চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রায় ১৯ হাজার ব্যক্তি এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। আজ শনিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে।
এই পরিসংখ্যানের আলোকে বলা চলে, এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণ ক্ল্যাড-১বি আগের প্রকরণটির তুলনায় অনেক বেশি সহজে সংক্রামক। এবং এই বিষয়টিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহের বুধবার আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করে। যা সংস্থাটির সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা।
আফ্রিকান ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এক বিবৃতিতে আজ শনিবার জানিয়েছে, ‘আজ পর্যন্ত আফ্রিকান ইউনিয়নের ১২টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে ৩ হাজার ১০১ জনের নিশ্চিতভাবে এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার এবং ১৫ হাজার ৬৩৬ জনের সন্দেহভাজনভাবে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৫৪১ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।’
আফ্রিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুসারে, এমপক্সে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। দেশটিতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ক্ল্যাড-১বি প্রকরণে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এর পর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫ জন দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে বিগত সপ্তাহেই মারা গেছে ২৪ জন। দেশটির ২৬টি প্রদেশের প্রত্যেকটিতেই আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এর বাইরে, প্রতিবেশী বুরুন্ডিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। সব মিলিয়ে আফ্রিকার ১২টি দেশে মোট প্রায় ১৯ হাজার ব্যক্তি এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিগত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় অন্তত ১৪ হাজার ৩৮৩ জন বেশি।
আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপের দেশ সুইডেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এই এমপক্স নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও আফ্রিকার কিছু অংশে বিগত কয়েক দশক ধরেই এই রোগ বিশাল জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে প্রথমবার এই বসন্তে আক্রান্ত মানুষ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই চলছে এর ছড়িয়ে পড়া।
এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আগে যেমন ভাবা হতো যে, হয়তো সমকামী পুরুষদের মধ্যেই এটি বেশি ছড়ায়, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি যৌন সম্পর্ক বা যোগাযোগ ছাড়াও ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে শিশুদের মধ্যে এটি ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। কঙ্গো ছাড়িয়ে এই ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও কেনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপক্স একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। আফ্রিকায় মানুষকে মেরে ফেলার পাশাপাশি এটি নিত্যনতুন উপায়ে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশার আলো হলো—এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো নয়। এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি যে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সরকারগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রায় ১৯ হাজার ব্যক্তি এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। আজ শনিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে।
এই পরিসংখ্যানের আলোকে বলা চলে, এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণ ক্ল্যাড-১বি আগের প্রকরণটির তুলনায় অনেক বেশি সহজে সংক্রামক। এবং এই বিষয়টিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহের বুধবার আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করে। যা সংস্থাটির সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা।
আফ্রিকান ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এক বিবৃতিতে আজ শনিবার জানিয়েছে, ‘আজ পর্যন্ত আফ্রিকান ইউনিয়নের ১২টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে ৩ হাজার ১০১ জনের নিশ্চিতভাবে এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার এবং ১৫ হাজার ৬৩৬ জনের সন্দেহভাজনভাবে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৫৪১ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।’
আফ্রিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুসারে, এমপক্সে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। দেশটিতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ক্ল্যাড-১বি প্রকরণে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এর পর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫ জন দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে বিগত সপ্তাহেই মারা গেছে ২৪ জন। দেশটির ২৬টি প্রদেশের প্রত্যেকটিতেই আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এর বাইরে, প্রতিবেশী বুরুন্ডিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। সব মিলিয়ে আফ্রিকার ১২টি দেশে মোট প্রায় ১৯ হাজার ব্যক্তি এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিগত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় অন্তত ১৪ হাজার ৩৮৩ জন বেশি।
আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপের দেশ সুইডেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এই এমপক্স নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও আফ্রিকার কিছু অংশে বিগত কয়েক দশক ধরেই এই রোগ বিশাল জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে প্রথমবার এই বসন্তে আক্রান্ত মানুষ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই চলছে এর ছড়িয়ে পড়া।
এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আগে যেমন ভাবা হতো যে, হয়তো সমকামী পুরুষদের মধ্যেই এটি বেশি ছড়ায়, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি যৌন সম্পর্ক বা যোগাযোগ ছাড়াও ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে শিশুদের মধ্যে এটি ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। কঙ্গো ছাড়িয়ে এই ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও কেনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপক্স একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। আফ্রিকায় মানুষকে মেরে ফেলার পাশাপাশি এটি নিত্যনতুন উপায়ে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশার আলো হলো—এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো নয়। এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি যে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সরকারগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করে ভারত। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ হাজারের বেশি লোককে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করেছে ভারত। ভারত সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। অবশ্য, ভারত এই লোকদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী’ বলে আখ্যা...
২০ মিনিট আগেভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ তিন দিনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভ চলাকালে এক ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের দিকে ঘরে তৈরি মলোটভ ককটেল–সদৃশ বস্তু ছুড়ে মারেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় কয়েকজন দগ্ধ হন। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেকোনো ধরনের বাধা না এলে সাত দিনের মধ্যে গাজায় পৌঁছানোর আশা করছেন তাঁরা। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজা উপকূল কঠোরভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, তারা সমুদ্রপথে প্রবেশকারীদের ওপর কঠোর আচরণ করে থাকে।
২ ঘণ্টা আগে