
বিশ্বের অনেক দেশে বিশুদ্ধ পানির অভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। অনেক দেশে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে সেচ কিংবা গবাদিপশুর জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব তো রয়েছেই। এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যাদের প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি হেঁটে গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। নিরাপদ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা এমন ১০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
নাইজার
বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শুরুর দিকেই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যেও এটি একটি। নাইজারের বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানির অভাবে চরম সংকটে দেশটি। ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের হিসাবে নাইজারে ৫৪ শতাংশ নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনির গ্রামীণ জনসংখ্যার বেশির ভাগই দেশটির দ্বীপাঞ্চলে বাস করে। প্রায়ই দ্বীপবাসী বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করে। এ ছাড়া অনেকেরই প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খুব কম ধারণা রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি এই অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যেও একটি। দেশটিতে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো ঘটনায় অবকাঠামো, বাড়িঘর এবং ফসলের ক্ষতি করে। এর ওপর পানির সংকট আরও ভোগান্তির কারণ।
কঙ্গো
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। পূর্ব ও মধ্য কাসাই অঞ্চলে সংঘাত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইবোলা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের মতো নানা সংকট দেশটিতে। কঙ্গোতে প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। খাওয়ার পানি, রান্না এবং ধোয়ামোছার জন্য অনেকেই অনিরাপদ পানি ব্যবহারে বাধ্য হয়। অপরিষ্কার পানি ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব তৈরি করে, যা শিশুদের দুর্বলতার পাশাপাশি কখনো কখনো মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে।
চাদ
ইউনিসেফের তথ্যমতে, চাদে প্রতি দুজন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের সুযোগ পায়। আর স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে দশজনে একজন। বিভিন্ন সংস্থা বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশটিতে।
ইথিওপিয়া
ইথিওপিয়ায় আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির ১২ কোটি মানুষের অর্ধেকই বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র খরার এবং বৃষ্টিপাতের তারতম্যের কারণে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের মানুষের জন্য। আর এ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ।
ইরিত্রিয়া
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তবে পানির উন্মুক্ত উৎসগুলো প্রায়ই মানুষ এবং প্রাণীর বর্জ্য দ্বারা দূষিত হয়। বন উজাড় ও সনাতন চাষাবাদ পদ্ধতি দূষণের সমস্যাকে আরও খারাপ করে তোলে। যদিও সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় অনেকটা উন্নতি করছে ইরিত্রিয়া। এর পরও ৪৮ শতাংশ সুপেয় পানির অভাব রয়েছে দেশটিতে।
সোমালিয়া
নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাব, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, পানিবাহিত রোগে সোমালিয়ায় শিশু এবং মায়েদের শরীরের অবস্থা নাজুক। বিষয়গুলোকে আরও খারাপ করে তুলেছে সংঘাত, খরা ও দুর্ভিক্ষ। এসব সংকটে দেশটির প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমালিয়ায় ৪৪ শতাংশ বিশুদ্ধ পানির অভাব বিদ্যমান।
উগান্ডা
উগান্ডায় পানি ও পয়োনিষ্কাশনের পরিষেবাগুলো দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। দেশটিতে প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থীও রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই দক্ষিণ সুদানের। এই উদ্বাস্তুদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আবদানও অপ্রতুল। শরণার্থী ও উগান্ডার স্থানীয় জনগণ উভয়ের জীবনযাত্রা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
অ্যাঙ্গোলা
অ্যাঙ্গোলার ২ কোটি ৮২ লাখ মানুষের প্রায় এক-চতুর্থাংশ নদী বা পুকুর থেকে অনিরাপদ পানি ব্যবহার করে। কিছু জায়গায় প্রচুর পানি থাকার পরও তা পানের উপযোগী নয়। গৃহস্থালির প্রয়োজনে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। আর এ কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় নারীদের।
মোজাম্বিক
বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় মোজাম্বিকের গ্রামীণ জনপদ ও উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দারা। উপরন্তু, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণ পানি সরবরাহব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
সব মিলিয়ে আফ্রিকার দেশগুলোতে বিশুদ্ধ বা সুপেয় পানির অভাব ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। পৃথিবীতে যত মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার চেয়ে বেশির ভাগ প্রাণ হারায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে। ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করে হাজারো মানুষ। এদের অধিকাংশই শিশু।

বিশ্বের অনেক দেশে বিশুদ্ধ পানির অভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। অনেক দেশে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে সেচ কিংবা গবাদিপশুর জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব তো রয়েছেই। এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যাদের প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি হেঁটে গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। নিরাপদ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা এমন ১০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
নাইজার
বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শুরুর দিকেই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যেও এটি একটি। নাইজারের বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানির অভাবে চরম সংকটে দেশটি। ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের হিসাবে নাইজারে ৫৪ শতাংশ নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনির গ্রামীণ জনসংখ্যার বেশির ভাগই দেশটির দ্বীপাঞ্চলে বাস করে। প্রায়ই দ্বীপবাসী বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করে। এ ছাড়া অনেকেরই প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খুব কম ধারণা রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি এই অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যেও একটি। দেশটিতে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো ঘটনায় অবকাঠামো, বাড়িঘর এবং ফসলের ক্ষতি করে। এর ওপর পানির সংকট আরও ভোগান্তির কারণ।
কঙ্গো
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। পূর্ব ও মধ্য কাসাই অঞ্চলে সংঘাত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইবোলা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের মতো নানা সংকট দেশটিতে। কঙ্গোতে প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। খাওয়ার পানি, রান্না এবং ধোয়ামোছার জন্য অনেকেই অনিরাপদ পানি ব্যবহারে বাধ্য হয়। অপরিষ্কার পানি ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব তৈরি করে, যা শিশুদের দুর্বলতার পাশাপাশি কখনো কখনো মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে।
চাদ
ইউনিসেফের তথ্যমতে, চাদে প্রতি দুজন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের সুযোগ পায়। আর স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে দশজনে একজন। বিভিন্ন সংস্থা বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশটিতে।
ইথিওপিয়া
ইথিওপিয়ায় আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির ১২ কোটি মানুষের অর্ধেকই বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র খরার এবং বৃষ্টিপাতের তারতম্যের কারণে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের মানুষের জন্য। আর এ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ।
ইরিত্রিয়া
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তবে পানির উন্মুক্ত উৎসগুলো প্রায়ই মানুষ এবং প্রাণীর বর্জ্য দ্বারা দূষিত হয়। বন উজাড় ও সনাতন চাষাবাদ পদ্ধতি দূষণের সমস্যাকে আরও খারাপ করে তোলে। যদিও সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় অনেকটা উন্নতি করছে ইরিত্রিয়া। এর পরও ৪৮ শতাংশ সুপেয় পানির অভাব রয়েছে দেশটিতে।
সোমালিয়া
নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাব, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, পানিবাহিত রোগে সোমালিয়ায় শিশু এবং মায়েদের শরীরের অবস্থা নাজুক। বিষয়গুলোকে আরও খারাপ করে তুলেছে সংঘাত, খরা ও দুর্ভিক্ষ। এসব সংকটে দেশটির প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমালিয়ায় ৪৪ শতাংশ বিশুদ্ধ পানির অভাব বিদ্যমান।
উগান্ডা
উগান্ডায় পানি ও পয়োনিষ্কাশনের পরিষেবাগুলো দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। দেশটিতে প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থীও রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই দক্ষিণ সুদানের। এই উদ্বাস্তুদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আবদানও অপ্রতুল। শরণার্থী ও উগান্ডার স্থানীয় জনগণ উভয়ের জীবনযাত্রা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
অ্যাঙ্গোলা
অ্যাঙ্গোলার ২ কোটি ৮২ লাখ মানুষের প্রায় এক-চতুর্থাংশ নদী বা পুকুর থেকে অনিরাপদ পানি ব্যবহার করে। কিছু জায়গায় প্রচুর পানি থাকার পরও তা পানের উপযোগী নয়। গৃহস্থালির প্রয়োজনে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। আর এ কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় নারীদের।
মোজাম্বিক
বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় মোজাম্বিকের গ্রামীণ জনপদ ও উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দারা। উপরন্তু, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণ পানি সরবরাহব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
সব মিলিয়ে আফ্রিকার দেশগুলোতে বিশুদ্ধ বা সুপেয় পানির অভাব ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। পৃথিবীতে যত মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার চেয়ে বেশির ভাগ প্রাণ হারায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে। ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করে হাজারো মানুষ। এদের অধিকাংশই শিশু।

বিশ্বের অনেক দেশে বিশুদ্ধ পানির অভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। অনেক দেশে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে সেচ কিংবা গবাদিপশুর জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব তো রয়েছেই। এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যাদের প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি হেঁটে গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। নিরাপদ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা এমন ১০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
নাইজার
বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শুরুর দিকেই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যেও এটি একটি। নাইজারের বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানির অভাবে চরম সংকটে দেশটি। ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের হিসাবে নাইজারে ৫৪ শতাংশ নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনির গ্রামীণ জনসংখ্যার বেশির ভাগই দেশটির দ্বীপাঞ্চলে বাস করে। প্রায়ই দ্বীপবাসী বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করে। এ ছাড়া অনেকেরই প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খুব কম ধারণা রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি এই অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যেও একটি। দেশটিতে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো ঘটনায় অবকাঠামো, বাড়িঘর এবং ফসলের ক্ষতি করে। এর ওপর পানির সংকট আরও ভোগান্তির কারণ।
কঙ্গো
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। পূর্ব ও মধ্য কাসাই অঞ্চলে সংঘাত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইবোলা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের মতো নানা সংকট দেশটিতে। কঙ্গোতে প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। খাওয়ার পানি, রান্না এবং ধোয়ামোছার জন্য অনেকেই অনিরাপদ পানি ব্যবহারে বাধ্য হয়। অপরিষ্কার পানি ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব তৈরি করে, যা শিশুদের দুর্বলতার পাশাপাশি কখনো কখনো মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে।
চাদ
ইউনিসেফের তথ্যমতে, চাদে প্রতি দুজন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের সুযোগ পায়। আর স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে দশজনে একজন। বিভিন্ন সংস্থা বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশটিতে।
ইথিওপিয়া
ইথিওপিয়ায় আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির ১২ কোটি মানুষের অর্ধেকই বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র খরার এবং বৃষ্টিপাতের তারতম্যের কারণে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের মানুষের জন্য। আর এ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ।
ইরিত্রিয়া
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তবে পানির উন্মুক্ত উৎসগুলো প্রায়ই মানুষ এবং প্রাণীর বর্জ্য দ্বারা দূষিত হয়। বন উজাড় ও সনাতন চাষাবাদ পদ্ধতি দূষণের সমস্যাকে আরও খারাপ করে তোলে। যদিও সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় অনেকটা উন্নতি করছে ইরিত্রিয়া। এর পরও ৪৮ শতাংশ সুপেয় পানির অভাব রয়েছে দেশটিতে।
সোমালিয়া
নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাব, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, পানিবাহিত রোগে সোমালিয়ায় শিশু এবং মায়েদের শরীরের অবস্থা নাজুক। বিষয়গুলোকে আরও খারাপ করে তুলেছে সংঘাত, খরা ও দুর্ভিক্ষ। এসব সংকটে দেশটির প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমালিয়ায় ৪৪ শতাংশ বিশুদ্ধ পানির অভাব বিদ্যমান।
উগান্ডা
উগান্ডায় পানি ও পয়োনিষ্কাশনের পরিষেবাগুলো দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। দেশটিতে প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থীও রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই দক্ষিণ সুদানের। এই উদ্বাস্তুদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আবদানও অপ্রতুল। শরণার্থী ও উগান্ডার স্থানীয় জনগণ উভয়ের জীবনযাত্রা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
অ্যাঙ্গোলা
অ্যাঙ্গোলার ২ কোটি ৮২ লাখ মানুষের প্রায় এক-চতুর্থাংশ নদী বা পুকুর থেকে অনিরাপদ পানি ব্যবহার করে। কিছু জায়গায় প্রচুর পানি থাকার পরও তা পানের উপযোগী নয়। গৃহস্থালির প্রয়োজনে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। আর এ কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় নারীদের।
মোজাম্বিক
বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় মোজাম্বিকের গ্রামীণ জনপদ ও উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দারা। উপরন্তু, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণ পানি সরবরাহব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
সব মিলিয়ে আফ্রিকার দেশগুলোতে বিশুদ্ধ বা সুপেয় পানির অভাব ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। পৃথিবীতে যত মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার চেয়ে বেশির ভাগ প্রাণ হারায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে। ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করে হাজারো মানুষ। এদের অধিকাংশই শিশু।

বিশ্বের অনেক দেশে বিশুদ্ধ পানির অভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। অনেক দেশে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে সেচ কিংবা গবাদিপশুর জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব তো রয়েছেই। এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যাদের প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি হেঁটে গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। নিরাপদ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা এমন ১০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
নাইজার
বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শুরুর দিকেই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যেও এটি একটি। নাইজারের বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানির অভাবে চরম সংকটে দেশটি। ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের হিসাবে নাইজারে ৫৪ শতাংশ নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনির গ্রামীণ জনসংখ্যার বেশির ভাগই দেশটির দ্বীপাঞ্চলে বাস করে। প্রায়ই দ্বীপবাসী বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করে। এ ছাড়া অনেকেরই প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খুব কম ধারণা রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি এই অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যেও একটি। দেশটিতে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো ঘটনায় অবকাঠামো, বাড়িঘর এবং ফসলের ক্ষতি করে। এর ওপর পানির সংকট আরও ভোগান্তির কারণ।
কঙ্গো
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। পূর্ব ও মধ্য কাসাই অঞ্চলে সংঘাত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইবোলা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের মতো নানা সংকট দেশটিতে। কঙ্গোতে প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। খাওয়ার পানি, রান্না এবং ধোয়ামোছার জন্য অনেকেই অনিরাপদ পানি ব্যবহারে বাধ্য হয়। অপরিষ্কার পানি ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব তৈরি করে, যা শিশুদের দুর্বলতার পাশাপাশি কখনো কখনো মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে।
চাদ
ইউনিসেফের তথ্যমতে, চাদে প্রতি দুজন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের সুযোগ পায়। আর স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে দশজনে একজন। বিভিন্ন সংস্থা বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশটিতে।
ইথিওপিয়া
ইথিওপিয়ায় আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির ১২ কোটি মানুষের অর্ধেকই বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র খরার এবং বৃষ্টিপাতের তারতম্যের কারণে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের মানুষের জন্য। আর এ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ।
ইরিত্রিয়া
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তবে পানির উন্মুক্ত উৎসগুলো প্রায়ই মানুষ এবং প্রাণীর বর্জ্য দ্বারা দূষিত হয়। বন উজাড় ও সনাতন চাষাবাদ পদ্ধতি দূষণের সমস্যাকে আরও খারাপ করে তোলে। যদিও সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় অনেকটা উন্নতি করছে ইরিত্রিয়া। এর পরও ৪৮ শতাংশ সুপেয় পানির অভাব রয়েছে দেশটিতে।
সোমালিয়া
নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অভাব, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, পানিবাহিত রোগে সোমালিয়ায় শিশু এবং মায়েদের শরীরের অবস্থা নাজুক। বিষয়গুলোকে আরও খারাপ করে তুলেছে সংঘাত, খরা ও দুর্ভিক্ষ। এসব সংকটে দেশটির প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমালিয়ায় ৪৪ শতাংশ বিশুদ্ধ পানির অভাব বিদ্যমান।
উগান্ডা
উগান্ডায় পানি ও পয়োনিষ্কাশনের পরিষেবাগুলো দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। দেশটিতে প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থীও রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই দক্ষিণ সুদানের। এই উদ্বাস্তুদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আবদানও অপ্রতুল। শরণার্থী ও উগান্ডার স্থানীয় জনগণ উভয়ের জীবনযাত্রা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
অ্যাঙ্গোলা
অ্যাঙ্গোলার ২ কোটি ৮২ লাখ মানুষের প্রায় এক-চতুর্থাংশ নদী বা পুকুর থেকে অনিরাপদ পানি ব্যবহার করে। কিছু জায়গায় প্রচুর পানি থাকার পরও তা পানের উপযোগী নয়। গৃহস্থালির প্রয়োজনে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। আর এ কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় নারীদের।
মোজাম্বিক
বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশনের অভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় মোজাম্বিকের গ্রামীণ জনপদ ও উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দারা। উপরন্তু, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ণ পানি সরবরাহব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
সব মিলিয়ে আফ্রিকার দেশগুলোতে বিশুদ্ধ বা সুপেয় পানির অভাব ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। পৃথিবীতে যত মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার চেয়ে বেশির ভাগ প্রাণ হারায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে। ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করে হাজারো মানুষ। এদের অধিকাংশই শিশু।

স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৯ মিনিট আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
২ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৪ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা।
২২ মার্চ ২০২৩
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
২ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৪ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা।
২২ মার্চ ২০২৩
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৯ মিনিট আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৪ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা।
২২ মার্চ ২০২৩
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৯ মিনিট আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
২ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

পরিসংখ্যান বলছে, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে। নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার চরম দরিদ্র। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাস করে গ্রামে। আর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা।
২২ মার্চ ২০২৩
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৯ মিনিট আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
২ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
৪ ঘণ্টা আগে