ডা. এহসানুর রহমান
ঢাকা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুতে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ রোগ আমাদের দেশে। হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাত উপশমের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম কার্যকরী বলে প্রমাণিত। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সম্পূর্ণ হাঁটু পরিবর্তনসহ অন্যান্য সার্জারি করা হচ্ছে। তবে সার্জারির পরপরই প্রয়োজন রোগীদের পুনর্বাসন, আর এ ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীকে সুনির্দিষ্ট ব্যায়ামের মাধ্যমে ব্যথামুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারেন। ফলে হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এখন আর চিন্তা নেই।
যা করতে হবে:
• তীব্র হাঁটু ব্যথা হলে ২-৩ দিনের জন্য পূর্ণ বা আংশিক বিশ্রাম নিতে হবে। কিন্তু বিছানায় সব সময় শুয়ে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া যাবে না।
• হাঁটুর যে পয়েন্টে ব্যথা হবে, সেখানে ব্যথানাশক জেল ব্যবহার করে ঠান্ডা সেক নিতে পারেন।
• যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে (ব্যথা কমে গেলে সিজদাহ এবং হাঁটু ভাঁজ করে নামাজ পড়া যেতে পারে)। নামাজে হাঁটুর ওঠাবসা ও রুকুতে হাঁটুর অনেক ব্যায়াম হয়ে যায়।
• যেসব কারণে ব্যথা বাড়ে সেগুলো, যেমন: সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা, লো কমোডে বসা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।
• ব্যথা কমার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম কিংবা নাপ্রক্সেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হতে পারে।
• হাঁটু ফুলে থাকলে দিনে ৩-৪ বার ৫ অথবা ১৫ মিনিট করে বরফের ঠান্ডা সেক নিতে পারেন। আবার দীর্ঘদিনের পুরোনো ব্যথার ক্ষেত্রে দিনে ২ বার ২০ মিনিট করে গরম সেক নিতে হবে।
• হাঁটু ব্যথার তীব্রতা (৫০-৬০ শতাংশ) কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে পা পুরোপুরি ভাঁজ এবং সোজা করতে হবে।
• হাঁটুর ওপরের মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য ২ বা ৩ কেজি ওজনের কোনো বস্তু পায়ের গোড়ালির সামনে বেঁধে চেয়ারে বসে পা সোজা এবং ভাঁজ করতে হবে। এটি ১০-১৫ বার করে প্রতিদিন ৩-৪ বেলা করা উচিত। এই ওজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়াতে হবে।
• পায়ে ভারী বস্তু বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ ও সোজা করতে হবে। এটি আগের ব্যায়ামের মতো দিনে ৩-৪ বেলা করতে হবে।
• সুষম খাবার ও এন্টিটক্সিক খাবার খেতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
• নিয়মিত সুনির্দিষ্ট থেরাপিউটিক ব্যায়াম একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে করতে হবে। ভুলভাবে করলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট, সিআরপি, সাভার, ঢাকা।
ঢাকা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুতে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ রোগ আমাদের দেশে। হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাত উপশমের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম কার্যকরী বলে প্রমাণিত। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সম্পূর্ণ হাঁটু পরিবর্তনসহ অন্যান্য সার্জারি করা হচ্ছে। তবে সার্জারির পরপরই প্রয়োজন রোগীদের পুনর্বাসন, আর এ ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীকে সুনির্দিষ্ট ব্যায়ামের মাধ্যমে ব্যথামুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারেন। ফলে হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এখন আর চিন্তা নেই।
যা করতে হবে:
• তীব্র হাঁটু ব্যথা হলে ২-৩ দিনের জন্য পূর্ণ বা আংশিক বিশ্রাম নিতে হবে। কিন্তু বিছানায় সব সময় শুয়ে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া যাবে না।
• হাঁটুর যে পয়েন্টে ব্যথা হবে, সেখানে ব্যথানাশক জেল ব্যবহার করে ঠান্ডা সেক নিতে পারেন।
• যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে (ব্যথা কমে গেলে সিজদাহ এবং হাঁটু ভাঁজ করে নামাজ পড়া যেতে পারে)। নামাজে হাঁটুর ওঠাবসা ও রুকুতে হাঁটুর অনেক ব্যায়াম হয়ে যায়।
• যেসব কারণে ব্যথা বাড়ে সেগুলো, যেমন: সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা, লো কমোডে বসা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।
• ব্যথা কমার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম কিংবা নাপ্রক্সেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হতে পারে।
• হাঁটু ফুলে থাকলে দিনে ৩-৪ বার ৫ অথবা ১৫ মিনিট করে বরফের ঠান্ডা সেক নিতে পারেন। আবার দীর্ঘদিনের পুরোনো ব্যথার ক্ষেত্রে দিনে ২ বার ২০ মিনিট করে গরম সেক নিতে হবে।
• হাঁটু ব্যথার তীব্রতা (৫০-৬০ শতাংশ) কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে পা পুরোপুরি ভাঁজ এবং সোজা করতে হবে।
• হাঁটুর ওপরের মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য ২ বা ৩ কেজি ওজনের কোনো বস্তু পায়ের গোড়ালির সামনে বেঁধে চেয়ারে বসে পা সোজা এবং ভাঁজ করতে হবে। এটি ১০-১৫ বার করে প্রতিদিন ৩-৪ বেলা করা উচিত। এই ওজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়াতে হবে।
• পায়ে ভারী বস্তু বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ ও সোজা করতে হবে। এটি আগের ব্যায়ামের মতো দিনে ৩-৪ বেলা করতে হবে।
• সুষম খাবার ও এন্টিটক্সিক খাবার খেতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
• নিয়মিত সুনির্দিষ্ট থেরাপিউটিক ব্যায়াম একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে করতে হবে। ভুলভাবে করলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট, সিআরপি, সাভার, ঢাকা।
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
২ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
২ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
২ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
২ দিন আগে