মাল্টিড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট তথা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রতিরোধী রোগজীবাণুর উদ্ভব ও বিস্তার বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমনই একটি মাল্টিড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট হলো ইশেরেশিয়া কোলাই বা ই. কোলাই। বাংলাদেশে বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা বিভিন্ন মাছে—যেমন, কই ও শিংয়ে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হার অনেক বেশি। সেই তুলনায় প্রাকৃতিক জলাশয়ে পাওয়া একই ধরনের মাছে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল—ময়মনসিংহের মুক্ত জলাশয়ে এবং স্থলভিত্তিক চাষ ব্যবস্থা (বিভিন্ন বদ্ধ জলাশয় এমনকি ছোট ছোট হাউসও) থেকে সংগ্রহ করা মাছে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হার, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ধরন, বায়োফিল্ম (বিভিন্ন অণুজীব যেমন—ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা শৈবালের কলোনি। যেটি কোনো একটি পৃষ্ঠের সঙ্গে আটকে থাকে এবং স্বতঃপ্রণোদিত এক্সট্রা সেলুলার পলিমেরিক সাবস্ট্যান্স দিয়ে গঠিত ম্যাট্রিক্সে আবদ্ধ হয়ে একটি আঠালো স্তর তৈরি করে।) উৎপাদন এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন ও বায়োফিল্ম সংশ্লিষ্ট জিনের উপস্থিতি নির্ণয় করা।
গবেষণায় গবেষকেরা মোট ১৩০টি কই ও শিং মাছ নিয়ে নিয়ে কাজ করেন। এর মধ্যে ৭০টি মাছ মুক্ত জলাশয় থেকে নেওয়া এবং ৬০টি চাষকৃত উৎস থেকে সংগৃহীত। নির্বাচিত কালচার, গ্রাম-স্টেইনিং এবং বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকেরা ১১৬টি মাছে ই. কোলাইয়ের উপস্থিত নির্ণয় করেন।
তাঁরা ই. কোলাই শনাক্তকরণের নির্দিষ্ট পরীক্ষা ম্যাল-বি জিন নির্দিষ্ট পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ব্যবহার করে ৮৭টি মাছ তথা ৬৭ শতাংশ মাছে ই. কোলাইয়ের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হন। তাঁরা দেখতে পান, চাষকৃত মাছের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার বেশি, ৭০ শতাংশ। বিপরীতে মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া মাছের ক্ষেত্রে এই হার ৬৪ শতাংশ।
বায়োফিল্ম শনাক্তকরণের নির্দিষ্ট পরীক্ষা কঙ্গো রেড আগারে (সিআরএ) বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, এসব মাছের ২০ শতাংশ ই. কোলাইয়ের বায়োফিল্ম উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। তবে, ক্রিস্টাল ভায়োলেট অ্যাসে অনুযায়ী—চাষকৃত মাছে পাওয়া ই. কোলাইয়ের ৭০ শতাংশ বায়োফিল্ম তৈরি করেছিল, যেখানে মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া মাছের ক্ষেত্রে এই হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এ ছাড়া, চাষকৃত মাছের ৭ শতাংশ ই. কোলাইয়ের শক্তিশালী বায়োফিল্ম উৎপাদনকারী হিসেবে শনাক্ত হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ পরীক্ষায় দেখা যায়, এসব মাছে পাওয়া শতভাগ ই. কোলাই অ্যাম্পিসিলিন ও সেফটাজিডিম (বেটা-ল্যাক্টামেজ-উৎপাদনকারী অ্যান্টিবায়োটিক) এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রবণতা দেখিয়েছে। প্রতিরোধের ধরনের ক্ষেত্রে উৎস অনুযায়ী পার্থক্য ছিল। চাষের মাছ থেকে পাওয়া ই. কোলাইয়ের প্রায় ৯৭ শতাংশই মাল্টিড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট ছিল, যেখানে মুক্ত জলাশয়ের মাছের ক্ষেত্রে তা ছিল ৬০ শতাংশ।
চাষের মাছ থেকে পাওয়া ই. কোলাই বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিনের সম্ভাব্য ধারক ছিল। যেমন, এই ব্যাকটেরিয়ায় টিইএম টাইপ বেটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইম জিন (৮৩ শতাংশ), এসএইচভি টাইপ বেটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইম জিন (৮১ শতাংশ), সিটিএস টাইপ বেটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইম জিন (৭৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ) এবং বায়োফিল্ম সংশ্লিষ্ট জিন ফিআইএমসি এর শতভাগ উপস্থিতি ছিল।
এই গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশের মুক্ত জলাশয় পাওয়া ও বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা উভয় ধরনের মাছের মধ্যে বেটা-ল্যাক্টামেজ প্রতিরোধী এবং বায়োফিল্ম-উৎপাদনকারী ই. কোলাইয়ের উপস্থিতি আছে। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এগুলো জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদের জন্য সম্ভাব্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
