বড় পরিসরের একটি গবেষণায় করোনার টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ৮টি দেশে করোনার টিকা গ্রহণ করা ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত একটি জরিপের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ব্লুমবার্গ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকা নিয়েছেন তাদের হৃদ্যন্ত্রে প্রদাহের মাত্রা সামান্য বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে যারা ভাইরাল ভেক্টর নামে পরিচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়েছেন তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো একটি বিরল ব্যাধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
গবেষকেরা আরও মত দিয়েছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গেও যুক্ত। গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস হচ্ছে এমন স্নায়বিক ব্যাধি—যা মাংসপেশিকে দুর্বল করে ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নড়াচড়ার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডেটা নেটওয়ার্ক’-এর নতুন এই গবেষণাটি গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ৯ কোটি ৯০ লাখ টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ধারাবাহিক তথ্যগুলো পরীক্ষা করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নির্দিষ্ট অবস্থার ওপর দৃষ্টি রেখেছিলেন। এর মধ্যে ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকার প্রথম, দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বারবার মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের পেশির প্রদাহে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর এই প্রবণতা সামান্য বেশি দেখা গেছে। প্রাথমিক ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর পেরিকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের চারপাশের টিস্যুগুলোতে ফোলাভাব প্রবণতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রাথমিক ডোজ গ্রহণের ৪২ দিনের মধ্যে গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ৬৬টি নজির প্রত্যাশিত ছিল, সেখানে ১৯০টি নজির দেখা গেছে। এই টিকা সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিসের তিনগুণ বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত ছিল। এটি মূলত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার একটি ব্যাধি। এই ব্যাধির প্রত্যাশিত ২১টি নজিরের বিপরীতে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯টি নজির শনাক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে ডেনমার্ক সহ একাধিক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রত্যাহার বা সীমাবদ্ধ করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। মানুষের জীবন রক্ষায় এসব টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বলা হচ্ছে, করোনার টিকা শুধুমাত্র ইউরোপেই ১০ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
বড় পরিসরের একটি গবেষণায় করোনার টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ৮টি দেশে করোনার টিকা গ্রহণ করা ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত একটি জরিপের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ব্লুমবার্গ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকা নিয়েছেন তাদের হৃদ্যন্ত্রে প্রদাহের মাত্রা সামান্য বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে যারা ভাইরাল ভেক্টর নামে পরিচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়েছেন তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো একটি বিরল ব্যাধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
গবেষকেরা আরও মত দিয়েছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গেও যুক্ত। গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস হচ্ছে এমন স্নায়বিক ব্যাধি—যা মাংসপেশিকে দুর্বল করে ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নড়াচড়ার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডেটা নেটওয়ার্ক’-এর নতুন এই গবেষণাটি গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ৯ কোটি ৯০ লাখ টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ধারাবাহিক তথ্যগুলো পরীক্ষা করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নির্দিষ্ট অবস্থার ওপর দৃষ্টি রেখেছিলেন। এর মধ্যে ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকার প্রথম, দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বারবার মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের পেশির প্রদাহে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর এই প্রবণতা সামান্য বেশি দেখা গেছে। প্রাথমিক ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর পেরিকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের চারপাশের টিস্যুগুলোতে ফোলাভাব প্রবণতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রাথমিক ডোজ গ্রহণের ৪২ দিনের মধ্যে গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ৬৬টি নজির প্রত্যাশিত ছিল, সেখানে ১৯০টি নজির দেখা গেছে। এই টিকা সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিসের তিনগুণ বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত ছিল। এটি মূলত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার একটি ব্যাধি। এই ব্যাধির প্রত্যাশিত ২১টি নজিরের বিপরীতে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯টি নজির শনাক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে ডেনমার্ক সহ একাধিক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রত্যাহার বা সীমাবদ্ধ করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। মানুষের জীবন রক্ষায় এসব টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বলা হচ্ছে, করোনার টিকা শুধুমাত্র ইউরোপেই ১০ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২১ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২১ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২১ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে