জাহাঙ্গীর আলম
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে।
সেই পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন লিনফা ওয়াং। শুধু তা-ই নয়, এমন টিকা উদ্ভাবন সম্ভব যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। ওয়াংয়ের গবেষণায় এমন আশার আলোই দেখা দিয়েছে।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, লিনফা ওয়াং কয়েকটি ধারণা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এর মধ্যে একটি হলো পূর্ববর্তী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের রক্ত পরীক্ষা করা।
ওয়াং একজন ভাইরোলজিস্ট। তিনি ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলে কাজ করেন। ডিউক এবং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সহযোগিতায় কয়েক দশক ধরে বাদুড়-বাহিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন।
ওয়াং দেখিয়েছেন, ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স-কোভ-১ (সার্স নামেই পরিচিত) প্রায় ৮০০ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল, সেটি সম্ভবত অশ্বক্ষুরাকৃতির বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।
ওয়াংয়ের নতুন তত্ত্বটি ছিল যে, যারা এই এই মূল সার্সে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁদের শরীরে নিশ্চয় এমন অ্যান্টিবডি রয়েছে যা নতুন সার্স-কোভ-২-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে ওয়াং শুধু সার্সের পুরোনো সংস্করণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি আছে এমন লোকদের রক্ত পরীক্ষা করেন। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে কোভিডের বেশ কয়েকটি ধরন ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তিনি সেই রোগীদের আবার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই মুহূর্তে, সিঙ্গাপুরের সার্স থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকে কোভিডের টিকা নিয়েছেন।
ওয়াং যা পেয়েছিলেন তা তাঁকে অবাক করেছিল। কোভিড টিকা সার্স সারভাইভারদের শরীরে সুপার-অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল, যা সার্স এবং অন্যান্য করোনাভাইরাস থেকেও তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই আট রোগীর সবার এমন অ্যান্টিবডি ছিল যা টেস্ট-টিউব পরীক্ষায় মানুষকে কখনো সংক্রমিত করেনি এমন পাঁচটি ভিন্ন বাদুড় এবং প্যাঙ্গোলিন (পিঁপড়েভুক/বনরুই) বাহিত করোনাভাইরাস স্ট্রেনকে প্রতিহত করেছে।
গত আগস্টে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওয়াংয়ের গবেষণার ফলাফলগুলো একটি সর্বজনীন করোনাভাইরাস টিকা উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে।
এমন একটা কিছুরই প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভব করছেন সারা দুনিয়ার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ মাত্র ২০ বছরে তিনটি নতুন করোনাভাইরাস আবির্ভূত হয়েছে: প্রথমে সার্স, তারপর ২০১২ সালে মার্স আর এখন কোভিড-১৯। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কোভিড তো বটেই সম্ভাব্য সব করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা তৈরির চেষ্টা বেশ জোরেশোরে চলছে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিশাল ল্যাবে এমন টিকারই প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজ করছেন ওয়াং। কোভিড-টিকা পাওয়া সার্স সারভাইভারদের মধ্যে যে ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, একই ধরনের বিস্তৃত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে এমন টিকা চাইছেন তিনি।
ওয়াংয়ের কৌশলটি হলো- কোভিড স্পাইক প্রোটিন সংবলিত একটি প্রথম ডোজের সঙ্গে হাইব্রিড সার্স প্রোটিন সমৃদ্ধ দ্বিতীয় ডোজের সংমিশ্রণ। যদি এটি কাজ করে, ওয়াং বলেন, ইঁদুরের শরীরে পরিচালিত পরীক্ষাগুলোতে যথেষ্ট ইতিবাচক ফলাফল এসেছে, কোভিড-২ বা সার্স-৩-এর সুরক্ষায় এই টিকা দেওয়া যেতে পারে।
অবশ্য শুধু ওয়াং-ই এমন টিকা নিয়ে কাজ করছেন এমন নয়। সারা বিশ্বে এরই মধ্যে এই প্রকল্পে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মেলানি স্যাভিল, কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস-এর টিকা গবেষণা ও উন্নয়নের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু চাই যা বিস্তৃতভাবে প্রতিরক্ষামূলক, যাতে পরেরটি যখন কোনো প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানো শুরু করবে তখন আমাদের হাতে টিকা প্রস্তুত থাকবে।’
অসলো ভিত্তিক অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠান আগামী পাঁচ বছরে ‘ব্রড-অ্যাক্টিং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন’ তৈরি করতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে।
ওয়েইসম্যান, যিনি ফাইজার এবং মডার্নার মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত মূল প্রযুক্তির পথিকৃৎ, সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা নিয়ে গবেষণাকারীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রকৃতিতে সুপ্ত থাকা বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসগুলোর আধিক্যের কারণে, কোভিডের মতো আরও মহামারির আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসিও এ আশঙ্কা থেকে করোনাভাইরাসের সমস্ত পুনরাবৃত্তিকে ঠেকিয়ে দিতে পারবে এমন টিকা উদ্ভাবনের ওপর জোর দিচ্ছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফাউসির সংস্থা হার্ভার্ড, ডিউক এবং উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত প্যান-করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে গবেষণার জন্য ৩৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে।
কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানির সঙ্গে এক ডজনেরও বেশি একাডেমিক দল এই সমস্যা নিয়ে কাজ করছে। ডিউক এবং ইউএস ইউনিভার্সিটির ল্যাবগুলো এরই মধ্যে সার্স-কোভ-১, সার্স-কোভ-২ এবং এর সংশ্লিষ্ট বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসসহ শক্তিশালী ক্রস-ভাইরাস (প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণে সক্ষম) প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন টিকার প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্টার রিড আর্মি ইনস্টিটিউট অব রিসার্চেরও একটি শট রয়েছে যা একাধিক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে। এটি এখন মানব শরীরে পরীক্ষার প্রথম ধাপে রয়েছে। এত দূর আগানো প্রথম সারির টিকার মধ্যে এটি অন্যতম।
তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি: যেমন, ভাইরাসের কোন অংশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে হবে; কোন প্রযুক্তি সবচেয়ে ভালো কাজ করে এবং টিকাগুলো কতটা বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে।
ফাইজার, মডার্না এবং আরও কয়েকটি বড় কোভিড টিকা কোম্পানি এখন পর্যন্ত অবশ্য এ খাতে খুব বেশি বিনিয়োগ করছে না। তারা এটি নিয়ে একাডেমিক গবেষণার চূড়ান্ত দেখার অপেক্ষা করছে। তারা বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের উপায় খোঁজায়।
অবশ্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি টিকা তৈরির স্বপ্ন দেখছেন যা প্রতি বছর ফ্লুর টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করবে। দৃশ্যমান অগ্রগতি অবশ্য এখনো হয়নি। এখানে মূল সমস্যা হলো, মিউটেশনের গতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা অত্যন্ত দ্রুত বিকশিত হয়। করোনাভাইরাসগুলো যে গতিতে বিকশিত হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে মহামারিতে গত দুই বছরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেছে তাতে বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে এমন একটা সমাধান আনতেই হবে। সর্বজনীন টিকা নিয়ে কাজ করছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট পামেলা জর্কম্যান। তাঁর মতে, ‘কিছু না করাটা বোকামি হবে।’
এখানে ফ্লু টিকার ইতিহাস অনেকখানি আশা দিতে পারে। ১৯৪০-এর দশকে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভাইরোলজিস্ট থমাস ফ্রান্সিস মার্কিন সেনাবাহিনীর সাহায্যে প্রথম দিকের টিকা তৈরি করেছিলেন। সম্ভাব্য মহামারিতে জনাকীর্ণ ব্যারাকে সেনাদের সুরক্ষা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। ফ্রান্সিস এবং তাঁর উত্তরাধিকারী জোনাস সালক নিষিক্ত মুরগির ডিমে টিকা তৈরি করেছিলেন। এ পদ্ধতি আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বহু গবেষণায় এগুলো বেশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। ১৯৪৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সেনাদের দেওয়া একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি শট ৮৮ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে বর্তমান এমআরএনএ কোভিড টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে দাবি করা হয়। ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক’, ১৯৫৩ সালের একটি প্রকাশনার উপসংহারে এমন কথাই বলেছিলেন থমাস ফ্রান্সিস।
প্রথম দিকের ফ্লু শটগুলো দুটি ভাইরাল স্ট্রেন এবং ১৯৭০-এর দশকে তিনটি এবং শেষ দশকে চারটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল। কিন্তু টিকার ইতিহাসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, চিকিৎসকেরা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারেননি যে বাস্তব জগতে শটগুলো কীভাবে কাজ করে। আধুনিক ভাইরাল লোড টেস্টের পর কোভিড নির্ণয়ের জন্য পিসিআর পরীক্ষাগুলোর মতো পদ্ধতি ১৯৯০-এর দশকেই ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এর মাধ্যমে গবেষকেরা বাস্তব-বিশ্বে ফ্লু টিকার কার্যকারিতা আরও সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে ফলাফলগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সেটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বছরের পর বছর ধরে গবেষকেরা আরও আধুনিক, দ্রুত উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফ্লু টিকা উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছেন। তবে একটি সর্বজনীন টিকা তৈরির প্রচেষ্টা যা সব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে, ২০০৯ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ১এন১ (সোয়াইন ফ্লু) সংস্করণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।
তবে এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে, কোনো সংস্থাই এ খাতে বড় বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছে না। জনসাধারণের প্রয়োজন এবং বাণিজ্যিক বাস্তবতার মধ্যে অন্য অনেক দ্বন্দ্বের মতো, সরকারি এবং অলাভজনক তহবিলের বড় প্রয়োজন এখানেও জরুরি। কোথা থেকে এ অর্থ আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। শেষ পর্যন্ত দেশগুলো সম্ভাব্য ক্রেতা এবং শটগুলো কেনা ও মজুত করার নিশ্চয়তা না দিলে বেসরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো এগোতে পারবে না।
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে।
সেই পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন লিনফা ওয়াং। শুধু তা-ই নয়, এমন টিকা উদ্ভাবন সম্ভব যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। ওয়াংয়ের গবেষণায় এমন আশার আলোই দেখা দিয়েছে।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, লিনফা ওয়াং কয়েকটি ধারণা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এর মধ্যে একটি হলো পূর্ববর্তী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের রক্ত পরীক্ষা করা।
ওয়াং একজন ভাইরোলজিস্ট। তিনি ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলে কাজ করেন। ডিউক এবং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সহযোগিতায় কয়েক দশক ধরে বাদুড়-বাহিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন।
ওয়াং দেখিয়েছেন, ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স-কোভ-১ (সার্স নামেই পরিচিত) প্রায় ৮০০ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল, সেটি সম্ভবত অশ্বক্ষুরাকৃতির বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।
ওয়াংয়ের নতুন তত্ত্বটি ছিল যে, যারা এই এই মূল সার্সে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁদের শরীরে নিশ্চয় এমন অ্যান্টিবডি রয়েছে যা নতুন সার্স-কোভ-২-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে ওয়াং শুধু সার্সের পুরোনো সংস্করণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি আছে এমন লোকদের রক্ত পরীক্ষা করেন। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে কোভিডের বেশ কয়েকটি ধরন ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তিনি সেই রোগীদের আবার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই মুহূর্তে, সিঙ্গাপুরের সার্স থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকে কোভিডের টিকা নিয়েছেন।
ওয়াং যা পেয়েছিলেন তা তাঁকে অবাক করেছিল। কোভিড টিকা সার্স সারভাইভারদের শরীরে সুপার-অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল, যা সার্স এবং অন্যান্য করোনাভাইরাস থেকেও তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই আট রোগীর সবার এমন অ্যান্টিবডি ছিল যা টেস্ট-টিউব পরীক্ষায় মানুষকে কখনো সংক্রমিত করেনি এমন পাঁচটি ভিন্ন বাদুড় এবং প্যাঙ্গোলিন (পিঁপড়েভুক/বনরুই) বাহিত করোনাভাইরাস স্ট্রেনকে প্রতিহত করেছে।
গত আগস্টে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওয়াংয়ের গবেষণার ফলাফলগুলো একটি সর্বজনীন করোনাভাইরাস টিকা উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে।
এমন একটা কিছুরই প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভব করছেন সারা দুনিয়ার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ মাত্র ২০ বছরে তিনটি নতুন করোনাভাইরাস আবির্ভূত হয়েছে: প্রথমে সার্স, তারপর ২০১২ সালে মার্স আর এখন কোভিড-১৯। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কোভিড তো বটেই সম্ভাব্য সব করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা তৈরির চেষ্টা বেশ জোরেশোরে চলছে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিশাল ল্যাবে এমন টিকারই প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজ করছেন ওয়াং। কোভিড-টিকা পাওয়া সার্স সারভাইভারদের মধ্যে যে ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, একই ধরনের বিস্তৃত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে এমন টিকা চাইছেন তিনি।
ওয়াংয়ের কৌশলটি হলো- কোভিড স্পাইক প্রোটিন সংবলিত একটি প্রথম ডোজের সঙ্গে হাইব্রিড সার্স প্রোটিন সমৃদ্ধ দ্বিতীয় ডোজের সংমিশ্রণ। যদি এটি কাজ করে, ওয়াং বলেন, ইঁদুরের শরীরে পরিচালিত পরীক্ষাগুলোতে যথেষ্ট ইতিবাচক ফলাফল এসেছে, কোভিড-২ বা সার্স-৩-এর সুরক্ষায় এই টিকা দেওয়া যেতে পারে।
অবশ্য শুধু ওয়াং-ই এমন টিকা নিয়ে কাজ করছেন এমন নয়। সারা বিশ্বে এরই মধ্যে এই প্রকল্পে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মেলানি স্যাভিল, কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস-এর টিকা গবেষণা ও উন্নয়নের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু চাই যা বিস্তৃতভাবে প্রতিরক্ষামূলক, যাতে পরেরটি যখন কোনো প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানো শুরু করবে তখন আমাদের হাতে টিকা প্রস্তুত থাকবে।’
অসলো ভিত্তিক অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠান আগামী পাঁচ বছরে ‘ব্রড-অ্যাক্টিং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন’ তৈরি করতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে।
ওয়েইসম্যান, যিনি ফাইজার এবং মডার্নার মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত মূল প্রযুক্তির পথিকৃৎ, সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা নিয়ে গবেষণাকারীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রকৃতিতে সুপ্ত থাকা বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসগুলোর আধিক্যের কারণে, কোভিডের মতো আরও মহামারির আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসিও এ আশঙ্কা থেকে করোনাভাইরাসের সমস্ত পুনরাবৃত্তিকে ঠেকিয়ে দিতে পারবে এমন টিকা উদ্ভাবনের ওপর জোর দিচ্ছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফাউসির সংস্থা হার্ভার্ড, ডিউক এবং উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত প্যান-করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে গবেষণার জন্য ৩৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে।
কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানির সঙ্গে এক ডজনেরও বেশি একাডেমিক দল এই সমস্যা নিয়ে কাজ করছে। ডিউক এবং ইউএস ইউনিভার্সিটির ল্যাবগুলো এরই মধ্যে সার্স-কোভ-১, সার্স-কোভ-২ এবং এর সংশ্লিষ্ট বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসসহ শক্তিশালী ক্রস-ভাইরাস (প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণে সক্ষম) প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন টিকার প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্টার রিড আর্মি ইনস্টিটিউট অব রিসার্চেরও একটি শট রয়েছে যা একাধিক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে। এটি এখন মানব শরীরে পরীক্ষার প্রথম ধাপে রয়েছে। এত দূর আগানো প্রথম সারির টিকার মধ্যে এটি অন্যতম।
তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি: যেমন, ভাইরাসের কোন অংশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে হবে; কোন প্রযুক্তি সবচেয়ে ভালো কাজ করে এবং টিকাগুলো কতটা বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে।
ফাইজার, মডার্না এবং আরও কয়েকটি বড় কোভিড টিকা কোম্পানি এখন পর্যন্ত অবশ্য এ খাতে খুব বেশি বিনিয়োগ করছে না। তারা এটি নিয়ে একাডেমিক গবেষণার চূড়ান্ত দেখার অপেক্ষা করছে। তারা বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের উপায় খোঁজায়।
অবশ্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি টিকা তৈরির স্বপ্ন দেখছেন যা প্রতি বছর ফ্লুর টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করবে। দৃশ্যমান অগ্রগতি অবশ্য এখনো হয়নি। এখানে মূল সমস্যা হলো, মিউটেশনের গতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা অত্যন্ত দ্রুত বিকশিত হয়। করোনাভাইরাসগুলো যে গতিতে বিকশিত হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে মহামারিতে গত দুই বছরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেছে তাতে বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে এমন একটা সমাধান আনতেই হবে। সর্বজনীন টিকা নিয়ে কাজ করছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট পামেলা জর্কম্যান। তাঁর মতে, ‘কিছু না করাটা বোকামি হবে।’
এখানে ফ্লু টিকার ইতিহাস অনেকখানি আশা দিতে পারে। ১৯৪০-এর দশকে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভাইরোলজিস্ট থমাস ফ্রান্সিস মার্কিন সেনাবাহিনীর সাহায্যে প্রথম দিকের টিকা তৈরি করেছিলেন। সম্ভাব্য মহামারিতে জনাকীর্ণ ব্যারাকে সেনাদের সুরক্ষা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। ফ্রান্সিস এবং তাঁর উত্তরাধিকারী জোনাস সালক নিষিক্ত মুরগির ডিমে টিকা তৈরি করেছিলেন। এ পদ্ধতি আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বহু গবেষণায় এগুলো বেশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। ১৯৪৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সেনাদের দেওয়া একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি শট ৮৮ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে বর্তমান এমআরএনএ কোভিড টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে দাবি করা হয়। ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক’, ১৯৫৩ সালের একটি প্রকাশনার উপসংহারে এমন কথাই বলেছিলেন থমাস ফ্রান্সিস।
প্রথম দিকের ফ্লু শটগুলো দুটি ভাইরাল স্ট্রেন এবং ১৯৭০-এর দশকে তিনটি এবং শেষ দশকে চারটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল। কিন্তু টিকার ইতিহাসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, চিকিৎসকেরা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারেননি যে বাস্তব জগতে শটগুলো কীভাবে কাজ করে। আধুনিক ভাইরাল লোড টেস্টের পর কোভিড নির্ণয়ের জন্য পিসিআর পরীক্ষাগুলোর মতো পদ্ধতি ১৯৯০-এর দশকেই ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এর মাধ্যমে গবেষকেরা বাস্তব-বিশ্বে ফ্লু টিকার কার্যকারিতা আরও সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে ফলাফলগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সেটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বছরের পর বছর ধরে গবেষকেরা আরও আধুনিক, দ্রুত উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফ্লু টিকা উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছেন। তবে একটি সর্বজনীন টিকা তৈরির প্রচেষ্টা যা সব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে, ২০০৯ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ১এন১ (সোয়াইন ফ্লু) সংস্করণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।
তবে এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে, কোনো সংস্থাই এ খাতে বড় বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছে না। জনসাধারণের প্রয়োজন এবং বাণিজ্যিক বাস্তবতার মধ্যে অন্য অনেক দ্বন্দ্বের মতো, সরকারি এবং অলাভজনক তহবিলের বড় প্রয়োজন এখানেও জরুরি। কোথা থেকে এ অর্থ আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। শেষ পর্যন্ত দেশগুলো সম্ভাব্য ক্রেতা এবং শটগুলো কেনা ও মজুত করার নিশ্চয়তা না দিলে বেসরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো এগোতে পারবে না।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে এই শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সমিতির দাবি, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি...
