নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পোলট্রি শিল্পে ব্যবহৃত পানিতে মাত্রাতিরিক্ত ভারী ধাতু (হেভিমেটাল) শনাক্ত হয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। তবে পোলট্রি মাংসে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি থাকলেও তা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ শীর্ষক সেমিনারে এই বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্পে ভারী ধাতু ও অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা নির্ণয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ এ সামাদ। তিনি বলেন, গত ১০০ বছরে মানুষের পরিমাণ বেড়েছে চারগুণ। গত ৫০ বছরে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত পোলট্রি শিল্পের উৎপাদন বেড়েছেই চলেছে। দেশে প্রোটিন উৎপাদন বাড়ছে। মানুষের সঙ্গে প্রাণীর সংখ্যার ঘনত্বও বেশি। তাতে রোগবালাইও প্রচুর হচ্ছে। এখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারও অধিক।
গবেষক বলেন, দেশে প্রতিদিন ১৫ লাখ মানুষ পোলট্রি খামারারের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কিনে থাকেন। এটি মোট খামারির ৬৮ শতাংশ। দেশের চার বিভাগের সাতটি জেলার ১০০ ফার্মের তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। ব্রয়লার, সোনালি ও লেয়ার মুরগির খাদ্য, পানি, ডিম ও মাংস নিয়ে গবেষণা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ৮৪ শতাংশ মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানেন। তবে ৮০ শতাংশ মানুষ পশু ও পাখির খাদ্যে এটির ব্যবহারের আইন সম্পর্কে জানেন না।
৬৫ শতাংশ খামারি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে আগ্রহী নেই। ডিম ও ব্রয়লার মাংসে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অ্যান্টিবায়োটিক বেশি বেশি হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারে এসব বেশি বেশি করা হচ্ছে। তবে বড় খামারে ব্যবহার কম হচ্ছে। বগুড়া ও জয়পুরহাটে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। সোনালি মুরগি বড় হতে ৯০ দিন সময় লাগে। তাই সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেশি।
হেভিমেটাল সম্পর্কে এ সামাদ বলেন, হেভিমেটাল বাতাস, খাদ্য, পানি থেকে মুরগিতে ঢুকছে। ৫০ শতাংশ খামারি মোটাতাজা করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করেন। তারা বিক্রির সময়সীমা চিন্তা করে এটি ব্যবহার করেন না।
প্যানেল আলোচক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গুলজারুল আজীজ বলেন, আমাদের দেশে দ্রুত সময়ে পোলট্রি মুরগিগুলোকে বড় করতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বেড়েছে। অপর প্যানেল আলোচক ড. তাসরিন রাবিয়া চৌধুরী বলেন, শিশুদের রক্তে সিসা পাওয়া যাচ্ছে। মাছেও সিসার উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। শিশুরা চিকেন ফ্রাই বেশি খায়। এখানে পরিবারের তেমন কিছু করার থাকে না। পোলট্রি ও মাছের খাদ্যে বেশি সিসা পাওয়া যায়। এ সরকারিভাবে এটি মনিটরিং করা দরকার।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এক গবেষণা উল্লেখ করে তিনি জানান, দেশে সাড়ে তিন কোটি শিশু সিসায় আক্রান্ত। এটি আমাদের জন্য সতর্ক সংকেত। আর এটি প্রতিহত করতে ১০ বছরের অ্যাকশন প্ল্যান করা হচ্ছে।
আগে প্রাকৃতিকভাবে কৃষক ফল পাকাতেন। কিন্তু বর্তমানে ফলের চাহিদা বাড়ায় অবৈধ উপায়ে ফল পাকানো হচ্ছে। এটি কীভাবে বৈধভাবে করা যায় সে সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। জাকারিয়া বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক যে লেভেলে আছে তা সর্বনিম্ন মাত্রার কাছাকাছি। তবে হেভিমেটাল বেশি আছে।
স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন উপায়ে ফল পাকাতে ইথিলিন গ্যাসের ব্যবহার সম্পর্কে অপর গবেষণাটি করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) বিজ্ঞানী এম জি ফেরদৌস চৌধুরী। তিনি বলেন, আম, কলা, পেঁপে ও টমেটোসহ ৪টি ফল কীভাবে পাকানো হয় তা নিয়ে গবেষণা করেন। ইথিলিন দিয়ে পাকানো দরকার। এটি আন্তর্জাতিক নিয়ম। এটি পরিপুষ্ট ফলকে পাকাতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিকভাবে ইথিলিন গ্যাস দিয়ে ফল পাকালে ৫০-১০০ পিপিএমে দিয়ে চেম্বারে ১২ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। এটি তিন দিনের মধ্যে পাকবে। তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আমাদের দেশে স্প্রে করে পাকানো হয়। এটি নিয়ম নেই।
বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াসিন, আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গুলজারুল আজীজ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পিএসও ড. তাসরিন রাবিয়া চৌধুরী।
পোলট্রি শিল্পে ব্যবহৃত পানিতে মাত্রাতিরিক্ত ভারী ধাতু (হেভিমেটাল) শনাক্ত হয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। তবে পোলট্রি মাংসে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি থাকলেও তা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ শীর্ষক সেমিনারে এই বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্পে ভারী ধাতু ও অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা নির্ণয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ এ সামাদ। তিনি বলেন, গত ১০০ বছরে মানুষের পরিমাণ বেড়েছে চারগুণ। গত ৫০ বছরে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত পোলট্রি শিল্পের উৎপাদন বেড়েছেই চলেছে। দেশে প্রোটিন উৎপাদন বাড়ছে। মানুষের সঙ্গে প্রাণীর সংখ্যার ঘনত্বও বেশি। তাতে রোগবালাইও প্রচুর হচ্ছে। এখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারও অধিক।
গবেষক বলেন, দেশে প্রতিদিন ১৫ লাখ মানুষ পোলট্রি খামারারের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কিনে থাকেন। এটি মোট খামারির ৬৮ শতাংশ। দেশের চার বিভাগের সাতটি জেলার ১০০ ফার্মের তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। ব্রয়লার, সোনালি ও লেয়ার মুরগির খাদ্য, পানি, ডিম ও মাংস নিয়ে গবেষণা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ৮৪ শতাংশ মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানেন। তবে ৮০ শতাংশ মানুষ পশু ও পাখির খাদ্যে এটির ব্যবহারের আইন সম্পর্কে জানেন না।
৬৫ শতাংশ খামারি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে আগ্রহী নেই। ডিম ও ব্রয়লার মাংসে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অ্যান্টিবায়োটিক বেশি বেশি হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারে এসব বেশি বেশি করা হচ্ছে। তবে বড় খামারে ব্যবহার কম হচ্ছে। বগুড়া ও জয়পুরহাটে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। সোনালি মুরগি বড় হতে ৯০ দিন সময় লাগে। তাই সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেশি।
হেভিমেটাল সম্পর্কে এ সামাদ বলেন, হেভিমেটাল বাতাস, খাদ্য, পানি থেকে মুরগিতে ঢুকছে। ৫০ শতাংশ খামারি মোটাতাজা করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করেন। তারা বিক্রির সময়সীমা চিন্তা করে এটি ব্যবহার করেন না।
প্যানেল আলোচক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গুলজারুল আজীজ বলেন, আমাদের দেশে দ্রুত সময়ে পোলট্রি মুরগিগুলোকে বড় করতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বেড়েছে। অপর প্যানেল আলোচক ড. তাসরিন রাবিয়া চৌধুরী বলেন, শিশুদের রক্তে সিসা পাওয়া যাচ্ছে। মাছেও সিসার উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। শিশুরা চিকেন ফ্রাই বেশি খায়। এখানে পরিবারের তেমন কিছু করার থাকে না। পোলট্রি ও মাছের খাদ্যে বেশি সিসা পাওয়া যায়। এ সরকারিভাবে এটি মনিটরিং করা দরকার।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এক গবেষণা উল্লেখ করে তিনি জানান, দেশে সাড়ে তিন কোটি শিশু সিসায় আক্রান্ত। এটি আমাদের জন্য সতর্ক সংকেত। আর এটি প্রতিহত করতে ১০ বছরের অ্যাকশন প্ল্যান করা হচ্ছে।
আগে প্রাকৃতিকভাবে কৃষক ফল পাকাতেন। কিন্তু বর্তমানে ফলের চাহিদা বাড়ায় অবৈধ উপায়ে ফল পাকানো হচ্ছে। এটি কীভাবে বৈধভাবে করা যায় সে সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। জাকারিয়া বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক যে লেভেলে আছে তা সর্বনিম্ন মাত্রার কাছাকাছি। তবে হেভিমেটাল বেশি আছে।
স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন উপায়ে ফল পাকাতে ইথিলিন গ্যাসের ব্যবহার সম্পর্কে অপর গবেষণাটি করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) বিজ্ঞানী এম জি ফেরদৌস চৌধুরী। তিনি বলেন, আম, কলা, পেঁপে ও টমেটোসহ ৪টি ফল কীভাবে পাকানো হয় তা নিয়ে গবেষণা করেন। ইথিলিন দিয়ে পাকানো দরকার। এটি আন্তর্জাতিক নিয়ম। এটি পরিপুষ্ট ফলকে পাকাতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিকভাবে ইথিলিন গ্যাস দিয়ে ফল পাকালে ৫০-১০০ পিপিএমে দিয়ে চেম্বারে ১২ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। এটি তিন দিনের মধ্যে পাকবে। তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আমাদের দেশে স্প্রে করে পাকানো হয়। এটি নিয়ম নেই।
বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াসিন, আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গুলজারুল আজীজ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পিএসও ড. তাসরিন রাবিয়া চৌধুরী।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
৮ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগেনারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১০ ঘণ্টা আগে