বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ স্থূলতার সমস্যা ভুগছেন। এর মধ্যে ৮৮ কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১৫ কোটি ৯০ লাখ শিশু। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিসিতে প্রতিবেদন অনুসারে, ওশেনিয়া মহাদেশে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা ও আমেরিকান সামোয়ায় স্থূলাকার নারী এবং আমেরিকান সামোয়া অঞ্চল ও নাউরুতে স্থূলাকার পুরুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই স্থূলাকৃতির।
সর্বোচ্চ স্থূলাকার জনসংখ্যার দিক থেকে প্রায় ১৯০টি দেশের মধ্যে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫৫ তম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৮৭তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
গবেষক দল বলছে, স্থূলতা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারসহ অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে স্থূলতা।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্থূল পুরুষের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১০ম এবং একই বিবেচনায় নারীদের তালিকায় ৩৬তম।
আর ভারতের অবস্থান সর্বনিম্নসংখ্যক স্থূল নারীর দিক থেকে ১৯তম এবং পুরুষের দিক থেকে ২১তম। চীন সর্বনিম্ন সংখ্যক স্থূল নারীর দিক থেকে ১১ তম এবং পুরুষের দিক থেকে ৫২তম।
জ্যেষ্ঠ গবেষক ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক মজিদ ইজ্জতি বিবিসিকে বলেন, এই দ্বীপগুলোর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিপরীতে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রাপ্যতার ওপর স্থূলতার হার নির্ভর করছে। কয়েকটি জায়গায় বেশ আগ্রাসীভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রচারণা হচ্ছে। এসব জায়গায় স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন সহজপ্রাপ্য নয়, তেমনি এর দামও অত্যন্ত চড়া।
কয়েক বছর ধরেই বৈশ্বিক ডেটা বিশ্লেষণ করছেন অধ্যাপক ইজ্জতি। এত দ্রুত চিত্র বদলে যাওয়ায় তিনি অবাক। আগের তুলনায় এখন আরও অনেক দেশ স্থূলতা সংকটে ভুগছে। কম ওজনের জনসংখ্যাকে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন জায়গাগুলোর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২২ সালের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু ও কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার হার চারগুণ বেড়েছে। এদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের বিবেচনায় নারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং পুরুষের সংখ্যা হয়েছে প্রায় তিনগুণ।
একই সময়ে কম ওজনের হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ প্রাপ্তবয়স্কদের অনুপাত ৫০ শতাংশ কমেছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্যসম্মত ওজনের ঘাটতি এখনও গুরুতর সমস্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ড. তেদরোস আধানম গেবরেয়াসুস বলেন, ‘এই নতুন গবেষণাটিতে খাবারের ভারসাম্য, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং পর্যাপ্ত যত্নের মাধ্যমে প্রাথমিক জীবন থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত স্থূলতা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগীতা বিশেষভাবে প্রয়োজন হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এদের পণ্যের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনের সহ–লেখক, মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ড. গুহ প্রদীপ সতর্ক করে বলেন, প্রধান বৈশ্বিক সমস্যাগুলো স্থূলতা এবং ওজনহীনতার কারণে সৃষ্ট অপুষ্টিকে আরও খারাপ করতে পারে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড–১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়গুলোর প্রভাবে দারিদ্র্য ও পুষ্টিকর খাবারের দাম বাড়ায় স্থূলতা ও ওজনহীনতার হার আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে কয়েকটি দেশ পর্যাপ্ত খাদ্যের যোগান দিতে পারছে না এবং কিছু দেশ অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ স্থূলতার সমস্যা ভুগছেন। এর মধ্যে ৮৮ কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১৫ কোটি ৯০ লাখ শিশু। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিসিতে প্রতিবেদন অনুসারে, ওশেনিয়া মহাদেশে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা ও আমেরিকান সামোয়ায় স্থূলাকার নারী এবং আমেরিকান সামোয়া অঞ্চল ও নাউরুতে স্থূলাকার পুরুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই স্থূলাকৃতির।
সর্বোচ্চ স্থূলাকার জনসংখ্যার দিক থেকে প্রায় ১৯০টি দেশের মধ্যে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫৫ তম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৮৭তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
গবেষক দল বলছে, স্থূলতা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারসহ অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে স্থূলতা।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্থূল পুরুষের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১০ম এবং একই বিবেচনায় নারীদের তালিকায় ৩৬তম।
আর ভারতের অবস্থান সর্বনিম্নসংখ্যক স্থূল নারীর দিক থেকে ১৯তম এবং পুরুষের দিক থেকে ২১তম। চীন সর্বনিম্ন সংখ্যক স্থূল নারীর দিক থেকে ১১ তম এবং পুরুষের দিক থেকে ৫২তম।
জ্যেষ্ঠ গবেষক ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক মজিদ ইজ্জতি বিবিসিকে বলেন, এই দ্বীপগুলোর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিপরীতে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রাপ্যতার ওপর স্থূলতার হার নির্ভর করছে। কয়েকটি জায়গায় বেশ আগ্রাসীভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রচারণা হচ্ছে। এসব জায়গায় স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন সহজপ্রাপ্য নয়, তেমনি এর দামও অত্যন্ত চড়া।
কয়েক বছর ধরেই বৈশ্বিক ডেটা বিশ্লেষণ করছেন অধ্যাপক ইজ্জতি। এত দ্রুত চিত্র বদলে যাওয়ায় তিনি অবাক। আগের তুলনায় এখন আরও অনেক দেশ স্থূলতা সংকটে ভুগছে। কম ওজনের জনসংখ্যাকে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন জায়গাগুলোর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে ১৯৯০ থেকে ২০২২ সালের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু ও কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার হার চারগুণ বেড়েছে। এদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের বিবেচনায় নারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং পুরুষের সংখ্যা হয়েছে প্রায় তিনগুণ।
একই সময়ে কম ওজনের হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ প্রাপ্তবয়স্কদের অনুপাত ৫০ শতাংশ কমেছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্যসম্মত ওজনের ঘাটতি এখনও গুরুতর সমস্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ড. তেদরোস আধানম গেবরেয়াসুস বলেন, ‘এই নতুন গবেষণাটিতে খাবারের ভারসাম্য, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং পর্যাপ্ত যত্নের মাধ্যমে প্রাথমিক জীবন থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত স্থূলতা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগীতা বিশেষভাবে প্রয়োজন হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এদের পণ্যের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনের সহ–লেখক, মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ড. গুহ প্রদীপ সতর্ক করে বলেন, প্রধান বৈশ্বিক সমস্যাগুলো স্থূলতা এবং ওজনহীনতার কারণে সৃষ্ট অপুষ্টিকে আরও খারাপ করতে পারে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড–১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়গুলোর প্রভাবে দারিদ্র্য ও পুষ্টিকর খাবারের দাম বাড়ায় স্থূলতা ও ওজনহীনতার হার আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে কয়েকটি দেশ পর্যাপ্ত খাদ্যের যোগান দিতে পারছে না এবং কিছু দেশ অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।
যেকোনো অপারেশনের আগে রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ভয় বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। এই ভয় অমূলকও নয়। কারণ, অপারেশন মানেই কাটাছেঁড়া, অজ্ঞান থেকে জ্ঞান ফিরবে কি না, সে চিন্তা মাথায় কাজ করে। তা ছাড়া অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়ে জানাশোনা ও সতর্কতার স্পষ্ট ধারণা থাকে না বেশির ভাগ মানুষের।
৪ ঘণ্টা আগেডায়াবেটিসের কারণে আপনার মুখ ও দাঁতে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা; যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি শুধু হার্ট, কিডনি অথবা চোখেরই ক্ষতি করে না, বরং দাঁত ও মাড়ির ওপরও ফেলতে পারে মারাত্মক প্রভাব।
৬ ঘণ্টা আগেআপনি সুস্থ অবস্থায় রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন। দেখলেন, মুখটা একদিকে বেঁকে গেছে। চোখ পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। মুখে পানি নিয়ে ঠিকমতো কুলি করতে পারছেন না। এমন সমস্যা অনেকের দেখা দেয়। এই সমস্যাই আসলে বেলস পালসি বা ফেশিয়াল পালসি।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় কারণ স্তন ক্যানসার। তবে সচেতন জীবনযাপন এবং কিছু অভ্যাস বদলাতে পারলে এই ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য যা করবেন—
৭ ঘণ্টা আগে