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১ দিন আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১ দিন আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে এই শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সমিতির দাবি, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম মোসাদ্দেক হোসেন। সমিতির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছি। সে অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষ ৪৫টি কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য এলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, হরমোন, ডায়াবেটিক ও ক্যানসার জাতীয় ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালও রয়েছে।’
ডা. জাকির হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ভস্মীভূত হওয়ায় শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এই আকস্মিক ক্ষতি বহুবিধ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
তিনি আরও জানান, ওষুধ শিল্প দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ ছাড়াও রপ্তানি সম্ভাবনা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ খাত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশে তৈরি মানসম্পন্ন ওষুধ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬০ টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সমিতি জানায়, দেশের ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশ চীন, ভারত ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া প্যাকেজিং উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও স্পেয়ার পার্টসও আমদানি করা হয়। এসব কাঁচামালের বড় অংশ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
সমিতির কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ হালিমুজ্জামান বলেন, ‘কিছু স্পেয়ার পার্টস ও মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা আবার আমদানি সময়সাপেক্ষ। এখনো সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হচ্ছে না, তবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।’
সমিতির নেতারা বলেন, যেসব পণ্য অন্যান্য বিমানবন্দরে নামানো হয়েছে, সেসব নিয়েও আমরা চিন্তিত—কারণ এসব কাঁচামাল নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এখানেও আমরা এক ধরনের ক্ষতির মুখে রয়েছি। পুড়ে যাওয়া পণ্যের একটি বড় অংশ ছিল নারকোটিকস বিভাগ থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত। এসব পণ্য পুনরায় আমদানি জটিল ও সময়সাপেক্ষ, কারণ এতে ধাপে ধাপে বহু অনুমোদন নিতে হয়।
সমিতির ধারণা, পুড়ে যাওয়া পণ্যের হিসাব আরও বাড়বে। প্রতিটি কাঁচামালের ওপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট চূড়ান্ত পণ্যের উৎপাদন অনিশ্চয়তায় পড়বে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে বলেও সমিতির হিসাব।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফার্মা খাতের ঝুঁকি ও সম্ভাব্য সংকট এড়াতে সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে সমিতি। এর মধ্যে রয়েছে—পুড়ে যাওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে পরিশোধিত শুল্ক, ডিউটি, ট্যাক্স ও ভ্যাট ফেরতের ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের এলসি-সংক্রান্ত ব্যাংক চার্জ ও সুদ মওকুফ, পুনরায় আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক মার্জিন ও অন্যান্য চার্জ মওকুফ করে সহজ শর্তে এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের বিপরীতে ধার্য চার্জ/দণ্ড মওকুফ করা, নারকোটিকস বিভাগের অনুমোদিত পণ্য পুনরায় আগের অনুমোদনের ভিত্তিতে দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া, অফিস ছুটির দিনেও কাস্টমস কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু রাখা, কোল্ড চেইন পণ্য দ্রুত রিলিজ নিশ্চিত করা, অক্ষত চালান দ্রুত মূল্যায়ন ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে অবহিত করা, ডিজিডিএ, নারকোটিকস, কাস্টমস, এনবিআর, বিমান কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করে সমাধানমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে এই শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সমিতির দাবি, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম মোসাদ্দেক হোসেন। সমিতির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছি। সে অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষ ৪৫টি কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য এলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, হরমোন, ডায়াবেটিক ও ক্যানসার জাতীয় ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালও রয়েছে।’
ডা. জাকির হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ভস্মীভূত হওয়ায় শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এই আকস্মিক ক্ষতি বহুবিধ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
তিনি আরও জানান, ওষুধ শিল্প দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ ছাড়াও রপ্তানি সম্ভাবনা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ খাত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশে তৈরি মানসম্পন্ন ওষুধ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬০ টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সমিতি জানায়, দেশের ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশ চীন, ভারত ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া প্যাকেজিং উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও স্পেয়ার পার্টসও আমদানি করা হয়। এসব কাঁচামালের বড় অংশ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
