেমন, বলিভিয়ায় কেউ ভোট না দিলে তাঁকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন থেকে বিরত রাখা হয়। আবার থাইল্যান্ডে ভোট না দিলে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে কোনো ভোটার ভোট না দিলে পরিমিত পরিমাণে দণ্ড দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব দেশে ভোট না দিলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ধরনের দণ্ড এসব দেশে দেওয়া হয় না।
এ ছাড়া, পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় ভোট না দিলে খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ভোটার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সেই দণ্ড থেকে রেহাই পান।
আবার কিছু দেশ আইন করে ভোটারদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের দণ্ডের বিধান নেই। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকো। এমনকি এসব দেশে ভোট দান থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো কারণও দর্শাতে হয় না।
সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন অনেক সময়ই নির্বাচনে ভোট কাস্টের হার বাড়ায়। বিপরীতে নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ—বাধ্যতামূলক ভোট— সেই মূল্যবোধের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বা অনাস্থা তৈরি করে। তাই গবেষকদের মত হলো, এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সময় আসেনি। কারণ, এই আইনের দ্বিমুখী প্রভাব স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, পিউ রিসার্চ, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যার রেশ না কাটতেই এবার নতুন করে পশ্চিম তীরে তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েল। গত রোববার অঞ্চলটির জেনিন শহরে অভিযান চালিয়ে শতাধিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। জেনিন শরণার্থীশিবির এবং আল-হাদাফ এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে জোরপূর্বক
৭ ঘণ্টা আগেঅন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে মার্কিন নাগরিকেরাও ভুগতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের এক দিনের মাথায় রোববার এ মন্তব্য করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ‘অপরাধী সংস্থা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান ধনকুবের ইলন মাস্ক।
৭ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার ‘গ্লোবাল ইখওয়ান সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস হোল্ডিংস’ (জিআইএসবিএইচ) বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা গোপনে শত শত শিশুকে নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১২ ঘণ্টা আগে