ডা. শুভাগত চৌধুরী
করোনাভাইরাস উহান থেকে যে রূপ নিয়ে এসেছিল, তা পাল্টে গেছে। সে কবে প্রাণী থেকে লাফিয়ে এসেছিল মানুষের শরীরে। এরপর জনে জনে ছড়িয়ে পড়ার অপূর্ব খেলায় মেতেছে। ক্রমেই রূপ বদলে ভাইরাসটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দেহে যে প্রতিরোধ সেনারা রক্ষী হয়ে আছে, এদের নজর এড়িয়ে চুপিসারে ঢুকে পড়ছে।
ইংল্যান্ডের কেন্ট ও আলফা, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিটা, ব্রাজিল ঘুরে গামা আর সবশেষে ভারতে এল ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। এতেও থামল না এর গতি, এল ডেলটা প্লাস। তবে দেশে এখনো ডেলটা প্লাস ধরনটি শনাক্ত হয়নি। দেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নমুনা পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে ডেলটা ধরন বি.১.৬১৭.২। এ প্রজাতির কারণে এখন আইসিইউতে ভর্তি বাড়ছে।
ডেলটা কেন মারাত্মক?
ভাইরাসের এ ধরনটি খুব সংক্রামক। প্রতিরোধব্যবস্থাকে এড়িয়ে শরীরে ঢুকে পড়ে। অতি দ্রুত স্পাইক প্রোটিনের আকার বদলে শরীরের নানা কোষে আক্রমণ করতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি শরীরের কোষের বাঁধন দুর্বল করে দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
উপসর্গ
• প্রধান উপসর্গ মাথা ধরা। সেই সঙ্গে সর্দি, জ্বর ও গলাব্যথা।
• ডায়রিয়া, পেটব্যথা, বমি ভাব, রুচি না থাকা, বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। স্বাদ-গন্ধ না-ও পেতে পারে।
• অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধে। এমন ক্ষেত্রে ব্লাড থিনার ব্যবহার করা হয়।
• হঠাৎ করেই অক্সিজেনের মাত্রা কমে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশে নামলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।
• ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। নখ কালো হয়ে যায়, শরীরে র্যাশ ওঠে, চুল পড়ে যায়।
• শ্রবণশক্তিও কমে যায়।
আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মানা খুব জরুরি, টিকাও প্রয়োজন। টিকার দুটি ডোজ নিলে মৃদু বা মাঝারি মাত্রার উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমিত হলেও হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক কম। সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গ্রামে সংক্রমণ বেড়েছে। টিকা নিতে না পারা, চায়ের দোকানে ভিড় করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের হার বৃদ্ধির পেছনে ‘আমাদের করোনা হবে না’–এমন ভ্রান্ত ধারণাও দায়ী।
ডেলটার পর নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার ল্যাম্বডা ধরন। দক্ষিণ আমেরিকান ধরনটি ৩০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ, খুব অল্প সময়ে স্পাইক প্রোটিনের (শুঁড়ের মতো) অনেক মিউটেশন ঘটিয়েছে ভাইরাসটি। বদলে ফেলেছে স্পাইক প্রোটিনের আকার। স্পাইক প্রোটিন ভাইরাসকে মানবদেহে ঢুকতে সাহায্য করে। দ্রুত আকার বদলে মানবকোষে প্রবেশের নতুন কৌশল বের করে ফেলেছে ল্যাম্বডা ধরন। তবে যে ধরনই আসুক, আমাদের ঢাল-তলোয়ার একই থাকবে। শতভাগ লোককে মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যেতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
করোনাভাইরাস উহান থেকে যে রূপ নিয়ে এসেছিল, তা পাল্টে গেছে। সে কবে প্রাণী থেকে লাফিয়ে এসেছিল মানুষের শরীরে। এরপর জনে জনে ছড়িয়ে পড়ার অপূর্ব খেলায় মেতেছে। ক্রমেই রূপ বদলে ভাইরাসটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দেহে যে প্রতিরোধ সেনারা রক্ষী হয়ে আছে, এদের নজর এড়িয়ে চুপিসারে ঢুকে পড়ছে।
ইংল্যান্ডের কেন্ট ও আলফা, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিটা, ব্রাজিল ঘুরে গামা আর সবশেষে ভারতে এল ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। এতেও থামল না এর গতি, এল ডেলটা প্লাস। তবে দেশে এখনো ডেলটা প্লাস ধরনটি শনাক্ত হয়নি। দেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নমুনা পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে ডেলটা ধরন বি.১.৬১৭.২। এ প্রজাতির কারণে এখন আইসিইউতে ভর্তি বাড়ছে।
ডেলটা কেন মারাত্মক?
ভাইরাসের এ ধরনটি খুব সংক্রামক। প্রতিরোধব্যবস্থাকে এড়িয়ে শরীরে ঢুকে পড়ে। অতি দ্রুত স্পাইক প্রোটিনের আকার বদলে শরীরের নানা কোষে আক্রমণ করতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি শরীরের কোষের বাঁধন দুর্বল করে দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
উপসর্গ
• প্রধান উপসর্গ মাথা ধরা। সেই সঙ্গে সর্দি, জ্বর ও গলাব্যথা।
• ডায়রিয়া, পেটব্যথা, বমি ভাব, রুচি না থাকা, বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। স্বাদ-গন্ধ না-ও পেতে পারে।
• অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধে। এমন ক্ষেত্রে ব্লাড থিনার ব্যবহার করা হয়।
• হঠাৎ করেই অক্সিজেনের মাত্রা কমে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশে নামলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।
• ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। নখ কালো হয়ে যায়, শরীরে র্যাশ ওঠে, চুল পড়ে যায়।
• শ্রবণশক্তিও কমে যায়।
আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মানা খুব জরুরি, টিকাও প্রয়োজন। টিকার দুটি ডোজ নিলে মৃদু বা মাঝারি মাত্রার উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমিত হলেও হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক কম। সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গ্রামে সংক্রমণ বেড়েছে। টিকা নিতে না পারা, চায়ের দোকানে ভিড় করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের হার বৃদ্ধির পেছনে ‘আমাদের করোনা হবে না’–এমন ভ্রান্ত ধারণাও দায়ী।
ডেলটার পর নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার ল্যাম্বডা ধরন। দক্ষিণ আমেরিকান ধরনটি ৩০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ, খুব অল্প সময়ে স্পাইক প্রোটিনের (শুঁড়ের মতো) অনেক মিউটেশন ঘটিয়েছে ভাইরাসটি। বদলে ফেলেছে স্পাইক প্রোটিনের আকার। স্পাইক প্রোটিন ভাইরাসকে মানবদেহে ঢুকতে সাহায্য করে। দ্রুত আকার বদলে মানবকোষে প্রবেশের নতুন কৌশল বের করে ফেলেছে ল্যাম্বডা ধরন। তবে যে ধরনই আসুক, আমাদের ঢাল-তলোয়ার একই থাকবে। শতভাগ লোককে মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যেতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
দীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ ঘণ্টা আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগে