
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে সেসব সম্পর্কে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
১। আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)
আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল) ব্যস্ততম বৈশ্বিক বিমানবন্দর হিসেবে তার মুকুট ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রায় ৫২ লাখ আসন পরিবেশন করেছে বিমানবন্দরটি। আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে বিমানবন্দরটিতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এটিএল বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডেলটা এয়ারলাইনস ছাড়াও বিমানবন্দরটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইনস রয়েছে সেসব হলো—সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস।
২। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএক্সবি)
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রায় ৪৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে এই বিমানবন্দর। আকাশপথে যাতায়াতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দরে আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে যাত্রীসংখ্যা ২২ শতাংশ কম হলেও সারা বিশ্বের দর্শনার্থী এবং ট্রানজিট যাত্রীদের আকর্ষণ করে চলেছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরটি আধুনিক অবকাঠামো এবং ব্যাপক সংযোগের সুযোগ বিস্তৃত করায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে।
৩। টোকিও হানেদা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এইচএনডি)
টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৫ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। জাপানের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এইচএনডি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় যাতায়াতের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাপান এয়ারলাইনস (জেএল) এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এনএইচ) এর মতো বিশিষ্ট এয়ারলাইনসের উপস্থিতির সঙ্গে এইচএনডি এশিয়া এবং তার বাইরেও ব্যাপক সংযোগের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে।
৪। লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট (এলএইচআর)
ইউরোপের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৩ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ) এবং ভার্জিন আটলান্টিক (ভিএস) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস নিয়ে এলএইচআর যুক্তরাজ্য এবং তার বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে রয়ে গেছে।
৫। ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ)
ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ) ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪১ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের (এএ) একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ডিএফডব্লিউ যুক্তরাষ্ট্র এবং দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এর সঙ্গে, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস (এফ নাইন) এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস (এনকে) ডিএফডব্লিউ-এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বৃহৎ অবদান রাখে।
৬। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট (আইএসটি)
এপ্রিল মাসে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে আইএসটি। আগের মাসের তুলনায় বিমানবন্দরটির যাত্রীসংখ্যা এপ্রিলে বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্রতিদিনই আসন বৃদ্ধি আইএসটির ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক এবং বৈশ্বিক বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে এর তাৎপর্যকে তুলে ধরে।
৭। গুয়াংজু বাইয়ুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সিএএন)
চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। দক্ষিণ চীনের একটি অত্যাবশ্যক প্রবেশদ্বার হিসেবে সিএএন শত শত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটকে সহজতর করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংযোগে অবদান রাখছে।
৮। ডেনভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিইএন)
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও (ডিইএন) এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিমান যাত্রীদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা গন্তব্যের সংযোগ প্রদান করে।
৯। শিকাগো ও’হারা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ওআরডি)
শিকাগো ও’হারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৩৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আগের মাসের তুলনায় ওআরডি প্রতিদিন ৭ শতাংশ আসন যোগ করেছে এবং এই বৃদ্ধি বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরে।
১০। সাংহাই পাডং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (পিভিজি)
সাংহাই পাডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে ৩৮ লাখেরও বেশি আসন পরিবেশন করে বিশ্বব্যাপী ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় এসেছে। ২০২৩ সালে ২৯ তম র্যাঙ্কিং থেকে এ বছর শীর্ষ দশে চলে আসা বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই প্রকাশ করে। পিভিজির এই উত্থান চীনের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা বিমান শিল্প এবং পূর্ব চীনের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবেও বিমানবন্দরটির ভূমিকাকে তুলে ধরে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে সেসব সম্পর্কে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
১। আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)
আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল) ব্যস্ততম বৈশ্বিক বিমানবন্দর হিসেবে তার মুকুট ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রায় ৫২ লাখ আসন পরিবেশন করেছে বিমানবন্দরটি। আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে বিমানবন্দরটিতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এটিএল বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডেলটা এয়ারলাইনস ছাড়াও বিমানবন্দরটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইনস রয়েছে সেসব হলো—সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস।
২। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএক্সবি)
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রায় ৪৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে এই বিমানবন্দর। আকাশপথে যাতায়াতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দরে আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে যাত্রীসংখ্যা ২২ শতাংশ কম হলেও সারা বিশ্বের দর্শনার্থী এবং ট্রানজিট যাত্রীদের আকর্ষণ করে চলেছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরটি আধুনিক অবকাঠামো এবং ব্যাপক সংযোগের সুযোগ বিস্তৃত করায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে।
৩। টোকিও হানেদা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এইচএনডি)
টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৫ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। জাপানের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এইচএনডি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় যাতায়াতের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাপান এয়ারলাইনস (জেএল) এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এনএইচ) এর মতো বিশিষ্ট এয়ারলাইনসের উপস্থিতির সঙ্গে এইচএনডি এশিয়া এবং তার বাইরেও ব্যাপক সংযোগের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে।
৪। লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট (এলএইচআর)
ইউরোপের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৩ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ) এবং ভার্জিন আটলান্টিক (ভিএস) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস নিয়ে এলএইচআর যুক্তরাজ্য এবং তার বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে রয়ে গেছে।
৫। ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ)
ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ) ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪১ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের (এএ) একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ডিএফডব্লিউ যুক্তরাষ্ট্র এবং দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এর সঙ্গে, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস (এফ নাইন) এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস (এনকে) ডিএফডব্লিউ-এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বৃহৎ অবদান রাখে।
৬। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট (আইএসটি)
এপ্রিল মাসে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে আইএসটি। আগের মাসের তুলনায় বিমানবন্দরটির যাত্রীসংখ্যা এপ্রিলে বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্রতিদিনই আসন বৃদ্ধি আইএসটির ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক এবং বৈশ্বিক বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে এর তাৎপর্যকে তুলে ধরে।
৭। গুয়াংজু বাইয়ুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সিএএন)
চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। দক্ষিণ চীনের একটি অত্যাবশ্যক প্রবেশদ্বার হিসেবে সিএএন শত শত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটকে সহজতর করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংযোগে অবদান রাখছে।
৮। ডেনভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিইএন)
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও (ডিইএন) এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিমান যাত্রীদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা গন্তব্যের সংযোগ প্রদান করে।
৯। শিকাগো ও’হারা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ওআরডি)
শিকাগো ও’হারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৩৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আগের মাসের তুলনায় ওআরডি প্রতিদিন ৭ শতাংশ আসন যোগ করেছে এবং এই বৃদ্ধি বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরে।
১০। সাংহাই পাডং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (পিভিজি)
সাংহাই পাডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে ৩৮ লাখেরও বেশি আসন পরিবেশন করে বিশ্বব্যাপী ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় এসেছে। ২০২৩ সালে ২৯ তম র্যাঙ্কিং থেকে এ বছর শীর্ষ দশে চলে আসা বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই প্রকাশ করে। পিভিজির এই উত্থান চীনের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা বিমান শিল্প এবং পূর্ব চীনের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবেও বিমানবন্দরটির ভূমিকাকে তুলে ধরে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে সেসব সম্পর্কে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
১। আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)
আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল) ব্যস্ততম বৈশ্বিক বিমানবন্দর হিসেবে তার মুকুট ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রায় ৫২ লাখ আসন পরিবেশন করেছে বিমানবন্দরটি। আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে বিমানবন্দরটিতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এটিএল বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডেলটা এয়ারলাইনস ছাড়াও বিমানবন্দরটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইনস রয়েছে সেসব হলো—সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস।
২। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএক্সবি)
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রায় ৪৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে এই বিমানবন্দর। আকাশপথে যাতায়াতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দরে আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে যাত্রীসংখ্যা ২২ শতাংশ কম হলেও সারা বিশ্বের দর্শনার্থী এবং ট্রানজিট যাত্রীদের আকর্ষণ করে চলেছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরটি আধুনিক অবকাঠামো এবং ব্যাপক সংযোগের সুযোগ বিস্তৃত করায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে।
৩। টোকিও হানেদা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এইচএনডি)
টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৫ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। জাপানের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এইচএনডি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় যাতায়াতের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাপান এয়ারলাইনস (জেএল) এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এনএইচ) এর মতো বিশিষ্ট এয়ারলাইনসের উপস্থিতির সঙ্গে এইচএনডি এশিয়া এবং তার বাইরেও ব্যাপক সংযোগের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে।
৪। লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট (এলএইচআর)
ইউরোপের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৩ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ) এবং ভার্জিন আটলান্টিক (ভিএস) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস নিয়ে এলএইচআর যুক্তরাজ্য এবং তার বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে রয়ে গেছে।
৫। ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ)
ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ) ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪১ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের (এএ) একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ডিএফডব্লিউ যুক্তরাষ্ট্র এবং দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এর সঙ্গে, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস (এফ নাইন) এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস (এনকে) ডিএফডব্লিউ-এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বৃহৎ অবদান রাখে।
৬। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট (আইএসটি)
এপ্রিল মাসে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে আইএসটি। আগের মাসের তুলনায় বিমানবন্দরটির যাত্রীসংখ্যা এপ্রিলে বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্রতিদিনই আসন বৃদ্ধি আইএসটির ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক এবং বৈশ্বিক বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে এর তাৎপর্যকে তুলে ধরে।
