নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে মাতৃমৃত্যু বাড়ার অন্যতম কারণ নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যেসব নারী করোনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা দেখা গেছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভেই মৃত্যু ঘটছে নবজাতকের। গবেষণা বলছে, দেশে করোনায় আক্রান্ত মায়ের গর্ভজনিত অস্বাভাবিকতার হার বেশি। এতে সময়ের আগেই সন্তান প্রসব এমনকি গর্ভেই ভ্রূণ-মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে।
দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত নারীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই ৪৬ শতাংশের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ নারী নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসব করেছেন। আর ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশের ক্ষেত্রে গর্ভেই ভ্রূণের মৃত্যু ঘটেছে। এ ছাড়া জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ করেছেন ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী।
উল্লেখ্য, জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ বা একটোপিক প্রেগন্যান্সি বলতে বোঝায় জরায়ুর বাইরে বিশেষ করে ফেলোপিয়ান টিউবে লেগে থাকা জাইগোট। এতে ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে না। গর্ভবতীর স্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ে।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) করা জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশে এটাই প্রথম কোনো জাতীয় জরিপ। জরিপে অংশ নেওয়াদের গড় বয়স ছিল ২৬ দশমিক ৩ বছর। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৮৯০ জন গর্ভবতী জরিপে অংশ নেন। এর মধ্যে ২১৫ জন ছিলেন কোভিড আক্রান্ত। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণমুক্ত ছিলেন ৬৭৫ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টার ও বেসরকারি গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘দেশে গর্ভবতী নারী এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর করোনার প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড পজিটিভ গর্ভবতীদের মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশের প্রসবকালীন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এর মধ্যে ২১ শতাংশের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, ১৮ শতাংশের ক্ষেত্রে মৃত সন্তান প্রসব এবং ১৪ শতাংশ প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে।
কোভিড পজিটিভ গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশের স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। আর ৮৩ শতাংশের সিজার করতে হয়েছে। যেখানে কোভিডমুক্ত গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৩২ শতাংশ ও ৬৮ শতাংশ। দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত নারীর প্রসবকালীন জটিলতার ঝুঁকি সুস্থ গর্ভবতীর তুলনায় ২৮ দশমিক ২ গুণ বেশি।
বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ জানান, জরিপে অংশ নেওয়া করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীদের ৯১ দশমিক ২ শতাংশের উপসর্গ দৃশ্যমান ছিল। বাকি ৮ দশমিক ৪ শতাংশের কোনো উপসর্গ ছিল না।
আক্রান্তদের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশের জ্বরের লক্ষণ ছিল, ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশের কাশি, ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশের শ্বাসকষ্ট, ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ কোনো স্বাদ পেতেন না এবং ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ গন্ধ পেতেন না। এ ছাড়া ২৬ দশমিক ৫ শতাংশের মাথাব্যথা ছিল।
অনুষ্ঠানে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে আমরা সংকটাপন্ন এই সময়ে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছি। জটিলতা যাতে না হয় সে জন্য দ্রুত গর্ভবতী মায়েদের টিকা নিতে হবে। যেকোনোভাবে হোক তাঁদের টিকা দিতে হবে। এখন ওমিক্রন এসেছে, আমরা অনুরোধ করবে, একেবারে প্রয়োজন না হলে এই মুহূর্তে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে মাতৃমৃত্যু বাড়ার অন্যতম কারণ নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যেসব নারী করোনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা দেখা গেছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভেই মৃত্যু ঘটছে নবজাতকের। গবেষণা বলছে, দেশে করোনায় আক্রান্ত মায়ের গর্ভজনিত অস্বাভাবিকতার হার বেশি। এতে সময়ের আগেই সন্তান প্রসব এমনকি গর্ভেই ভ্রূণ-মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে।
দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত নারীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই ৪৬ শতাংশের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ নারী নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসব করেছেন। আর ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশের ক্ষেত্রে গর্ভেই ভ্রূণের মৃত্যু ঘটেছে। এ ছাড়া জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ করেছেন ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী।
উল্লেখ্য, জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ বা একটোপিক প্রেগন্যান্সি বলতে বোঝায় জরায়ুর বাইরে বিশেষ করে ফেলোপিয়ান টিউবে লেগে থাকা জাইগোট। এতে ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে না। গর্ভবতীর স্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ে।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) করা জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশে এটাই প্রথম কোনো জাতীয় জরিপ। জরিপে অংশ নেওয়াদের গড় বয়স ছিল ২৬ দশমিক ৩ বছর। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৮৯০ জন গর্ভবতী জরিপে অংশ নেন। এর মধ্যে ২১৫ জন ছিলেন কোভিড আক্রান্ত। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণমুক্ত ছিলেন ৬৭৫ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টার ও বেসরকারি গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘দেশে গর্ভবতী নারী এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর করোনার প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড পজিটিভ গর্ভবতীদের মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশের প্রসবকালীন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এর মধ্যে ২১ শতাংশের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, ১৮ শতাংশের ক্ষেত্রে মৃত সন্তান প্রসব এবং ১৪ শতাংশ প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে।
কোভিড পজিটিভ গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশের স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। আর ৮৩ শতাংশের সিজার করতে হয়েছে। যেখানে কোভিডমুক্ত গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৩২ শতাংশ ও ৬৮ শতাংশ। দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত নারীর প্রসবকালীন জটিলতার ঝুঁকি সুস্থ গর্ভবতীর তুলনায় ২৮ দশমিক ২ গুণ বেশি।
বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ জানান, জরিপে অংশ নেওয়া করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীদের ৯১ দশমিক ২ শতাংশের উপসর্গ দৃশ্যমান ছিল। বাকি ৮ দশমিক ৪ শতাংশের কোনো উপসর্গ ছিল না।
আক্রান্তদের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশের জ্বরের লক্ষণ ছিল, ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশের কাশি, ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশের শ্বাসকষ্ট, ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ কোনো স্বাদ পেতেন না এবং ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ গন্ধ পেতেন না। এ ছাড়া ২৬ দশমিক ৫ শতাংশের মাথাব্যথা ছিল।
অনুষ্ঠানে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে আমরা সংকটাপন্ন এই সময়ে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছি। জটিলতা যাতে না হয় সে জন্য দ্রুত গর্ভবতী মায়েদের টিকা নিতে হবে। যেকোনোভাবে হোক তাঁদের টিকা দিতে হবে। এখন ওমিক্রন এসেছে, আমরা অনুরোধ করবে, একেবারে প্রয়োজন না হলে এই মুহূর্তে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া।
ডেঙ্গুতে সবশেষ মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩ জনে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয়ে চিকিৎসকদের জন্য এক নতুন সতর্কবার্তা নিয়ে এসেছে লিথুয়ানিয়ার ২৯ বছর বয়সী এক নারীর বিরল সমস্যা। বারবার চেষ্টা করেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসায়ও ফল না আসায় ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
৪ ঘণ্টা আগেহাসপাতালে ভর্তি আগুনে পোড়া রোগীদের সেপসিস, একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ, শক ইত্যাদি হতে পারে। ফলে তাদের বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা সাধারণ রোগীর চেয়ে বেশি। এসব জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসের প্রতি রেজিস্ট্যান্স হার অনেক বেশি...
৭ ঘণ্টা আগেআগুনে পুড়ে যাওয়া একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনা শুধু ত্বকই নয়, চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গকেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আগুন, গরম বাষ্প, বিস্ফোরণ, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ধোঁয়ার কারণে হওয়া চোখের ক্ষতি অনেক সময় স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চোখের...
৮ ঘণ্টা আগে