সমিতির কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ হালিমুজ্জামান বলেন, ‘কিছু স্পেয়ার পার্টস ও মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা আবার আমদানি সময়সাপেক্ষ। এখনো সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হচ্ছে না, তবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।’
সমিতির নেতারা বলেন, যেসব পণ্য অন্যান্য বিমানবন্দরে নামানো হয়েছে, সেসব নিয়েও আমরা চিন্তিত—কারণ এসব কাঁচামাল নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এখানেও আমরা এক ধরনের ক্ষতির মুখে রয়েছি। পুড়ে যাওয়া পণ্যের একটি বড় অংশ ছিল নারকোটিকস বিভাগ থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত। এসব পণ্য পুনরায় আমদানি জটিল ও সময়সাপেক্ষ, কারণ এতে ধাপে ধাপে বহু অনুমোদন নিতে হয়।
সমিতির ধারণা, পুড়ে যাওয়া পণ্যের হিসাব আরও বাড়বে। প্রতিটি কাঁচামালের ওপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট চূড়ান্ত পণ্যের উৎপাদন অনিশ্চয়তায় পড়বে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে বলেও সমিতির হিসাব।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফার্মা খাতের ঝুঁকি ও সম্ভাব্য সংকট এড়াতে সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে সমিতি। এর মধ্যে রয়েছে—পুড়ে যাওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে পরিশোধিত শুল্ক, ডিউটি, ট্যাক্স ও ভ্যাট ফেরতের ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের এলসি-সংক্রান্ত ব্যাংক চার্জ ও সুদ মওকুফ, পুনরায় আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক মার্জিন ও অন্যান্য চার্জ মওকুফ করে সহজ শর্তে এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের বিপরীতে ধার্য চার্জ/দণ্ড মওকুফ করা, নারকোটিকস বিভাগের অনুমোদিত পণ্য পুনরায় আগের অনুমোদনের ভিত্তিতে দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া, অফিস ছুটির দিনেও কাস্টমস কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু রাখা, কোল্ড চেইন পণ্য দ্রুত রিলিজ নিশ্চিত করা, অক্ষত চালান দ্রুত মূল্যায়ন ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে অবহিত করা, ডিজিডিএ, নারকোটিকস, কাস্টমস, এনবিআর, বিমান কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করে সমাধানমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১ দিন আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১ দিন আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
এই বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নেচার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে। সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্সএলার্ট জানিয়েছে, কানাডা ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল গবেষক এমন এক ‘সর্বজনীন’ কিডনি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা তাত্ত্বিকভাবে যেকোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষণার অংশ হিসেবে এই কিডনি এক ব্রেইন-ডেড রোগীর (যে অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্ক কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কৃত্রিমভাবে চালু রাখা হয়) দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়েই এটি করা হয়েছিল। কিডনিটি কয়েক দিন ধরে কার্যকর অবস্থায় ছিল।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জৈব রসায়নবিদ স্টিফেন উইদার্স বলেন, ‘মানুষের দেহে এই প্রক্রিয়া সফলভাবে কাজ করতে দেখা এটাই প্রথম। এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ফল আরও উন্নত করার বিষয়ে অমূল্য ধারণা দিচ্ছে।’
বর্তমানে রক্তের গ্রুপ টাইপ ‘ও’ যাঁদের, তাঁরা কেবল টাইপ ‘ও’ দাতার কাছ থেকে কিডনি নিতে পারেন। কিন্তু যেহেতু টাইপ ‘ও’ কিডনি অন্য রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরেও কাজ করতে পারে, তাই এ ধরনের কিডনির চাহিদা বেশি, জোগান কম। ফলে অপেক্ষার তালিকার অর্ধেকের বেশি মানুষ টাইপ ‘ও’ কিডনির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
রক্তের ভিন্ন গ্রুপের কিডনি প্রতিস্থাপন এখন সম্ভব হলেও সেটি অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এতে সময় লাগে অনেক, ঝুঁকিও বেশি। পাশাপাশি এতে জীবিত দাতা দরকার হয়। কারণ, গ্রহীতার শরীরকে আগেই প্রস্তুত করতে হয়। গবেষকেরা এবার এমন এক কৌশল ব্যবহার করেছেন, যেখানে বিশেষ এনজাইম দিয়ে টাইপ ‘এ’ কিডনিকে টাইপ ‘ও’ কিডনিতে রূপান্তর করা যায়। এই এনজাইমগুলো টাইপ ‘এ’ রক্তের বিশেষ সুগার মলিকিউল বা চিনির অণু (অ্যান্টিজেন) কেটে সরিয়ে দেয়।
গবেষকেরা এই এনজাইমগুলোর তুলনা করেছেন ‘আণবিক কাঁচি’র সঙ্গে। উইদার্স বলেন, ‘যেভাবে গাড়ির লাল রং ঘষে তুলে নিলে নিচের নিরপেক্ষ প্রাইমার দেখা যায়, ঠিক সেভাবেই এই প্রক্রিয়ায় কিডনির ওপর থেকে রক্তের গ্রুপের চিহ্ন মুছে দেওয়া যায়। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা আর কিডনিটিকে ‘বাইরের অপরিচিত’ অঙ্গ হিসেবে বিচার করে না।’
তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি। জীবিত মানুষের শরীরে এই পরীক্ষা শুরু করার আগে আরও গবেষণা দরকার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তৃতীয় দিনে কিডনিতে আবার টাইপ ‘এ’-ব্লাড গ্রুপের কিডনির কিছু চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করে। ফলে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে প্রতিক্রিয়াটি সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল, বরং শরীর কিডনিটিকে সহ্য করার চেষ্টা করছিল বলেও ইঙ্গিত পেয়েছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন মানুষ কিডনি না পেয়ে মারা যান, আর তাঁদের অধিকাংশই টাইপ ‘ও’ কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। এমনকি শূকরের কিডনি ব্যবহার বা নতুন অ্যান্টিবডি তৈরি করে এই সংকট কমানোর চেষ্টা চলছে।
উইদার্স বলেন, ‘বছরের পর বছর মৌলিক বিজ্ঞানের কাজ শেষ পর্যন্ত যখন রোগীর চিকিৎসায় কাজে লাগে, তখনই বোঝা যায়, আমরা কত দূর এসেছি। আমাদের আবিষ্কার এখন বাস্তবের কাছাকাছি—এটাই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়।’
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
এই বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নেচার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে। সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্সএলার্ট জানিয়েছে, কানাডা ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল গবেষক এমন এক ‘সর্বজনীন’ কিডনি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা তাত্ত্বিকভাবে যেকোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষণার অংশ হিসেবে এই কিডনি এক ব্রেইন-ডেড রোগীর (যে অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্ক কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কৃত্রিমভাবে চালু রাখা হয়) দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়েই এটি করা হয়েছিল। কিডনিটি কয়েক দিন ধরে কার্যকর অবস্থায় ছিল।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জৈব রসায়নবিদ স্টিফেন উইদার্স বলেন, ‘মানুষের দেহে এই প্রক্রিয়া সফলভাবে কাজ করতে দেখা এটাই প্রথম। এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ফল আরও উন্নত করার বিষয়ে অমূল্য ধারণা দিচ্ছে।’
বর্তমানে রক্তের গ্রুপ টাইপ ‘ও’ যাঁদের, তাঁরা কেবল টাইপ ‘ও’ দাতার কাছ থেকে কিডনি নিতে পারেন। কিন্তু যেহেতু টাইপ ‘ও’ কিডনি অন্য রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরেও কাজ করতে পারে, তাই এ ধরনের কিডনির চাহিদা বেশি, জোগান কম। ফলে অপেক্ষার তালিকার অর্ধেকের বেশি মানুষ টাইপ ‘ও’ কিডনির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
রক্তের ভিন্ন গ্রুপের কিডনি প্রতিস্থাপন এখন সম্ভব হলেও সেটি অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এতে সময় লাগে অনেক, ঝুঁকিও বেশি। পাশাপাশি এতে জীবিত দাতা দরকার হয়। কারণ, গ্রহীতার শরীরকে আগেই প্রস্তুত করতে হয়। গবেষকেরা এবার এমন এক কৌশল ব্যবহার করেছেন, যেখানে বিশেষ এনজাইম দিয়ে টাইপ ‘এ’ কিডনিকে টাইপ ‘ও’ কিডনিতে রূপান্তর করা যায়। এই এনজাইমগুলো টাইপ ‘এ’ রক্তের বিশেষ সুগার মলিকিউল বা চিনির অণু (অ্যান্টিজেন) কেটে সরিয়ে দেয়।
গবেষকেরা এই এনজাইমগুলোর তুলনা করেছেন ‘আণবিক কাঁচি’র সঙ্গে। উইদার্স বলেন, ‘যেভাবে গাড়ির লাল রং ঘষে তুলে নিলে নিচের নিরপেক্ষ প্রাইমার দেখা যায়, ঠিক সেভাবেই এই প্রক্রিয়ায় কিডনির ওপর থেকে রক্তের গ্রুপের চিহ্ন মুছে দেওয়া যায়। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা আর কিডনিটিকে ‘বাইরের অপরিচিত’ অঙ্গ হিসেবে বিচার করে না।’
তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি। জীবিত মানুষের শরীরে এই পরীক্ষা শুরু করার আগে আরও গবেষণা দরকার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তৃতীয় দিনে কিডনিতে আবার টাইপ ‘এ’-ব্লাড গ্রুপের কিডনির কিছু চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করে। ফলে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে প্রতিক্রিয়াটি সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল, বরং শরীর কিডনিটিকে সহ্য করার চেষ্টা করছিল বলেও ইঙ্গিত পেয়েছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন মানুষ কিডনি না পেয়ে মারা যান, আর তাঁদের অধিকাংশই টাইপ ‘ও’ কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। এমনকি শূকরের কিডনি ব্যবহার বা নতুন অ্যান্টিবডি তৈরি করে এই সংকট কমানোর চেষ্টা চলছে।
উইদার্স বলেন, ‘বছরের পর বছর মৌলিক বিজ্ঞানের কাজ শেষ পর্যন্ত যখন রোগীর চিকিৎসায় কাজে লাগে, তখনই বোঝা যায়, আমরা কত দূর এসেছি। আমাদের আবিষ্কার এখন বাস্তবের কাছাকাছি—এটাই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়।’
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে এই শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সমিতির দাবি, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি...
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১ দিন আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৯৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৯, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা, একজন ময়মনসিংহ ও অন্য দুজন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৪০, ৭০ ও ৩২ বছর।
চলতি বছরের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬০ হাজার ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবরে আজ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৪৯ জন ভর্তি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭০২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে ৭াত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৯৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৯, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা, একজন ময়মনসিংহ ও অন্য দুজন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৪০, ৭০ ও ৩২ বছর।
চলতি বছরের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬০ হাজার ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবরে আজ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৪৯ জন ভর্তি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭০২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে ৭াত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে এই শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সমিতির দাবি, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি...