মাল্টিড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট তথা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রতিরোধী রোগজীবাণুর উদ্ভব ও বিস্তার বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমনই একটি মাল্টিড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট হলো ইশেরেশিয়া কোলাই বা ই. কোলাই। বাংলাদেশে বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা বিভিন্ন মাছে—যেমন, কই ও শিংয়ে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হার অনেক বেশি। সেই তুলনায় প্রাকৃতিক জলাশয়ে পাওয়া একই ধরনের মাছে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল—ময়মনসিংহের মুক্ত জলাশয়ে এবং স্থলভিত্তিক চাষ ব্যবস্থা (বিভিন্ন বদ্ধ জলাশয় এমনকি ছোট ছোট হাউসও) থেকে সংগ্রহ করা মাছে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হার, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ধরন, বায়োফিল্ম (বিভিন্ন অণুজীব যেমন—ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা শৈবালের কলোনি। যেটি কোনো একটি পৃষ্ঠের সঙ্গে আটকে থাকে এবং স্বতঃপ্রণোদিত এক্সট্রা সেলুলার পলিমেরিক সাবস্ট্যান্স দিয়ে গঠিত ম্যাট্রিক্সে আবদ্ধ হয়ে একটি আঠালো স্তর তৈরি করে।) উৎপাদন এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন ও বায়োফিল্ম সংশ্লিষ্ট জিনের উপস্থিতি নির্ণয় করা।
গবেষণায় গবেষকেরা মোট ১৩০টি কই ও শিং মাছ নিয়ে নিয়ে কাজ করেন। এর মধ্যে ৭০টি মাছ মুক্ত জলাশয় থেকে নেওয়া এবং ৬০টি চাষকৃত উৎস থেকে সংগৃহীত। নির্বাচিত কালচার, গ্রাম-স্টেইনিং এবং বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকেরা ১১৬টি মাছে ই. কোলাইয়ের উপস্থিত নির্ণয় করেন।
তাঁরা ই. কোলাই শনাক্তকরণের নির্দিষ্ট পরীক্ষা ম্যাল-বি জিন নির্দিষ্ট পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ব্যবহার করে ৮৭টি মাছ তথা ৬৭ শতাংশ মাছে ই. কোলাইয়ের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হন। তাঁরা দেখতে পান, চাষকৃত মাছের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার বেশি, ৭০ শতাংশ। বিপরীতে মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া মাছের ক্ষেত্রে এই হার ৬৪ শতাংশ।
বায়োফিল্ম শনাক্তকরণের নির্দিষ্ট পরীক্ষা কঙ্গো রেড আগারে (সিআরএ) বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, এসব মাছের ২০ শতাংশ ই. কোলাইয়ের বায়োফিল্ম উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। তবে, ক্রিস্টাল ভায়োলেট অ্যাসে অনুযায়ী—চাষকৃত মাছে পাওয়া ই. কোলাইয়ের ৭০ শতাংশ বায়োফিল্ম তৈরি করেছিল, যেখানে মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া মাছের ক্ষেত্রে এই হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। এ ছাড়া, চাষকৃত মাছের ৭ শতাংশ ই. কোলাইয়ের শক্তিশালী বায়োফিল্ম উৎপাদনকারী হিসেবে শনাক্ত হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ পরীক্ষায় দেখা যায়, এসব মাছে পাওয়া শতভাগ ই. কোলাই অ্যাম্পিসিলিন ও সেফটাজিডিম (বেটা-ল্যাক্টামেজ-উৎপাদনকারী অ্যান্টিবায়োটিক) এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রবণতা দেখিয়েছে। প্রতিরোধের ধরনের ক্ষেত্রে উৎস অনুযায়ী পার্থক্য ছিল। চাষের মাছ থেকে পাওয়া ই. কোলাইয়ের প্রায় ৯৭ শতাংশই মাল্টিড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট ছিল, যেখানে মুক্ত জলাশয়ের মাছের ক্ষেত্রে তা ছিল ৬০ শতাংশ।
চাষের মাছ থেকে পাওয়া ই. কোলাই বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিনের সম্ভাব্য ধারক ছিল। যেমন, এই ব্যাকটেরিয়ায় টিইএম টাইপ বেটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইম জিন (৮৩ শতাংশ), এসএইচভি টাইপ বেটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইম জিন (৮১ শতাংশ), সিটিএস টাইপ বেটা-ল্যাক্টামেজ এনজাইম জিন (৭৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ) এবং বায়োফিল্ম সংশ্লিষ্ট জিন ফিআইএমসি এর শতভাগ উপস্থিতি ছিল।
এই গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশের মুক্ত জলাশয় পাওয়া ও বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা উভয় ধরনের মাছের মধ্যে বেটা-ল্যাক্টামেজ প্রতিরোধী এবং বায়োফিল্ম-উৎপাদনকারী ই. কোলাইয়ের উপস্থিতি আছে। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এগুলো জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদের জন্য সম্ভাব্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
২ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
২ দিন আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
২ দিন আগেনারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
২ দিন আগে