৭। গুয়াংজু বাইয়ুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সিএএন)
চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। দক্ষিণ চীনের একটি অত্যাবশ্যক প্রবেশদ্বার হিসেবে সিএএন শত শত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটকে সহজতর করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংযোগে অবদান রাখছে।
৮। ডেনভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিইএন)
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও (ডিইএন) এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিমান যাত্রীদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা গন্তব্যের সংযোগ প্রদান করে।
৯। শিকাগো ও’হারা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ওআরডি)
শিকাগো ও’হারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৩৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আগের মাসের তুলনায় ওআরডি প্রতিদিন ৭ শতাংশ আসন যোগ করেছে এবং এই বৃদ্ধি বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরে।
১০। সাংহাই পাডং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (পিভিজি)
সাংহাই পাডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে ৩৮ লাখেরও বেশি আসন পরিবেশন করে বিশ্বব্যাপী ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় এসেছে। ২০২৩ সালে ২৯ তম র্যাঙ্কিং থেকে এ বছর শীর্ষ দশে চলে আসা বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই প্রকাশ করে। পিভিজির এই উত্থান চীনের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা বিমান শিল্প এবং পূর্ব চীনের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবেও বিমানবন্দরটির ভূমিকাকে তুলে ধরে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে সেসব সম্পর্কে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
১। আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)
আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল) ব্যস্ততম বৈশ্বিক বিমানবন্দর হিসেবে তার মুকুট ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রায় ৫২ লাখ আসন পরিবেশন করেছে বিমানবন্দরটি। আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে বিমানবন্দরটিতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এটিএল বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডেলটা এয়ারলাইনস ছাড়াও বিমানবন্দরটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইনস রয়েছে সেসব হলো—সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস।
২। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএক্সবি)
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রায় ৪৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে এই বিমানবন্দর। আকাশপথে যাতায়াতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দরে আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে যাত্রীসংখ্যা ২২ শতাংশ কম হলেও সারা বিশ্বের দর্শনার্থী এবং ট্রানজিট যাত্রীদের আকর্ষণ করে চলেছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরটি আধুনিক অবকাঠামো এবং ব্যাপক সংযোগের সুযোগ বিস্তৃত করায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে।
৩। টোকিও হানেদা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এইচএনডি)
টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৫ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। জাপানের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এইচএনডি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় যাতায়াতের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাপান এয়ারলাইনস (জেএল) এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এনএইচ) এর মতো বিশিষ্ট এয়ারলাইনসের উপস্থিতির সঙ্গে এইচএনডি এশিয়া এবং তার বাইরেও ব্যাপক সংযোগের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে।
৪। লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট (এলএইচআর)
ইউরোপের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৩ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ) এবং ভার্জিন আটলান্টিক (ভিএস) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস নিয়ে এলএইচআর যুক্তরাজ্য এবং তার বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে রয়ে গেছে।
৫। ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ)
ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ) ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪১ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের (এএ) একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ডিএফডব্লিউ যুক্তরাষ্ট্র এবং দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এর সঙ্গে, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস (এফ নাইন) এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস (এনকে) ডিএফডব্লিউ-এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বৃহৎ অবদান রাখে।
৬। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট (আইএসটি)
এপ্রিল মাসে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে আইএসটি। আগের মাসের তুলনায় বিমানবন্দরটির যাত্রীসংখ্যা এপ্রিলে বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্রতিদিনই আসন বৃদ্ধি আইএসটির ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক এবং বৈশ্বিক বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে এর তাৎপর্যকে তুলে ধরে।
৭। গুয়াংজু বাইয়ুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সিএএন)
চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। দক্ষিণ চীনের একটি অত্যাবশ্যক প্রবেশদ্বার হিসেবে সিএএন শত শত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটকে সহজতর করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংযোগে অবদান রাখছে।
৮। ডেনভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিইএন)
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও (ডিইএন) এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিমান যাত্রীদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা গন্তব্যের সংযোগ প্রদান করে।
৯। শিকাগো ও’হারা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ওআরডি)
শিকাগো ও’হারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৩৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আগের মাসের তুলনায় ওআরডি প্রতিদিন ৭ শতাংশ আসন যোগ করেছে এবং এই বৃদ্ধি বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরে।
১০। সাংহাই পাডং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (পিভিজি)
সাংহাই পাডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে ৩৮ লাখেরও বেশি আসন পরিবেশন করে বিশ্বব্যাপী ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় এসেছে। ২০২৩ সালে ২৯ তম র্যাঙ্কিং থেকে এ বছর শীর্ষ দশে চলে আসা বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই প্রকাশ করে। পিভিজির এই উত্থান চীনের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা বিমান শিল্প এবং পূর্ব চীনের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবেও বিমানবন্দরটির ভূমিকাকে তুলে ধরে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
১ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার। নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছে...