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১ দিন আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গ্রেইলের গ্যালেরি টেস্ট নামে এই পরীক্ষাটি উত্তর আমেরিকায় প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন অনেক ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব যেগুলোর মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশের জন্য এখনো কোনো নিয়মিত স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। যে পর্যায়ে ক্যানসারটি সহজে চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য অবস্থায় থাকে। এই পরীক্ষাটি টিউমার থেকে ভেঙে রক্তে মিশে যাওয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী ডিএনএ-এর অংশ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এই ট্রায়ালে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ১০০ জনে একজনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্যানসার নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরীক্ষাটি সঠিকভাবে ক্যানসার না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পেরেছিল।
স্তন, অন্ত্র ও জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে এই রক্ত পরীক্ষা যুক্ত করা হলে ক্যানসার শনাক্তের হার ৭ গুণ বেড়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের তিন-চতুর্থাংশই ছিল ডিম্বাশয়, যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের জটিল অংশগুলোর ক্যানসার, যেগুলোর জন্য বর্তমানে কোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম নেই।
এই রক্ত পরীক্ষাটি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৯ টির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্যানসারের উৎস সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এই চমকপ্রদ ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে এই রক্ত পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত নন এমন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমাতে পারবে কিনা, তা প্রমাণ করতে আরও শক্ত প্রমাণের প্রয়োজন।
গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য এখনো কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। এর প্রাথমিক ফলাফল বার্লিনে ইউরোপীয় সোসাইটি ফর মেডিকেল অনকোলোজি কংগ্রেসে প্রকাশ করা হবে।
তবে এই পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস-এর ১ লাখ ৪০ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত তিন বছরের একটি বড় ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর, যা আগামী বছর প্রকাশিত হবে। এনএইচএস আগে জানিয়েছিল, যদি ফলাফল সফল হয়, তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিমা নবাবিজাদেহ বলেন, এই নতুন তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পরীক্ষা আমাদের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে বদলে দিতে পারে। কারণ এটি অনেক ধরনের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে, যে পর্যায়ে চিকিৎসা বা সম্পূর্ণ আরোগ্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের ট্রান্সলেশনাল ক্যানসার জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার টার্নবুল সতর্ক করে বলেন, ‘গ্যালেরি টেস্ট দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলেও, এটি ক্যানসারজনিত মৃত্যু কমাতে আদৌ কোনো সুবিধা দেয় কিনা, তা বোঝার জন্য মৃত্যুর হারকে ভিত্তি ধরে র্যান্ডমাইজড স্টাডি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবক গ্রেইল কোম্পানির বায়োফার্মা বিভাগের প্রেসিডেন্ট হারপাল কুমার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ফলাফলগুলো অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক ক্যানসার, বিশেষ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারগুলো আগেই শনাক্ত করতে পারব এবং চিকিৎসা ও আরোগ্যও সম্ভব হতে পারে।
তবে ক্যানসার রিসার্চ ইউকের নাসের তুরাবি বলেন, ‘যে ক্যানসারগুলো হয়তো ক্ষতিকর নয়, সেগুলো যাতে এই বাড়তি শনাক্তকরণে আওতায় না আসে সেটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইউকে ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এই পরীক্ষাগুলো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএসের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গ্রেইলের গ্যালেরি টেস্ট নামে এই পরীক্ষাটি উত্তর আমেরিকায় প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন অনেক ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব যেগুলোর মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশের জন্য এখনো কোনো নিয়মিত স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। যে পর্যায়ে ক্যানসারটি সহজে চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য অবস্থায় থাকে। এই পরীক্ষাটি টিউমার থেকে ভেঙে রক্তে মিশে যাওয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী ডিএনএ-এর অংশ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এই ট্রায়ালে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ১০০ জনে একজনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্যানসার নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরীক্ষাটি সঠিকভাবে ক্যানসার না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পেরেছিল।
স্তন, অন্ত্র ও জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে এই রক্ত পরীক্ষা যুক্ত করা হলে ক্যানসার শনাক্তের হার ৭ গুণ বেড়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের তিন-চতুর্থাংশই ছিল ডিম্বাশয়, যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের জটিল অংশগুলোর ক্যানসার, যেগুলোর জন্য বর্তমানে কোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম নেই।
এই রক্ত পরীক্ষাটি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৯ টির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্যানসারের উৎস সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এই চমকপ্রদ ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে এই রক্ত পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত নন এমন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমাতে পারবে কিনা, তা প্রমাণ করতে আরও শক্ত প্রমাণের প্রয়োজন।
গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য এখনো কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। এর প্রাথমিক ফলাফল বার্লিনে ইউরোপীয় সোসাইটি ফর মেডিকেল অনকোলোজি কংগ্রেসে প্রকাশ করা হবে।
তবে এই পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস-এর ১ লাখ ৪০ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত তিন বছরের একটি বড় ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর, যা আগামী বছর প্রকাশিত হবে। এনএইচএস আগে জানিয়েছিল, যদি ফলাফল সফল হয়, তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিমা নবাবিজাদেহ বলেন, এই নতুন তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পরীক্ষা আমাদের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে বদলে দিতে পারে। কারণ এটি অনেক ধরনের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে, যে পর্যায়ে চিকিৎসা বা সম্পূর্ণ আরোগ্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের ট্রান্সলেশনাল ক্যানসার জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার টার্নবুল সতর্ক করে বলেন, ‘গ্যালেরি টেস্ট দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলেও, এটি ক্যানসারজনিত মৃত্যু কমাতে আদৌ কোনো সুবিধা দেয় কিনা, তা বোঝার জন্য মৃত্যুর হারকে ভিত্তি ধরে র্যান্ডমাইজড স্টাডি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবক গ্রেইল কোম্পানির বায়োফার্মা বিভাগের প্রেসিডেন্ট হারপাল কুমার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ফলাফলগুলো অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক ক্যানসার, বিশেষ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারগুলো আগেই শনাক্ত করতে পারব এবং চিকিৎসা ও আরোগ্যও সম্ভব হতে পারে।
তবে ক্যানসার রিসার্চ ইউকের নাসের তুরাবি বলেন, ‘যে ক্যানসারগুলো হয়তো ক্ষতিকর নয়, সেগুলো যাতে এই বাড়তি শনাক্তকরণে আওতায় না আসে সেটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইউকে ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এই পরীক্ষাগুলো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএসের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এতে এই শিল্প খাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। সমিতির দাবি, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি...
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১ দিন আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১ দিন আগে