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম
০২ মে ২০২৪
গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার। নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছে...
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন তাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাদাগাস্কারের নাগরিকত্ব হারাবেন।
প্রায় এক দশক আগে ফরাসি নাগরিকত্ব লাভ করেন ৫১ বছর বয়সী রাজোয়েলিনা। এ কারণে ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তিনি ফরাসি নাগরিকত্বের কথা প্রকাশ করেন। সন্তানদের ফ্রান্সে পড়াশোনার সুবিধার জন্য এই নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন বলে যুক্তি দেখান তিনি। সে সময় নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সেই দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি এবং জয়ী হন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট নিয়ে ‘জেন জি মাদা’ নামে তরুণদের ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজোয়েলিনা প্রথমে তাঁর জ্বালানি মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন, পরে পুরো মন্ত্রিসভাকেই ভেঙে দেন। কিন্তু তাতেও তাঁর পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন থামেনি।
বিক্ষোভকারীরা আশা করেছিলেন, রাজোয়েলিনা পদত্যাগ করবেন, যাতে দেশটি একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগোতে পারে।
কিন্তু তিনি ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত কর্নেল মাইকেল রান্ড্রিয়ানিরিনার নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করা হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রাজোয়েলিনা।
গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজোয়েলিনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি একটি ‘নিরাপদ স্থানে’ আছেন এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই আছে। তখন গুঞ্জন ওঠে, তিনি ফরাসি একটি বিমানে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে দেশটির অধিকাংশ নাগরিকের বিশ্বাস, রাজোয়েলিনা দুবাইয়ে আত্মগোপনে আছেন।
এই ভিডিওর ঘণ্টাকয়েক পরেই পার্লামেন্ট তাঁকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়। এরপর সেনারা প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে হামলা চালিয়ে সিনেট, সাংবিধানিক আদালত ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কেবল জাতীয় সংসদকে রেখে অন্য সব প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করা হয়।
বর্তমানে রান্ড্রিয়ানিরিনা শপথ গ্রহণ করেছেন এবং নতুন সরকার গঠন করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে মাদাগাস্কার অভ্যুত্থানের ইতিহাসে ভরা। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলনের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজোয়েলিনাকে ক্ষমতায় আনা হয়। তিনি তখন মাত্র ৩৩ বছর বয়সী এক সাবেক ডিজে। পরে সেনাবাহিনী গঠিত একটি ট্রানজিশনাল কাউন্সিল তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের বর্জিত এক ‘নির্বাচনে’ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন তাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাদাগাস্কারের নাগরিকত্ব হারাবেন।
প্রায় এক দশক আগে ফরাসি নাগরিকত্ব লাভ করেন ৫১ বছর বয়সী রাজোয়েলিনা। এ কারণে ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তিনি ফরাসি নাগরিকত্বের কথা প্রকাশ করেন। সন্তানদের ফ্রান্সে পড়াশোনার সুবিধার জন্য এই নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন বলে যুক্তি দেখান তিনি। সে সময় নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সেই দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি এবং জয়ী হন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট নিয়ে ‘জেন জি মাদা’ নামে তরুণদের ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজোয়েলিনা প্রথমে তাঁর জ্বালানি মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন, পরে পুরো মন্ত্রিসভাকেই ভেঙে দেন। কিন্তু তাতেও তাঁর পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন থামেনি।
বিক্ষোভকারীরা আশা করেছিলেন, রাজোয়েলিনা পদত্যাগ করবেন, যাতে দেশটি একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগোতে পারে।
কিন্তু তিনি ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত কর্নেল মাইকেল রান্ড্রিয়ানিরিনার নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করা হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রাজোয়েলিনা।
গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজোয়েলিনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি একটি ‘নিরাপদ স্থানে’ আছেন এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই আছে। তখন গুঞ্জন ওঠে, তিনি ফরাসি একটি বিমানে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে দেশটির অধিকাংশ নাগরিকের বিশ্বাস, রাজোয়েলিনা দুবাইয়ে আত্মগোপনে আছেন।
এই ভিডিওর ঘণ্টাকয়েক পরেই পার্লামেন্ট তাঁকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়। এরপর সেনারা প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে হামলা চালিয়ে সিনেট, সাংবিধানিক আদালত ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কেবল জাতীয় সংসদকে রেখে অন্য সব প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করা হয়।
বর্তমানে রান্ড্রিয়ানিরিনা শপথ গ্রহণ করেছেন এবং নতুন সরকার গঠন করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে মাদাগাস্কার অভ্যুত্থানের ইতিহাসে ভরা। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলনের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজোয়েলিনাকে ক্ষমতায় আনা হয়। তিনি তখন মাত্র ৩৩ বছর বয়সী এক সাবেক ডিজে। পরে সেনাবাহিনী গঠিত একটি ট্রানজিশনাল কাউন্সিল তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের বর্জিত এক ‘নির্বাচনে’ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম
০২ মে ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
১ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল অভিযানের’ ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিষয়টি লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির বাড়ানোর মাধ্যমে বড় ধরনের উত্তেজনা উসকে দেওয়ার পরিস্থিতি নির্দেশ করছে। জল্পনা চলছে—ওয়াশিংটন হয়তো ভেনেজুয়েলার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ‘এক নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধ তৈরি করছে।’ আর ঠিক তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই রণতরী একসঙ্গে ৯০টি বিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার বহন করতে পারে।
ট্রাম্প কোনো প্রমাণ না দিয়েই মাদুরোকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। জবাবে মাদুরো বলেন, ‘তারা এক বিকৃত জাল গল্প বানাচ্ছে—একটি অশালীন, অপরাধপ্রবণ ও সম্পূর্ণ ভুয়া বর্ণনার গল্প। ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ, যেখানে কোকা পাতা উৎপন্নই হয় না।’
ত্রেন দে আরাগুয়া মূলত ভেনেজুয়েলার একটি কারাগার থেকে গড়ে ওঠা অপরাধী চক্র। বৈশ্বিক মাদক পাচারে এই গ্যাংয়ের কোনো ভূমিকা নেই; বরং এটি খুন, চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত।
গত বছর ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মাদুরোকে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ তার পদত্যাগের দাবি তুলেছে। এদিকে, অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ-এর অভিযান অনুমোদন করেছেন এবং দেশটিতে অবস্থিত কথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান বিবেচনা করছেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী দশটি নৌকায় বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে আটটি হামলা হয়েছে ক্যারিবীয় সাগরে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব নৌকা দেশে মাদক পাচারে জড়িত ছিল। এসব হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদরিনো লোপেজ শনিবার জানান, দেশটি উপকূল রক্ষার জন্য সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে, যাতে কোনো ‘গোপন অভিযান’ প্রতিহত করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ৭২ ঘণ্টা আগে শুরু করা উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছি—যাতে আমরা শুধু বড় সামরিক হুমকি নয়, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরির গোপন অভিযান থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারি।’
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলার সৈন্যরা নয়টি উপকূলীয় রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং মাদুরোর বেসামরিক মিলিশিয়ার এক সদস্যের হাতে রুশ তৈরি ইগলা-এস কাঁধে বহনযোগ্য বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। পাদরিনো বলেন, ‘সিআইএ শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, সারা বিশ্বেই সক্রিয়। তারা যেকোনো অঞ্চল থেকে অসংখ্য সিআইএ-সম্পৃক্ত ইউনিট পাঠাতে পারে, কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’
গত আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র আটটি নৌযান, দশটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে কথিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে। তবে কারাকাসের দাবি, এই কর্মকাণ্ড আসলে সরকার উৎখাতের ছদ্মবেশী পরিকল্পনা।
শনিবার মাদুরো জানান, তিনি বিরোধী রাজনীতিক লিওপোলদো লোপেজের নাগরিকত্ব বাতিল ও পাসপোর্ট জব্দের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাঁর অভিযোগ, লোপেজ দেশটিতে বিদেশি আগ্রাসনকে উৎসাহিত করছেন। ২০২০ সাল থেকে স্পেনে নির্বাসিত লোপেজ প্রকাশ্যে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানো এবং মাদকবাহী জাহাজে হামলার সমর্থন করেছেন।
২০১৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পর লোপেজ তিন বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। পরে তাকে ১৩ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয় ‘ষড়যন্ত্র ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে। পরে তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়, এবং ২০২০ সালে সামরিক সহায়তায় মুক্তি পেয়ে দেশত্যাগ করেন।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল অভিযানের’ ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিষয়টি লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির বাড়ানোর মাধ্যমে বড় ধরনের উত্তেজনা উসকে দেওয়ার পরিস্থিতি নির্দেশ করছে। জল্পনা চলছে—ওয়াশিংটন হয়তো ভেনেজুয়েলার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ‘এক নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধ তৈরি করছে।’ আর ঠিক তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই রণতরী একসঙ্গে ৯০টি বিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার বহন করতে পারে।
ট্রাম্প কোনো প্রমাণ না দিয়েই মাদুরোকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। জবাবে মাদুরো বলেন, ‘তারা এক বিকৃত জাল গল্প বানাচ্ছে—একটি অশালীন, অপরাধপ্রবণ ও সম্পূর্ণ ভুয়া বর্ণনার গল্প। ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ, যেখানে কোকা পাতা উৎপন্নই হয় না।’
ত্রেন দে আরাগুয়া মূলত ভেনেজুয়েলার একটি কারাগার থেকে গড়ে ওঠা অপরাধী চক্র। বৈশ্বিক মাদক পাচারে এই গ্যাংয়ের কোনো ভূমিকা নেই; বরং এটি খুন, চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত।
গত বছর ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মাদুরোকে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ তার পদত্যাগের দাবি তুলেছে। এদিকে, অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ-এর অভিযান অনুমোদন করেছেন এবং দেশটিতে অবস্থিত কথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান বিবেচনা করছেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী দশটি নৌকায় বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে আটটি হামলা হয়েছে ক্যারিবীয় সাগরে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব নৌকা দেশে মাদক পাচারে জড়িত ছিল। এসব হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদরিনো লোপেজ শনিবার জানান, দেশটি উপকূল রক্ষার জন্য সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে, যাতে কোনো ‘গোপন অভিযান’ প্রতিহত করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ৭২ ঘণ্টা আগে শুরু করা উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছি—যাতে আমরা শুধু বড় সামরিক হুমকি নয়, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরির গোপন অভিযান থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারি।’
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলার সৈন্যরা নয়টি উপকূলীয় রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং মাদুরোর বেসামরিক মিলিশিয়ার এক সদস্যের হাতে রুশ তৈরি ইগলা-এস কাঁধে বহনযোগ্য বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। পাদরিনো বলেন, ‘সিআইএ শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, সারা বিশ্বেই সক্রিয়। তারা যেকোনো অঞ্চল থেকে অসংখ্য সিআইএ-সম্পৃক্ত ইউনিট পাঠাতে পারে, কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’
গত আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র আটটি নৌযান, দশটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে কথিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে। তবে কারাকাসের দাবি, এই কর্মকাণ্ড আসলে সরকার উৎখাতের ছদ্মবেশী পরিকল্পনা।
শনিবার মাদুরো জানান, তিনি বিরোধী রাজনীতিক লিওপোলদো লোপেজের নাগরিকত্ব বাতিল ও পাসপোর্ট জব্দের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাঁর অভিযোগ, লোপেজ দেশটিতে বিদেশি আগ্রাসনকে উৎসাহিত করছেন। ২০২০ সাল থেকে স্পেনে নির্বাসিত লোপেজ প্রকাশ্যে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানো এবং মাদকবাহী জাহাজে হামলার সমর্থন করেছেন।
২০১৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পর লোপেজ তিন বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। পরে তাকে ১৩ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয় ‘ষড়যন্ত্র ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে। পরে তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়, এবং ২০২০ সালে সামরিক সহায়তায় মুক্তি পেয়ে দেশত্যাগ করেন।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম
০২ মে ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
১ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার। নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছে...
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান করবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ‘Delivering Peace’—লেখা একটি ব্যানারের সামনে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি তিন মাস আগে হওয়া এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন এক সমঝোতা। এ সময় সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।
হুন মানেত বলেন, ‘এই ঘোষণা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এটি স্থায়ী শান্তির ভিত্তি তৈরি করবে। কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—এটি দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করবে। আমাদের সীমান্তের মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে বিভক্ত, আর নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন—যুদ্ধ চলতে থাকলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও সহযোগিতা চালাবে, যতক্ষণ তারা শান্তিতে থাকে।’
দুই পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে রকেট ও ভারী গোলা বিনিময়ের দায়ে। এই সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন আরেকটু হলেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, গত শুক্রবার দেশটির সাবেক রানি মা সিরিকিতের মৃত্যু হয়। তবে পরে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুতিন বলেন, ‘দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেবে, যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ একই সঙ্গে থাইল্যান্ড ১৮ জন আটক কম্বোডিয়ার সেনাকে মুক্তি দেবে বলেও ঘোষণা দেন অনুতিন।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশিল্পীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ট্রাম্প লালগালিচায় তাঁদের সঙ্গে নাচেন, এক হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এবং অন্য হাতে মালয়েশিয়ার পতাকা তুলে ধরেন। এরপর আনোয়ারের সঙ্গে তিনি লিমুজিনে করে শহরে প্রবেশ করেন।
ট্রাম্প যখন অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা সমান্তরাল বৈঠকে বসেন চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া বৈঠকে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, আলোচনায় বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে বাণিজ্য শুল্কে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রসঙ্গও ছিল। গ্রিয়ার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নেতাদের বৈঠকটি খুব ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
বিশ্বজুড়ে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ওয়াশিংটন সরবরাহ শৃঙ্খল বৈচিত্র্যময় করতে চায়। যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির কথাও চলছে।
রোববার পরে তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। লুলা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে তা কমানোর অনুরোধ জানাবেন। তাঁর দাবি, গত ১৫ বছরে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৪১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা দেন, কানাডার পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্কের অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান করবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ‘Delivering Peace’—লেখা একটি ব্যানারের সামনে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি তিন মাস আগে হওয়া এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন এক সমঝোতা। এ সময় সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।
হুন মানেত বলেন, ‘এই ঘোষণা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এটি স্থায়ী শান্তির ভিত্তি তৈরি করবে। কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—এটি দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করবে। আমাদের সীমান্তের মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে বিভক্ত, আর নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন—যুদ্ধ চলতে থাকলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও সহযোগিতা চালাবে, যতক্ষণ তারা শান্তিতে থাকে।’
দুই পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে রকেট ও ভারী গোলা বিনিময়ের দায়ে। এই সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন আরেকটু হলেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, গত শুক্রবার দেশটির সাবেক রানি মা সিরিকিতের মৃত্যু হয়। তবে পরে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুতিন বলেন, ‘দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেবে, যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ একই সঙ্গে থাইল্যান্ড ১৮ জন আটক কম্বোডিয়ার সেনাকে মুক্তি দেবে বলেও ঘোষণা দেন অনুতিন।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশিল্পীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ট্রাম্প লালগালিচায় তাঁদের সঙ্গে নাচেন, এক হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এবং অন্য হাতে মালয়েশিয়ার পতাকা তুলে ধরেন। এরপর আনোয়ারের সঙ্গে তিনি লিমুজিনে করে শহরে প্রবেশ করেন।
ট্রাম্প যখন অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা সমান্তরাল বৈঠকে বসেন চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া বৈঠকে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, আলোচনায় বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে বাণিজ্য শুল্কে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রসঙ্গও ছিল। গ্রিয়ার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নেতাদের বৈঠকটি খুব ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
বিশ্বজুড়ে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ওয়াশিংটন সরবরাহ শৃঙ্খল বৈচিত্র্যময় করতে চায়। যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির কথাও চলছে।
রোববার পরে তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। লুলা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে তা কমানোর অনুরোধ জানাবেন। তাঁর দাবি, গত ১৫ বছরে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৪১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা দেন, কানাডার পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্কের অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম
০২ মে ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
১ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার। নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছে...
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল
২ ঘণ্টা আগে